নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হওয়ার আর ১০০ দিনও বাকি নেই। কিন্তু জরুরি কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো নেই। সময়মতো টুর্নামেন্ট হবে কি? হলে কোথায় হবে? এই দুটি প্রশ্নের উত্তর যতক্ষণ না আসছে, ততক্ষণ টুর্নামেন্টের সূচিও প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্ট নিয়ে অনেক চাপে আইসিসি।
পাকিস্তানে গিয়ে টুর্নামেন্ট না খেলার সিদ্ধান্ত ভারত জানিয়ে দেওয়ার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিই চাপে ফেলেছে আইসিসিকে। ভারতের ‘না’ করে দেওয়ার পর পাকিস্তানও হুমকি দিয়ে রেখেছে তারাও টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে পারে! এমন পরিস্থিতিতে আবার আইসিসির সব টুর্নামেন্টে সম্প্রচার স্বত্ব কিনে নেওয়া প্রতিষ্ঠান স্টার ইন্ডিয়াও চাপ দিচ্ছে আইসিসিকে, যাতে টুর্নামেন্টটি হয় এবং পাকিস্তান-ভারতকে নিয়েই হয়। ২০২৭ সাল পর্যন্ত আইসিসির সম্প্রচার স্বত্ব পেতে স্টার ইন্ডিয়ার বিনিয়োগ ৩ হাজার বিলিয়ন ডলার, যা টাকার অঙ্কে ৩৫ হাজার ৮৩৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। বৈশ্বিক সব টুর্নামেন্টেই ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে এমনটা ধরেই এত অর্থ ঢেলেছে স্টার ইন্ডিয়া। তাই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত কিংবা পাকিস্তান—দুই দলের কেউ না খেললে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে আইসিসিও।
পাকিস্তান থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সরে গেলে ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের মতো ‘আয়োজন ফি’ হারাবে পাকিস্তান। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) জন্য অর্থের অঙ্কটা নেহাত কম নয়। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে সামনে রেখে তিন ভেন্যু—করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরের স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজেও বেশ খরচ হয়েছে পিসিবির।
পিসিবি সূত্রের খবর দিয়ে ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিতে যাওয়া অন্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে পিসিবি। পাকিস্তানে খেলতে না যাওয়ার কথা জানিয়ে বিসিসিআই আইসিসিকে যে চিঠি দিয়েছে, সেটির কথা আইসিসি জানিয়েছে পাকিস্তানকে। এরপর পাকিস্তান নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার কাছে। পাকিস্তানের কাছে কিছু বিষয় সুস্পষ্ট করতে আবার আইসিসি কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছে বিসিসিআইয়ের কাছে। ক্রিকেট পাকিস্তানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিসিবির জানতে চাওয়া ব্যাখ্যা তৈরি করতে কয়েক দিন লেগে যেতে পারে আইসিসির।
পাকিস্তানের চাওয়া ব্যাখ্যা আইসিসি সরবরাহ করলেই কি সমাধান? সমাধান একটা হতে পারে আইসিসির ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়ে পাকিস্তান হাইব্রিড মডেলে যেতে রাজি হলে। আরেকটি বিকল্প শোনা যাচ্ছে, পুরো টুর্নামেন্টই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের পছন্দের তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) নাকি পুরোপুরি তৈরিও আইসিসির এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের। এখানেও পাকিস্তানের সম্মতিটা বড় জরুরি। কোনো আর্থিক-সুবিধা ছাড়া কি টুর্নামেন্ট হাতছাড়া করতে রাজি হবে পাকিস্তান? তারা নিশ্চয়ই চাইবে না আয়োজনস্বত্ব ছাড়তে।
আরেকটা অপশন হতে পারে টুর্নামেন্ট অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া। কিন্তু সেটি কি মানবে টুর্নামেন্ট সম্প্রচার স্বত্ব পাওয়া স্টার ইন্ডিয়া! তাদের চাওয়া, যে দেশেই হোক না টুর্নামেন্ট, সব ম্যাচ যেন একই দেশেই হয়। পাকিস্তানে না হলে স্টার ইন্ডিয়ার প্রথম পছন্দ দক্ষিণ আফ্রিকা। টুর্নামেন্ট শুরুর সময়ও বেশি নেই। লজিস্টিকস, ভিসা, নিরাপত্তা, আবাসনসহ যাবতীয় বিষয় মাথায় রেখে দ্রুতই টুর্নামেন্টের সূচি ঘোষণার দাবি সংশ্লিষ্টদের। আগামী সোম কিংবা মঙ্গলবারের মধ্যেই একটা সমাধান চলে আসতে পারে বলে জানিয়েছে ব্রডকাস্ট সূত্র।
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হওয়ার আর ১০০ দিনও বাকি নেই। কিন্তু জরুরি কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো নেই। সময়মতো টুর্নামেন্ট হবে কি? হলে কোথায় হবে? এই দুটি প্রশ্নের উত্তর যতক্ষণ না আসছে, ততক্ষণ টুর্নামেন্টের সূচিও প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্ট নিয়ে অনেক চাপে আইসিসি।
পাকিস্তানে গিয়ে টুর্নামেন্ট না খেলার সিদ্ধান্ত ভারত জানিয়ে দেওয়ার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিই চাপে ফেলেছে আইসিসিকে। ভারতের ‘না’ করে দেওয়ার পর পাকিস্তানও হুমকি দিয়ে রেখেছে তারাও টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে পারে! এমন পরিস্থিতিতে আবার আইসিসির সব টুর্নামেন্টে সম্প্রচার স্বত্ব কিনে নেওয়া প্রতিষ্ঠান স্টার ইন্ডিয়াও চাপ দিচ্ছে আইসিসিকে, যাতে টুর্নামেন্টটি হয় এবং পাকিস্তান-ভারতকে নিয়েই হয়। ২০২৭ সাল পর্যন্ত আইসিসির সম্প্রচার স্বত্ব পেতে স্টার ইন্ডিয়ার বিনিয়োগ ৩ হাজার বিলিয়ন ডলার, যা টাকার অঙ্কে ৩৫ হাজার ৮৩৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। বৈশ্বিক সব টুর্নামেন্টেই ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে এমনটা ধরেই এত অর্থ ঢেলেছে স্টার ইন্ডিয়া। তাই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত কিংবা পাকিস্তান—দুই দলের কেউ না খেললে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে আইসিসিও।
পাকিস্তান থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সরে গেলে ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের মতো ‘আয়োজন ফি’ হারাবে পাকিস্তান। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) জন্য অর্থের অঙ্কটা নেহাত কম নয়। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে সামনে রেখে তিন ভেন্যু—করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরের স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজেও বেশ খরচ হয়েছে পিসিবির।
পিসিবি সূত্রের খবর দিয়ে ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিতে যাওয়া অন্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে পিসিবি। পাকিস্তানে খেলতে না যাওয়ার কথা জানিয়ে বিসিসিআই আইসিসিকে যে চিঠি দিয়েছে, সেটির কথা আইসিসি জানিয়েছে পাকিস্তানকে। এরপর পাকিস্তান নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার কাছে। পাকিস্তানের কাছে কিছু বিষয় সুস্পষ্ট করতে আবার আইসিসি কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছে বিসিসিআইয়ের কাছে। ক্রিকেট পাকিস্তানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিসিবির জানতে চাওয়া ব্যাখ্যা তৈরি করতে কয়েক দিন লেগে যেতে পারে আইসিসির।
পাকিস্তানের চাওয়া ব্যাখ্যা আইসিসি সরবরাহ করলেই কি সমাধান? সমাধান একটা হতে পারে আইসিসির ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়ে পাকিস্তান হাইব্রিড মডেলে যেতে রাজি হলে। আরেকটি বিকল্প শোনা যাচ্ছে, পুরো টুর্নামেন্টই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের পছন্দের তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) নাকি পুরোপুরি তৈরিও আইসিসির এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের। এখানেও পাকিস্তানের সম্মতিটা বড় জরুরি। কোনো আর্থিক-সুবিধা ছাড়া কি টুর্নামেন্ট হাতছাড়া করতে রাজি হবে পাকিস্তান? তারা নিশ্চয়ই চাইবে না আয়োজনস্বত্ব ছাড়তে।
আরেকটা অপশন হতে পারে টুর্নামেন্ট অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া। কিন্তু সেটি কি মানবে টুর্নামেন্ট সম্প্রচার স্বত্ব পাওয়া স্টার ইন্ডিয়া! তাদের চাওয়া, যে দেশেই হোক না টুর্নামেন্ট, সব ম্যাচ যেন একই দেশেই হয়। পাকিস্তানে না হলে স্টার ইন্ডিয়ার প্রথম পছন্দ দক্ষিণ আফ্রিকা। টুর্নামেন্ট শুরুর সময়ও বেশি নেই। লজিস্টিকস, ভিসা, নিরাপত্তা, আবাসনসহ যাবতীয় বিষয় মাথায় রেখে দ্রুতই টুর্নামেন্টের সূচি ঘোষণার দাবি সংশ্লিষ্টদের। আগামী সোম কিংবা মঙ্গলবারের মধ্যেই একটা সমাধান চলে আসতে পারে বলে জানিয়েছে ব্রডকাস্ট সূত্র।
অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশ দলের প্রথম দিন কাটল অম্ল-মধুর। আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা হয়েছে ৮৪ ওভার। দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে ৫ উইকেটে ২৫০ রান।
২ ঘণ্টা আগেহচ্ছে হচ্ছে করে এখনো হয়নি। কবে হবে, বলতে পারছে না বাফুফে। তারা বলছে, আজ-কালও হামজা চৌধুরীকে নিয়ে সবুজ সংকেত দিতে পারে ফিফা। আবার এক মাস পরও এমনটি হতে পারে। তবে সর্বশেষ খবর, এখনো ফিফার টেবিলে পড়ে আছে হামজার ফাইল।
৪ ঘণ্টা আগে