Ajker Patrika

২৩ বছরের অপেক্ষা ফুরোতে বাংলাদেশের দরকার ৩০ রান

আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ৪০
২৩ বছরের অপেক্ষা ফুরোতে বাংলাদেশের দরকার ৩০ রান

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে পাকিস্তানকে এর আগে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৮ ম্যাচ। বাকি ছিল শুধু টেস্ট। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে এবার সেই অপেক্ষা ফুরোনোর কাছাকাছি বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক জয় পেতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩০ রান।

২০০১ থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের মাঠে বাংলাদেশ খেলতেও শুরু করেছে তখন থেকে। সেখানেও বাংলাদেশের ভান্ডার শূন্য। সেই ‘এক ঢিলে দুই পাখি’ মারার লক্ষ্যেই যেন আজ পঞ্চম দিনে খেলতে নামে বাংলাদেশ। সফরকারীদের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তান অলআউট হয়েছে ১৪৬ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ ওভারে ১ উইকেটে ২৩ রানে আজ পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। খেলা শুরুর দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। ১২ তম ওভারের শেষ বলে হাসান মাহমুদকে কাট করতে যান পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ। উইকেটরক্ষক লিটন দাস ক্যাচ ধরে জোরালো আবেদন করলে আম্পায়ার প্রথমে সাড়া দেননি। শান্ত এরপর রিভিউ নিলে দেখা যায়, হালকা এজ হয়েছে। ৩৭ বলে ২ চারে ১৪ রানে আউট হয়েছেন মাসুদ।

২৮ রানে ২ উইকেট থেকে পাকিস্তান মুহূর্তেই ৩ উইকেটে ২৯ রানে পরিণত হতে পারত। ১৩ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শরীফুল ইসলামের বল ডিফেন্স করতে গেলে আউটসাইড এজ হয়। লিটন ডান দিকে ডাইভ দিয়েও সেটা তালুবন্দী করতে পারেননি। গোল্ডেন ডাকের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া বাবর আজম এরপর ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করতে থাকেন। যদিও তাঁর (বাবর) ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছেন নাহিদ রানা। ২৬ তম ওভারের তৃতীয় বলে নাহিদকে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে বোল্ড হন বাবর।

বাবর ফিরতে না ফিরতেই পাকিস্তানের ইনিংসে আঘাত হানেন সাকিব। ২৭ তম ওভারের শেষ বলে সাকিবের বল ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যান সৌদ শাকিল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত স্টাম্পিং করে দেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ান শাকিল দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়েছেন শূন্য রানে। বাবর, শাকিলের দ্রুত বিদায়ে পাকিস্তানের স্কোর হয়ে যায় ২৭ ওভারে ৪ উইকেটে ৬৭ রান। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ান পাল্টা আক্রমণ করেন বাংলাদেশের বোলারদের। ৩০ তম ওভারের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ বলে টানা তিনটি চার মারেন রিজওয়ান।

রিজওয়ানের সঙ্গেই সাকিবের ঘটে গেছে অদ্ভুত এক ঘটনা। ৩৩ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাকিব প্রস্তুত বোলিং করার জন্য। শেষ মুহূর্তে রিজওয়ান ব্যাটিং প্রান্ত থেকে সরে দাঁড়ালে সাকিব খেপে যান। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার রাগ হয়ে রিজওয়ানের মাথার ওপর দিয়ে বল ছোড়েন। সাকিবের এমন কাজে আম্পায়ারও অসন্তুষ্ট হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ার ডেকেছেন ডেড বল।

প্রথাগত টেস্ট মেজাজে খেলতে থাকা পাকিস্তান ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকের সঙ্গে রিজওয়ানের জুটিটা জমে যায়। ৩৭ রানের এই জুটি ভেঙেছেন সাকিব। ৩৩তম ওভারের শেষ বলে সাকিবের ফ্লাইটেড বল ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যান শফিক। হাওয়ায় ভেসে থাকা বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজেই লুফে নিয়েছেন সাদমান ইসলাম। ৮৬ বলে ৩ চারে ৩৭ রান করেন শফিক।

৩৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিরাজ ফিরিয়েছেন আগা সালমানকে। সালমান গোল্ডেন ডাক মারলে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৩৩.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৫ রান। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে বাকি ১৬ বলে পাকিস্তানের আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি রিজওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।৩৬ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৮ রানে প্রথম সেশন পার করল পাকিস্তান।

দ্বিতীয় সেশন শুরু হতে না হতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ৩৮তম ওভারের তৃতীয় বলে শাহিনকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। ৯ নম্বরে নেমে নাসিম শাহও বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। ৪৩তম ওভারের চতুর্থ বলে সাকিবকে পুল করতে যান নাসিম। মিড উইকেটে ক্যাচ ধরেন মুশফিকুর রহিম।

দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে ৪২.৪ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৮ রানে পরিণত হয় পাকিস্তান। ধ্বংসস্তূপের মাঝে একাই লড়াই চালিয়ে যান রিজওয়ান। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি। রিজওয়ানের প্রতিরোধ ভেঙেছেন মিরাজ। ৫৪তম ওভারের চতুর্থ বলে অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল স্লগ সুইপ করতে গেলে বোল্ড হয়ে যান রিজওয়ান। ৮০ বলে ৬ চারে ৫১ রান করেন রিজওয়ান। 

পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি টেনেছেন মিরাজই। ৫৬তম ওভারের পঞ্চম বলে মোহাম্মদ আলীকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি আলী। ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলার মিরাজ। সাকিব নিয়েছেন ৩ উইকেট। 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত