নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৩ বিশ্বকাপ এবং ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যর্থতার পর বাংলাদেশ দল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে, ৫০ ওভারের ক্রিকেটে নিয়মিত ৩০০ পেরোনো ইনিংস না খেলতে পারলে বিশ্বমঞ্চে ভালো কিছু করা কঠিন। ডট বল খেলা কমিয়ে ৩০০ পেরোনো ইনিংস খেলার অভ্যাসটা করতে ঘরোয়া ক্রিকেটের যে লিগটা সবচেয়ে ভালো মঞ্চ হতে পারে, সেটি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। তা এবারের ডিপিএলে কি হচ্ছে ব্যাটারদের নিয়মিত বড় রান করার অভ্যাস?
সাদা বলের ক্রিকেটে টপ অর্ডারে বাংলাদেশ দলে নিয়মিত খেলছেন তানজিদ তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়। কখনো কখনো মেহেদী হাসান মিরাজও ওপরে উঠছেন; কিন্তু এঁদের ব্যাটে বড় রান নেই চলতি ডিপিএলে। এই ছয় ব্যাটারের মধ্যে মাত্র একটি সেঞ্চুরি এসেছে এখন পর্যন্ত। গুলশানের বিপক্ষে ইমন করেছেন ১২৬ রান। বাকিদের কিছু ফিফটি পেরোনো ইনিংস থাকলেও জাতীয় দলের ব্যাটারদের বড় রান করার দৃশ্য এখনো খুব একটা দেখা যায়নি।
গতকাল পর্যন্ত ২৭টি ম্যাচ হয়েছে ২০২৫ ডিপিএলে। এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ ৩০০ রানের স্কোর দেখেছে। পাঁচটি ম্যাচ ২৯০ রান ছুঁইছুঁই স্কোর হয়েছে। তবে দেশে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোরও এর মধ্যে এসেছে। প্রাইম ব্যাংক ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে করেছিল ৮ উইকেটে ৪২২ রান। গতকাল পর্যন্ত শেষ হওয়া ২৭ ম্যাচে ১৩ হাজার ৪৩৮ বলের মধ্যে ডট বল হয়েছে ৭ হাজার ৫৪৪টি। গড়ে প্রতি ম্যাচে ৫৬ শতাংশ ডট বল খেলছেন ব্যাটাররা। ইনিংসের অর্ধেকই যদি হয় ডট বল, বড় স্কোর গড়ার অভ্যাস গড়বেন কী করে দেশের ব্যাটাররা? মেহেদী হাসান মিরাজ মনে করেন, স্কিলের উন্নতি জরুরি। মোহামেডানের অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘স্কিল ঠিক থাকলে যেকোনো উইকেটে রান করা যায়।’
গতকাল মিরপুরে মোহামেডানের বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে মিরাজ বড় স্কোর গড়ার অভ্যাস প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘উইকেট ভালো ছিল। আমরা যখন ব্যাট করছিলাম, প্রথম দিকে পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে ছিল। শুরুতে ভালো একটি জুটি গড়ে উঠেছিল, আর আমরা প্রথম ১০ ওভার ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছি। তবে পরে উইকেটটা একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছিল, অসম বাউন্স হচ্ছিল। তবু আমরা ভালোভাবে সামাল দিয়েছি। যদি আমরা আরও ৩০-৪০ রান বেশি করতে পারতাম, তাহলে আরও ইতিবাচক হতো। তবে উইকেট হারিয়ে ফেলায় আমরা তা করতে পারিনি। এ ধরনের উইকেটে খেলার অভ্যস্ততা তৈরি করতে হলে স্কিলের উন্নতি জরুরি। ফ্ল্যাট উইকেটেও স্কিলফুল হতে হয়। প্রতিদিন উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং দুর্বলতাগুলো কোচের সঙ্গে বসে খুঁজে বের করে কাজ করতে হবে।’
এই সময়ের ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মেলাতে ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে খেলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘মিরপুরের উইকেট খেলার ওপর নির্ভর করে। তবে এটাও বলব না যে উইকেট খুব খারাপ। আমাদের ব্যাটাররা ভালো ব্যাটিং করেছে, তাই ২৫০ রান তুলতে পেরেছি। তবে কিছু ভুলের কারণে আরও বড় স্কোর করা সম্ভব হয়নি। ওয়ানডেতে ভালো উইকেটে বড় রান হলে দল বাড়তি সুবিধা পায়। এতে বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করা বা সংগ্রহ করার অভ্যাস তৈরি হয়। সবাই ভালো ক্রিকেট খেলারই চেষ্টা করছে।’
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে বিশাল পার্থক্য আছে। সেই দুর্বল ঘরোয়া ক্রিকেটেই যদি ব্যাটারদের রান তুলতে ঘাম ছুটে যায়, বড় মঞ্চে নিয়মিত ৩০০ পেরোনো স্কোর কীভাবে গড়বে বাংলাদেশ?
২০২৩ বিশ্বকাপ এবং ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যর্থতার পর বাংলাদেশ দল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে, ৫০ ওভারের ক্রিকেটে নিয়মিত ৩০০ পেরোনো ইনিংস না খেলতে পারলে বিশ্বমঞ্চে ভালো কিছু করা কঠিন। ডট বল খেলা কমিয়ে ৩০০ পেরোনো ইনিংস খেলার অভ্যাসটা করতে ঘরোয়া ক্রিকেটের যে লিগটা সবচেয়ে ভালো মঞ্চ হতে পারে, সেটি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। তা এবারের ডিপিএলে কি হচ্ছে ব্যাটারদের নিয়মিত বড় রান করার অভ্যাস?
সাদা বলের ক্রিকেটে টপ অর্ডারে বাংলাদেশ দলে নিয়মিত খেলছেন তানজিদ তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়। কখনো কখনো মেহেদী হাসান মিরাজও ওপরে উঠছেন; কিন্তু এঁদের ব্যাটে বড় রান নেই চলতি ডিপিএলে। এই ছয় ব্যাটারের মধ্যে মাত্র একটি সেঞ্চুরি এসেছে এখন পর্যন্ত। গুলশানের বিপক্ষে ইমন করেছেন ১২৬ রান। বাকিদের কিছু ফিফটি পেরোনো ইনিংস থাকলেও জাতীয় দলের ব্যাটারদের বড় রান করার দৃশ্য এখনো খুব একটা দেখা যায়নি।
গতকাল পর্যন্ত ২৭টি ম্যাচ হয়েছে ২০২৫ ডিপিএলে। এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ ৩০০ রানের স্কোর দেখেছে। পাঁচটি ম্যাচ ২৯০ রান ছুঁইছুঁই স্কোর হয়েছে। তবে দেশে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোরও এর মধ্যে এসেছে। প্রাইম ব্যাংক ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে করেছিল ৮ উইকেটে ৪২২ রান। গতকাল পর্যন্ত শেষ হওয়া ২৭ ম্যাচে ১৩ হাজার ৪৩৮ বলের মধ্যে ডট বল হয়েছে ৭ হাজার ৫৪৪টি। গড়ে প্রতি ম্যাচে ৫৬ শতাংশ ডট বল খেলছেন ব্যাটাররা। ইনিংসের অর্ধেকই যদি হয় ডট বল, বড় স্কোর গড়ার অভ্যাস গড়বেন কী করে দেশের ব্যাটাররা? মেহেদী হাসান মিরাজ মনে করেন, স্কিলের উন্নতি জরুরি। মোহামেডানের অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘স্কিল ঠিক থাকলে যেকোনো উইকেটে রান করা যায়।’
গতকাল মিরপুরে মোহামেডানের বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে মিরাজ বড় স্কোর গড়ার অভ্যাস প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘উইকেট ভালো ছিল। আমরা যখন ব্যাট করছিলাম, প্রথম দিকে পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে ছিল। শুরুতে ভালো একটি জুটি গড়ে উঠেছিল, আর আমরা প্রথম ১০ ওভার ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছি। তবে পরে উইকেটটা একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছিল, অসম বাউন্স হচ্ছিল। তবু আমরা ভালোভাবে সামাল দিয়েছি। যদি আমরা আরও ৩০-৪০ রান বেশি করতে পারতাম, তাহলে আরও ইতিবাচক হতো। তবে উইকেট হারিয়ে ফেলায় আমরা তা করতে পারিনি। এ ধরনের উইকেটে খেলার অভ্যস্ততা তৈরি করতে হলে স্কিলের উন্নতি জরুরি। ফ্ল্যাট উইকেটেও স্কিলফুল হতে হয়। প্রতিদিন উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং দুর্বলতাগুলো কোচের সঙ্গে বসে খুঁজে বের করে কাজ করতে হবে।’
এই সময়ের ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মেলাতে ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে খেলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘মিরপুরের উইকেট খেলার ওপর নির্ভর করে। তবে এটাও বলব না যে উইকেট খুব খারাপ। আমাদের ব্যাটাররা ভালো ব্যাটিং করেছে, তাই ২৫০ রান তুলতে পেরেছি। তবে কিছু ভুলের কারণে আরও বড় স্কোর করা সম্ভব হয়নি। ওয়ানডেতে ভালো উইকেটে বড় রান হলে দল বাড়তি সুবিধা পায়। এতে বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করা বা সংগ্রহ করার অভ্যাস তৈরি হয়। সবাই ভালো ক্রিকেট খেলারই চেষ্টা করছে।’
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে বিশাল পার্থক্য আছে। সেই দুর্বল ঘরোয়া ক্রিকেটেই যদি ব্যাটারদের রান তুলতে ঘাম ছুটে যায়, বড় মঞ্চে নিয়মিত ৩০০ পেরোনো স্কোর কীভাবে গড়বে বাংলাদেশ?
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভরাডুবির পর হার্ডলাইনে যায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। যার মধ্যে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিদেশ সফরের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধের ব্যাপার রয়েছে। একই নিয়মকানুন আরোপ করা হয় আইপিএলের জন্যও। এমন নিয়মের কারণে...
৩ ঘণ্টা আগেডার্বি মানেই উত্তাপ। এ ম্যাচে চোখ ছিল বাংলাদেশেরও। কারণ হামজা চৌধুরী খেলছিলেন যে। বাংলাদেশে পা রাখার আগে এটিই ছিল শেফিল্ড শিল্ডের হয়ে তাঁর শেষ ম্যাচ। কাল থেকে তাঁর পুরো ভাবনার অনেকটা জুড়েই থাকবে বাংলাদেশ।
৪ ঘণ্টা আগেঅফফর্মের চক্রে ঘুরপাক খেতে থাকা লিটন দাসকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ঘরোয়া ক্রিকেটের লিস্ট এ সংস্করণ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল) দল পাচ্ছিলেন না তিনি। অবশেষে বাংলাদেশের এই ৩০ বছর বয়সী ব্যাটারকে নিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।এই ক্লাবটির পৃষ্ঠপোষক তামিম ইকবাল।
৪ ঘণ্টা আগেতরুণ থেকে প্রবীণ—হবিগঞ্জের স্নানঘাট গ্রামের সব বয়সী মানুষের ভেতর বইছে একই উন্মাদনা। কারণ, হামজা চৌধুরী আসছেন। হবিগঞ্জে এর আগেও বেশ কয়েকবার পা রেখেছেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবলার হিসেবে এবারই প্রথম আসা হচ্ছে তাঁর। তাঁকে ঘিরে হবিগঞ্জজুড়ে ঈদের মতোই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
৬ ঘণ্টা আগে