Ajker Patrika

তানজিদ তামিমের পর রিশাদের ঝড়, সিরিজ জয় বাংলাদেশের 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯: ২১
তানজিদ তামিমের পর রিশাদের ঝড়, সিরিজ জয় বাংলাদেশের 

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশের সিরিজ জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন রিশাদ হোসেন। দেখার অপেক্ষা ছিল ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটির কীর্তিটা গড়তে পারেন কি না। শেষ পর্যন্ত রিশাদ ফিফটি পাননি ঠিকই। তবে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে হারায় লঙ্কানদের। তাতে দ্বিতীয়বারের মতো লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়ল বাংলাদেশ।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে তানজিদ হাসান তামিমের নাম আজ ছিল না বাংলাদেশের একাদশে। তবে ফিল্ডিংয়ে সৌম্য সরকার চোটে পড়ায় আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী কনকাশন বদলি হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামেন তানজিদ তামিম। ওপেনিংয়ে নেমে সুযোগটা বেশ দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন জুনিয়র তামিম। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন এই ম্যাচেই। এটাই মূলত বাংলাদেশের জয়ের ভিত্তি অনেকটা গড়ে দেয়। স্বাগতিকদের জয় নিয়ে যা একটু ‘যদি-কিন্তু’, তাও দূর হয়ে যায় রিশাদের ১৮ বলে ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংসে। ৯ চারের পাশাপাশি মেরেছেন ৫ ছক্কা। বাংলাদেশ ৫৯ বল হাতে রেখে পায় ৪ উইকেটের জয়।    

 লিটন দাস বাদ পড়ায় তৃতীয় ওয়ানডের একাদশে সুযোগ পান এনামুল হক বিজয়। ২৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিজয়ের সঙ্গে ৫০ বলে ৫০ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন তানজিদ তামিম। জুনিয়র তামিম একপ্রান্তে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও রয়েসয়ে খেলতে থাকেন বিজয়। এই বিজয়কে ফিরিয়েই উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন লাহিরু কুমারা। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে লাহিরুর আউটসাইড অফ বলটি ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন বিজয়। কিন্তু মিসটাইমিং হওয়া বলটি  এক্সট্রা কাভারে লাফ দিয়ে তালুবন্দী করেন আভিষ্কা ফার্নান্দো। ২২ বলে ১ চারে বিজয় করেন ১২ রান।

বিজয়ের বিদায়ের পর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে শান্ত ৫ বল খেলে মাত্র ১ রান করেন।  ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাংলাদেশ অধিনায়ক খোচা দিতে যান সৌম্য। এজ হওয়া বল লঙ্কান উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিস সহজেই তালুবন্দী করেন। বিজয়-শান্তর দ্রুত  বিদায়ে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১০.২ ওভারে ২ উইকেটে ৫৬ রান।

দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন তাওহীদ হৃদয়। তৃতীয় উইকেটে হৃদয়ের সঙ্গে তানজিদ তামিমের জুটিটা বেশ জমে ওঠে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দুই ক্রিকেটার ৬৮ বলে করেন ৪৯ রান। হৃদয়কে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন লাহিরু। হৃদয় ৩৬ বলে করেন ২২ রান।  এরপর পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও দ্রুত ফেরান কুমারা। মাহমুদউল্লাহ ৪ বলে করেন ১ রান।

 সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মধ্যে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকা তানজিদ তামিম তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। এটাই একসময় দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছিল। তবে তা আর সম্ভব হয়নি। ২৬তম ওভারের পঞ্চম বলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে তুলে মারতে যান তানজিদ তামিম। লং অনে সহজ ক্যাচ ধরেছেন চারিথ আসালাঙ্কা। ৮১ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৮৪ রান।

 হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, তানজিদ তামিম—দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ২৫.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩০ রান। এরপর সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ছয় নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম ও মিরাজের জুটি বেশ সাবলীলভাবেই এগোতে থাকে। ষষ্ঠ উইকেটে ৬২ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়েন মুশফিক ও মিরাজ। ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে মিরাজকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হাসারাঙ্গা। তাতে মিরাজের দায়টা একটু বেশিই। যেখানে একটা শর্ট পিচ বল পেয়েছেন মিরাজ আর সেটা পুল করতে গিয়ে তুলে দিয়েছেন ডিপ স্কয়ার লেগে দাড়িয়ে থাকা প্রমোদ মাদুশানের হাতে। তখন বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৩৬.১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান। এরপর আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই ছক্কা মারেন রিশাদ।  একই ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে চার ও ছক্কা মারেন রিশাদ।

হাসারাঙ্গা এরপর যখন ৪০ ওভারে বোলিংয়ে আসেন, তখন রিশাদের কাছে আরও ধোলাই খেয়েছেন। ওভারের প্রথম পাঁচ বলে দুই ছক্কা ও তিন চারে ২৪ রান করে ফেলেন রিশাদ। তখন জয়ের জন্য বাংলাদেশের সমীকরণ দাঁড়ায় ৬১ বলে ৩ রান। এরপর ৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মাহিশ তিকশানার বল ডিফেন্স করতে যান মুশফিক। আউটসাইড এজ হওয়া বল চার হয়ে গেলে সিরিজ নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ম্যাচসেরা হয়েছেন রিশাদ। ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংসের পাশাপাশি বোলিংযে নেন ১ উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে অলআউট হয়েছে লঙ্কানরা। লঙ্কান ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন জানিথ লিয়ানাগে।১০২ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১১ চার ও ২ ছক্কা। লঙ্কান ব্যাটারের এটা ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সৌম্য ও রিশাদ নেন একটি করে উইকেট।

সিরিজসেরা হয়েছেন শান্ত। তিন ম্যাচে ৮১.৫ গড়ে করেন ১৬৩ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত