Ajker Patrika

নিজেদের মাঠে বিরল পরাজয় ভারতের

আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২০: ০৪
নিজেদের মাঠে বিরল পরাজয় ভারতের

প্রথম ইনিংসে ১৯০ রানের লিড নেওয়া ভারতের পক্ষেই কথা বলছিল পরিসংখ্যান। নিজেদের মাঠে প্রথম ইনিংসে ১০০ বা তার বেশি রানের লিড নিয়ে ভারত কখনোই টেস্টে হারেনি। তবে সব সময় তো পরিসংখ্যান মেনে সবকিছু হয় না। শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে ভারতকে ২৮ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।

২৩১ রানের লক্ষ্যে শুরুটা অবশ্য দারুণ করেছিল ভারত। ৭০ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন  রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সওয়াল। ১২ তম ওভারের চতুর্থ বলে জয়সওয়ালকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন টম হার্টলি। ৩৫ বলে ২ চারে জয়সওয়াল করেন ১৫ রান। একই ওভারের শেষ বলে শুবমান গিলকে ফেরান হার্টলি। দুটি উইকেটেই ক্যাচ ধরেন ওলি পোপ। জয়সওয়ালের ক্যাচ ধরেন শর্ট লেগে আর সিলি পয়েন্টে ধরেন গিলের ক্যাচ। মুহূর্তেই ভারতের স্কোর হয়ে যায় ১২ ওভারে ২ উইকেটে ৪২ রান।

২ উইকেট পড়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন লোকেশ রাহুল। তবে ওপেনার রোহিত তৃতীয় উইকেটে তাঁর (রাহুল) সঙ্গে জুটি বড় করতে পারেননি। ১৮ তম ওভারের পঞ্চম বলে হার্টলির বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন রোহিত। তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ভারতীয় অধিনায়ক যখন আউট হয়েছেন, তখন তাদের স্কোর  ৬৩ রান। স্বাগতিকদের অধিনায়ক ৫৮ বলে ৭ চারে করেন ৩৯ রান। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে পাঁচ নম্বরে উঠিয়ে আনা হয় অক্ষর প্যাটেলকে। রাহুলের সঙ্গে জুটিটা ভালোই জমে গিয়েছিল। এমন সময় নিজের উইকেটটা যেন বিলিয়েই দিয়েছেন। ৩০তম ওভারের চতুর্থ বলে প্যাটেলকে কট এন্ড বোল্ড করেন হার্টলি। ৪২ বলে ৩ চারে ১৭ রান করেন প্যাটেল। স্বাগতিকদের স্কোর তাতে হয়ে যায় ৪ উইকেটে ৯৫ রান।

শুরুর ৪ উইকেট নেওয়া হার্টলির সঙ্গে আক্রমণে যোগ দেন জো রুট ও জ্যাক লিচ। একই সঙ্গে ইংল্যান্ডের ফিল্ডিংও হচ্ছিল দুর্দান্ত। তাতেই চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে ভারত। ৩৩তম ওভারের চতুর্থ বলে রাহুলকে এলবিডব্লু করেন জো রুট। এরপর ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে রুটকে মিডঅনে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে যান জাদেজা। মিড অন থেকে দুর্দান্ত এক থ্রোতে নন স্ট্রাইকের স্টাম্প ভেঙে দেন বেন স্টোকস। জাদেজা রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েন। ভারতীয় অলরাউন্ডারের সঙ্গী শ্রেয়াস আইয়ারও দ্রুত বিদায় নিয়েছেন। ৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আইয়ারের উইকেট তুলে নেন লিচ। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে মুহূর্তেই ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৭ উইকেটে ১১৯ রান।

খাদের কিনারায় পড়ে যাওয়া ভারতের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক শ্রীকর ভরত ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বেশ সাবধানে এগোতে থাকেন তারা। অষ্টম উইকেটে ১৩০ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েছেন। ৬২তম ওভারের শেষ বলে ভরতকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন হার্টলি। ৫৯ বলে ৩ চারে ২৮ রান করেন ভরত।  এক ওভার বিরতিতে এসে এবার হার্টলি ফেরান অশ্বিনকে। বলা যায় অশ্বিন নিজের উইকেটটাই বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। ৬৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হার্টলিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে খেলতে যান অশ্বিন। ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক বেন ফোকস সহজেই স্টাম্পিং করে ফেলেন।

১৭৭ রানে ৯ উইকেট পড়ার পর ভারতের পরাজয় ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। সেখানে ইংল্যান্ডের প্রায় প্রতিটি বলেই যেন মনে হচ্ছিল, এই বুঝি উইকেট গেল। এমন পরিস্থিতিতে মোহাম্মদ সিরাজ আর জসপ্রীত বুমরার ব্যাটিং হয়তো হায়দরাবাদে থাকা ভারতীয় সমর্থকদের মনে কিঞ্চিত আশা জাগিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হয়নি। ৭০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সিরাজকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে ভারতের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন হার্টলি। ভারত অলআউট হয়ে যায় ২০২ রানে। স্বাগতিকদের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন রোহিত। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ উইকেট নিয়েছেন হার্টলি। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন রুট ও লিচ।

প্রথম ইনিংসে ১০০ বা তার বেশি রানের লিড নিয়ে এই নিয়ে তৃতীয়বার হারল ভারত।২০১৫ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আর ২০২২ সালে এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে—এর আগে এই দুই টেস্ট এমন পরিস্থিতিতে (প্রথম ইনিংসে ১০০ বা তার বেশি রান) হেরেছিল ভারত।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩১৬ রানে হায়দরাবাদে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল ইংল্যান্ড।  যেখানে ২৭৫ রানেই ইংল্যান্ড হারিয়ে ফেলেছিল ষষ্ঠ উইকেট। সেখানে গতকাল তৃতীয় দিনেই সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া পোপ টেলএন্ডার ব্যাটারদের নিয়ে দারুণ খেলতে থাকেন। সপ্তম ও অষ্টম উইকেট জুটিতে রেহান আহমেদ ও হার্টলির সঙ্গে ৬৪ ও ৮০ রানের দুটি জুটি গড়তে অবদান রাখেন পোপ। জুটি দুটি করতে লেগেছে ৯৫ ও ১০৬ বল। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ৪২০ রানে। পোপ শেষ ব্যাটার হিসেবে যখন আউট হয়েছেন, তখন তিনি টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান পেছনে। ২৭৮ বলে ১১ চারে ১৯৬ রানের ইনিংস খেলে তিনিই অবশ্য জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।


টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন  ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টোকস। সফরকারীরা প্রথম ইনিংসে ২৪৬ রানে অলআউট হয়েছে। ৮৮ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। এরপর ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৪৩৬ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন রবীন্দ্র জাদেজা। এছাড়া রাহুল ও জয়সওয়াল খেলেন ৮৬ রান ও ৮০ রানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছিলেন জো রুট।

 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত