২০২৩ এশিয়া কাপে সবার আগে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের সুপার ফোরের শুরুটাও হয়েছে দুর্দান্ত। লাহোরে গতকাল বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত করেছে বাবর আজমের দল। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে পাকিস্তান।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। হারিস রউফ, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদিদের বোলিং তোপে সাকিবের দল ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। রান তাড়া করতে নেমে ৩৯.৩ ওভারে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। সফল রান তাড়ায় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন ইমাম উল হক।

বড় জয়ে ফাইনাল খেলার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল পাকিস্তান। বাবরদের নেট রানরেট হয়েছে ‍+ ১.০৫১। নেট রানরেট বাড়িয়ে নেওয়ার পরিকল্পো ছিল বলে জানিয়েছেন ইমাম। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এটা (নেট রানরেট) নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে এবং পরিকল্পনা ছিল। ভেবেছিলাম এই লক্ষ্য আমরা ৩৬ ওভারে তাড়া করেই জিততে পারি। আমাদের ভাবনাচিন্তাও ছিল তেমন। আমরা বেশ ভাগ্যবান যে ম্যাচ অনেক তাড়াতাড়ি শেষ করতে পেরেছি।’

গতকাল ৮৪ বলে ৭৮ রান করেছেন ইমাম। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। তবু এই ইনিংস নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে তাঁর। ইনিংস খেলার পথে তিনবার আউট হতে হতেও বেঁচে গেছেন তিনি। তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদের বলে এলবিডব্লিউর আবেদন হয়েছিল। দুবার রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তবে রিভিউতে দুবারই দেখা যায় বল লেগসাইডের বাইরে পিচ করেছে। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ইমাম। পাকিস্তানের বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘বলব না যে এটা আমার অন্যতম সেরা ইনিংস ছিল। মনে হচ্ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেট। তবে বলে পেস খুব কাজ করছিল। তাতে আমরা কিছুটা অবাক হয়েছি। স্পিনারদের বল ব্যাকফুটে খেলা নিয়ে অনেক কাজ করেছি এবং আমি তাতে খুশি।’