ক্রীড়া ডেস্ক
শিরোনাম দেখে হয়তো অনেকে চমকে যেতে পারেন। এই তো এ বছরের ২৯ জুন রোহিত শর্মার নেতৃত্বে বার্বাডোজে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল। কদিন আগে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারত। চার ইনিংসে তিনবার ২০০ পেরিয়েছে ভারত।
আসলে এখানে বলা হচ্ছে ভারতের ওয়ানডে সংস্করণের পারফরম্যান্সের কথা। ক্রিকেটের খোঁজখবর যাঁরা রাখেন, ১৯ নভেম্বর তারিখটি তাদের ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে কাঁদিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল অস্ট্রেলিয়া। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ১ লাখেরও বেশি দর্শককে স্তব্ধ করে ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। সেই ফাইনালের পর থেকে ভারত ৬ ওয়ানডে খেলে জিতেছে কেবল ২ ম্যাচ।
ঘরের মাঠে গত বছর অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে শুরু থেকেই একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ভারতের। রাউন্ড রবিন লিগের ৯ ম্যাচের পর সেমিফাইনাল-টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠেন রোহিত-বিরাট কোহলিরা। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল ভারতের। সেই ফাইনালের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স হুংকার ছেড়েছিলেন যে আহমেদাবাদের ১ লাখেরও বেশি দর্শককে চুপ করিয়ে দেবেন। তাইতো ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৮০ রান করলেও ভারত এরপর চোখে সর্ষেফুল দেখেছে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করে ভারত।
২৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়ে। তবে ট্রাভিস হেড একপ্রান্ত থেকে পেটানো শুরু করলে ভারতের বোলাররা আর দিশা খুঁজে পাননি। হেডের একেকটা ছক্কা গ্যালারিতে পড়া মাত্রই আহমেদাবাদের স্টেডিয়ামের দর্শকদের মাথায় হাত। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে (১২০ বলে ১৩৭ রান) করে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার। মোহাম্মদ সিরাজকে মিড উইকেটে ঠেলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২ রান নিতেই শুরু অস্ট্রেলিয়ার উদযাপন।
অস্ট্রেলিয়ার ঠিক বিপরীত চিত্র তখন নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দেখা গিয়েছিল। রোহিত, কোহলি থেকে শুরু করে জসপ্রীত বুমরা, শুবমান গিল, কুলদীপ যাদব-সবার চোখেমুখেই হতাশার ছাপ। রেকর্ড বই তছনছ করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় কোহলি হলেও মুখে ছিল না হাসি। শিরোপার কাছে এসে ছুঁয়ে না দেখার আক্ষেপ কেমন হয়, সেটা রোহিতকে দেখেই বোঝা গেছে। ফাইনাল শেষে ভারতের তৎকালীন প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় ড্রেসিংরুমে শিষ্যদের কান্না দেখে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।
আহমেদাবাদ ট্রাজেডির পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল ওয়ানডে সিরিজ। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে রোহিত-কোহলির মতো তারকা ক্রিকেটার ছাড়া তরুণদের নিয়েই ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে খেলতে গিয়েছিল ভারত। প্রোটিয়া সিরিজ জয়ের আট মাস পর ভারত গিয়েছে শ্রীলঙ্কা সফরে। প্রতি ম্যাচেই রোহিত আক্রমণাত্মক শুরু এনে দিলেও কোহলি-শ্রেয়াস আইয়াররা পরে আর সেটা ধরে রাখতে পারেননি। ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ভারত হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। সিরিজে ভারতের ৩০ উইকেটের ২৭টিই তুলে নেন লঙ্কান স্পিনাররা। যার মধ্যে কলম্বোর প্রেমাদাসায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের কাছাকাছি গেলেও ম্যাচ হয়েছিল টাই।
২০২৪ সালে ভারত আর কোনো ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। এশিয়ার দলটিকে তাই এই সংস্করণে জয়হীন থেকে শেষ করতে হচ্ছে বছরটা। তবে টি-টোয়েন্টিতে ভারত এ বছর দাপট দেখিয়ে খেলেছে। ২৬ টি-টোয়েন্টি খেলে জিতেছে ২৪ ম্যাচ। হেরেছে ২ ম্যাচ। যার মধ্যে দুটি জয় ভারত পেয়েছিল সুপার ওভারে। টেস্টে ইংল্যান্ড, বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে খেললেও বিধ্বস্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের কাছে। ঘরের মাঠে ভারত ৩-০ ব্যবধানে টেস্টে ধবলধোলাই হয়েছে তুলনামূলক কম অভিজ্ঞ কিউইদের কাছে। যেখানে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারতকে ৪৬ রানে অলআউট করে লজ্জা উপহার দেয় ব্ল্যাকক্যাপসরা।
শিরোনাম দেখে হয়তো অনেকে চমকে যেতে পারেন। এই তো এ বছরের ২৯ জুন রোহিত শর্মার নেতৃত্বে বার্বাডোজে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল। কদিন আগে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারত। চার ইনিংসে তিনবার ২০০ পেরিয়েছে ভারত।
আসলে এখানে বলা হচ্ছে ভারতের ওয়ানডে সংস্করণের পারফরম্যান্সের কথা। ক্রিকেটের খোঁজখবর যাঁরা রাখেন, ১৯ নভেম্বর তারিখটি তাদের ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে কাঁদিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল অস্ট্রেলিয়া। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ১ লাখেরও বেশি দর্শককে স্তব্ধ করে ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। সেই ফাইনালের পর থেকে ভারত ৬ ওয়ানডে খেলে জিতেছে কেবল ২ ম্যাচ।
ঘরের মাঠে গত বছর অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে শুরু থেকেই একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ভারতের। রাউন্ড রবিন লিগের ৯ ম্যাচের পর সেমিফাইনাল-টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠেন রোহিত-বিরাট কোহলিরা। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল ভারতের। সেই ফাইনালের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স হুংকার ছেড়েছিলেন যে আহমেদাবাদের ১ লাখেরও বেশি দর্শককে চুপ করিয়ে দেবেন। তাইতো ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৮০ রান করলেও ভারত এরপর চোখে সর্ষেফুল দেখেছে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করে ভারত।
২৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়ে। তবে ট্রাভিস হেড একপ্রান্ত থেকে পেটানো শুরু করলে ভারতের বোলাররা আর দিশা খুঁজে পাননি। হেডের একেকটা ছক্কা গ্যালারিতে পড়া মাত্রই আহমেদাবাদের স্টেডিয়ামের দর্শকদের মাথায় হাত। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে (১২০ বলে ১৩৭ রান) করে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার। মোহাম্মদ সিরাজকে মিড উইকেটে ঠেলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২ রান নিতেই শুরু অস্ট্রেলিয়ার উদযাপন।
অস্ট্রেলিয়ার ঠিক বিপরীত চিত্র তখন নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দেখা গিয়েছিল। রোহিত, কোহলি থেকে শুরু করে জসপ্রীত বুমরা, শুবমান গিল, কুলদীপ যাদব-সবার চোখেমুখেই হতাশার ছাপ। রেকর্ড বই তছনছ করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় কোহলি হলেও মুখে ছিল না হাসি। শিরোপার কাছে এসে ছুঁয়ে না দেখার আক্ষেপ কেমন হয়, সেটা রোহিতকে দেখেই বোঝা গেছে। ফাইনাল শেষে ভারতের তৎকালীন প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় ড্রেসিংরুমে শিষ্যদের কান্না দেখে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।
আহমেদাবাদ ট্রাজেডির পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল ওয়ানডে সিরিজ। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে রোহিত-কোহলির মতো তারকা ক্রিকেটার ছাড়া তরুণদের নিয়েই ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে খেলতে গিয়েছিল ভারত। প্রোটিয়া সিরিজ জয়ের আট মাস পর ভারত গিয়েছে শ্রীলঙ্কা সফরে। প্রতি ম্যাচেই রোহিত আক্রমণাত্মক শুরু এনে দিলেও কোহলি-শ্রেয়াস আইয়াররা পরে আর সেটা ধরে রাখতে পারেননি। ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ভারত হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। সিরিজে ভারতের ৩০ উইকেটের ২৭টিই তুলে নেন লঙ্কান স্পিনাররা। যার মধ্যে কলম্বোর প্রেমাদাসায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের কাছাকাছি গেলেও ম্যাচ হয়েছিল টাই।
২০২৪ সালে ভারত আর কোনো ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। এশিয়ার দলটিকে তাই এই সংস্করণে জয়হীন থেকে শেষ করতে হচ্ছে বছরটা। তবে টি-টোয়েন্টিতে ভারত এ বছর দাপট দেখিয়ে খেলেছে। ২৬ টি-টোয়েন্টি খেলে জিতেছে ২৪ ম্যাচ। হেরেছে ২ ম্যাচ। যার মধ্যে দুটি জয় ভারত পেয়েছিল সুপার ওভারে। টেস্টে ইংল্যান্ড, বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে খেললেও বিধ্বস্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের কাছে। ঘরের মাঠে ভারত ৩-০ ব্যবধানে টেস্টে ধবলধোলাই হয়েছে তুলনামূলক কম অভিজ্ঞ কিউইদের কাছে। যেখানে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারতকে ৪৬ রানে অলআউট করে লজ্জা উপহার দেয় ব্ল্যাকক্যাপসরা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেম্বা বাভুমা সবশেষ খেলেছেন গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে। তবে টেস্টের ক্ষেত্রে সেটা আরও ২ মাস বেশি। অবশেষে শ্রীলঙ্কার সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ফিরছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার।
২ ঘণ্টা আগে২০২৬ বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামার আগে আর্জেন্টিনা নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে দারুণভাবে। বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকায় এখনো তারা শীর্ষে। বছরের শেষ ম্যাচ খেলতে আগামীকাল
২ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর প্রশংসায় ভাসছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। কিন্তু যে পাকিস্তানের নামের পাশে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ ট্যাগ, তাদের নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা দুরূহ ব্যাপার। টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ধবলধোলাই হয়েছে এশিয়ার দলটি।
৩ ঘণ্টা আগেনিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরশু পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার ফুরিয়েছে ১২ বছরের অপেক্ষা। এক যুগ পর ওয়ানডে সিরিজ জয়ী শ্রীলঙ্কার সামনে আজ হোয়াইটওয়াশের সুযোগ। পাল্লেকেলেতে আজ বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় শুরু হবে শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড তৃতীয় ওয়ানডে।
৫ ঘণ্টা আগে