নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ দু্ই ইনিংস (৪৫.২+৪৪.৪) মিলিয়ে ব্যাটিং করেছে ৮৯ ওভার। টেস্টের এক দিনে সাধারণত খেলা হয়ে থাকে ৯০ ওভার। এ হিসাবে পুরো একটা দিনও ব্যাটিং করতে ব্যর্থ স্বাগতিকেরা। ফল—ইনিংস ও ২৭৩ রানের হার বাংলাদেশের। যেটি প্রোটিয়াদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়।
টেস্টের তৃতীয় দিনেই ১৬ উইকেটের পতন এবং দুই দফায় বাংলাদেশ দলের অলআউট হওয়াটা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচের বোলিং-বন্ধুতারই কথা বলে। কিন্তু এটা মোটেও বোলিং-বান্ধব ছিল না। প্রথম দিনের খেলা শেষেই সংবাদ সম্মেলনে পিচকে ব্যাটিং-বান্ধব আখ্যা দিয়েছিলেন কোচ ফিল সিমন্স। কোচ কেন ব্যাটিং পিচ বলেছেন, সেটি বোঝার জন্য ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু একবার প্রোটিয়া ইনিংসের দিকে চোখ বোলালেই বোঝা যায়—
একই উইকেটে যখন ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ, মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট পড়েছে। একটু ভুলই হলো, পড়েছে নয়, উইকেট দিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দল যখন ধুঁকছে, যখন মরু ক্যাকটাসের মতো মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে থাকার কথা, তখন উইকেট দিয়ে আসছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তরুণেরা তো বটেই, পরীক্ষিত ব্যাটারও একই ভুল করেছেন। শট নির্বাচনে বাংলাদেশ ব্যাটারদের সমস্যা বহু পুরোনো। কোন সমস্যাটা নতুন! শট খেলায় ভুল বল বাছাই, বলের গুরুত্ব বুঝে খেলতে না পারা, বল না দেখেই শট খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা—গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে শুনে আসছেন বিদগ্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার দুই যুগ পার হওয়ার পরও এসব শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা। তবে এসব সমস্যার সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে খেলোয়াড়দের মানসিকতা আর স্কিলের সমস্যা। গত ভারত সফরে একেক দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে কখনো অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, কখনোবা মেহেদী হাসান মিরাজ দলীয় খেলোয়াড়দের মানসিকতা এবং স্কিলে সমস্যার কথা শুনিয়েছেন। গতকালও একই কথা শোনালেন শান্ত। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘মানসিকতা ও স্কিলে সমস্যা আমাদের, দুটোতেই আমাদের উন্নতি করতে হবে।’ সেখানে শান্ত আরও বলেছেন, ‘আমাদের অনেক কিছুতেই উন্নতি করতে হবে।’ মানসিকতা ও স্কিল—সেই ‘অনেক কিছু’র মধ্যেই পড়ছে। আর যা বলেননি, সেগুলো আপনি নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারেন। উইকেটে এসেই ধৈর্য ধরা, ‘খেলবই’ সিদ্ধান্ত নিয়ে শট না নিয়ে বলের মেরিট বুঝে খেলা, অফ কিংবা লেগ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া না করে খেলার প্রবণতায় লাগাম টানা—এত দিন পরও কি ব্যাটারদের বলে দিতে হবে!
আগের দিন ওপেনার জাকির হাসান রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাকফুট পাঞ্চ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন। আর দ্বিতীয় দিন তিনি যেটা করলেন, টেস্ট ক্রিকেটের ‘বেসিক’ বিবেচনায় সেটা অমার্জনীয় অপরাধ। চায়ের বিরতিতে যাওয়ার আগে শেষ বল। রেনেসানু মুথুসামিকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড। বলের লেংন্থ না বুঝেই ‘প্রিডিটারমাইন্ড’ শট খেলতে গিয়ে আত্মহনন! ক্রিকইনফোর বল বাই বল ধারাভাষ্যে লেখা হয়েছে, ‘সকালে এক সাক্ষাৎকারে ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প বলেছিলেন, বাংলাদেশের ব্যাটারদের আরও কৌশলী হতে হবে। কেন বলেছেন, এটা তার একটা নমুনা।’
শুধু জাকিরের কথাই বলা হলো এখানে, ম্যাচ সচেতনতার মানদণ্ডে কমবেশি সব ব্যাটারকেই দাঁড় করানো যায় সমালোচনার কাঠগড়ায়। প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে পাকিস্তানে সিরিজ কীভাবে জিতেছে দল? ব্যাটারদের ব্যর্থতা সেই সিরিজেও ছিল, যোগ হয়েছিল পাকিস্তান দলের ব্যর্থতাও। এবার প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার উৎকর্ষতার বিপরীতে স্বাগতিকদের ব্যর্থতা আর ব্যর্থতা। ফল তো এমন বিব্রতকর হবেই।
বাংলাদেশ দু্ই ইনিংস (৪৫.২+৪৪.৪) মিলিয়ে ব্যাটিং করেছে ৮৯ ওভার। টেস্টের এক দিনে সাধারণত খেলা হয়ে থাকে ৯০ ওভার। এ হিসাবে পুরো একটা দিনও ব্যাটিং করতে ব্যর্থ স্বাগতিকেরা। ফল—ইনিংস ও ২৭৩ রানের হার বাংলাদেশের। যেটি প্রোটিয়াদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়।
টেস্টের তৃতীয় দিনেই ১৬ উইকেটের পতন এবং দুই দফায় বাংলাদেশ দলের অলআউট হওয়াটা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচের বোলিং-বন্ধুতারই কথা বলে। কিন্তু এটা মোটেও বোলিং-বান্ধব ছিল না। প্রথম দিনের খেলা শেষেই সংবাদ সম্মেলনে পিচকে ব্যাটিং-বান্ধব আখ্যা দিয়েছিলেন কোচ ফিল সিমন্স। কোচ কেন ব্যাটিং পিচ বলেছেন, সেটি বোঝার জন্য ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু একবার প্রোটিয়া ইনিংসের দিকে চোখ বোলালেই বোঝা যায়—
একই উইকেটে যখন ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ, মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট পড়েছে। একটু ভুলই হলো, পড়েছে নয়, উইকেট দিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দল যখন ধুঁকছে, যখন মরু ক্যাকটাসের মতো মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে থাকার কথা, তখন উইকেট দিয়ে আসছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তরুণেরা তো বটেই, পরীক্ষিত ব্যাটারও একই ভুল করেছেন। শট নির্বাচনে বাংলাদেশ ব্যাটারদের সমস্যা বহু পুরোনো। কোন সমস্যাটা নতুন! শট খেলায় ভুল বল বাছাই, বলের গুরুত্ব বুঝে খেলতে না পারা, বল না দেখেই শট খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা—গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে শুনে আসছেন বিদগ্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার দুই যুগ পার হওয়ার পরও এসব শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা। তবে এসব সমস্যার সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে খেলোয়াড়দের মানসিকতা আর স্কিলের সমস্যা। গত ভারত সফরে একেক দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে কখনো অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, কখনোবা মেহেদী হাসান মিরাজ দলীয় খেলোয়াড়দের মানসিকতা এবং স্কিলে সমস্যার কথা শুনিয়েছেন। গতকালও একই কথা শোনালেন শান্ত। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘মানসিকতা ও স্কিলে সমস্যা আমাদের, দুটোতেই আমাদের উন্নতি করতে হবে।’ সেখানে শান্ত আরও বলেছেন, ‘আমাদের অনেক কিছুতেই উন্নতি করতে হবে।’ মানসিকতা ও স্কিল—সেই ‘অনেক কিছু’র মধ্যেই পড়ছে। আর যা বলেননি, সেগুলো আপনি নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারেন। উইকেটে এসেই ধৈর্য ধরা, ‘খেলবই’ সিদ্ধান্ত নিয়ে শট না নিয়ে বলের মেরিট বুঝে খেলা, অফ কিংবা লেগ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া না করে খেলার প্রবণতায় লাগাম টানা—এত দিন পরও কি ব্যাটারদের বলে দিতে হবে!
আগের দিন ওপেনার জাকির হাসান রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাকফুট পাঞ্চ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন। আর দ্বিতীয় দিন তিনি যেটা করলেন, টেস্ট ক্রিকেটের ‘বেসিক’ বিবেচনায় সেটা অমার্জনীয় অপরাধ। চায়ের বিরতিতে যাওয়ার আগে শেষ বল। রেনেসানু মুথুসামিকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড। বলের লেংন্থ না বুঝেই ‘প্রিডিটারমাইন্ড’ শট খেলতে গিয়ে আত্মহনন! ক্রিকইনফোর বল বাই বল ধারাভাষ্যে লেখা হয়েছে, ‘সকালে এক সাক্ষাৎকারে ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প বলেছিলেন, বাংলাদেশের ব্যাটারদের আরও কৌশলী হতে হবে। কেন বলেছেন, এটা তার একটা নমুনা।’
শুধু জাকিরের কথাই বলা হলো এখানে, ম্যাচ সচেতনতার মানদণ্ডে কমবেশি সব ব্যাটারকেই দাঁড় করানো যায় সমালোচনার কাঠগড়ায়। প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে পাকিস্তানে সিরিজ কীভাবে জিতেছে দল? ব্যাটারদের ব্যর্থতা সেই সিরিজেও ছিল, যোগ হয়েছিল পাকিস্তান দলের ব্যর্থতাও। এবার প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার উৎকর্ষতার বিপরীতে স্বাগতিকদের ব্যর্থতা আর ব্যর্থতা। ফল তো এমন বিব্রতকর হবেই।
জসপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামি ও হার্দিক পান্ডিয়াকে রেখেই আজ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছে ভারত। এই তিন ক্রিকেটার একই সঙ্গে ভারতীয় ওয়ানডে দলে সবশেষ খেলেছিলেন ঘরের মাঠে ২০২৩ বিশ্বকাপে।
১ ঘণ্টা আগেঅনেক দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে জামাল ভূঁইয়া। প্রিমিয়ার লিগে পাননি কোনো দলও। শেষ পর্যন্ত ডেনমার্কেই ফিরে যান। সেখানে লম্বা সময় ছুটির আমেজে থাকলেও অনুশীলন ছাড়েননি জামাল, ‘এত দিন আমি ডেনমার্কে ছিলাম, ওখানে স্থানীয় পর্যায়ে খেলেছি ক্লাবে অনুশীলন করেছি।’
১ ঘণ্টা আগেনেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ শুরু পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নেপালের বিপক্ষে ব্যাটিংটা ততটা ভালো না হলেও বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে অসাধারণ ছিল বাংলাদেশ। টস জিতে নেপালকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার।
১ ঘণ্টা আগেওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কিংসটাউনে সিরিজের দ্বিতীয় টোয়েন্টিতে চোটে পড়েন সৌম্য সরকার। ফিল্ডিং করার সময় ডান তর্জনী কেটে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন, লেগেছিল পাঁচটি সেলাইও। চার সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে, তখনই বিসিবির চিকিৎসা বিভাগ জানিয়েছিল। সৌম্য এখন সুস্থতার দিকে। চলছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।
৪ ঘণ্টা আগে