Ajker Patrika

হৃদয়ে বাংলাদেশের হৃদয় জুড়ানো জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৩, ১০: ১০
হৃদয়ে বাংলাদেশের হৃদয় জুড়ানো জয়

সাকিব আল হাসান যখন ৬৪ রানে আউট হন, টিভি স্ক্রিনে দেখা মিলল হতাশ বাংলাদেশ সমর্থকেরা মাথায় রাখলেন হাত। হতাশ হওয়ার কারণও স্পষ্ট, ১০.১ ওভারে সাকিব, লিটন, রনি ও শান্তর উইকেট পড়ে যাওয়া মানে অনেকেই হয়তো বাংলাদেশের হারই ধরে নিয়েছিলেন।

এর পরই তাওহীদ হৃদয় ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী সমর্থকদের মুখে হাসি ফেরালেন। কিন্তু জয় যখন হাতের নাগালে, শেষ ওভারে প্রয়োজন ৬ রান, তখন বাজে শট খেলে একে একে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন মিরাজ, তাসকিন ও নাসুম। করিম জানাত হ্যাটট্রিক করলেও প্রথম বলে চার মেরে কাজটি সহজ করে দিয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। পঞ্চম বলে শরীফুল ইসলাম চার মেরে বাংলাদেশের ২ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেন।

তবে আলাদা করে জয়ের কৃতিত্ব হৃদয় ও শামীম হোসেনকেই দিতে হবে। পঞ্চম উইকেটে দুজনের ৭৩ রানের জুটিতে হারের শঙ্কা দূরীভূত হয়। ১ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে আফগানিস্তানের দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে বাংলাদেশ। ৩২ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। শামীমের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৩৩ রান। আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়।

আফগান বোলারদের বিপক্ষে শুরু থেকেই সংগ্রাম করছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৩৯ রানেই তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে ড্রেসিংরুমে ফেরান ফারুকি-মুজিবরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ১টি চার মেরে ফেরেন রনি তালুকদার। ফজলহক ফারুকির ব্যাক অব লেংথের ডেলিভারির লাইন বুঝেই উঠতে পারেননি রনি। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে স্টাম্পের লালবাতি জ্বালিয়ে দেয় বল।

দ্বিতীয় উইকেটে লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত দেখে-শুনেই ব্যাটের ব্যবহার করছিলেন। কিন্তু মুজিব উর রহমানের করা ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে সুইপ শট খেলতে গিয়ে শরীর ছুঁয়ে স্টাম্পে লাগে বল। তাতে লিটন ও শান্তর জুটি ২৫ রানেই ভেঙে দেন স্পিনার মুজিব। ১২ বলে ১৪ রান আসে শান্তর ব্যাট থেকে।

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে পারে মাত্র ৩৭ রান। এর পরই ১৯ বলে ১৮ রান করে ফেরেন লিটন। হজরতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা শর্ট বল মারতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। বল হাতে জমা করতে ভুল করেননি রশিদ খান।

চতুর্থ উইকেটে সাকিব আল হাসান ও তাওহীদ হৃদয় যোগ করেন ২৫ রান। পেসার ফরিদ আহমেদের করা ১১তম ওভারে ডিপ কাভারে করিম জানাতকে ক্যাচ দিয়ে ১৭ বলে ১৯ রানে আউট হন সাকিব। এর পরই হৃদয় ও শামীমের ম্যাচ জেতানো জুটি।

এর আগে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৫ ওভার পর্যন্ত আফগানিস্তানকে বেশ চাপেই রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষের ৫ ওভারে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা। মোহাম্মদ নবী ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে সিলেটে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দেয় আফগানিস্তান।

 ১৩.৫ ওভারে যখন আফগানিস্তান ৫ উইকেট হারায়, তখন তাদের রান ছিল ৮৭। ষষ্ঠ উইকেটে নবী ও ওমরজাই ৩১ বলে ৫৬ রানের কার্যকর এক জুটি গড়েন, যার সৌজন্যে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান করে আফগানিস্তান। ১৮ বলে ৪ ছক্কায় ৩৩ রান করেন ওমরজাই। ৪০ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন নবী। টি-টোয়েন্টিতে নিজের পঞ্চম ফিফটিতে মেরেছেন ৬টি চার ও ১টি ছক্কা।

এর আগে ৩২ রানেই আফগানিস্তানের তিন টপ অর্ডারের উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু তিন আফগান ব্যাটার যেভাবে ফিরলেন, তা ছিল একরকম বিস্ময়ের মতো। তিনজন বাউন্ডারি মেরেই ড্রেসিংরুমে ফিরলেন।

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারে ১০ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। নাসুম আহমেদের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বাঁহাতি ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই কাউ কর্নার দিয়ে বিশাল এক ছক্কা মারেন। তবে পরের ডেলিভারিতেই স্কয়ার লেগে তাওহীদ হৃদয়কে ক্যাচ দিয়ে ৮ রানে ফেরেন জাজাই।

দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে তাসকিন আহমদেকে একটি ছক্কা মেরেছিলেন আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলেও তাসকিনকে একটি চার মারেন গুরবাজ। চতুর্থ বল ডট গেলেও পঞ্চম বলে আবারও বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে মেহেদী হাসান মিরাজকে ক্যাচ দেন এই আফগান ওপেনার। ১১ বলে ১৬ রান আসে গুরবাজের ব্যাট থেকে।

তিনে ব্যাটিং করা ইব্রাহিম জাদরানও পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে শরীফুল ইসলামকে উইকেটকিপারের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন। পরের বলেই দারুণ এক আউট সুইংয়ে শরীফুল ফেরান ইব্রাহিমকে। ৮ রান করে লিটন দাসকে ক্যাচ দেন তিনি।

৫২ রানে করিম জানাতকে ফেরান সাকিব আল হাসান। ৩ রান করেন জানাত। এরপর নাজিবউল্লাহ জাদরান ২৩ বলে ২৩ রান করে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লিটনকে ক্যাচ দিয়ে। ৩ রানে ফেরেন রশিদ খান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাকিব ২টি, তাসকিন, মিরাজ, নাসুম, মোস্তাফিজ ও শরীফুল ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত