তাসকিনের জোড়া আঘাতের পর লুইসের প্রতিরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ৫২
Thumbnail image
মিকাইল লুইস

অফ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে পিচ করেছিল বল। ভেতরে ঢুকে মুখে লাইনে না গিয়েই খেলতে গেলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে তাসকিনের সেই বল লাগল ব্যাটারের প্যাডে। সমস্বরে এলবিডব্লুর আবেদন। জোরালো সে আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলে স্বস্তি মেলে বাংলাদেশ শিবিরে। সময়ের হিসাবে ১ ঘণ্টার বেশি, আর ওভারের হিসাবে ১৩ ওভার পর প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে আরও একটি উইকেট নিয়ে লাঞ্চের আগে ৫০ রানে স্বাগতিকের আটকে রাখে বাংলাদেশ।

তবে প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয় সেশনটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে ২৩ ওভারে যেখানে উইন্ডিজের রান ছিল ৫০, সেখানে পরের ফিফটি উইন্ডিজ করেছে ২২.২ ওভারে। উইকেটও পড়ছে মাত্র একটি; সেটিও আবার রানআউট। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫০ ওভারে স্বাগতিকদের রান ১০৪।

অ্যান্টিগার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে যে প্রত্যাশায় বোলিং বেছে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের ১৪তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে টস করতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ, সেটি অবশ্য পুরোপুরি পূরণ হয়নি। উইকেট ছিল কিছুটা সবুজাভ। ময়শ্চারকে কাজে লাগাতে পারলে পেসাররা ভালো কিছু করবেন—এমনটি হয়তো ভেবেই বোলিং বেছে নিয়েছিলেন মিরাজ। পিচ রিপোর্টে ক্যারিবিয়ান পেস কিংবদন্তি কার্টলি অ্যামব্রোসও বলেছিলেন, ঘাস আর আর্দ্রতা থাকায় এটি পেসারদের উইকেট; টস জিতলে তাই আগে বোলিং করার সিদ্ধান্তই সঠিক হবে।

কিন্তু ‘সঠিক’ সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রথম ঘণ্টায় সাফল্যের মুখ দেখেননি বাংলাদেশের পেসাররা। অবশ্য মেডেন দিয়েই শুরু করেছিলেন দুই পেসার—হাসান মাহমুদ ও শরীফুল ইসলাম। নেয় নেয় করেও বেশ কয়েকবারই তাঁদের বল নেয়নি ব্যাটের কানা। বাংলাদেশের পেসারদের আঁটসাঁট বোলিং অবশ্য হাত খুলে খেলার সুযোগ দেয়নি ক্যারিবীয় ব্যাটারদের। ছেড়ে দেওয়ার বল ছেড়ে দিয়েই প্রথম ১৩ ওভার কাটিয়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার—অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও মিকাইল লুইস।

১৪তম ওভারে ব্র্যাথওয়েটকে তুলে নেন তাসকিন। আউট হওয়ার আগে মরু ক্যাকটাসের মতো মাটি কামড়ে টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন; ৩৮ বলে করেছেন ৪ রান। তাঁর বিদায়ে ভাঙে ২৫ রানের ওপেনিং জুটি। পরের ওভারেই ফের তাসকিনের আঘাত। এবার শিকার কেসি কার্টি। স্টাম্পের বল ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় মিড উইকেটে তাইজুল ইসলামের হাতে। রানের খাতা খেলার আগেই বিদায় কার্টির। এরপর উইকেটে মিকাইল লুইসের সঙ্গে যোগ দেন কাভেম হজ। অবিচ্ছিন্ন থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছেন তাঁরা। তখন ক্যারিবীয়দের স্কোর ৫০/২। বাংলাদেশের জন্যও সেটা খারাপ কি!

প্রথম সেশনটা তাই নিজেদের দাবি করতে পারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনটাও কি? এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবশ্য এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ ছিল না। তৃতীয় উইকেটে মিকাইলের সঙ্গে ১৩০ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে হজ রানআউট হয়ে গেলেও ৬১ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মিকাইল লুইস। সঙ্গী আলিক আথানেজের রান ১১*।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত