Ajker Patrika

বিজয় দিবসে অসাধারণ বিজয় বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০: ২৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় পেল বাংলাদেশ। ছবি: ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় পেল বাংলাদেশ। ছবি: ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

মহান বিজয় দিবস আজ। বিজয় দিবসের সকালে সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে ভেসে এল বিজয়ের আনন্দ। সুদূর ক্যারিবীয় দ্বীপ সেন্ট ভিনসেন্টে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। এই জয়ে বাংলাদেশ করল চক্রপূরণ।

বাংলাদেশের সঙ্গে ১০ ঘণ্টা পার্থক্য থাকায় সেন্ট ভিনসেন্টে প্রথম টি-টোয়েন্টি হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর। সময়ের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশ জয়টা উপহার পেয়েছে বিজয় দিবসের (১৬ ডিসেম্বর) সকালে। সেন্ট ভিনসেন্টে ৭ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ক্যারিবীয় দ্বীপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে, টেস্ট, টি-টোয়েন্টি-তিন সংস্করণেই বাংলাদেশ জয় পেল বিজয় দিবসের দিন।

এ বছরের জুনে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা গেছে সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেট স্পিনারদের জন্য দারুণ সহায়ক। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শেখ মেহেদী হাসানের ঘূর্ণিজাদুতেও সেটার প্রমাণ মিলেছে আজ। ১৪৭ রান করেও বাংলাদেশের ৭ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ের নায়ক মেহেদী। ৪ ওভারে ১৩ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। উইন্ডিজের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের এই স্পিনার।

সেন্ট ভিনসেন্টে আজ একটা সময় মনে হচ্ছিল রভমান পাওয়েল ম্যাচটা কেড়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশের থেকে। সেখান থেকে শেষ ওভারে পাওয়েলকে যখন হাসান মাহমুদ ফিরিয়েছেন, তখন ম্যাচের পাল্লা হেলে পড়ে বাংলাদেশের দিকে। হাসান মাহমুদ এরপর আলজারি জোসেফকে ফিরিয়ে উইন্ডিজের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন। ১৯.১ ওভারে ১৪০ রানে শেষ উইন্ডিজ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন পাওয়েল। ৩৫ বলের ইনিংসে ৫ চার ও ৪ ছক্কা মেরেছেন।

১৪৮ রানের লক্ষ্যে নেমে দলীয় ১ রানেই ভেঙে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে তাসকিন আহমেদকে তুলে মারতে যান ব্র্যান্ডন কিং। মিড অফ থেকে উল্টো দিকে দৌঁড়ে তানজিদ হাসান তামিম দারুণ ক্যাচ ধরেছেন।

তাসকিনের মতো শেখ মেহেদী হাসানও নিজের প্রথম ওভারে উইকেট নেওয়া একরকম অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে নিকোলাস পুরানকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মেহেদী। ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেকায়দায় পড়া উইন্ডিজ এরপর পাল্টা আক্রমণ চালায় বাংলাদেশের ওপর। তৃতীয় ওভারে তানজিম হাসান সাকিবকে পিটিয়ে ২৫ রান নেয় স্বাগতিকেরা। এই ওভারে জনসন চার্লস ২ ছক্কা ও ১ চার মেরেছেন।

অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই নিজের উইকেটটা খুইয়েছেন চার্লস। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে মেহেদীকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়েছেন চার্লস। ১২ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় চার্লস করেন ২০ রান। তৃতীয় উইকেটে রস্টন চেজের সঙ্গে চার্লস ১৫ বলে ৩১ রানের জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন।

এক ওভার বিরতিতে এসে মেহেদী দিয়েছেন জোড়া ধাক্কা। সপ্তম ওভারের তৃতীয় ও পঞ্চম বলে মেহেদী নিয়েছেন আন্দ্রে ফ্লেচার ও চেজের উইকেট। দুটি উইকেটেই ক্যাচ ধরেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়েছে ১০ ওভারে ৫ উইকেটে ৫৭ রান। স্বাগতিকদের ইনিংসের অর্ধেক হওয়ার আগেই মেহেদী তাঁর নির্ধারিত ৪ ওভার বোলিং করেছেন। ১৩ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

নিজের প্রথম ওভারে বেধড়ক পিটুনি খেলেও তানজিম সাকিব এরপর তাঁর দ্বিতীয় ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। ১১তম ওভারে ২ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। ঠিক তার পরের ওভারে রিশাদ হোসেন নিয়েছেন আরও এক উইকেট। ১১.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ৬১ রানে পরিণত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরই শুরু হয় বাংলাদেশের ওপর তাণ্ডব। অষ্টম উইকেটে ৩৩ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েছেন পাওয়েল ও রোমারিও শেফার্ড। উইন্ডিজ অধিনায়ক পাওয়েলের এক একটা ছক্কা গ্যালারিতে আছড়ে পড়তেই ক্যারিবীয় সমর্থকেরা করেছেন উল্লাস।

হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ৩ ওভারে ২০ রান প্রয়োজন-এমন সমীকরণ দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভক্ত-সমর্থকেরা হয়তো জয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই মুহূর্তে ১৮তম ওভারের প্রথম বলে শেফার্ডকে ফিরিয়েছেন তাসকিন। এই ওভারে তাসকিন দিয়েছেন মাত্র ২ রান। শেষ ২ ওভারে ১৮ রানের সমীকরণ দাঁড়ালে সেটা আর উইন্ডিজ মেলাতে পারেনি।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৭ রান করে বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন সৌম্য সরকার। ৩২ বলে মেরেছেন ২ চার ও ৩ ছক্কা। উইন্ডিজের আকিল, ম্যাকয় নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। আকিল ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৩ রান। এক ওভার মেডেনও দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত