ক্রীড়া ডেস্ক
তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন নাহিদ রানা। তাঁর অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে করা ফুল লেন্থের বল একটু সামনে ঝুঁকে ড্রাইভ করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার কেসি কার্টি। ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে বল ভাসলেও প্রথম স্লিপে থাকা সাদমান ইসলাম সামনে ঝুঁকে তালুবন্দী করতে পারেননি।
সেই উইকেট না পেলেও নিজের দুই ওভার পরই রানা ফিরিয়ে দেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে (৩৯)। বাংলাদেশি পেসারের গতির সামনে আগে থেকে হিমশিম খাচ্ছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। ইনিংসের ৪৩তম ওভারে আর শেষ রক্ষা হয়নি। টপ লেন্থের ঘণ্টায় ১৪২ কিলোমিটার গতির বলে ঠিকই পরাস্ত হয়েছেন।
রানার তোপ সেখানেই থামেনি। ক্যারিবীয়দের বুকে কাঁপন ধরিয়ে এরপর ফিরিয়েছেন—ওপেনার মিকাইল লুই (১২), কেভাম হজ (৩), আলজারি জোসেফ (৭) ও কেমার রোচকে (৮)। তাতেই টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেটের দেখা পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই পেসার। ক্যারিবীয়দের ইনিংসের ১৩ তম ওভারে তাঁর পাঁচটি ডেলিভারি ছিল ঘণ্টায় ১৫০, ১৪৯, ১৫০, ১৫০ ও ১৪৮ কিলোমিটার গতির! শুরুতেই রানা যে ভীতি ধরিয়ে দিয়েছিলেন উইন্ডিজ ব্যাটারদের মনে সেটিই তৃতীয় দিনে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে দিয়েছে।
রানার এমন গতির বোলিং দেখে শুধু বাংলাদেশিরা নয়, মুগ্ধ ক্যারিবীয়রাও। মুগ্ধ কোর্টনি ওয়ালশ-ইয়ান বিশপও। ৯০-এর দশকে যাঁরা বল হাতে ব্যাটারদের আতঙ্কের নাম ছিলেন সেই সাবেক ক্যারিবীয় দুই কিংবদন্তি পেসার ধারাভাষ্যকার হিসেবে আছেন কিংস্টন টেস্টে। গত রাতে রানার পাঁচ উইকেট নেওয়া দেখে বিশপ বললেন, ‘রানার প্রাপ্য এটা। রানার চমৎকার পারফরম্যান্স। ৪৫ নম্বর (রানার জার্সি নম্বর), সামনের বছরগুলোতে তার দিকে চোখ রাখুন।’ তাঁর সঙ্গে থাকা আরেক ধারাভাষ্যকার ওয়ালশের কন্ঠেও তখন রানাকে নিয়ে মুগ্ধতা। ওয়ালশ তো এক সময় বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচও ছিলেন ৷
ওয়ালশ-বিশপ যেন রানার গতির মধ্যে তাঁদের হারানো দিনের স্মৃতি ফিরে পেয়েছেন। পাবেনই বা না কেন! বাংলাদেশি এই তরুণ পেস সেনসেশন যে জ্যামাইকায় গতির ঝড় তুলেছেন। শর্ট বলে ব্যাটারদের নাকাল করা, হেলমেটে আড়ালে চোখ দুটোয় শঙ্কার কাঁপন। নিখুঁত শর্ট বলে রক্ষণে চিড় ধরানো। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে এক বাংলাদেশি গতির ঝড়, যেন সাগর থেকে উঠে আসা হারিকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের সাজানো বাগান একাই তো করলেন তছনছ। নাহিদ রানা—চাপাই এক্সপ্রেস। এ যেন ‘ফার্স্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াসের’—বাংলাদেশি সংস্করণ!
তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন নাহিদ রানা। তাঁর অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে করা ফুল লেন্থের বল একটু সামনে ঝুঁকে ড্রাইভ করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার কেসি কার্টি। ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে বল ভাসলেও প্রথম স্লিপে থাকা সাদমান ইসলাম সামনে ঝুঁকে তালুবন্দী করতে পারেননি।
সেই উইকেট না পেলেও নিজের দুই ওভার পরই রানা ফিরিয়ে দেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে (৩৯)। বাংলাদেশি পেসারের গতির সামনে আগে থেকে হিমশিম খাচ্ছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। ইনিংসের ৪৩তম ওভারে আর শেষ রক্ষা হয়নি। টপ লেন্থের ঘণ্টায় ১৪২ কিলোমিটার গতির বলে ঠিকই পরাস্ত হয়েছেন।
রানার তোপ সেখানেই থামেনি। ক্যারিবীয়দের বুকে কাঁপন ধরিয়ে এরপর ফিরিয়েছেন—ওপেনার মিকাইল লুই (১২), কেভাম হজ (৩), আলজারি জোসেফ (৭) ও কেমার রোচকে (৮)। তাতেই টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেটের দেখা পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই পেসার। ক্যারিবীয়দের ইনিংসের ১৩ তম ওভারে তাঁর পাঁচটি ডেলিভারি ছিল ঘণ্টায় ১৫০, ১৪৯, ১৫০, ১৫০ ও ১৪৮ কিলোমিটার গতির! শুরুতেই রানা যে ভীতি ধরিয়ে দিয়েছিলেন উইন্ডিজ ব্যাটারদের মনে সেটিই তৃতীয় দিনে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে দিয়েছে।
রানার এমন গতির বোলিং দেখে শুধু বাংলাদেশিরা নয়, মুগ্ধ ক্যারিবীয়রাও। মুগ্ধ কোর্টনি ওয়ালশ-ইয়ান বিশপও। ৯০-এর দশকে যাঁরা বল হাতে ব্যাটারদের আতঙ্কের নাম ছিলেন সেই সাবেক ক্যারিবীয় দুই কিংবদন্তি পেসার ধারাভাষ্যকার হিসেবে আছেন কিংস্টন টেস্টে। গত রাতে রানার পাঁচ উইকেট নেওয়া দেখে বিশপ বললেন, ‘রানার প্রাপ্য এটা। রানার চমৎকার পারফরম্যান্স। ৪৫ নম্বর (রানার জার্সি নম্বর), সামনের বছরগুলোতে তার দিকে চোখ রাখুন।’ তাঁর সঙ্গে থাকা আরেক ধারাভাষ্যকার ওয়ালশের কন্ঠেও তখন রানাকে নিয়ে মুগ্ধতা। ওয়ালশ তো এক সময় বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচও ছিলেন ৷
ওয়ালশ-বিশপ যেন রানার গতির মধ্যে তাঁদের হারানো দিনের স্মৃতি ফিরে পেয়েছেন। পাবেনই বা না কেন! বাংলাদেশি এই তরুণ পেস সেনসেশন যে জ্যামাইকায় গতির ঝড় তুলেছেন। শর্ট বলে ব্যাটারদের নাকাল করা, হেলমেটে আড়ালে চোখ দুটোয় শঙ্কার কাঁপন। নিখুঁত শর্ট বলে রক্ষণে চিড় ধরানো। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে এক বাংলাদেশি গতির ঝড়, যেন সাগর থেকে উঠে আসা হারিকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের সাজানো বাগান একাই তো করলেন তছনছ। নাহিদ রানা—চাপাই এক্সপ্রেস। এ যেন ‘ফার্স্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াসের’—বাংলাদেশি সংস্করণ!
দেশের মাঠে সিরিজ হার দিয়ে বছর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। গত মার্চে সিলেটে শ্রীলঙ্কার কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল চট্টগ্রামে হওয়া ওয়ানডে সিরিজে। তবে লঙ্কানদের কাছে টেস্ট সিরিজটা হারে বাজেভাবে। বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে হতাশ করলেও বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি
২ ঘণ্টা আগেট্রাভিস হেড আজ ‘ট্রাভিস হেডেক’ হওয়ার সুযোগই পাননি। সেটা হবে কী করে! জসপ্রীত বুমরা তো তাঁকে (হেড) রানের খাতা খোলার সুযোগ দেননি। তবু মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনে ভারতের চেয়ে এগিয়েই থাকল অস্ট্রেলিয়া।
৩ ঘণ্টা আগেদল, ক্রিকেটাররাই যে শুধু রেকর্ড গড়েন, ব্যাপারটা তা নয়। আম্পায়াররাও একের পর এক মাইলফলক ছুঁয়ে চলেছেন নিয়মিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) পক্ষ থেকে আম্পায়ারদের দেওয়া হয় অভিনন্দন বার্তা ।
৪ ঘণ্টা আগে