Ajker Patrika

২০১৪-এর পুনরাবৃত্তি কি এবার করবে ভারত 

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৩: ০০
২০১৪-এর পুনরাবৃত্তি কি এবার করবে ভারত 

ভারতের বৈশ্বিক শিরোপার প্রসঙ্গ এলে ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কথা চলে আসে আপনাআপনি। কারণ ১০ বছর আগেই সর্বশেষ আইসিসি ইভেন্টের শিরোপা জিতেছে ভারতীয়রা। এরপর থেকে তাদের গল্পটা হতাশার। যতবার আইসিসি ইভেন্টের নক আউট পর্বে উঠেছে, ভারতকে ফিরে আসতে হয়েছে বারবার। আরও এক ফাইনালে যখন ভারত উঠেছে, তখন ঘুরেফিরে আসছে অতীত পরিসংখ্যান।

ভারতের ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার সঙ্গে যেন ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। সংস্করণ ও ভেন্যু দুটোই ছিল ভিন্ন। ৯ বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল এশিয়ার আরেক দেশ বাংলাদেশে। তখন ভারতের অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত সেই টুর্নামেন্টে বেশ দাপটের সঙ্গে পারফরম্যান্স করেছিল। সরাসরি যে ৮ দল দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল, তার একটি ছিল ভারত। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল ১০ দল। গ্রুপ ১ ও গ্রুপ ২—এ দুই গ্রুপে ছিল ৫টি করে দল। গ্রুপ-২-এ ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ভারত। 

পাকিস্তানের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া—এই তিন দলকে হেসেখেলে হারিয়ে দেয় ভারত। যেখানে উইন্ডিজ, বাংলাদেশ দুই দলের বিপক্ষেই রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ভারতের এ দুই ব্যাটারই ফিফটি করেছেন। এরপর রবীচন্দ্রন অশ্বিনের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে যায় ৮৬ রানে। অজিদের বিপক্ষে ৭৩ রানের জয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছিলেন অশ্বিন। ৪ ম্যাচের ৪টিতে জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে ভারত চলে যায় সেমিফাইনালে। সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্যে ধোনির ভারত জিতেছে ৬ উইকেটে ৫ বল হাতে রেখে। ৪৪ বলে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন কোহলি। 

শ্রীলঙ্কার কাছে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হেরেছিল ভারতটানা ৫ ম্যাচ জিতে ভারত ফাইনালে মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কার। লঙ্কানদের বিপক্ষেই তিন বছর আগে ওয়াংখেড়েতে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেখানে মিরপুরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে ৪ উইকেটে করেছিল ১৩০ রান। দারুণ ছন্দে থাকা কোহলি এই ম্যাচেও করেন ৭৭ রান। ১৩১ রানের লক্ষ্যে নামা শ্রীলঙ্কার ৭৮ রান তুলতেই পড়ে গিয়েছিল ৪ উইকেট। এরপর এখান থেকেই লঙ্কানদের চ্যাম্পিয়ন করে মাঠ ছাড়েন থিসারা পেরেরা ও কুমার সাঙ্গাকারা। অশ্বিনকে স্ট্রেইট ছক্কা পেরেরা মারার পরই পুরো লঙ্কান ডাগআউট উল্লাসে মেতে ওঠে। ৬ উইকেটের সেই জয়ে দুর্দান্ত ফিফটি করে ফাইনাল-সেরা হয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। আর ৬ ম্যাচে ১০৬.৩৩ গড় ও ১২৯.১৪ স্ট্রাইকরেটে ৩১৯ রান করে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন কোহলি। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান করা ভারতীয় ব্যাটার করেন ৪ ফিফটি। ২০০ রান করে রান সংগ্রাহকদের তালিকায় রোহিত ছিলেন চতুর্থ। ১১ ও ১০ উইকেট নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন অশ্বিন ও অমিত মিশ্র। 

৯ বছর পর ভারতের মাঠে হওয়া এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। ১০ ম্যাচের ১০ টিতে জিতে ফাইনালে উঠেছে রোহিতের নেতৃত্বাধীন ভারত। কোহলি, রোহিত এবার আরও দুর্দান্ত। ৩ সেঞ্চুরিতে ৭১১ রান করে এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক কোহলি। একই সঙ্গে তা কোনো নির্দিষ্ট ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান। ৫৫০ রান করে রোহিত আছেন রান সংগ্রাহকদের তালিকায় পাঁচে। শেষের দিকে ঝড় তুলছেন লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজার মতো ব্যাটাররা। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং দিয়ে পার্থক্য গড়ে দিচ্ছেন জাদেজা। ভারতের এই বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার নিয়েছেন ১৬ উইকেট। আর ২৩ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মোহাম্মদ শামি। জাসপ্রীত বুমরা ও কুলদীপ যাদব নিয়েছেন ১৮ ও ১৫ উইকেট। ৯ বছর আগের সঙ্গে এবার ভারতের ‘রোড টু ফাইনালের’ গল্প একই রকম। ছন্দে থাকা ভারত আহমেদাবাদের ফাইনালে পা হড়কায় কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত