Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

শচীনের ১০০ সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে যাবে কোহলি

শচীনের ১০০ সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে যাবে কোহলি
আহমেদ রিয়াদ
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১১: ৩৯

শৈশবে যাঁর সান্নিধ্যে পেয়েছেন, যাঁর পরিচর্যায় বিকশিত হয়েছে বিরাট কোহলির ক্রিকেট সত্তা, তিনি কোচ রাজকুমার শর্মা। মোবাইল ফোনে দিল্লির এই অভিজ্ঞ কোচ আজকের পত্রিকাকে শুনিয়েছেন কোহলির সাফল্যের গল্প, বলেছেন তাঁর ক্রিকেটীয় দর্শন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্ভাবনা নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ। 

প্রশ্ন: কোহলি আরও কিছুদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যেতে পারতেন কি না? 
রাজকুমার শর্মা: হ্যাঁ, আমি মনে করি, বিরাট সহজেই আরও কয়েক বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যেতে পারত। তার ফিটনেস এবং খেলার প্রতি নিবেদন এমন যে, সে যেকোনো ফরমেটে সেরা পারফরম করতে পারে। তবে আমি মনে করি, সে দল এবং নিজের ক্যারিয়ারের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের কথা মাথায় রেখেই টি-টোয়েন্টি ছেড়েছে। 

প্রশ্ন: বিশ্বকাপ জেতার পর আপনার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে কোহলি কী বলেছিলেন আপনাকে? 
রাজকুমার: বিশ্বকাপ জেতার পর বিরাটের সঙ্গে আমার খুব আবেগময় কথা হয়েছিল। সে বলেছিল, ‘স্যার, আমরা এটা করেছি!’ তার চোখে আনন্দের অশ্রু ছিল। সে সব সময় দলকে বিশ্বকাপ জেতানোর স্বপ্ন দেখত এবং এই অর্জন তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সে আরও বলেছিল, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য আরও বড়।’ বিরাট সব সময় নতুন লক্ষ্য স্থির করে এবং সাফল্যের পরও সে আরও উচ্চতায় পৌঁছাতে চায়। 

প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীনের ১০০ সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে যেতে পারবে কোহলি? 
রাজকুমার: বিরাটের সম্ভাবনা নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। শচীনের ১০০ সেঞ্চুরির রেকর্ড অবশ্যই বিশাল, তবে বিরাটের দক্ষতা, ফিটনেস এবং ধারাবাহিকতা তাকে এই মাইলফলকে পৌঁছানোর ভালো সুযোগ দিয়েছে। এরই মধ্যে ৮০টি সেঞ্চুরি করে ফেলেছে বিরাট। টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও টেস্ট ও ওয়ানডেতে যদি সে আরও কয়েক বছর খেলে এবং ফিটনেস ও মানসিক দৃঢ়তা অটুট থাকে, আমার বিশ্বাস শচীনের ১০০ সেঞ্চুরি সে ছাড়িয়ে যেতে পারবে। 

প্রশ্ন: কোহলিকে নিয়ে আপনার কি কোনো চাওয়া আছে? 
রাজকুমার: তাঁকে নিয়ে আমার আরও একটি প্রত্যাশা—খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হওয়ার আগে যেন সে একটি টেস্ট কিংবা আরও একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে পারে। আমি চাই সে তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য একজন আদর্শ হয়ে উঠুক, যেভাবে শচীন কিংবা দ্রাবিড় একটা প্রজন্মের আদর্শ ছিলেন। 

প্রশ্ন: আপনার কোচিংয়ে কোহলির বড় পরিবর্তন বা উন্নতি কোথায় বলে মনে করেন আপনি? 
রাজকুমার: বিরাটের সবচেয়ে বড় উন্নতি হয়েছে তার মানসিক স্থিতিশীলতায়। শুরুর দিকে তার খেলা বেশ আক্রমণাত্মক ছিল এবং সে সব সময় বড় শট খেলতে চাইত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে শিখেছে কখন আক্রমণ করতে হবে এবং কখন ধৈর্য ধরে খেলা চালিয়ে যেতে হবে। এর পাশাপাশি তার ফোকাসের মাত্রা এবং চাপের মধ্যে পারফর্ম করার ক্ষমতায় অসাধারণ উন্নতি করেছে। বড় ম্যাচগুলোয় বিরাট সব সময় সেরা হয়ে উঠতে চেয়েছে। সে সময়ের সঙ্গে শিখেছে প্রতিপক্ষের পরিকল্পনা কীভাবে ভেঙে দিতে হয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কীভাবে মানিয়ে নিতে হয়। তার স্ট্র্যাটেজিক চিন্তাধারা এবং পরিস্থিতির প্রয়োজন অনুযায়ী খেলার ক্ষমতাই তাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছে। 

প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের খেলা আপনার ভালো লাগে? 
রাজকুমার: বাংলাদেশের বেশ কিছু ক্রিকেটার আছে, যারা দারুণ প্রতিভাবান। বিশেষ করে আমি সাকিব আল হাসানের খেলা দেখেছি। বেশ কয়েক বছর আগে আইপিএলেও খেলেছে। ওর ভারতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ভালো একজন অলরাউন্ডার এবং বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অসাধারণ পারফর্ম করেছে। মোস্তাফিজও দারুণ পেসার। তবে নিজেকে আরও সামনে দেখতে চাইলে তাকে আরও পরিশ্রম করতে হবে, বোলিংয়ে অ্যাকুরেসি ও ভেরিয়েশন বাড়াতে হবে। 

প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের রুগ্ণদশার কারণ কী বলে মনে করেন? 
রাজকুমার: অনেক কিছুই কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, ধারাবাহিকতার অভাব। দল হিসেবে যদি ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করা না যায়, তাহলে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি হয়। দ্বিতীয়ত, পরিকল্পনার অভাবও একটি বড় কারণ। প্রতিটি খেলোয়াড়ের ভূমিকা এবং দায়িত্ব সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা দরকার। এ ছাড়া মানসিকভাবে দৃঢ় থাকার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। চাপের মুহূর্তে খেলোয়াড়দের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং শান্ত থাকা শিখতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ দলে অনেক প্রতিভা আছে এবং সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে তারা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত