২০২৪ এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রাপ্তির তালিকা করলে সবার আগে আসবে জিসান আলমের নাম। ২০২৩ যুব এশিয়া কাপজয়ী দলের এই ওপেনার এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচেই ঝোড়ো সেঞ্চুরি করে আলোচনায় আসেন। ৭ ইনিংসে ৪০.১৪ গড়ে ১৫৮.৭৬ গড়ে ২৮১ রান করে হয়েছেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ১৯ বছর বয়সী ওপেনার রাঙাতে চান আসন্ন বিপিএলেও। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ
প্রশ্ন: আপনার বাবা জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার, চাচা জুয়েল হাসান মনা আর সোহেল হোসেন পাপ্পু খেলেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। ক্রিকেটিং পরিবারে বেড়ে ওঠায় কি আপনার ক্রিকেটার হওয়াটা অনিবার্যই ছিল?
জিসান আলম: আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় ক্রিকেটে হাতেখড়ি। নারায়ণগঞ্জ ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হয়েছিলাম। ছোটবেলা থেকেই বাবা ও চাচাদের ক্রিকেট খেলতে দেখেছি। তাঁদের দেখেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে দেশের হয়ে ভালো ইনিংস খেলা।
প্রশ্ন: নিশ্চয়ই বাবাই আপনার প্রথম কোচ?
জিসান: বলতে গেলে বাবাই আমার প্রথম কোচ। ছোটবেলায় তিনিই আমাকে ব্যাট ধরা এবং বিভিন্ন শট খেলার কৌশল রপ্ত করা শিখিয়েছেন। যখন একটু বড় হলাম, তখন তিনি আমার ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, এমনকি ফিটনেসের প্রতিও নজর রেখেছেন। এখন যদিও বাবার সঙ্গে সরাসরি কাজ করি না, বিসিবির এইচপিতে (হাই পারফরম্যান্স) আছি। তবে তিনি সব সময় আমার খোঁজখবর নেন।
প্রশ্ন: এনসিএল টি-টোয়েন্টি শেষ। সপ্তাহখানেক পরই বিপিএল। বিপিএলের প্রস্তুতির খবর কী?
জিসান: প্রস্তুতি শুরু করব দুই-তিন দিন পর। টানা খেলার মধ্যে ছিলাম, মাত্রই একটা ছোট বিরতি পেয়েছি। বিপিএল আরেকটা টানা খেলার সূচি, তাই নিজের মতো কয়েকটা দিন সময় কাটানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি, ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্রস্তুতি শুরু করব।
প্রশ্ন: আপনি খুব আক্রমণাত্মক খেলেন। ছোটবেলা থেকেই কি আপনার খেলার ধরন এমন?
জিসান: হ্যাঁ, ছোটবেলা থেকেই আমি আক্রমণাত্মক খেলি। স্ট্রোক খেলতে বরাবরই পছন্দ করি। আর মেরে খেলাটা আমাকে অন্য রকম আনন্দ দেয়। চেষ্টা করি যখন যে সংস্করণে খেলি, ওটার ধাঁচ বুঝে খেলতে।
প্রশ্ন: এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে আপনার দল সিলেট শেষ চার উঠতে পারেনি, কিন্তু আপনি দারুণ খেলেছেন। শীর্ষ দুই রান সংগ্রাহকের একজন। দল ভালো করতে না পারায় কি আফসোস হচ্ছে মনে?
জিসান: সিলেটের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছি আর আমি আমার মতো ব্যাট করার চেষ্টা করেছি। লক্ষ্য ছিল ভালো ইনিংস খেলা। কারণ, এমন লিগে খেলার সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায় না। সংস্করণের মেজাজ বুঝে খেলার চেষ্টা করেছি। আমার শুরুটা ভালো হয়েছে, খুশি। তবে আরও খুশি হতাম যদি নিজের দলকে কোয়ালিফায়ারে তুলতে পারতাম। কিছুটা আক্ষেপ তো থেকেই গেছে।
প্রশ্ন: শুনেছি আপনার আইডল রোহিত শর্মা। ব্যাটিংয়ে কি তাঁকে অনুসরণ করেই পাওয়ার হিটিং বা বেশি বেশি ছক্কা মারার চেষ্টা করেন?
জিসান: আসলে ছক্কা বলে-কয়ে মারা যায় না। তবে পাওয়ার হিটিং নিয়ে নিয়মিত কাজ করি। প্রস্তুতির সময় যেভাবে ব্যাটিং করি, ম্যাচেও ঠিক একইভাবে ব্যাটিং করার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শট পুল। পুল শটে ছক্কা মারতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। সব সময় বোলারের ওপর চড়াও হতে চাই, বোলারকে জায়গা (রুম) দিই না। যখন বোলারকে আক্রমণ করি, দেখি বোলাররা আমার মার খেয়ে ঘাবড়ে যায়, তখন মনে হয় এটাই আমার শক্তির জায়গা। এ কারণে মেরে খেলতে পছন্দ করি। যদি এই খেলা ধরে রাখতে পারি, তাহলে যেকোনো বোলারের বল খেলতে পারব স্বাচ্ছন্দ্যে।
প্রশ্ন: পেশাদার ক্রিকেটে আপনার সবে শুরু। ছোট্ট এ ক্যারিয়ারে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন আর ভালো সময় কোনটি?
জিসান: যখন অনূর্ধ্ব-১৫ দলে খেলার সুযোগ পেতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন বাদ পড়েছিলাম। এক বছর সুযোগ পাইনি। ওই সময়টা আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। এর পর থেকেই কঠোর অনুশীলন শুরু করি। বাবা সব সময় কঠোর পরিশ্রম করার পরামর্শ দেন। বিসিবির কোচদের অধীনে ব্যাটিংয়ে নিজের শক্তির জায়গাগুলো উন্নত করার চেষ্টা করেছি। সত্যি বলতে, কঠোর পরিশ্রম ছাড়া নিজের জায়গা ধরে রাখা অসম্ভব। ক্রিকেটে এখন প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, শর্টকাটে উন্নতির কোনো সুযোগ নেই। এ পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মুহূর্ত এবার এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করা আর ৭৩ রানের ইনিংস খেলা। দুটি ইনিংসই আমাকে অনেক তৃপ্তি দিয়েছে।
প্রশ্ন: আপনার বাবা জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার, চাচা জুয়েল হাসান মনা আর সোহেল হোসেন পাপ্পু খেলেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। ক্রিকেটিং পরিবারে বেড়ে ওঠায় কি আপনার ক্রিকেটার হওয়াটা অনিবার্যই ছিল?
জিসান আলম: আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় ক্রিকেটে হাতেখড়ি। নারায়ণগঞ্জ ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হয়েছিলাম। ছোটবেলা থেকেই বাবা ও চাচাদের ক্রিকেট খেলতে দেখেছি। তাঁদের দেখেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে দেশের হয়ে ভালো ইনিংস খেলা।
প্রশ্ন: নিশ্চয়ই বাবাই আপনার প্রথম কোচ?
জিসান: বলতে গেলে বাবাই আমার প্রথম কোচ। ছোটবেলায় তিনিই আমাকে ব্যাট ধরা এবং বিভিন্ন শট খেলার কৌশল রপ্ত করা শিখিয়েছেন। যখন একটু বড় হলাম, তখন তিনি আমার ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, এমনকি ফিটনেসের প্রতিও নজর রেখেছেন। এখন যদিও বাবার সঙ্গে সরাসরি কাজ করি না, বিসিবির এইচপিতে (হাই পারফরম্যান্স) আছি। তবে তিনি সব সময় আমার খোঁজখবর নেন।
প্রশ্ন: এনসিএল টি-টোয়েন্টি শেষ। সপ্তাহখানেক পরই বিপিএল। বিপিএলের প্রস্তুতির খবর কী?
জিসান: প্রস্তুতি শুরু করব দুই-তিন দিন পর। টানা খেলার মধ্যে ছিলাম, মাত্রই একটা ছোট বিরতি পেয়েছি। বিপিএল আরেকটা টানা খেলার সূচি, তাই নিজের মতো কয়েকটা দিন সময় কাটানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি, ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্রস্তুতি শুরু করব।
প্রশ্ন: আপনি খুব আক্রমণাত্মক খেলেন। ছোটবেলা থেকেই কি আপনার খেলার ধরন এমন?
জিসান: হ্যাঁ, ছোটবেলা থেকেই আমি আক্রমণাত্মক খেলি। স্ট্রোক খেলতে বরাবরই পছন্দ করি। আর মেরে খেলাটা আমাকে অন্য রকম আনন্দ দেয়। চেষ্টা করি যখন যে সংস্করণে খেলি, ওটার ধাঁচ বুঝে খেলতে।
প্রশ্ন: এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে আপনার দল সিলেট শেষ চার উঠতে পারেনি, কিন্তু আপনি দারুণ খেলেছেন। শীর্ষ দুই রান সংগ্রাহকের একজন। দল ভালো করতে না পারায় কি আফসোস হচ্ছে মনে?
জিসান: সিলেটের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছি আর আমি আমার মতো ব্যাট করার চেষ্টা করেছি। লক্ষ্য ছিল ভালো ইনিংস খেলা। কারণ, এমন লিগে খেলার সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায় না। সংস্করণের মেজাজ বুঝে খেলার চেষ্টা করেছি। আমার শুরুটা ভালো হয়েছে, খুশি। তবে আরও খুশি হতাম যদি নিজের দলকে কোয়ালিফায়ারে তুলতে পারতাম। কিছুটা আক্ষেপ তো থেকেই গেছে।
প্রশ্ন: শুনেছি আপনার আইডল রোহিত শর্মা। ব্যাটিংয়ে কি তাঁকে অনুসরণ করেই পাওয়ার হিটিং বা বেশি বেশি ছক্কা মারার চেষ্টা করেন?
জিসান: আসলে ছক্কা বলে-কয়ে মারা যায় না। তবে পাওয়ার হিটিং নিয়ে নিয়মিত কাজ করি। প্রস্তুতির সময় যেভাবে ব্যাটিং করি, ম্যাচেও ঠিক একইভাবে ব্যাটিং করার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শট পুল। পুল শটে ছক্কা মারতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। সব সময় বোলারের ওপর চড়াও হতে চাই, বোলারকে জায়গা (রুম) দিই না। যখন বোলারকে আক্রমণ করি, দেখি বোলাররা আমার মার খেয়ে ঘাবড়ে যায়, তখন মনে হয় এটাই আমার শক্তির জায়গা। এ কারণে মেরে খেলতে পছন্দ করি। যদি এই খেলা ধরে রাখতে পারি, তাহলে যেকোনো বোলারের বল খেলতে পারব স্বাচ্ছন্দ্যে।
প্রশ্ন: পেশাদার ক্রিকেটে আপনার সবে শুরু। ছোট্ট এ ক্যারিয়ারে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন আর ভালো সময় কোনটি?
জিসান: যখন অনূর্ধ্ব-১৫ দলে খেলার সুযোগ পেতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন বাদ পড়েছিলাম। এক বছর সুযোগ পাইনি। ওই সময়টা আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। এর পর থেকেই কঠোর অনুশীলন শুরু করি। বাবা সব সময় কঠোর পরিশ্রম করার পরামর্শ দেন। বিসিবির কোচদের অধীনে ব্যাটিংয়ে নিজের শক্তির জায়গাগুলো উন্নত করার চেষ্টা করেছি। সত্যি বলতে, কঠোর পরিশ্রম ছাড়া নিজের জায়গা ধরে রাখা অসম্ভব। ক্রিকেটে এখন প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, শর্টকাটে উন্নতির কোনো সুযোগ নেই। এ পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মুহূর্ত এবার এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করা আর ৭৩ রানের ইনিংস খেলা। দুটি ইনিংসই আমাকে অনেক তৃপ্তি দিয়েছে।
আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে খেলোয়াড়দের শাস্তির ঘটনা নতুন কিছু নয়। অনেক সময় জড়িয়ে যান তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও। কোটি টাকা আত্মসাতের এক মামলায় এবার ফেঁসে গেলেন ভারতের এক ক্রিকেটারের বাবা।
২১ মিনিট আগেদক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা আব্দুল্লাহ শফিকের জন্য ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। তিন ওয়ানডেতে শূন্য রানে আউট হয়ে নাম লিখিয়েছেন বিব্রতকর রেকর্ডে। পাকিস্তানের ‘ডাকের রাজা’কে এবার একাদশ থেকেই বাদ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ‘এ’ গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অভিযান শুরু হবে। ৪ ও ৫ মার্চ হবে দুই সেমিফাইনাল। ভারত সেমিফাইনালে উঠলে দুবাইয়ে খেলবে ৪ মার্চ।
২ ঘণ্টা আগেসীমিত ওভারের ক্রিকেটে এরই মধ্যে নামডাক কুড়িয়েছেন মোহাম্মদ গজনফার। তাঁর বোলিংয়ে চোখে রীতিমতো সর্ষে ফুল দেখেন ব্যাটাররা। এবার তাঁর অভিষেক হতে পারে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণ টেস্টেও।
৪ ঘণ্টা আগে