নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই চাপ, বিষম চাপ। সেই চাপকে জয় করে যাঁরাই ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন, তাঁরাই নিজেদের নিতে পেরেছেন সেরার তালিকায়। আর যাঁরা চাপে ভেঙে পড়েছেন, তাঁরা হারিয়ে ফেলেছেন পথ! নাজমুল হোসেন শান্ত কোন দলে পড়বেন, সেটি এখনো বলার সময় না হলেও মাঝে চাপ যে তাঁকে ভীষণ জাপটে ধরেছিল, সে তো কদিন আগে তাঁর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জনেই বোঝা গেল।
শান্ত চাপ কাটিয়ে ওঠার নতুন কোনো মন্ত্র খুঁজে পেয়েছেন কি না কে জানে! তবে এই আফগানিস্তান সিরিজে তিনি যে ব্যর্থতার চোরাবালি থেকে বের হওয়ার জোর চেষ্টা করছেন, তাঁর দুটি ইনিংসই তা বলে দিচ্ছে। শারজায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভয়ংকর ধসের আগে তাঁর ৪৭ রানে চড়েই তো জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। সেদিন ফিফটি ফেলে এসেছিলেন। কাল ফেলে এলেন সেঞ্চুরি।
শান্তর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ওয়ানডে সংস্করণে তাঁর পারফরম্যান্স বিষয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ কম। গত ১০ ইনিংসে তাঁর গড় ৫৫ পেরোনো। আফগানিস্তানের বিপক্ষেই গত ৬ ইনিংসে ১ সেঞ্চুরির সঙ্গে ২ ফিফটি করেছেন। আছে দুটি ৪০ পেরোনো ইনিংসও। গত বছর লাহোরে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন, তিন অঙ্ক ছোঁয়ার সুযোগ এসেছিল কালও। সৌম্য আর মিরাজকে নিয়ে ছোট দুটি জুটি গড়ে ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টাও করেছিলেন শান্ত।
ব্যাটিংয়ের শুরুতে যতটা দ্রুত রান তুলছিলেন, পরে একটু বেশি সতর্ক হয়ে খেলেন শান্ত। প্রথম ৩০ রান এল ৩৩ বলে, কিন্তু পরের ৪৬ রান তুলতে তাঁকে খেলতে হলো ৮৬ বল। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, গজনফার ও নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতের গড়া স্পিন আক্রমণ তাঁকে বেশ চাপে রাখে। রশিদ খানকে বেশির ভাগ সময় ওপেন শট না খেলে নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করেছেন। নবি ও ফজলহক ফারুকির বলে আবার পুল, স্ট্রেইট ড্রাইভ আর সুইপ শটে রানের চাকা সচল রেখেছেন। ইনিংসের বেশির ভাগ সময় পুলই ছিল সবচেয়ে প্রোডাকটিভ শট। ফিফটি করে এক পুরোনো স্মৃতিও মনে করিয়ে দিলেন শান্ত। ওয়ানডেতে শারজায় সবশেষ কোনো বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ফিফটি পেয়েছিলেন আজহার হোসেন শান্টু, সেই ১৯৯০ অস্ট্রেলেশিয়া কাপে, যেটা কিনা শান্তর জন্মেরও আট বছর আগে।
৬০-৬২ স্ট্রাইকরেটে এগোতে থাকা শান্ত হয়তো ভেবেছিলেন, ইনিংসটা তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেই একটু চালিয়ে খেলবেন। কিন্তু সে পর্যন্ত আর যাওয়া হলো না। ৪০.২ ওভারে নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতের অফ স্টাম্পের বাইরের বল শান্ত এগিয়ে খেলতে গেলেন। সুইংয়ের বিপক্ষে একটু বেশি কাট করে ফেললেন, বল চলে যায় লং অফে মোহাম্মদ নবীর হাতে। শান্তর সেঞ্চুরির সম্ভাবনার অপমৃত্যু এখানেই। তবু তাঁর ৭৬ রানের ইনিংসটা বাংলাদেশকে এনে দেয় ৭ উইকেটে ২৫২ রানের স্কোর। সেটার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কিছুটা আক্ষেপজাগানিয়া হলেও শান্তর ইনিংসটা যেন মরুর বুকে একপশলা স্বস্তির বাতাস। এই স্বস্তি যেন ধীরে ধীরে নিজেকে ফিরে পাওয়ার। ইনিংস সর্বোচ্চ রান করে হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
তবে ম্যাচ শেষে ‘স্বস্তি’ নয়, আক্ষেপের কথাই শোনালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘সত্যি বলতে, আমি (আমার পারফরম্যান্স নিয়ে) খুশি নই। আরও কিছুটা সময় উইকেটে থাকা উচিত ছিল; কারণ, উইকেটে স্পিনের বিপক্ষে ব্যাট করা কঠিন হয়ে উঠেছিল।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই চাপ, বিষম চাপ। সেই চাপকে জয় করে যাঁরাই ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন, তাঁরাই নিজেদের নিতে পেরেছেন সেরার তালিকায়। আর যাঁরা চাপে ভেঙে পড়েছেন, তাঁরা হারিয়ে ফেলেছেন পথ! নাজমুল হোসেন শান্ত কোন দলে পড়বেন, সেটি এখনো বলার সময় না হলেও মাঝে চাপ যে তাঁকে ভীষণ জাপটে ধরেছিল, সে তো কদিন আগে তাঁর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জনেই বোঝা গেল।
শান্ত চাপ কাটিয়ে ওঠার নতুন কোনো মন্ত্র খুঁজে পেয়েছেন কি না কে জানে! তবে এই আফগানিস্তান সিরিজে তিনি যে ব্যর্থতার চোরাবালি থেকে বের হওয়ার জোর চেষ্টা করছেন, তাঁর দুটি ইনিংসই তা বলে দিচ্ছে। শারজায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভয়ংকর ধসের আগে তাঁর ৪৭ রানে চড়েই তো জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। সেদিন ফিফটি ফেলে এসেছিলেন। কাল ফেলে এলেন সেঞ্চুরি।
শান্তর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ওয়ানডে সংস্করণে তাঁর পারফরম্যান্স বিষয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ কম। গত ১০ ইনিংসে তাঁর গড় ৫৫ পেরোনো। আফগানিস্তানের বিপক্ষেই গত ৬ ইনিংসে ১ সেঞ্চুরির সঙ্গে ২ ফিফটি করেছেন। আছে দুটি ৪০ পেরোনো ইনিংসও। গত বছর লাহোরে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন, তিন অঙ্ক ছোঁয়ার সুযোগ এসেছিল কালও। সৌম্য আর মিরাজকে নিয়ে ছোট দুটি জুটি গড়ে ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টাও করেছিলেন শান্ত।
ব্যাটিংয়ের শুরুতে যতটা দ্রুত রান তুলছিলেন, পরে একটু বেশি সতর্ক হয়ে খেলেন শান্ত। প্রথম ৩০ রান এল ৩৩ বলে, কিন্তু পরের ৪৬ রান তুলতে তাঁকে খেলতে হলো ৮৬ বল। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, গজনফার ও নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতের গড়া স্পিন আক্রমণ তাঁকে বেশ চাপে রাখে। রশিদ খানকে বেশির ভাগ সময় ওপেন শট না খেলে নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করেছেন। নবি ও ফজলহক ফারুকির বলে আবার পুল, স্ট্রেইট ড্রাইভ আর সুইপ শটে রানের চাকা সচল রেখেছেন। ইনিংসের বেশির ভাগ সময় পুলই ছিল সবচেয়ে প্রোডাকটিভ শট। ফিফটি করে এক পুরোনো স্মৃতিও মনে করিয়ে দিলেন শান্ত। ওয়ানডেতে শারজায় সবশেষ কোনো বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ফিফটি পেয়েছিলেন আজহার হোসেন শান্টু, সেই ১৯৯০ অস্ট্রেলেশিয়া কাপে, যেটা কিনা শান্তর জন্মেরও আট বছর আগে।
৬০-৬২ স্ট্রাইকরেটে এগোতে থাকা শান্ত হয়তো ভেবেছিলেন, ইনিংসটা তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেই একটু চালিয়ে খেলবেন। কিন্তু সে পর্যন্ত আর যাওয়া হলো না। ৪০.২ ওভারে নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতের অফ স্টাম্পের বাইরের বল শান্ত এগিয়ে খেলতে গেলেন। সুইংয়ের বিপক্ষে একটু বেশি কাট করে ফেললেন, বল চলে যায় লং অফে মোহাম্মদ নবীর হাতে। শান্তর সেঞ্চুরির সম্ভাবনার অপমৃত্যু এখানেই। তবু তাঁর ৭৬ রানের ইনিংসটা বাংলাদেশকে এনে দেয় ৭ উইকেটে ২৫২ রানের স্কোর। সেটার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কিছুটা আক্ষেপজাগানিয়া হলেও শান্তর ইনিংসটা যেন মরুর বুকে একপশলা স্বস্তির বাতাস। এই স্বস্তি যেন ধীরে ধীরে নিজেকে ফিরে পাওয়ার। ইনিংস সর্বোচ্চ রান করে হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
তবে ম্যাচ শেষে ‘স্বস্তি’ নয়, আক্ষেপের কথাই শোনালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘সত্যি বলতে, আমি (আমার পারফরম্যান্স নিয়ে) খুশি নই। আরও কিছুটা সময় উইকেটে থাকা উচিত ছিল; কারণ, উইকেটে স্পিনের বিপক্ষে ব্যাট করা কঠিন হয়ে উঠেছিল।’
এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে কাল সংযুক্ত আরব আমিরাতে পা রাখবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তার আগে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হয়ে গেল যুবাদের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন। উৎসাহ দিতে ক্রিকেটার-কোচদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও।
১ ঘণ্টা আগেঅ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশ দলের প্রথম দিন কাটল অম্ল-মধুর। আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা হয়েছে ৮৪ ওভার। দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে ৫ উইকেটে ২৫০ রান।
৪ ঘণ্টা আগে