ক্রীড়া ডেস্ক
মাঠে ও মাঠের বাইরে—সাকিব আল হাসানের মতন আশ্চর্য চরিত্র খুব বেশি দেখেনি বিশ্ব ক্রিকেট। সমালোচনা থাকলেও সেটিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সব সময় পারফরম্যান্স করে গেছেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন তাঁর বিদায়ের ক্ষণ গণনার পালা শুরু হয়েছে। আজ আকস্মিকভাবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী তারকা। দেশের মাঠে আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টই হবে সাকিবের শেষ টেস্ট ম্যাচ।
কানপুরে আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব বলেছেন, ‘যেটা মনে হয়েছে, সামনের হোম সিরিজ আমার শেষ সিরিজ হবে। এভাবে ফারুক ভাই (বিসিবি সভাপতি) ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। মিরপুর টেস্ট (অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) হবে আমার শেষ টেস্ট। বিশেষ করে টেস্টে।’
টেস্টের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সাকিব। এ নিয়ে বাংলাদেশের বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেন, ‘এখন নিজেকে টি-টোয়েন্টির জন্যও দেখছি না। সে হিসেবে মনে করতে পারেন এই দুই সংস্করণে (টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি) নিজের শেষ দেখছি।’
তবে কি বয়সের কারণে এ সিদ্ধান্ত সাকিবের? নাকি শারীরিক কারণে? গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আর বাংলাদেশে আসেননি সাকিব। এ সময় তিনি ছিলেন নিউইয়র্কে পরিবারের সঙ্গে। সেখান থেকে রাওয়ালপিন্ডি গিয়ে খেলেন দুই টেস্ট সিরিজ। এরপর সতীর্থরা দেশে ফিরলেও সাকিব একটি কাউন্টি খেলতে চলে ইংল্যান্ডে। সেখানে থেকে ভারতে গিয়েছেন দুই টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি খেলতে।
সাংসদ সদস্য হওয়ায় সরকার পতনের পর মামলা হয় সাকিবের নামে। সম্প্রতি শেয়ার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকায় ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাঁকে। তার মধ্যে চোখে সমস্যা ও ব্যাটে রান খরা নিয়ে অনেক দিন ধরে কানাঘুষা চলছিল তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ার। এরই মধ্যে যোগ হয়েছে আঙুলে চোটে পড়ার গুঞ্জনটিও। তবে কি এ সব কিছুর কারণে অবসর নিলেন সাকিব? দেশসেরা অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, এসব কিছু বা কোনো অভিমান থেকে নয়। নতুনদের সুযোগ করে দিতে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব, ‘কষ্ট...অভিমান থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া না। এটাই সঠিক সময় সামনে এগিয়ে যেতে ও নতুনদের সুযোগ করে দিতে। একই সময় টি-টোয়েন্টিতেও একই চিন্তা। নির্বাচক, সভাপতি, বোর্ডের সবার সঙ্গে কথা বলেছি যে এটাই সেরা সময় টি-টোয়েন্টিতে আমি মুভ অন করি। নতুন খেলোয়াড়েরা আসুক। আমি এর মধ্যে যদি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ভালো করি, তখন যদি ফিট থাকি, ৬ মাস বা ১ বছর পর যদি তারা মনে করে আমার অবদান রাখার সুযোগ আছে, তখন চিন্তা করতে পারি ৷ তবে এখন নিজেকে টি-টোয়েন্টির জন্যও দেখছি না। সে হিসেবে মনে করতে পারেন এই দুই সংস্করণে (টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি) নিজের শেষ দেখছি।’
বাংলাদেশের খুব কম ক্রিকেটারকে আয়োজন করে বিদায় দিতে পেরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দেশের সবচেয়ে সফল ও সেরা ক্রীড়াবিদের ক্ষেত্রেও কি এমনটা হবে? সাকিব দেশ ও বিশ্বের ক্রিকেটকে যা দিয়েছেন, নিশ্চিতভাবে তাঁকে সম্মান জানিয়ে বিদায় দেওয়া উচিত বোর্ডের। তবে সেটি কি সম্ভব হবে? রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মামলা হওয়ায় দেশে ফিরলে গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাঁর। তবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও বিসিবি যদি চায় তবে সেটি এড়ানো যেতে পারে। এই কারণে আজ সংবাদ সম্মলনে নিরাপত্তার বিষয়ে বলতে শোনা গেল সাকিবকে, ‘বোর্ড চেষ্টা করছে এটা কীভাবে সুন্দর করে আয়োজন করতে পারে। দেশে যাতে নিরাপদে খেলতে পারি। দেশ থেকে যেন নিরাপদে বেরও হতে পারি।’
তেমন আশ্বাস যদি না পান তবে কানপুর টেস্টই হতে পারে সাকিবের সাদা পোশাকের ক্রিকেটে তাঁর শেষ ম্যাচ। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে সাকিব বলেন, ‘কানপুর টেস্টের পর দেশের মাটিতে লাল বলে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি দেখছেন। এ নিয়ে বোর্ড সভাপতি ফারুক ভাইয়ের (বিসিবি সভাপতি) সঙ্গে কথা হয়েছে। যদি দেশে আসার পরিস্থিতি আমার জন্য অনুকূলে থাকে আমি দেশে এসে সিরিজ খেলে বিদায় নিতে চাই। না হয় হয়তো এই কানপুরেই শেষ (হাসি)।’
আরও খবর পড়ুন:
মাঠে ও মাঠের বাইরে—সাকিব আল হাসানের মতন আশ্চর্য চরিত্র খুব বেশি দেখেনি বিশ্ব ক্রিকেট। সমালোচনা থাকলেও সেটিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সব সময় পারফরম্যান্স করে গেছেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন তাঁর বিদায়ের ক্ষণ গণনার পালা শুরু হয়েছে। আজ আকস্মিকভাবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী তারকা। দেশের মাঠে আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টই হবে সাকিবের শেষ টেস্ট ম্যাচ।
কানপুরে আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব বলেছেন, ‘যেটা মনে হয়েছে, সামনের হোম সিরিজ আমার শেষ সিরিজ হবে। এভাবে ফারুক ভাই (বিসিবি সভাপতি) ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। মিরপুর টেস্ট (অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) হবে আমার শেষ টেস্ট। বিশেষ করে টেস্টে।’
টেস্টের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সাকিব। এ নিয়ে বাংলাদেশের বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেন, ‘এখন নিজেকে টি-টোয়েন্টির জন্যও দেখছি না। সে হিসেবে মনে করতে পারেন এই দুই সংস্করণে (টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি) নিজের শেষ দেখছি।’
তবে কি বয়সের কারণে এ সিদ্ধান্ত সাকিবের? নাকি শারীরিক কারণে? গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আর বাংলাদেশে আসেননি সাকিব। এ সময় তিনি ছিলেন নিউইয়র্কে পরিবারের সঙ্গে। সেখান থেকে রাওয়ালপিন্ডি গিয়ে খেলেন দুই টেস্ট সিরিজ। এরপর সতীর্থরা দেশে ফিরলেও সাকিব একটি কাউন্টি খেলতে চলে ইংল্যান্ডে। সেখানে থেকে ভারতে গিয়েছেন দুই টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি খেলতে।
সাংসদ সদস্য হওয়ায় সরকার পতনের পর মামলা হয় সাকিবের নামে। সম্প্রতি শেয়ার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকায় ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাঁকে। তার মধ্যে চোখে সমস্যা ও ব্যাটে রান খরা নিয়ে অনেক দিন ধরে কানাঘুষা চলছিল তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ার। এরই মধ্যে যোগ হয়েছে আঙুলে চোটে পড়ার গুঞ্জনটিও। তবে কি এ সব কিছুর কারণে অবসর নিলেন সাকিব? দেশসেরা অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, এসব কিছু বা কোনো অভিমান থেকে নয়। নতুনদের সুযোগ করে দিতে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব, ‘কষ্ট...অভিমান থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া না। এটাই সঠিক সময় সামনে এগিয়ে যেতে ও নতুনদের সুযোগ করে দিতে। একই সময় টি-টোয়েন্টিতেও একই চিন্তা। নির্বাচক, সভাপতি, বোর্ডের সবার সঙ্গে কথা বলেছি যে এটাই সেরা সময় টি-টোয়েন্টিতে আমি মুভ অন করি। নতুন খেলোয়াড়েরা আসুক। আমি এর মধ্যে যদি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ভালো করি, তখন যদি ফিট থাকি, ৬ মাস বা ১ বছর পর যদি তারা মনে করে আমার অবদান রাখার সুযোগ আছে, তখন চিন্তা করতে পারি ৷ তবে এখন নিজেকে টি-টোয়েন্টির জন্যও দেখছি না। সে হিসেবে মনে করতে পারেন এই দুই সংস্করণে (টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি) নিজের শেষ দেখছি।’
বাংলাদেশের খুব কম ক্রিকেটারকে আয়োজন করে বিদায় দিতে পেরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দেশের সবচেয়ে সফল ও সেরা ক্রীড়াবিদের ক্ষেত্রেও কি এমনটা হবে? সাকিব দেশ ও বিশ্বের ক্রিকেটকে যা দিয়েছেন, নিশ্চিতভাবে তাঁকে সম্মান জানিয়ে বিদায় দেওয়া উচিত বোর্ডের। তবে সেটি কি সম্ভব হবে? রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মামলা হওয়ায় দেশে ফিরলে গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাঁর। তবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও বিসিবি যদি চায় তবে সেটি এড়ানো যেতে পারে। এই কারণে আজ সংবাদ সম্মলনে নিরাপত্তার বিষয়ে বলতে শোনা গেল সাকিবকে, ‘বোর্ড চেষ্টা করছে এটা কীভাবে সুন্দর করে আয়োজন করতে পারে। দেশে যাতে নিরাপদে খেলতে পারি। দেশ থেকে যেন নিরাপদে বেরও হতে পারি।’
তেমন আশ্বাস যদি না পান তবে কানপুর টেস্টই হতে পারে সাকিবের সাদা পোশাকের ক্রিকেটে তাঁর শেষ ম্যাচ। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে সাকিব বলেন, ‘কানপুর টেস্টের পর দেশের মাটিতে লাল বলে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি দেখছেন। এ নিয়ে বোর্ড সভাপতি ফারুক ভাইয়ের (বিসিবি সভাপতি) সঙ্গে কথা হয়েছে। যদি দেশে আসার পরিস্থিতি আমার জন্য অনুকূলে থাকে আমি দেশে এসে সিরিজ খেলে বিদায় নিতে চাই। না হয় হয়তো এই কানপুরেই শেষ (হাসি)।’
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশ ম্যাচ শুরুর দুই ঘণ্টা আগেও একাদশ প্রকাশের ‘সাহস’ দেখায় না। তবে এখন বেশির ভাগ টেস্ট দল খেলা শুরুর একদিন আগেই টেস্ট একাদশ জানিয়ে দেয়। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ জানিয়ে দিয়েছে কাল অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে একাদশটা কেমন হবে।
২ ঘণ্টা আগেঅ্যাশেজ শুরুর আগে সিরিজের ফলাফল নিয়ে বরাবরই পূর্বানুমান করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকারা। সেই অভ্যাসের বশেই কিনা আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ টেস্টের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি নিয়ে রিকি পন্টিং বলে বসলেন—অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জিতবে ৩-১ ব্যবধানে।
৪ ঘণ্টা আগেবিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী—চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান যা শুরু করেছে, তাতে এই কথাটা মনে পড়া স্বাভাবিক। কারণ দুই পক্ষই যার যার সিদ্ধান্তে অনড়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা (আইসিসি)।
৫ ঘণ্টা আগেব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ হয়নি সাকিব আল হাসানের। তবে বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে ভেলকি দেখিয়েছেন তিনি। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও জেতাতে পারল না বাংলা টাইগার্সকে।
৬ ঘণ্টা আগে