প্রশ্ন: সমালোচনা-বিতর্ক পিছু ছাড়ে না বিপিএলকে। গত কিছুদিনে যা দেখেছেন সে আলোকে আপনি কিছু ইতিবাচক দিক বলুন।
রমিজ রাজা: দেখলাম এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। মানুষজনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে বিপিএলের দিকে, এটা দারুণ। অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় দেখেছি। তাওহীদের (হৃদয়) ইনিংস, যেভাবে তামিম ইকবাল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ভালো ফাস্ট বোলিং, বাঁহাতি স্পিনের মানও ভালো। অনেক ইতিবাচক দিক আছে। যদি টুর্নামেন্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় আর এই প্রচেষ্টা ধরে রাখেন, বিপিএল বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু দিতে পারবে।
প্রশ্ন: বিশ্বে এখন অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। বিপিএলকে স্লট ভাগাভাগি করতে হচ্ছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিপিএলের কী করা উচিত?
রমিজ: শুধু নিজেদের প্রতিভার ওপর মনোযোগ রাখা। লিগগুলো তৈরিই হয়েছে স্থানীয় প্রতিভার কারণে। আইপিএল যে ভিউয়ারশিপ, সে তো ভারতীয় ট্যালেন্টের কারণে। পিএসএলে যে ভিউয়ারশিপ, সেটা পাকিস্তানি ট্যালেন্টের কারণে। বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আন্তর্জাতিক লিগ করতে তাদের গুরুত্ব আছে। আবার তাদের ছাড়া হবেই না, বিষয়টি তাও না। সেদিন পিএসএলে মুলতান সুলতান মাত্র দুজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলেছে। তারা চেয়েছিল বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দিতে। লাহোর কালান্দার্সকে তারা হারিয়েছে, যাদের কিনা বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। এখানে আইডিয়াটা হচ্ছে, প্রমোট ইয়োর ইয়ুথ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে যেন সঠিক ট্যালেন্ট বেরিয়ে আসে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সম্প্রতি বলেছেন, বিপিএলে ক্লাস প্লেয়ারের ঘাটতি আছে। আর খেলোয়াড়দের এক লিগ থেকে আরেক লিগে দৌড়াদৌড়িকে তাঁর চোখে সার্কাস। আপনার কী মত এখানে?
রমিজ: আমার মনে হয় এটা বন্ধ হওয়া উচিত (এক লিগ থেকে আরেক লিগে খেলতে চলে যাওয়া) এখানে আনুগত্যের বিষয়টি চলে আসে, তাই না? এটা ছন্দ আর দলের সমন্বয় নষ্ট করে। কেউ এটা চাইবে না। যদি খেলার প্রতিশ্রুতি থাকে, যেমন ধরুন, আমি এখানে এসেছি বিপিএলকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ায়। এরপর পিএসএলে পুরো টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্য দেওয়ারও প্রস্তাব পেলাম। আমি বললাম, না। আমি আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে গেছি। খেলোয়াড়দেরও একইভাবে চিন্তা করা উচিত।
প্রশ্ন: বিপিএলের বাইরের প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ যখন ঘরের মাঠে খেলে, বেশিরভাগ সময়ে স্পিনিং উইকেটের সুবিধা নেয়। উপমহাদেশের বাকি দলগুলোও কম-বেশি নেয়। স্পিনিং উইকেট তৈরি করলেই অনেক সমালোচনা হয়। অথচ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে সিমিং উইকেট নিয়ে খুব বেশি সমালোচনা হয় না। এখানে বিসিবি বা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে একটা যুক্তি তৈরি থাকে, কোন দেশ হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেয় না! এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?
রমিজ: নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে হারাচ্ছে, এটা দারুণ অর্জন। ভারতীয় দল কী করে ভারতে? এখানে যে বিষয়টি দেখা উচিত, আমরা যেভাবেই হোক জিতব—এটা উপভোগ কিংবা আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ঘরের মাঠে নিজেদের রেকর্ড নিয়ে বাংলাদেশের গর্ব করা উচিত। তার মানে অর্ধেক কাজ আপনি ঠিকঠাক করেছেন। পাকিস্তানও পারে না যখন তারা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় খেলে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জয়ের ধারাটা ধরে রাখা। যখন বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে খেলবে, এই ধারাটা ধরে রাখতে হবে। সে উইকেট স্পিনিং, সবুজ কিংবা যেটাই হোক। দিনশেষে আপনার দর্শক আপনাকে চ্যাম্পিয়ন, জয়ী হিসেবে দেখতে চায়।
প্রশ্ন: এশিয়ার দলগুলো লম্বা সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারছে না। অথচ বিশ্বের দুটি জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এ অঞ্চলেরই। ভারতের আইপিএল আছে, অথচ তারা ২০০৭-এর পর আর এই ট্রফিটা নিতে পারল না। এর ব্যাখ্যা কী?
রমিজ: আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা ভিন্ন বল-গেম। আপনাকে ভাগ্যের ছোঁয়া পেতে হবে, সঠিক সময়ে সেরা ছন্দে থাকতে হবে। আমার সারা জীবনের আফসোস থাকবে, অস্ট্রেলিয়ায় আমরা ফাইনালে উঠেছি (২০২২) অথচ জিততে পারিনি। এশিয়া কাপের ফাইনালে (২০২২) উঠলাম, জিততে পারিনি। এখানে আসলে অনেক কিছু জড়িত। আমরা যখন ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতি, আমাদের সেমিফাইনালে উঠতে কাউকে না কাউকে হারতে হতো। আপনাকে লাকিও হতে হবে। সঠিক সময়ে সেরা ছন্দ খুঁজে পাওয়া—এটাই ঘটেছিল আমাদের ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলোর কেমন সম্ভাবনা?
রমিজ: আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার কোনো দল ট্রফি পাবে। আমার তো মনে হয়, বিপিএলে যা দেখেছি বাংলাদেশেরও ভালো সম্ভাবনা আছে। অনেক সম্ভাবনা দেখেছি।
প্রশ্ন: আসলেই?
রমিজ: হান্ড্রেড পার্সেন্ট। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী হয়েছিল, মনে নেই? এখন নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যে কোনো দল দৈত্য বধ করতে পারে। যে কোনো দল চমকে দিতে পারে। সবারই সুযোগ থাকছে। কাজেই বাংলাদেশকেও গোনার বাইরে রাখা যাবে না। এ কারণে আমি মনে করি ভারত, পাকিস্তান এমনকি বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা আছে অন্তত সেমিফাইনালে ওঠার। তারপর দেখতে হবে সেখান থেকে কী করে।
প্রশ্ন: পিসিবির সভাপতি হওয়ার পর বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলীও প্রশংসিত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে। আপনার কি মনে হয়, কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এলে বেশি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব?
রমিজ: শীর্ষ অবস্থানে ক্রিকেটাররা এলে তাদের অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে। যদি দীর্ঘ সময় খেলে থাকেন আপনি জানবেন, এখানে কী ঘটে। তখন এটা চালানোও অনেক সহজ হয়। খেলাটা আপনি নিষ্ঠার সঙ্গে দেখেন। খেলাটার জন্য আপনার একটা মন থাকতে হবে, স্পন্দন থাকতে হবে। কোনো খেলোয়াড়ের এটা আছে, কোনো খেলোয়াড়ের আবার নেই।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অনেক দর্শক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। এই প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিবও পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি বিসিবি সভাপতি হতে চান। আপনার কি মনে হয় মাশরাফি বা সাকিবের মতো বড় মাপের ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনে এলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে?
রমিজ: সৌরভ আর আমি বোধহয় দরজাটা খুলে দিয়েছি পরের প্রজন্মের জন্য। যদি তারা খেলাটার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আসে, সেটা দারুণ হবে। ক্রিকেটাররা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্তগুলো অধিক যৌক্তিক হয়ে থাকে। কারণ, আপনি এটার মধ্যে দিয়ে লম্বা সময় ধরে গেছেন। ক্রিকেটার হিসেবে ভালো বুঝবেন ক্রিকেটে কোনটা কাজ করবে, কোনটা করবে না। ক্রিকেটার প্রশাসনে এলে এই একটা সুবিধা। সাকিব-মাশরাফি লম্বা সময় ক্রিকেট খেলছে। এখন দুজনই সংসদ সদস্য। এটা দারুণ ব্যাপার। এখন আপনি যদি রাজনীতিবিদ হতে পারেন, তবে ক্রিকেট প্রশাসক কেন নয়?
প্রশ্ন: সমালোচনা-বিতর্ক পিছু ছাড়ে না বিপিএলকে। গত কিছুদিনে যা দেখেছেন সে আলোকে আপনি কিছু ইতিবাচক দিক বলুন।
রমিজ রাজা: দেখলাম এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। মানুষজনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে বিপিএলের দিকে, এটা দারুণ। অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় দেখেছি। তাওহীদের (হৃদয়) ইনিংস, যেভাবে তামিম ইকবাল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ভালো ফাস্ট বোলিং, বাঁহাতি স্পিনের মানও ভালো। অনেক ইতিবাচক দিক আছে। যদি টুর্নামেন্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় আর এই প্রচেষ্টা ধরে রাখেন, বিপিএল বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু দিতে পারবে।
প্রশ্ন: বিশ্বে এখন অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। বিপিএলকে স্লট ভাগাভাগি করতে হচ্ছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিপিএলের কী করা উচিত?
রমিজ: শুধু নিজেদের প্রতিভার ওপর মনোযোগ রাখা। লিগগুলো তৈরিই হয়েছে স্থানীয় প্রতিভার কারণে। আইপিএল যে ভিউয়ারশিপ, সে তো ভারতীয় ট্যালেন্টের কারণে। পিএসএলে যে ভিউয়ারশিপ, সেটা পাকিস্তানি ট্যালেন্টের কারণে। বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আন্তর্জাতিক লিগ করতে তাদের গুরুত্ব আছে। আবার তাদের ছাড়া হবেই না, বিষয়টি তাও না। সেদিন পিএসএলে মুলতান সুলতান মাত্র দুজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলেছে। তারা চেয়েছিল বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দিতে। লাহোর কালান্দার্সকে তারা হারিয়েছে, যাদের কিনা বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। এখানে আইডিয়াটা হচ্ছে, প্রমোট ইয়োর ইয়ুথ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে যেন সঠিক ট্যালেন্ট বেরিয়ে আসে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সম্প্রতি বলেছেন, বিপিএলে ক্লাস প্লেয়ারের ঘাটতি আছে। আর খেলোয়াড়দের এক লিগ থেকে আরেক লিগে দৌড়াদৌড়িকে তাঁর চোখে সার্কাস। আপনার কী মত এখানে?
রমিজ: আমার মনে হয় এটা বন্ধ হওয়া উচিত (এক লিগ থেকে আরেক লিগে খেলতে চলে যাওয়া) এখানে আনুগত্যের বিষয়টি চলে আসে, তাই না? এটা ছন্দ আর দলের সমন্বয় নষ্ট করে। কেউ এটা চাইবে না। যদি খেলার প্রতিশ্রুতি থাকে, যেমন ধরুন, আমি এখানে এসেছি বিপিএলকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ায়। এরপর পিএসএলে পুরো টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্য দেওয়ারও প্রস্তাব পেলাম। আমি বললাম, না। আমি আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে গেছি। খেলোয়াড়দেরও একইভাবে চিন্তা করা উচিত।
প্রশ্ন: বিপিএলের বাইরের প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ যখন ঘরের মাঠে খেলে, বেশিরভাগ সময়ে স্পিনিং উইকেটের সুবিধা নেয়। উপমহাদেশের বাকি দলগুলোও কম-বেশি নেয়। স্পিনিং উইকেট তৈরি করলেই অনেক সমালোচনা হয়। অথচ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে সিমিং উইকেট নিয়ে খুব বেশি সমালোচনা হয় না। এখানে বিসিবি বা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে একটা যুক্তি তৈরি থাকে, কোন দেশ হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেয় না! এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?
রমিজ: নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে হারাচ্ছে, এটা দারুণ অর্জন। ভারতীয় দল কী করে ভারতে? এখানে যে বিষয়টি দেখা উচিত, আমরা যেভাবেই হোক জিতব—এটা উপভোগ কিংবা আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ঘরের মাঠে নিজেদের রেকর্ড নিয়ে বাংলাদেশের গর্ব করা উচিত। তার মানে অর্ধেক কাজ আপনি ঠিকঠাক করেছেন। পাকিস্তানও পারে না যখন তারা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় খেলে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জয়ের ধারাটা ধরে রাখা। যখন বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে খেলবে, এই ধারাটা ধরে রাখতে হবে। সে উইকেট স্পিনিং, সবুজ কিংবা যেটাই হোক। দিনশেষে আপনার দর্শক আপনাকে চ্যাম্পিয়ন, জয়ী হিসেবে দেখতে চায়।
প্রশ্ন: এশিয়ার দলগুলো লম্বা সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারছে না। অথচ বিশ্বের দুটি জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এ অঞ্চলেরই। ভারতের আইপিএল আছে, অথচ তারা ২০০৭-এর পর আর এই ট্রফিটা নিতে পারল না। এর ব্যাখ্যা কী?
রমিজ: আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা ভিন্ন বল-গেম। আপনাকে ভাগ্যের ছোঁয়া পেতে হবে, সঠিক সময়ে সেরা ছন্দে থাকতে হবে। আমার সারা জীবনের আফসোস থাকবে, অস্ট্রেলিয়ায় আমরা ফাইনালে উঠেছি (২০২২) অথচ জিততে পারিনি। এশিয়া কাপের ফাইনালে (২০২২) উঠলাম, জিততে পারিনি। এখানে আসলে অনেক কিছু জড়িত। আমরা যখন ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতি, আমাদের সেমিফাইনালে উঠতে কাউকে না কাউকে হারতে হতো। আপনাকে লাকিও হতে হবে। সঠিক সময়ে সেরা ছন্দ খুঁজে পাওয়া—এটাই ঘটেছিল আমাদের ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলোর কেমন সম্ভাবনা?
রমিজ: আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার কোনো দল ট্রফি পাবে। আমার তো মনে হয়, বিপিএলে যা দেখেছি বাংলাদেশেরও ভালো সম্ভাবনা আছে। অনেক সম্ভাবনা দেখেছি।
প্রশ্ন: আসলেই?
রমিজ: হান্ড্রেড পার্সেন্ট। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী হয়েছিল, মনে নেই? এখন নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যে কোনো দল দৈত্য বধ করতে পারে। যে কোনো দল চমকে দিতে পারে। সবারই সুযোগ থাকছে। কাজেই বাংলাদেশকেও গোনার বাইরে রাখা যাবে না। এ কারণে আমি মনে করি ভারত, পাকিস্তান এমনকি বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা আছে অন্তত সেমিফাইনালে ওঠার। তারপর দেখতে হবে সেখান থেকে কী করে।
প্রশ্ন: পিসিবির সভাপতি হওয়ার পর বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলীও প্রশংসিত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে। আপনার কি মনে হয়, কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এলে বেশি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব?
রমিজ: শীর্ষ অবস্থানে ক্রিকেটাররা এলে তাদের অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে। যদি দীর্ঘ সময় খেলে থাকেন আপনি জানবেন, এখানে কী ঘটে। তখন এটা চালানোও অনেক সহজ হয়। খেলাটা আপনি নিষ্ঠার সঙ্গে দেখেন। খেলাটার জন্য আপনার একটা মন থাকতে হবে, স্পন্দন থাকতে হবে। কোনো খেলোয়াড়ের এটা আছে, কোনো খেলোয়াড়ের আবার নেই।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অনেক দর্শক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। এই প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিবও পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি বিসিবি সভাপতি হতে চান। আপনার কি মনে হয় মাশরাফি বা সাকিবের মতো বড় মাপের ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনে এলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে?
রমিজ: সৌরভ আর আমি বোধহয় দরজাটা খুলে দিয়েছি পরের প্রজন্মের জন্য। যদি তারা খেলাটার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আসে, সেটা দারুণ হবে। ক্রিকেটাররা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্তগুলো অধিক যৌক্তিক হয়ে থাকে। কারণ, আপনি এটার মধ্যে দিয়ে লম্বা সময় ধরে গেছেন। ক্রিকেটার হিসেবে ভালো বুঝবেন ক্রিকেটে কোনটা কাজ করবে, কোনটা করবে না। ক্রিকেটার প্রশাসনে এলে এই একটা সুবিধা। সাকিব-মাশরাফি লম্বা সময় ক্রিকেট খেলছে। এখন দুজনই সংসদ সদস্য। এটা দারুণ ব্যাপার। এখন আপনি যদি রাজনীতিবিদ হতে পারেন, তবে ক্রিকেট প্রশাসক কেন নয়?
বাংলাদেশ ম্যাচ শুরুর দুই ঘণ্টা আগেও একাদশ প্রকাশের ‘সাহস’ দেখায় না। তবে এখন বেশির ভাগ টেস্ট দল খেলা শুরুর একদিন আগেই টেস্ট একাদশ জানিয়ে দেয়। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ জানিয়ে দিয়েছে কাল অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে একাদশটা কেমন হবে।
৬ ঘণ্টা আগেঅ্যাশেজ শুরুর আগে সিরিজের ফলাফল নিয়ে বরাবরই পূর্বানুমান করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকারা। সেই অভ্যাসের বশেই কিনা আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ টেস্টের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি নিয়ে রিকি পন্টিং বলে বসলেন—অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জিতবে ৩-১ ব্যবধানে।
৮ ঘণ্টা আগেবিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী—চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান যা শুরু করেছে, তাতে এই কথাটা মনে পড়া স্বাভাবিক। কারণ দুই পক্ষই যার যার সিদ্ধান্তে অনড়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা (আইসিসি)।
৯ ঘণ্টা আগেব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ হয়নি সাকিব আল হাসানের। তবে বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে ভেলকি দেখিয়েছেন তিনি। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও জেতাতে পারল না বাংলা টাইগার্সকে।
১০ ঘণ্টা আগে