Ajker Patrika

বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ অবস্থা পাকিস্তানের

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪: ৩৮
বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ অবস্থা পাকিস্তানের। ছবি: এএফপি
বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ অবস্থা পাকিস্তানের। ছবি: এএফপি

বড় দুঃসময় পার করছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। পরপর ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—এ টুর্নামেন্টগুলো থেকে তারা বিদায় নেয় গ্রুপ পর্বে। এক সপ্তাহ আগেও পাকিস্তান আনন্দে ভাসছিল, তিন দশক পর প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের আয়োজক তারা। দলের ব্যর্থতায় সেই আনন্দ নিমেষে মিলিয়ে গেল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পারফরম্যান্সের দৈন্যে পাকিস্তান ‘ক্রিকেটের মৃত্যু’ হয়েছে বলে এখন শোক প্রকাশ চলছে সেখানে!

পাকিস্তানের মতো কিছুটা খারাপ সময় পার করছে বাংলাদেশ দলও। কিন্তু পরিস্থিতি বলছে, বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ অবস্থা এখন পাকিস্তানের! গত বছর পাকিস্তানের মাঠে টেস্ট সিরিজ জিতেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। পাকিস্তানের মতো ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর আজমের দল গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও বাংলাদেশ খেলেছিল সুপার এইটে। চলতি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই দলই বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্বে।

বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট ততটা প্রতিযোগিতামূলক নয়, আর নিম্নমানের উইকেট খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য উপযুক্তভাবে প্রস্তুত করতে পারছে না। বাংলাদেশ ক্রিকেটেও হরহামেশা এ সব ইস্যু নিয়ে কথা হয়। তবে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পেছনে বারবার বোর্ড, কোচিং স্টাফ ও নির্বাচন প্যানেলের পরিবর্তন পাকিস্তান ক্রিকেটের ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটা মূলত রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে হয়ে থাকে বলে মনে করছেন তাঁরা, যেটি হওয়ার প্রয়োজন ছিল যোগ্যতার ভিত্তিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও এ রকম পরিবর্তন এসেছে, তবে সেটি পাকিস্তানের মতো নয়।

শুধু তিন বছর দেখলেই ভিমড়ি খাওয়ার জোগাড়! এর মধ্যে পিসিবির চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়েছে চারবার। ২০২২ সালে রমিজ রাজা, পরের বছর নজম শেঠি, তারপরে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত জাকা আশরাফ, এখন দায়িত্ব পালন করছেন মহসিন নাকভি! বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, গত ১৪ বোর্ড সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে একবার। গত বছর সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে বিদায় ঘটে নাজমুল হাসান পাপনের। এরপর দায়িত্ব নেন ফারুক আহমেদ।

গত তিন বছরে পাকিস্তানের প্রধান কোচ পরিবর্তন হয়ে আটজন। ২০২৩ সালে সাকলাইন মুশতাকের পর অন্তর্বর্তীকালীন আবদুল রেহমান, তারপর গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন, মাঝে মোহাম্মদ হাফিজ। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হাফিজ পদত্যাগ করলে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হন আজহার মাহমুদ। তারপর আবার আলাদা আলাদা সংস্করণের জন্য কোচ নিয়োগ দেয় তারা। জেসন গিলেস্পিকে টেস্ট ও গ্যারি কার্স্টেনকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাও চাকরি ছাড়েন। এখন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার আকিফ জাভেদ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁর পদত্যাগেরও দাবি উঠেছে এইর মধ্যে।

বাংলাদেশেরও কোচ পরিবর্তন হয়েছে। ২০২২ সালে রাসেল ডোমিঙ্গোর বিদায়ের পর দ্বিতীয় মেয়াদে আসেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আবার চাকরিচ্যুত হন তিনি। এখন চলছে ফিল সিমন্সের অধ্যায়। পাকিস্তানের অধিনায়কত্বেও পরিবর্তন এসেছে চারবার। বাবর আজমের পর শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নেতৃত্বভার দেওয়া হয়েছিল। তারপর আবার ফেরানো হয় বাবরকে। বাবর ব্যর্থ হলে মোহাম্মদ রিজওয়ান সীমিত ওভার ও শান মাসুদের কাছে টেস্টের অধিনায়কত্ব পাকিস্তানের।

বাংলাদেশের অধিনায়কত্বেও ছিল পরিবর্তন। তামিম ইকবালের পর বিভিন্ন সিরিজে অন্তর্বর্তীকালীন লিটন দাস, মাঝে সাকিব আল হাসান, তারপর এখন শান্ত। তিনিও নেতৃত্ব ছাড়ার কথা বলেছেন এরই মধ্যে। গত তিন বছরে পাকিস্তানের নির্বাচক হয়েছেন ২৬ জন। বাংলাদেশে অবশ্য মেয়াদপূর্ণ হওয়ার পর মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনকে আর রাখা হয়নি নির্বাচক প্যানেলে। আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ও হান্নান সরকার যুক্ত হয়েছিলেন। সম্প্রতি হান্নান পদ ছেড়ে কোচিংয়ে মনোযোগ দিয়েছেন।

কিন্তু এ তিন বছরে পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে নিজেদের মাঠে টেস্টে ধবলধোলাই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হার। আয়ারল্যান্ড সফরে ওয়ানডে হার এবং আফগানিস্তানের কাছে ওয়ানডে বিশ্বকাপে হেরেছেন বাবর-রিজওয়ানরা। খুবই স্পষ্ট, বেশ খারাপ সময় পার করছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। দেশটির পুরো ক্রিকেট কাঠামোতে আমূল পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন সাবেকরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আর্জেন্টিনা-স্পেনের ‘ফিনালিসিমা’ কবে, কখন, কোথায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
প্রথমবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন মেসি-ইয়ামাল। ছবি: সংগৃহীত
প্রথমবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন মেসি-ইয়ামাল। ছবি: সংগৃহীত

কিছুদিন আগেও বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে ম্যাচটি নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে আজ ফিনালিসিমার সূচি নির্ধারণ করেছে দুই মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা ও কনমেবল।

আগামী বছরের ২৭ মার্চ হবে ফিনালিসিমা। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে লড়বে স্পেন। বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় শুরু হবে ম্যাচ। এই স্টেডিয়ামেই ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা।

দীর্ঘদিন হিমাগারে থাকা ইউরো ও কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফিরে আসে ২০২২ সালে। সেবার ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ২০২৪ সালেও কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখে তারা। একই বছর ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো জেতে স্পেন।

এর আগে প্রতিযোগিতাটি ‘আরতেমিও ফ্রাঙ্কি কাপ’ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৮৫ সালে উরুগুয়েকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জেতে ফ্রান্স আর ১৯৯৩ সালে ডেনমার্ককে টাইব্রেকারে হারিয়ে ট্রফি জেতে আর্জেন্টিনা। এবারের লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ লিওনেল মেসি ও লামিনে ইয়ামাল। সব ঠিক থাকলে প্রথমবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন তারা।

স্পেন ও আর্জেন্টিনা এনিয় ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে দুই দলই সমানভাবে ৬টি ম্যাচ জিতেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসছে ফিফা বিশ্বকাপের ট্রফি

ক্রীড়া ডেস্ক    
ঢাকায় বিশ্বকাপের মূল ট্রফি দেখার সুযোগ পাবেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় বিশ্বকাপের মূল ট্রফি দেখার সুযোগ পাবেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। ছবি: সংগৃহীত

আর মাস ছয়েক পরই শুরু হবে ফিফা বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় এই বিশ্বকাপ শুরুর আগেই টুর্নামেন্টের উত্তাপ ছড়াতে বাংলাদেশ সফরে আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি। কোকো-কোলার উদ্যোগে আসছে ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় এসে পৌঁছবে বিশ্বকাপের মূল ট্রফিটি।

গতকাল কোকাকোলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়েছে, ‘কোকা-কোলার উদ্যোগে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে আগামী ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় পৌঁছাবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা ফুটবলের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত পুরস্কার—মূল ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি স্বচক্ষে দেখার সুযোগ পাবেন।’

বিশ্ব ভ্রমণে ৩০টি দেশ, ১৫০ দিনে ৭৫টি স্থানে হাজির হবে বিশ্বকাপ ট্রফির মূল ট্রফি। যা স্থানীয় মানুষের জন্য নিয়ে আসবে অনন্য এক অভিজ্ঞতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্বকাপে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রতিপক্ষ কারা, জানাল বিসিবি

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ছবি: ক্রিকইনফো
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ছবি: ক্রিকইনফো

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে দুই মাসও বাকি নেই। ৭ ফেব্রুয়ারি ভারত-শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে শুরু হচ্ছে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) মূল ম্যাচের সূচি দিলেও প্রস্তুতি পর্বের সূচি ঘোষণা করেনি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়ে দিয়েছে, কোন কোন দলের বিপক্ষে খেলে লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমরা বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেবেন।

মিরপুরে আজ সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও শাহরিয়াল নাফীস।
মিরপুরে আজ সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও শাহরিয়াল নাফীস।

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না থাকায় যে যাঁর মতো সময়টা উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা পরিবার নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেছেন। ২৬ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে তাঁদের ব্যস্ত সময়। সিলেট পর্বে ১২তম বিপিএল শুরু হয়ে শেষটা হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ২৩ জানুয়ারি হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল। বিপিএল শেষ না হতেই লিটন, তানজিদ, তাসকিন আহমেদদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে বিশ্বকাপে। মূল পর্বে নামার আগে ঘরের মাঠে ক্যাম্প করবেন লিটনরা। আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, ‘‘বিপিএল শেষে দুই-তিন দিনের ছোট একটা ক্যাম্প হবে। এরপর ২৮ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুতে যাবে দল। সেখানে নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব আমরা।’

৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে বিপিএল থাকলেও মূলত বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফাহিম। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান বলেন, ‘প্রস্তুতিটা আমরা খুব হিসেব করে নিচ্ছি। বিপিএলে যেসব দলের ম্যাচ আগে শেষ হয়ে যাবে, তাদের নিয়ে আগেভাগেই কাজ শুরু হবে। যারা শেষ চারে উঠতে পারবে না, কিন্তু জাতীয় দলের সম্ভাব্য খেলোয়াড়—তাদের আগেভাগেই প্রস্তুতির আওতায় নিয়ে আনতে চাই আমরা।’

বিপিএল শেষেই যেহেতু বিশ্বকাপের জন্য লিটন-তানজিদদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, সেজন্য তাঁদের ধকল কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। মিরপুরে আজ সাংবাদিকদের বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে একজন ট্রেনার পুরো বিপিএল দেখভাল করবেন। জাতীয় দলে নিয়মিত ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট হবে জিপিএসের মাধ্যমে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে যদি কোনো ক্রিকেটার রেড জোনে থাকে, সেই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আম্পায়ারদের কাছে ব্যাখ্যা চাইছেন স্টেইন

ক্রীড়া ডেস্ক    
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডেল স্টেইন। ছবি: ক্রিকইনফো
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডেল স্টেইন। ছবি: ক্রিকইনফো

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত হওয়ার পর চলছে নানা আলাপ-আলোচনা। সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) ধুয়ে দিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকেরা। নেটিজেনদের অনেকে টিকিটের টাকাও ফেরত চেয়েছেন। ডেল স্টেইন এই ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আম্পায়ারদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বাংলাদেশ সময় গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে লক্ষ্ণৌর অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে বারবার ম্যাচের পর্যবেক্ষণের সময় বদলানো হয়। ছয় দফা মাঠ পর্যবেক্ষণ করেও ইতিবাচক কিছু না পাওয়ায় রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

এই ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার ছিলেন কেএন অনন্তপদ্মনবন, রোহান পন্ডিত এবং তৃতীয় ও চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন বীরেন্দর শর্মা ও জয়ারামান মদনগোপাল। ম্যাচ শেষে জিওস্টারে ডেল স্টেইন বলেন, ‘কোনো এক আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে পারলে ভালো লাগত। মাঝেমধ্যে শোনা গেছে, তাঁরা রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মাঠ পর্যবেক্ষণ করবেন। কিন্তু আমি জানি না কোন নিয়ম নিয়ে তাঁরা ভাবছিলেন। তারা কী ভাবছিলেন আর কী মূল্যায়ন করছিলেন, সেটা জানতে খুব ইচ্ছে করছে। যদি তাঁরা বারবার সামনে দিয়ে হেঁটে যান, তাহলে এই ব্যাপারে স্পষ্ট ব্যাখ্যা অবশ্যই জানতে চাইবেন।ক্রিকেটার হিসেবে আপনাকে শুধু খেলতে হবে। সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু কিছু নিয়মকানুন তো অবশ্যই আছে। এটা আমার জানা নেই।’

ম্যাচ কর্মকর্তারাও মাঠ পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে খেলা চালানোর মতো অবস্থা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানসহ উপমহাদেশে এখন চলছে শীতকাল। ঘন কুয়াশা তাই বলে অপ্রত্যাশিত নয়। কিন্তু গতকাল লক্ষ্ণৌর বায়ুর গুণগত সূচক (একিউআই) ৪০০-এর বেশি ছিল বলে চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে হার্দিক পান্ডিয়াসহ অনেক ক্রিকেটারকেই মাস্ক পরে ঘুরতে দেখা গেছে। একটা পর্যায়ে ভারতীয় দল ড্রেসিংরুমের ভেতরেই নিজেদের আবদ্ধ করে রাখে। বাজে আবহাওয়ার মধ্যেও ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হচ্ছিল না দেখে অসন্তুষ্ট ছিলেন রবিন উথাপ্পা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের টস করাই সম্ভব হয়নি।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি। এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ভারত জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। টেস্টে স্বাগতিকদের ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে প্রোটিয়ারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত