তাসনীম হাসান, ঢাকা
তামিম ইকবালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের খবরটি তাঁর ভক্তদের কাছে ‘বিনা মেঘে বজ্রপাতের’ মতোই ছিল! যদিও গত কদিন ধরে এই বিষয়টিই ক্রিকেটাঙ্গনের অন্যতম আলোচিত ইস্যু ছিল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তামিমকে ‘অটোমেটিক চয়েস’ রেখেই বিশ্বকাপের দল পরিকল্পনা সাজাচ্ছিল। একই সঙ্গে আবার নির্বাচকেরাও এই অপেক্ষায়ও ছিলেন–তামিম কী চান। গত ১৭ মাস আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি খেলেননি বাঁহাতি ওপেনার। এ পরিস্থিতিতে তিনি বিশ্বকাপে খেলতে চান কি, চান না দল ঘোষণার আগে সেই প্রশ্নের উত্তর জানাও জরুরি ছিল।
প্রায় দেড় বছর ধরে টি–টোয়েন্টি না খেলায় স্বাভাবিকভাবে তামিমের বিশ্বকাপের দলের পরিকল্পনায় থাকার কথা ছিল না। কিন্তু এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে ওঠা একজন ক্রিকেটারকে যে হুট করে বাদ দেবেন, সেই পরিস্থিতিও ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে তামিমের নিজে কিছু বলছেন কিনা, নির্বাচকদের সেদিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। এ জন্যই বিশ্বকাপের দল ঘোষণায় দেরি কি না, সেটি অবশ্য নির্বাচকেরা স্বীকার করেননি।
তবে নির্বাচকেরা উত্তরটা পেয়েছেন। আজ দুপুরে এক ভিডিওবার্তায় তামিম নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন কেন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে চান না। ‘ছোট একটা ঘোষণা ছিল’, জানিয়ে কথা বলা শুরু করেন তামিম। সেই ঘোষণাটা জানিয়েও দেন দ্রুত, ‘কিছুক্ষণ আগে আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্ট পাপন (নাজমুল হাসান) ভাই ও প্রধান নির্বাচক নান্নু (মিনহাজুল আবেদীন) ভাইকে ফোন করেছিলাম। আমি তাঁদের কিছু জিনিস শেয়ার করেছি। সেটি এখন আমি সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমি তাঁদের (পাপন ও নান্নু) বলেছি, আমার মনে হয় না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে থাকা উচিত। আমি বিশ্বকাপের দলে থাকব না।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তামিমের খেলার ধরন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা অনেক দিন ধরেই। ভেতরে-ভেতরে কিছুটা হলেও তাঁর অসন্তুষ্টি ছিল এ নিয়ে। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে রাখার একটা মানসিকতাও তাই তাঁর মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে গত কিছুদিনে। গত ১৭ মাস আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট না খেলা সেই ভাবনারই বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। এমনও গুঞ্জন উঠেছিল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাই ছেড়ে দিতে পারেন তামিম।
তামিমের বিশ্বকাপে খেলার প্রসঙ্গ নিয়ে গত তিন দিন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান, প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে সংবাদমাধ্যমের সামনে দিতে হয়েছে প্রশ্নের উত্তর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্রিকেটভক্তরা এ নিয়ে বলছিলেন নানা কথা। সমালোচনার বড় অংশ জুড়ে ছিল, যিনি মার্চে নিউজিল্যান্ড সিরিজের টি-টোয়েন্টি দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন, জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে খেললেও খেলতে পারেননি টি-টোয়েন্টি, ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজেও যিনি নেই; তিনি কেন হুট করে এসে অন্যের জায়গা নেবেন?
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের দলে থাকলে আরও বড় সমালোচনায় পড়তে হতো ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমকে। এমন সমালোচনা বয়ে নিয়ে তামিম হয়তো বিশ্বকাপটা খেলতে চাননি। যদিও বিশ্বকাপ না খেলার পেছনে অন্য কারণের কথা জানিয়েছেন তামিম, ‘দুই-তিনটি কারণ আছে। আমার মনে হয় গেম টাইম অন্যতম প্রধান কারণ। আমি বেশ কয়েক দিন ধরে খেলছি না এই সংস্করণে। তবে চোট মনে হয় না অত বড় সমস্যা, মনে হয় বিশ্বকাপের আগেই ঠিক হয়ে যাব।’
গত দেড় বছরে তামিমের জায়গায় ওপেনিংয়ে মোহাম্মদ নাঈম, সৌম্য সরকার ও লিটন দাসকে খেলিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে তামিমের সঙ্গী হওয়া নিয়ে এই তিনজনের মধ্যেই চলছিল ‘লড়াই’। এখন তামিম নিজ থেকে সরে দাঁড়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা তিন তরুণের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেল। তামিমও চেয়েছিলেন তরুণদের নির্ভার করে দিতে, ‘যে বিষয়টা আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে সেটি হলো, আমি গত ১৫–১৬টা টি–টোয়েন্টি খেলিনি। আমার জায়গায় যারা খেলেছিল, হঠাৎ করে এসে তাদের জায়গা নেওয়াটা ন্যায্য হবে না। হয়তো আমি বিশ্বকাপের দলে থাকতাম। কিন্তু আমার মনে কাছে মনে হয় না এটা ঠিক হতো।’
টি-টোয়েন্টিতে তামিমকে নিয়ে সমালোচনা হলেও বিশ্বকাপে এখনো তিনিই দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রাহক। ২৩ টি–টোয়েন্টিতে ২৪.৪৭ গড়ে ৪৫৩ রান করেছেন তামিম। তবে স্ট্রাইক রেট খুব একটা আকর্ষণীয় নয়—১১৩.৪৬।
বিশ্বকাপের দল থেকে সরে দাঁড়ালেও তামিম জানিয়েছেন এখনই তিনি টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছেন না। তামিম অবসর না নেওয়ার কথা বললেও তাঁর টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পাশে একটা বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন বোধ হয় বসেই গেল।
তামিম ইকবালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের খবরটি তাঁর ভক্তদের কাছে ‘বিনা মেঘে বজ্রপাতের’ মতোই ছিল! যদিও গত কদিন ধরে এই বিষয়টিই ক্রিকেটাঙ্গনের অন্যতম আলোচিত ইস্যু ছিল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তামিমকে ‘অটোমেটিক চয়েস’ রেখেই বিশ্বকাপের দল পরিকল্পনা সাজাচ্ছিল। একই সঙ্গে আবার নির্বাচকেরাও এই অপেক্ষায়ও ছিলেন–তামিম কী চান। গত ১৭ মাস আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি খেলেননি বাঁহাতি ওপেনার। এ পরিস্থিতিতে তিনি বিশ্বকাপে খেলতে চান কি, চান না দল ঘোষণার আগে সেই প্রশ্নের উত্তর জানাও জরুরি ছিল।
প্রায় দেড় বছর ধরে টি–টোয়েন্টি না খেলায় স্বাভাবিকভাবে তামিমের বিশ্বকাপের দলের পরিকল্পনায় থাকার কথা ছিল না। কিন্তু এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে ওঠা একজন ক্রিকেটারকে যে হুট করে বাদ দেবেন, সেই পরিস্থিতিও ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে তামিমের নিজে কিছু বলছেন কিনা, নির্বাচকদের সেদিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। এ জন্যই বিশ্বকাপের দল ঘোষণায় দেরি কি না, সেটি অবশ্য নির্বাচকেরা স্বীকার করেননি।
তবে নির্বাচকেরা উত্তরটা পেয়েছেন। আজ দুপুরে এক ভিডিওবার্তায় তামিম নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন কেন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে চান না। ‘ছোট একটা ঘোষণা ছিল’, জানিয়ে কথা বলা শুরু করেন তামিম। সেই ঘোষণাটা জানিয়েও দেন দ্রুত, ‘কিছুক্ষণ আগে আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্ট পাপন (নাজমুল হাসান) ভাই ও প্রধান নির্বাচক নান্নু (মিনহাজুল আবেদীন) ভাইকে ফোন করেছিলাম। আমি তাঁদের কিছু জিনিস শেয়ার করেছি। সেটি এখন আমি সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমি তাঁদের (পাপন ও নান্নু) বলেছি, আমার মনে হয় না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে থাকা উচিত। আমি বিশ্বকাপের দলে থাকব না।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তামিমের খেলার ধরন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা অনেক দিন ধরেই। ভেতরে-ভেতরে কিছুটা হলেও তাঁর অসন্তুষ্টি ছিল এ নিয়ে। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে রাখার একটা মানসিকতাও তাই তাঁর মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে গত কিছুদিনে। গত ১৭ মাস আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট না খেলা সেই ভাবনারই বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। এমনও গুঞ্জন উঠেছিল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাই ছেড়ে দিতে পারেন তামিম।
তামিমের বিশ্বকাপে খেলার প্রসঙ্গ নিয়ে গত তিন দিন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান, প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে সংবাদমাধ্যমের সামনে দিতে হয়েছে প্রশ্নের উত্তর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্রিকেটভক্তরা এ নিয়ে বলছিলেন নানা কথা। সমালোচনার বড় অংশ জুড়ে ছিল, যিনি মার্চে নিউজিল্যান্ড সিরিজের টি-টোয়েন্টি দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন, জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে খেললেও খেলতে পারেননি টি-টোয়েন্টি, ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজেও যিনি নেই; তিনি কেন হুট করে এসে অন্যের জায়গা নেবেন?
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের দলে থাকলে আরও বড় সমালোচনায় পড়তে হতো ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমকে। এমন সমালোচনা বয়ে নিয়ে তামিম হয়তো বিশ্বকাপটা খেলতে চাননি। যদিও বিশ্বকাপ না খেলার পেছনে অন্য কারণের কথা জানিয়েছেন তামিম, ‘দুই-তিনটি কারণ আছে। আমার মনে হয় গেম টাইম অন্যতম প্রধান কারণ। আমি বেশ কয়েক দিন ধরে খেলছি না এই সংস্করণে। তবে চোট মনে হয় না অত বড় সমস্যা, মনে হয় বিশ্বকাপের আগেই ঠিক হয়ে যাব।’
গত দেড় বছরে তামিমের জায়গায় ওপেনিংয়ে মোহাম্মদ নাঈম, সৌম্য সরকার ও লিটন দাসকে খেলিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে তামিমের সঙ্গী হওয়া নিয়ে এই তিনজনের মধ্যেই চলছিল ‘লড়াই’। এখন তামিম নিজ থেকে সরে দাঁড়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা তিন তরুণের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেল। তামিমও চেয়েছিলেন তরুণদের নির্ভার করে দিতে, ‘যে বিষয়টা আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে সেটি হলো, আমি গত ১৫–১৬টা টি–টোয়েন্টি খেলিনি। আমার জায়গায় যারা খেলেছিল, হঠাৎ করে এসে তাদের জায়গা নেওয়াটা ন্যায্য হবে না। হয়তো আমি বিশ্বকাপের দলে থাকতাম। কিন্তু আমার মনে কাছে মনে হয় না এটা ঠিক হতো।’
টি-টোয়েন্টিতে তামিমকে নিয়ে সমালোচনা হলেও বিশ্বকাপে এখনো তিনিই দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রাহক। ২৩ টি–টোয়েন্টিতে ২৪.৪৭ গড়ে ৪৫৩ রান করেছেন তামিম। তবে স্ট্রাইক রেট খুব একটা আকর্ষণীয় নয়—১১৩.৪৬।
বিশ্বকাপের দল থেকে সরে দাঁড়ালেও তামিম জানিয়েছেন এখনই তিনি টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছেন না। তামিম অবসর না নেওয়ার কথা বললেও তাঁর টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পাশে একটা বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন বোধ হয় বসেই গেল।
মোস্তাফিজুর রহমান-রিশাদ হোসেন গতকাল আইপিএলের নিলামে উঠলেও আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। শুধু তাঁরাই নন, দল পাননি নিলামে নাম তোলা বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারই।
১ ঘণ্টা আগেকথায় আছে, ‘ওয়াইন যত পুরোনো হয়, তার স্বাদ তত ভালো হয়’। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যেন সেই পুরোনো ওয়াইন। যতই বয়স হচ্ছে, বাড়ছে স্বাদ। এ মৌসুমেই দেখুন না হলে! সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ১৮ গোল ও ৪ অ্যাসিস্ট।
৪ ঘণ্টা আগেদেশের ফুটবলে ২০১৩ সালে আগমন বসুন্ধরা কিংসের। সে হিসাবে ক্লাবটির বয়স খুব বেশি নয়। তবে এই সময়ের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে দলটি। তাদের উত্থানে পেছনে চলে যায় একসময় দাপট দেখানো ঐতিহ্যবাহী
৫ ঘণ্টা আগেআজ ছোটপর্দায় দেখতে পাবেন বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম ওয়ানডের শেষ দিন। জিম্বাবুয়ে বনাম পাকিস্তানের দ্বিতীয় ওয়ানডে। আজ জিতলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করবে জিম্বাবুয়েনরা। এছাড়া রাতে রয়েছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের বেশ কয়েকটি ম্যাচ।
৫ ঘণ্টা আগে