শ্রেয়াস আয়ার চোটে পড়ায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের কপালে পড়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। পিঠের চোটে ভুগতে থাকা শ্রেয়াস এবারের আইপিএলের অধিকাংশ ম্যাচ খেলতে পারবেন না। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) গত কয়েক মৌসুম কলকাতাকে নেতৃত্ব দেওয়া শ্রেয়াস চোটে পড়ায় অধিনায়কশূন্য হয়ে পড়ে কলকাতা। শ্রেয়াসের পরিবর্তে এবারের আইপিএলে কলকাতাকে নেতৃত্ব দেবেন নীতিশ রানা।

২০১৬ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় রানার। প্রথম মৌসুমে ৪ ম্যাচ খেলে ৩৪.৬৭ গড় ও ১৩৮.৬৬ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ১০৪ রান। একটা ফিফটিও করেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ২০১৭ আইপিএলেও মুম্বাইয়ের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। প্রথম দুই বছর মুম্বাইয়ের হয়ে খেলা রানাকে ২০১৮ সালে কলকাতা কিনে নেয় ৩ কোটি ৪০ লাখ ভারতীয় রুপিতে। এরপর থেকে তিনি হয়ে গেছেন কলকাতার সদস্য। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত খেলেছেন ৭৪ ম্যাচ। ২৬.০৩ গড় ও ১৩৫.৬১ স্ট্রাইক রেটে করেন ১৭৪৪ রান। কলকাতার জার্সিতে করেছেন ১১ ফিফটি। প্রতি মৌসুমেই ৩০০-এর ওপরে রান করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ২০২৩ আইপিএলে রানাকে ৮ কোটি ভারতীয় রুপিতে রেখে দিয়েছে কলকাতা। 

রানার সঙ্গে কলকাতার অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে গত আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন নারিন ও রাসেল। শেষের দিকে নেমে ঝোড়ো গতিতে রান তুলেছেন রাসেল। আর সাকিবের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ খেলছে ভয়ডরহীন ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টিতে টানা চার ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করা। সবাইকে ছাপিয়ে রানাকেই অধিনায়ক করে কলকাতা। এই বাঁহাতি ব্যাটারকে অধিনায়ক করার কারণ হিসেবে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ও কলকাতার হয়ে পাঁচ বছর আইপিএল খেলার কথা জানিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি। এক বিবৃতিতে গতকাল কলকাতা বলেছে, ‘নিতিশকে অধিনায়ক হিসেবে পেয়ে আমরা ভাগ্যবান। তার দীর্ঘদিনের আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১৮ থেকে কলকাতার হয়ে সে খেলছে। আশা করি সে ভালো করবে। আমরা আশাবাদী যে প্রধান জেড কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ও তার সাপোর্ট স্টাফ এবং সতীর্থদের সমর্থন নিতিশ পাবে।’ 

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শুক্রবার গুজরাট টাইটান্স-চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ২০২৩ আইপিএল। শনিবার মোহালিতে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে শুরু হবে কলকাতার আইপিএল মিশন।