শান্ত-নাঈমের সেঞ্চুরিতে বৃথা গেল মুশফিকের সেঞ্চুরি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩: ০৬
Thumbnail image

মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ যেন সেঞ্চুরির মেলা বসেছে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব-আবাহনী লিমিটেডের ম্যাচে হয়েছে তিন সেঞ্চুরি। যার মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি বৃথা গেছে। নাজমুল হোসেন শান্ত-নাঈম শেখের জোড়া সেঞ্চুরিতে হেসেখেলে জিতল আবাহনী।  

পেশাদার ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকেন শান্ত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের চার ইনিংসের মধ্যে একবারই পেরিয়েছেন এক অঙ্কের কোটা। অফফর্মে ধুঁকতে থাকা শান্ত আজ করলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার নাঈম-শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৪১ রানের পাহাড় গড়ে আবাহনী। মুশফিকের সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংক শেষ অব্দি খেললেও করতে পেরেছে ২৮৩ রান। ৫৮ রানে জিতে এবারের ডিপিএলে দশে দশ পূর্ণ করল আবাহনী।  

৩৪২ রানের লক্ষ্যে নামা প্রাইম ব্যাংকের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানে। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে তামিম ইকবালকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন জাকির হাসান। নিয়মিত অধিনায়ক তামিম থাকলেও আবাহনীর বিপক্ষে অধিনায়কত্ব করেছেন জাকির। তবে জাকির করেছেন ১২ বলে ২ চারে ৮ রান। জাকিরকেও ফেরান তাসকিন।  তাসকিনের জোড়া আঘাত সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে প্রাইম ব্যাংক। তবে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে শাহাদাত হোসেন দীপুর জুটি ছিল ২৪ রানের। নবম ওভারের পঞ্চম বলে দীপুকে বোল্ড করেন তানজিম হাসান সাকিব।

তামিম, জাকির, দীপু—তিন ব্যাটারকে হারিয়ে প্রাইম ব্যাংকের স্কোর হয়ে যায় ৮.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৩ রান। দলের এমন বিপর্যস্ত অবস্থায় পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন মুশফিক।  চতুর্থ উইকেটে ইমনকে নিয়ে ৮৩ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন মুশফিক। ফর্মের তুঙ্গে থাকা ইমন তুলে নিলেন এবারের ডিপিএলের পঞ্চম পঞ্চাশোর্ধ্ব স্কোর। যার মধ্যে রয়েছে তিন সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটি। দ্বিতীয় ফিফটি পেলেন আজ আবাহনীর বিপক্ষে।  ইমনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৭০ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৬ রান করেন ইমন।

ইমন যখন ফেরেন, তখন প্রাইম ব্যাংকের স্কোর ২৩.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১২৬ রান। একপ্রান্ত মুশফিক আগলে খেলতে থাকলেও রিকোয়ার্ড রানরেটের চাপে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। অলক কাপালি ঝড়ের ইঙ্গিত দিলেও ১০ বলে ১৮ রান করে থেমেছেন। কাপালির সংক্ষিপ্ত ঝড় থামলে প্রাইম ব্যাংকের স্কোর হয়ে যায় ৩০.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান। এমন পরিস্থিতিতে সপ্তম উইকেটে শেখ মেহেদী হাসানের সঙ্গে মুশফিক ৪৮ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন। শেষ পর্যন্ত মুশফিক ১০৫ বলে ১১১ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ১৪ চারের মার। প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসে এটা শুধু প্রাইম ব্যাংকের হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে। ৪৯.৪ ওভারে ২৮৩ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। আবাহনীর সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন ও তানজিম সাকিব।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক জাকির হাসান। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে আবাহনীর দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম গড়েন ১১০ রানের জুটি। বিজয় আউট হয়েছেন ৪৫ রান করে। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা শান্তর সঙ্গে ওপেনার নাঈমের জুটি আরও জমে ওঠে। দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ৮৯ রানের জুটি। এরপর তৃতীয় উইকেটে শান্ত-হৃদয় জুটি যোগ করে ১২৩ রান। হৃদয় ৩৫ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৪১ রান করে আবাহনী। ৮৫ বলে ১১৮ রানের ইনিংস খেলা শান্তই দলটির সর্বোচ্চ স্কোরার। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৫ রান করেন নাঈম।

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত