নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শারজায় এই সিরিজে যে দল টস জিতছে, সে-ই তাহলে ম্যাচ জিতছে। প্রথম ম্যাচে টস জিতল আফগানিস্তান, ম্যাচও তাদের। গত পরশু দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ টস জিতেছে, ম্যাচও জিতেছে। তার মানে আজ যে টস জিতবে, সে দলই কি...!
সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডের আগে জানা গেল, নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত খেলতে পারছেন না এই ম্যাচে। তিনিই ভাগ্য নিয়ে না ভেবে চিন্তা করতে চেয়েছিলেন ‘কর্মে’। পরশু ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে যেমন বলছিলেন, ‘টস নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। এটা আমাদের হাতে নেই। নিজেদের যে সামর্থ্য আছে, তাতে টস খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে না। (জেতার) ওই আত্মবিশ্বাস, বিশ্বাসটা দরকার।’ টানা হারতে থাকা অধিনায়ক হিসেবে মাঝে যে আত্মবিশ্বাস বেশ টলে গিয়েছিল শান্তর, সেটি ফিরে পেলেও তিনি আবার নিজে পড়েছেন চোটে। আজ শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে অলিখিত ফাইনালে নামার আগে বাংলাদেশকে ভাবাতে পারে দলের মিডল অর্ডার।
এ সিরিজে দলের মিডল অর্ডারের স্তম্ভ মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহীদ হৃদয়কে। আঙুলের চোটে পড়ে মুশফিক ছিটকে গেছেন সিরিজের প্রথম ম্যাচের পরই। তবে মাহমুদউল্লাহ ও হৃদয় হতাশ করেছেন। গত দুই ম্যাচে হৃদয় করেছেন ১১, ১১ এবং মাহমুদউল্লাহর রান ২ ও ৫। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২ উইকেটে ১২০ থেকে যে ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে গেল—ভয়াবহ এ ধসে বড় দায় মিডল অর্ডারের। পরশু জেতার ম্যাচেও বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নেমেছিল। ২ উইকেটে ১৫২ থেকে ৬ উইকেটে ১৮৪—৩২ রানের মধ্যে যে ৪ উইকেট পড়ার পরও বাংলাদেশ যে ৭ উইকেটে ২৫২ রান করেছে, সেটা সাতে নামা জাকের আলী আর নয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করা নাসুম আহমেদের সৌজন্যে।
হৃদয় সংগ্রাম করছেন নিজের শক্তির জায়গায় খেলতে গিয়ে। দুই ম্যাচেই তাঁর শক্তির জায়গা বুঝে ফাঁদ পেতেছিল আফগান স্পিন আক্রমণ। হৃদয় সেই ফাঁদে পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে স্লগ শট খেলতে গিয়ে বলের গতির তারতম্য বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে যেন নিজের শেষটা দেখে ফেলার উপক্রম! দুই ম্যাচে তাঁর আউট হওয়ার ধরনও খুব দৃষ্টিকটু। ম্যাচ পরিস্থিতির বাইরে আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। পরে ম্যাচে সামান্য টার্নে বলে বোল্ড।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম উইকেট জুটি খুব একটা জমেনি প্রথম দুই ম্যাচে। পরিস্থিতি বুঝে খেলার মতো কোনো জুটি সৃষ্টি করতে পারেননি ব্যাটাররা। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মিডল অর্ডার সামলেছেন মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। ধীরে ধীরে তাঁরা অদৃশ্য হতে থাকায় এখানে কি নতুন করে শূন্যতা তৈরি হচ্ছে? পরশু সংবাদ সম্মেলনে মিডল অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘আমাদের দলে মিডল অর্ডারে এখনো সিনিয়র ক্রিকেটাররা খেলছেন। দলে অনেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছেন। আমাদের এই জায়গাটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তবে তাঁরা সারা জীবন থাকবেন না। ধীরে ধীরে আমাদেরই দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
টপ অর্ডার থেকে ভালো শুরু আর মিডল অর্ডারকে সেটি স্লগ ওভার পর্যন্ত টেনে নেওয়া—সরল এই সূত্রের সঠিক প্রয়োগ আজ ঠিকঠাক হলেও ব্যাটিংয়ে ভালো স্কোর গড়া কঠিন কিছু নয়। আর শারজার উইকেটে আগে ব্যাটিং করে ২৫০ রানের স্কোরও যে জয়তুল্য, সে তো বাংলাদেশ পরশু করেই দেখাল। পরে ব্যাটিং করলেও প্রতিপক্ষকে নাগালে রাখার কাজটা বোলাররা ঠিকঠাক করতে পারলে দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটারদের। আর সেখানে আজ টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থ হলে চলবে না!
শারজায় এই সিরিজে যে দল টস জিতছে, সে-ই তাহলে ম্যাচ জিতছে। প্রথম ম্যাচে টস জিতল আফগানিস্তান, ম্যাচও তাদের। গত পরশু দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ টস জিতেছে, ম্যাচও জিতেছে। তার মানে আজ যে টস জিতবে, সে দলই কি...!
সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডের আগে জানা গেল, নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত খেলতে পারছেন না এই ম্যাচে। তিনিই ভাগ্য নিয়ে না ভেবে চিন্তা করতে চেয়েছিলেন ‘কর্মে’। পরশু ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে যেমন বলছিলেন, ‘টস নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। এটা আমাদের হাতে নেই। নিজেদের যে সামর্থ্য আছে, তাতে টস খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে না। (জেতার) ওই আত্মবিশ্বাস, বিশ্বাসটা দরকার।’ টানা হারতে থাকা অধিনায়ক হিসেবে মাঝে যে আত্মবিশ্বাস বেশ টলে গিয়েছিল শান্তর, সেটি ফিরে পেলেও তিনি আবার নিজে পড়েছেন চোটে। আজ শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে অলিখিত ফাইনালে নামার আগে বাংলাদেশকে ভাবাতে পারে দলের মিডল অর্ডার।
এ সিরিজে দলের মিডল অর্ডারের স্তম্ভ মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহীদ হৃদয়কে। আঙুলের চোটে পড়ে মুশফিক ছিটকে গেছেন সিরিজের প্রথম ম্যাচের পরই। তবে মাহমুদউল্লাহ ও হৃদয় হতাশ করেছেন। গত দুই ম্যাচে হৃদয় করেছেন ১১, ১১ এবং মাহমুদউল্লাহর রান ২ ও ৫। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২ উইকেটে ১২০ থেকে যে ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে গেল—ভয়াবহ এ ধসে বড় দায় মিডল অর্ডারের। পরশু জেতার ম্যাচেও বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নেমেছিল। ২ উইকেটে ১৫২ থেকে ৬ উইকেটে ১৮৪—৩২ রানের মধ্যে যে ৪ উইকেট পড়ার পরও বাংলাদেশ যে ৭ উইকেটে ২৫২ রান করেছে, সেটা সাতে নামা জাকের আলী আর নয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করা নাসুম আহমেদের সৌজন্যে।
হৃদয় সংগ্রাম করছেন নিজের শক্তির জায়গায় খেলতে গিয়ে। দুই ম্যাচেই তাঁর শক্তির জায়গা বুঝে ফাঁদ পেতেছিল আফগান স্পিন আক্রমণ। হৃদয় সেই ফাঁদে পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে স্লগ শট খেলতে গিয়ে বলের গতির তারতম্য বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে যেন নিজের শেষটা দেখে ফেলার উপক্রম! দুই ম্যাচে তাঁর আউট হওয়ার ধরনও খুব দৃষ্টিকটু। ম্যাচ পরিস্থিতির বাইরে আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। পরে ম্যাচে সামান্য টার্নে বলে বোল্ড।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম উইকেট জুটি খুব একটা জমেনি প্রথম দুই ম্যাচে। পরিস্থিতি বুঝে খেলার মতো কোনো জুটি সৃষ্টি করতে পারেননি ব্যাটাররা। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মিডল অর্ডার সামলেছেন মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। ধীরে ধীরে তাঁরা অদৃশ্য হতে থাকায় এখানে কি নতুন করে শূন্যতা তৈরি হচ্ছে? পরশু সংবাদ সম্মেলনে মিডল অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘আমাদের দলে মিডল অর্ডারে এখনো সিনিয়র ক্রিকেটাররা খেলছেন। দলে অনেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছেন। আমাদের এই জায়গাটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তবে তাঁরা সারা জীবন থাকবেন না। ধীরে ধীরে আমাদেরই দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
টপ অর্ডার থেকে ভালো শুরু আর মিডল অর্ডারকে সেটি স্লগ ওভার পর্যন্ত টেনে নেওয়া—সরল এই সূত্রের সঠিক প্রয়োগ আজ ঠিকঠাক হলেও ব্যাটিংয়ে ভালো স্কোর গড়া কঠিন কিছু নয়। আর শারজার উইকেটে আগে ব্যাটিং করে ২৫০ রানের স্কোরও যে জয়তুল্য, সে তো বাংলাদেশ পরশু করেই দেখাল। পরে ব্যাটিং করলেও প্রতিপক্ষকে নাগালে রাখার কাজটা বোলাররা ঠিকঠাক করতে পারলে দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটারদের। আর সেখানে আজ টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থ হলে চলবে না!
ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরতে পারতেন সৌম্য সরকার। আলজারি জোসেফের চতুর্থ বলটি হালকা সুইং করে বাইরেই যাচ্ছিল। কিন্তু উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সৌম্যের ড্রাইভ। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে থাকা ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে। কিং সেই সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি। শুরুতে জীবন পাওয়াটাও বৃথা যেতে দেননি সৌম্য। দলের প্রয়োজনে
২ ঘণ্টা আগেওপেনার সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে ১১০ রানের জুটি গড়ার পথে দুজনে পেয়েছেন ফিফটি।
৩ ঘণ্টা আগে২, ৪ ও ০—ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এই হলো লিটন দাসের রান। ব্যাটিংয়ে অধরাবাহিকতার বৃত্তে আটকে পড়া বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক আজ আবারও উইকেট দিয়েছেন বাজে শট খেলে।
৪ ঘণ্টা আগে