Ajker Patrika

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত

আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৪, ১৭: ১৫
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দিকে নজর দলগুলোর। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানে হবে টুর্নামেন্টের নবম সংস্করণ। কিন্তু যেখানে পাকিস্তান থাকবে, সেখানে ভারতের আপত্তি থাকাও স্বাভাবিক! দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের রাজনৈতিক বৈরিতা ক্রিকেট মাঠে সব সময়ই বেশ চর্চা হয়। 

অনেক দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছিল, পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে যেতে চায় না ভারত। টুর্নামেন্ট শুরু হতে বাকি আর ৭ মাস। এর মধ্যে নতুন করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন, পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলবে না ভারত। এই টুর্নামেন্ট দুবাই কিংবা শ্রীলঙ্কায় আয়োজন করতে আইসিসির কাছে অনুরোধ করবে তারা। অন্তত নিজেদের ম্যাচগুলো হলেও পাকিস্তান থেকে সরিয়ে শ্রীলঙ্কা বা দুবাইতে নিতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। 

ইতিমধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সম্ভাব্য সূচি আইসিসির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে বলেও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছে। তবে ভারত পাকিস্তানে খেলতে যাবে কি না, এই সংশয় ছিল শুরু থেকেই। পিসিবি ভারতকে তাদের সব ম্যাচ লাহোরে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল। 

সর্বশেষ এশিয়া কাপেও পাকিস্তানে খেলতে যায়নি ভারত। শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হয়েছিল শ্রীলঙ্কার মাঠে। এই বছরের মে মাসে বিসিসিআই সহসভাপতি রাজীব শুক্লা বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দিলেই ভারতীয় দল টুর্নামেন্টের জন্য পাকিস্তান সফর করবে। 

এরই মধ্যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সম্ভাব্য গ্রুপিং ছড়িয়ে গেছে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান পড়েছে একই গ্রুপে। ‘এ’ গ্রুপে তাদের সঙ্গে আছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপে আছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। সর্বশেষ ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের রাজকীয় ডিনার করালেন পাকিস্তান অধিনায়ক, মুগ্ধ রাজা

ক্রীড়া ডেস্ক    
শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের জন্য রাজকীয় ডিনারের আয়োজন করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ছবি: সংগৃহীত
শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের জন্য রাজকীয় ডিনারের আয়োজন করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ছবি: সংগৃহীত

বোমা হামলার আতঙ্কে পাকিস্তান ছাড়তে চাইলেও সেটা করতে পারেননি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য খেলতে পাথুম নিশাঙ্কা-ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাদের থেকেই যেতে হলো পাকিস্তানে। এরই মধ্যে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররাও এসে পৌঁছালেন পাকিস্তানে। সবাইকে নিয়ে উপলক্ষ্যটা রাঙালেন পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি।

ইসলামাবাদে গত রাতে একটি ছাদখোলা রেস্তোরাঁয় রাজকীয় নৈশভোজের আয়োজন করেছেন শাহিন। পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক এই নৈশভোজের আয়োজন করেছেন সফরকারী দুই দল শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের নিয়ে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, হাসারাঙ্গা, চামিরা, নিশাঙ্কা খাওয়ার পাশাপাশি খোশগল্প করছেন। সালমান আলী আঘা, হারিস রউফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়ররা আড্ডায় মেতেছেন শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের সঙ্গে। রাজাকে এক ক্রিকেটারের সঙ্গেও আলিঙ্গন করতে দেখা গেছে।

শাহিনের এমন আতিথেয়তায় মুগ্ধ সিকান্দার রাজা সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসামূলক পোস্ট দিয়েছেন। নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে ৪১ সেকেন্ডের এক ভিডিও পোস্ট করে রাজা লিখেছেন, ‘জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের ডিনারে আমন্ত্রণ করার জন্য শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ধন্যবাদ। দারুণ আয়োজন করেছ। ক্রিকেটাররা এক জায়গায় একত্রিত হয়েছি। দারুণ সময় কেটেছে।’ রাজকীয় ডিনারে পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী অনেক খাবার ছিল। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে নান, কাবাবসহ আরও অনেক ধরনের খাবার দেখা গেছে। সঙ্গে কোমল পানীয় তো ছিলই।

পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে এখন চলছে রাওয়ালপিন্ডিতে। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া শ্রীলঙ্কা কোনো উইকেট না হারিয়ে করেছে ৩৫ রান। পরশু দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শাহিন অসুস্থ থাকায় খেলতে পারেননি। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সালমান আলী আঘা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে পাকিস্তান। লঙ্কানরা আজ নেমেছে ধবলধোলাই এড়ানোর মিশনে। শাহিনও এই ম্যাচে ফিরলেন অধিনায়ক হয়ে।

আগের সূচি অনুযায়ী ১৭ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ। কিন্তু পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ পিছিয়ে যাওয়ায় পরিবর্তন আসে ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচিতেও। রাওয়ালপিন্ডিতে পরশু পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হতে যাওয়া এই ত্রিদেশীয় সিরিজের সব ম্যাচই হবে রাওয়ালপিন্ডিতে। জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্ব দেবেন সিকান্দার রাজা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজেও টি-টোয়েন্টির চিত্র

ক্রীড়া ডেস্ক    
শেষ ওভারে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। ছবি: ক্রিকইনফো
শেষ ওভারে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। ছবি: ক্রিকইনফো

নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যায়। বাকি ৪ ম্যাচের তিনটিতেই ফল হয়েছে শেষ ওভারে এসে। সংক্ষিপ্ত ওভারের সিরিজের সেই চিত্র এবার ওয়ানডেতেও ফিরিয়ে আনল দুদল। প্রথম ওয়ানডেতে লড়াই করে শেষ ওভারে এসে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। ৭ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।

ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে আগে ব্যাট করে ২৬৯ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়ায় ঢিমেতালে ব্যাট করে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইল জেমিসনের করা ২৬ তম ওভারে উইল ইয়ংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে কিসি কার্টি যখন ফিরছিলেন, সফরকারীদের স্কোবোর্ডে তখন উঠেছে ৮৭ রান। ৩২ রান করতেই ৬৭ বল খেলেন এই ব্যাটার। ৫০ স্ট্রাইকরেটে ৫৮ বলে ২৯ রান করেন আলিক আথানেজ। ৯ বল খেলা জন ক্যাম্পবেলের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান।

উপরের সারির ব্যাটারদের টেস্ট মেজাজি ব্যাটিংয়ের চাপ সামলে আর শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেরফানে রাদারফোর্ড, শাই হোপ, রোমারিও শেফার্ড, জাস্টিন গ্রিভসদের ব্যাটে আশা বেঁচে ছিল। কিন্তু শেষ হাসি হাসতে পারেনি তারা। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে সমীকরণ ছিল ৬১ রানের।

গ্রিভস ও শেফার্ড লড়াই চালিয়ে ম্যাচ টেনে নেন শেষ ওভারে। তবে জ্যাকব ডাফির করা শেষ ওভারে ২০ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি তাঁরা। সে ওভার থেকে ১২ রান তুলতে পেরেছে অতিথিরা। ২৪ বলে ৩৮ রান করেন গ্রিভস। ২৬ রান আসে শেফার্ডের ব্যাট থেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন রাদারফোর্ড। ৩৭ রান এনে দেন হোপ। ৫২ রানে ৩ উইকেট নেন জেমিসন।

এর আগে ড্যারেল মিচেল ও ডেভন কনওয়ের ব্যাটে ভর করে এই পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। ১১৮ বলে ১২ চার, দুই ছক্কায় ১১৯ রান করেন মিচেল। কনওয়ে খেলেন ৪৯ রানের ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪১ রান খরচায় জেডন সিলসের শিকার ৩ উইকেট। ২ ব্যাটারকে ফেরান ম্যাথু ফোর্ড।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

কলকাতায় ভারতের মতো ভরাডুবি আর কারও হয়নি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৭
১২৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ৩০ রানে হেরে লজ্জাজনক রেকর্ডে নাম লেখাল ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো
১২৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ৩০ রানে হেরে লজ্জাজনক রেকর্ডে নাম লেখাল ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো

এইডেন মার্করাম ক্যাচ ধরতেই উদ্‌যাপন শুরু। সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা যেন টেম্বা বাভুমার। হাত ছুড়ে যেভাবে উদ্‌যাপন করলেন, সেটা যেন কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভক্ত-সমর্থকদের হৃদয়ে ছুরির মতো বিঁধেছে। প্রোটিয়াদের কাছে ৩০ রানে হেরে লজ্জাজনক এক রেকর্ডে নাম উঠে গেল ভারতের।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে ৬ বছর পর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ফিরল টেস্ট। ভক্ত-সমর্থকেরা দারুণ একটা ম্যাচের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু কিসের কী! মাত্র তিন দিনে শেষ হয়ে গেল ইডেন টেস্ট। ১২৪ রানের মামুলি লক্ষ্য পেয়েও ৯৩ রানে গুটিয়ে গেল স্বাগতিকেরা। তাতে ইডেনে সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ডের রেকর্ডটা নিজেদের করে নিল প্রোটিয়ারা। এর আগে ইডেনে এই রেকর্ডটা ছিল ভারতেরই। ১৯৭৩ সালে ইংল্যান্ডকে ১৯২ রানের লক্ষ্য দিয়েও ২৮ রানে জিতেছিল ভারত।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৩ রানে ৭ উইকেটে আজ তৃতীয় দিনে খেলতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকদের নামের পাশে তখন ৩৫ ওভার। ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে করবিন বশকে (২৫) বোল্ড করেন জসপ্রীত বুমরা। তাতে ভেঙে যায় ষষ্ঠ উইকেটে বাভুমা ও বশের ৪৪ রানের জুটি। এই জুটির পর ১৮ রান যোগ করতেই শেষ সফরকারীদের ইনিংস। ৫৪ ওভারে ১৫৩ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন বাভুমা। রবীন্দ্র জাদেজা ৫০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

১৫৩ রান দক্ষিণ আফ্রিকা করলেও ১২৩ রানের লিড পেয়েছে তারা। ১২৪ রানের লক্ষ্যে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৩৩.২ ওভারে ৭ উইকেটে ৭৭ রান। একমাত্র আশার প্রদীপ হয়ে বেঁচে থাকা অক্ষর প্যাটেল একটু বেশিই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। ৩৫তম ওভারে কেশব মহারাজকে দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন অক্ষর। পঞ্চম বলে ছক্কা মারতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। আকাশে দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকা বল তালুবন্দী করেন বাভুমা। ষষ্ঠ বলে সিরাজকে ফিরিয়ে ভারতের ইনিংসের ইতি টানেন মহারাজ।

সিরাজের বিদায়ে ৩৫ ওভারে ৯৩ রানে ৯ উইকেটে পরিণত হয় ভারত। কিন্তু অধিনায়ক শুবমান গিল ব্যাটিং করতে না পারায় কার্যত এখানেই শেষ স্বাগতিকদের ইনিংস। দুই ইনিংসে চারটি করে উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা স্পিনার সায়মন হারমার। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে ১৫৯ রানে গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বুমরা নিয়েছেন ৫ উইকেট। এরপর ভারতের প্রথম ইনিংসে ৩ বলে ৪ রান করার পরই পিঠের ব্যথায় মাঠ ছাড়েন গিল। তখন ৬২.২ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৯ রানে পরিণত হতেই শেষ ভারতের ইনিংস। আর আজ তৃতীয় দিনে ৩০ রানে জিতে ভারতকে ভারতের মাঠে ১৫ বছর পর টেস্টে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে নাগপুর টেস্টে ভারতকে ইনিংস ও ৬ রানে হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

আইসিইউতে ভর্তি, শেষ টেস্টেও থাকছেন না গিল

ক্রীড়া ডেস্ক    
গিলকে নিয়ে সতর্ক অবস্থানে বিসিসিআই। ছবি: এক্স
গিলকে নিয়ে সতর্ক অবস্থানে বিসিসিআই। ছবি: এক্স

কলকাতা টেস্ট চলাকালীন ভারতীয় দলের চিন্তা বাড়িয়ে দিলেন শুবমান গিল। ঘাড়ের সমস্যা নিয়ে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সবশেষ খবর, বর্তমানে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) আছেন স্বাগতিক অধিনায়ক। মূলত সতর্কতামুলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

ভারতের ইনিংসের ৩৫ তম ওভারে ক্রিজে আসেন গিল। মাত্র ৩ বল মোকাবেলার পর ঘাড় নাড়াচাড়া করতে পারছিলেন না তিনি। মাঠে ফিজিও দেখিয়েও কোনো কাজ হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এই ব্যাটার। ড্রেসিংরুমে প্রাথমিক চিকিৎসার পরও স্বাভাবিক হতে পারেননি। উপায়ান্তর না দেখে স্ট্রেচারে করে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রেভস্পোর্টজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গিলের চিকিৎসার জন্য ডাঃ সপ্তর্ষি বসুর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন স্নায়ু বিশেষজ্ঞ রয়েছেন।

হাসপাতালে নেওয়ার পর স্ক্যান এবং বেশকিছু পরীক্ষা করা হয়। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় গিলকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের বরাতে আজ ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গিলের ঘাড়ের ব্যথা কিছুটা কমেছে। রিপোর্টেও কোনো জটিলতা ধরে পড়েনি। এরপরও এখনই আইসিইউ থেকে সরানো হচ্ছে না গিলকে। আরও কয়েকদফা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে মেডিকেল টিম।

বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গিলের জন্য আগামী ছয়দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টাতে খুব হিসেব করে চলতে হবে তাঁকে। তাই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এর আগে বারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানায়, ঘাড়ের সমস্যার কারণে কলকাতার টেস্টের বাকি অংশ থেকে ছিটকে গেছেন গিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত