শাহরিয়ার নাফীস
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের ময়নাতদন্ত করলাম। আমার মনে হয়েছে, ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ দলের চোখের সামনে স্কটল্যান্ড যেভাবে খেলায় ফিরল, সেখানেই তারা ম্যাচের ছন্দটা পেয়ে গেছে। বোলিংয়ে দারুণ শুরুর পরও বাংলাদেশ যে ড্রাইভিং সিট থেকে ছিটকে পড়ল, আর খেলাটা নিজেদের হাতে নিতে পারেনি। এই ছন্দই খেলার গতি বদলে দিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে, ব্যাটাররা ১৪১ রান তাড়া করার চাপটা সামলাতে পারেনি।
অনেকেই বলছেন, মিরপুরের উইকেটে খেলে অভ্যস্ত হওয়ার কারণেই ব্যাটাররা এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে। যদিও আমি এর সঙ্গে একমত নই। আমরা প্রস্তুতি ম্যাচে দেখেছি বাংলাদেশের ব্যাটাররা রান পেয়েছে। স্ট্রাইক রেটও তাদের ভালো ছিল। কিন্তু হয় কি, অনেক সময় আমরা যখন সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে খেলি, তখন সবাই আশা করে আমরা জিতবই। এমন ম্যাচে জিতলেও খুব একটা বাহবা দেবে না। কিন্তু কোনো কারণে যদি হেরে যাই, সে ক্ষেত্রে ধেয়ে আসবে সব সমালোচনা। ক্রিকেটাররা এই মানসিক চাপের মধ্যে অভ্যস্ত ছিল, সেই চাপ থেকে তারা আর বেরোতে পারেনি।
প্রথম ম্যাচ হারার পর এখন আমাদের সমীকরণের প্রথম সূত্র হবে আজ ওমানকে যেকোনো মূল্যে হারানো। সেটি যদি না পারি তাহলে আমাদের বিশ্বকাপ আজই শেষ। এখন আমাদের প্রথমত, বাকি দুটি ম্যাচ জিততেই হবে। ওমানের বিপক্ষে জিতলে বাংলাদেশ আর ওমানের পয়েন্ট সমান হবে। সবাই মনে করছে, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পাপুয়া নিউগিনি হয়তো পেরে উঠবে না। সে ক্ষেত্রে ওমানের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিকেও বড় ব্যবধানে হারাতে হবে বাংলাদেশকে। ওদিকে স্কটল্যান্ড-ওমানের দিকেও আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে। তবে আমরা অন্য ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে চাই না।
স্কটল্যান্ড-ম্যাচে আমি মোহাম্মদ নাঈমকে না দেখে একটু অবাকই হয়েছি। কেননা টানা ১৬ ম্যাচে নাঈম ওপেনিং করেছিল, স্ট্রাইক রেট কম থাকলেও সে রানে ছিল। এই হিসেবে তারই ওপেনিংয়ে খেলার কথা ছিল। আমি সৌম্য ও লিটনকে দিয়ে ওপেনিং করানোর সিদ্ধান্তে একটু অবাকই হয়েছি। কারণ সৌম্য বেশ কিছুদিন ধরে ওপেনিং করছে না। যেখানে বাংলাদেশের কঠিন কন্ডিশনে নাঈম নিয়মিতই রান করেছে, সেখানে ওপেনিংয়ে পরিবর্তনটা দেখে আমি একটু অবাক হয়েছি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক আশাবাদী একজন মানুষ। বাংলাদেশ দলের ওপর এখনই তাই আশা হারাচ্ছি না। আশা হারাতেও চাই না। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ দল যখন একটু ব্যাকফুটে থাকে, তখনই জ্বলে ওঠে। আশা করব বাংলাদেশ আজকের ম্যাচে জ্বলে উঠবে।
ওমানকে হারাতে হলে বাংলাদেশের আজ স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে হবে। পরশু খেলা দেখে মনে হয়েছে একটু বেশি চাপ নিয়ে ফেলেছে ক্রিকেটাররা। এমন চাপ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসতে পারে, তবে সেটি মাথায় রেখে খেলা যাবে না। নির্ভারভাবে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। কারণ ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেললে বাংলাদেশ যে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেটা আমরা অতীতে বহুবারই দেখেছি।
বাংলাদেশ আজ কেমন একাদশ নিয়ে খেলবে সে বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে আশা এটাই—সেরা দলটাই খেলবে এবং আমরা যেকোনো মূল্যে এই ম্যাচটা জিতব।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের ময়নাতদন্ত করলাম। আমার মনে হয়েছে, ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ দলের চোখের সামনে স্কটল্যান্ড যেভাবে খেলায় ফিরল, সেখানেই তারা ম্যাচের ছন্দটা পেয়ে গেছে। বোলিংয়ে দারুণ শুরুর পরও বাংলাদেশ যে ড্রাইভিং সিট থেকে ছিটকে পড়ল, আর খেলাটা নিজেদের হাতে নিতে পারেনি। এই ছন্দই খেলার গতি বদলে দিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে, ব্যাটাররা ১৪১ রান তাড়া করার চাপটা সামলাতে পারেনি।
অনেকেই বলছেন, মিরপুরের উইকেটে খেলে অভ্যস্ত হওয়ার কারণেই ব্যাটাররা এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে। যদিও আমি এর সঙ্গে একমত নই। আমরা প্রস্তুতি ম্যাচে দেখেছি বাংলাদেশের ব্যাটাররা রান পেয়েছে। স্ট্রাইক রেটও তাদের ভালো ছিল। কিন্তু হয় কি, অনেক সময় আমরা যখন সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে খেলি, তখন সবাই আশা করে আমরা জিতবই। এমন ম্যাচে জিতলেও খুব একটা বাহবা দেবে না। কিন্তু কোনো কারণে যদি হেরে যাই, সে ক্ষেত্রে ধেয়ে আসবে সব সমালোচনা। ক্রিকেটাররা এই মানসিক চাপের মধ্যে অভ্যস্ত ছিল, সেই চাপ থেকে তারা আর বেরোতে পারেনি।
প্রথম ম্যাচ হারার পর এখন আমাদের সমীকরণের প্রথম সূত্র হবে আজ ওমানকে যেকোনো মূল্যে হারানো। সেটি যদি না পারি তাহলে আমাদের বিশ্বকাপ আজই শেষ। এখন আমাদের প্রথমত, বাকি দুটি ম্যাচ জিততেই হবে। ওমানের বিপক্ষে জিতলে বাংলাদেশ আর ওমানের পয়েন্ট সমান হবে। সবাই মনে করছে, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পাপুয়া নিউগিনি হয়তো পেরে উঠবে না। সে ক্ষেত্রে ওমানের পাশাপাশি পাপুয়া নিউগিনিকেও বড় ব্যবধানে হারাতে হবে বাংলাদেশকে। ওদিকে স্কটল্যান্ড-ওমানের দিকেও আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে। তবে আমরা অন্য ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে চাই না।
স্কটল্যান্ড-ম্যাচে আমি মোহাম্মদ নাঈমকে না দেখে একটু অবাকই হয়েছি। কেননা টানা ১৬ ম্যাচে নাঈম ওপেনিং করেছিল, স্ট্রাইক রেট কম থাকলেও সে রানে ছিল। এই হিসেবে তারই ওপেনিংয়ে খেলার কথা ছিল। আমি সৌম্য ও লিটনকে দিয়ে ওপেনিং করানোর সিদ্ধান্তে একটু অবাকই হয়েছি। কারণ সৌম্য বেশ কিছুদিন ধরে ওপেনিং করছে না। যেখানে বাংলাদেশের কঠিন কন্ডিশনে নাঈম নিয়মিতই রান করেছে, সেখানে ওপেনিংয়ে পরিবর্তনটা দেখে আমি একটু অবাক হয়েছি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক আশাবাদী একজন মানুষ। বাংলাদেশ দলের ওপর এখনই তাই আশা হারাচ্ছি না। আশা হারাতেও চাই না। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ দল যখন একটু ব্যাকফুটে থাকে, তখনই জ্বলে ওঠে। আশা করব বাংলাদেশ আজকের ম্যাচে জ্বলে উঠবে।
ওমানকে হারাতে হলে বাংলাদেশের আজ স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে হবে। পরশু খেলা দেখে মনে হয়েছে একটু বেশি চাপ নিয়ে ফেলেছে ক্রিকেটাররা। এমন চাপ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসতে পারে, তবে সেটি মাথায় রেখে খেলা যাবে না। নির্ভারভাবে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। কারণ ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেললে বাংলাদেশ যে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেটা আমরা অতীতে বহুবারই দেখেছি।
বাংলাদেশ আজ কেমন একাদশ নিয়ে খেলবে সে বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে আশা এটাই—সেরা দলটাই খেলবে এবং আমরা যেকোনো মূল্যে এই ম্যাচটা জিতব।
২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সকল টুর্নামেন্টের একক মিডিয়া স্বত্ব কিনে নিয়েছে ভারতীয় টেলিভিশন মিডিয়া সনি পিকচার্স নেটওয়ার্কস ইন্ডিয়া (এসপিএনআই)। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ ঘোষণা দিয়েছে।
১৮ মিনিট আগেএগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে হারল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তাতে আজ কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ ২.০ চ্যালেঞ্জ কাপের শিরোপাটা উঠল বসুন্ধরা কিংসের হাতেই।
২ ঘণ্টা আগেটেস্টে নেতৃত্বের অভিষেকেই টস জিতলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে২০২৫, ২০২৬, ২০২৭-তিন আইপিএলের সূচি জানা গেছে গত রাতেই। সূচি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর জানা গেল আইপিএলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ঐতিহাসিক টেস্টের সূচি। কারণ, ২০২৭ আইপিএল চলার সময়ই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) শুরু হবে ১৫০ বছর পূর্তির এই টেস্ট ম্যাচ।
৪ ঘণ্টা আগে