ক্রীড়া ডেস্ক
এমন ম্যাচের অপেক্ষাই যেন করছিলেন হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শক। শুধু যে গ্যালারির দর্শকই মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন এমনটা অবশ্য নয়।
আনন্দ পেয়েছেন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আইপিএলের সমর্থকেরা। গতকাল চার-ছক্কার এমন ধুমধাড়াক্কা ম্যাচ হয়েছে যে রেকর্ড বইয়ের বেশ কিছু পাতা ওলটপালট হয়ে গেছে। কী হয়নি দুর্দান্ত এই ম্যাচে। আইপিএলে দলীয় সর্বোচ্চ রান, এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান, চার-ছক্কার রেকর্ড—সবই হয়েছে হায়দরাবাদ-মুম্বাই ম্যাচে।
ম্যাচে হায়দরাবাদের কাছে ৩১ রানে হারলেও ছেড়ে কথা বলেনি মুম্বাইও। প্রতিপক্ষের দেওয়া রেকর্ড ২৭৭ রানের বিপরীতে ২৪৬ রান করে আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে যৌথভাবে পাঁচবারের সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়নরা। দুই দলের জয়-পরাজয়ের চলুন দেখে নেওয়া যাক রেকর্ডগুলো—
এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ রান ২৭৭
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটারদের তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান করে হায়দরাবাদ। এতে বিব্রতকর রেকর্ড থেকে মুক্তি পায় পুনে ওয়ারিয়র্স। ২০১৩ আইপিএলে তাদের বিপক্ষেই যে আগের সর্বোচ্চ ৫ উইকেটে ২৬৩ রানের রেকর্ড গড়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেদিন আইপিএলের ইতিহাসে ব্যক্তিগত সেরা ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ক্রিস গেইল, মাত্র ৬৬ বলে।
আইপিএল এবং স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান ৫২৩
হায়দরাবাদের ২৭৭ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ২৪৬ রান করে মুম্বাই। এতে দুই দলের মোট রান দাঁড়ায় ৫২৩, যা আইপিএলের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ৪৬৯ রান, ২০১০ সালে চেন্নাই ও রাজস্থানের ম্যাচে। শুধু আইপিএলে নয়, স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতেও এই রান সর্বোচ্চ। গত বছর সেঞ্চুরিয়নে ৫১৭ রানের রেকর্ড গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আইপিএল এবং স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছয় ৩৮
গতকাল রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের চেয়ে কম রান করলেও ছক্কায় এগিয়ে ছিল মুম্বাই। হায়দরাবাদের ১৮ ছক্কার বিপরীতে ২০টি ছয় মেরেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা, যা আইপিএলে সর্বোচ্চ। আগের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছিল ৩৩ ছয়। ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরু-চেন্নাই ম্যাচে হয়েছিল। শুধু আইপিএলে নয়, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেও সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটি ছিল আফগান প্রিমিয়ার লিগে বাল্ক-কাবুলের দখলে। ২০১৮ সালের ম্যাচটিতে ৩৭ ছক্কা হয়েছিল।
যৌথভাবে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ বাউন্ডারি ৬৯
ম্যাচে ৩৮ ছক্কার বিপরীতে হায়দরবাদ-মুম্বাইয়ের ব্যাটাররা ৩১টি চারও মেরেছেন, মোট ৬৯ বাউন্ডারিতে যা আইপিএলের সর্বোচ্চ। অবশ্য ২০১০ সালে সমানসংখ্যক বাউন্ডারি মেরেছেন চেন্নাই-রাজস্থানের ব্যাটাররাও।
হায়দরাবাদের হয়ে দ্রুততম ফিফটি ১৬
হায়দরাবাদের হয়ে প্রথমবার খেলার সুযোগ পেয়েই রেকর্ড গড়েছিলেন ট্রাভিস হেড। ১৮ বলে ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। কিছুক্ষণ পরেই তাঁর রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন অভিষেক শর্মা। ১৬ বলে ফিফটি স্পর্শ করেছেন ভারতীয় ব্যাটার।
দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ২৪৬
হায়দরাবাদের ২৭৭ রানের লক্ষ্যে ২৪৬ রান করে মুম্বাই। এতে ৩১ রানে হারলেও রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার দল। দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখন এটি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০২০ সালে পাঞ্জাবের বিপক্ষে রাজস্থানের। সেদিন প্রতিপক্ষের করা ২২৪ রানের বিপরীতে ৬ উইকেটে ২৬৬ রান করে ম্যাচও জিতেছিল রাজস্থান।
এমন ম্যাচের অপেক্ষাই যেন করছিলেন হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শক। শুধু যে গ্যালারির দর্শকই মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন এমনটা অবশ্য নয়।
আনন্দ পেয়েছেন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আইপিএলের সমর্থকেরা। গতকাল চার-ছক্কার এমন ধুমধাড়াক্কা ম্যাচ হয়েছে যে রেকর্ড বইয়ের বেশ কিছু পাতা ওলটপালট হয়ে গেছে। কী হয়নি দুর্দান্ত এই ম্যাচে। আইপিএলে দলীয় সর্বোচ্চ রান, এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান, চার-ছক্কার রেকর্ড—সবই হয়েছে হায়দরাবাদ-মুম্বাই ম্যাচে।
ম্যাচে হায়দরাবাদের কাছে ৩১ রানে হারলেও ছেড়ে কথা বলেনি মুম্বাইও। প্রতিপক্ষের দেওয়া রেকর্ড ২৭৭ রানের বিপরীতে ২৪৬ রান করে আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে যৌথভাবে পাঁচবারের সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়নরা। দুই দলের জয়-পরাজয়ের চলুন দেখে নেওয়া যাক রেকর্ডগুলো—
এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ রান ২৭৭
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটারদের তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান করে হায়দরাবাদ। এতে বিব্রতকর রেকর্ড থেকে মুক্তি পায় পুনে ওয়ারিয়র্স। ২০১৩ আইপিএলে তাদের বিপক্ষেই যে আগের সর্বোচ্চ ৫ উইকেটে ২৬৩ রানের রেকর্ড গড়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেদিন আইপিএলের ইতিহাসে ব্যক্তিগত সেরা ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ক্রিস গেইল, মাত্র ৬৬ বলে।
আইপিএল এবং স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান ৫২৩
হায়দরাবাদের ২৭৭ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ২৪৬ রান করে মুম্বাই। এতে দুই দলের মোট রান দাঁড়ায় ৫২৩, যা আইপিএলের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ৪৬৯ রান, ২০১০ সালে চেন্নাই ও রাজস্থানের ম্যাচে। শুধু আইপিএলে নয়, স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতেও এই রান সর্বোচ্চ। গত বছর সেঞ্চুরিয়নে ৫১৭ রানের রেকর্ড গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আইপিএল এবং স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছয় ৩৮
গতকাল রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের চেয়ে কম রান করলেও ছক্কায় এগিয়ে ছিল মুম্বাই। হায়দরাবাদের ১৮ ছক্কার বিপরীতে ২০টি ছয় মেরেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা, যা আইপিএলে সর্বোচ্চ। আগের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছিল ৩৩ ছয়। ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরু-চেন্নাই ম্যাচে হয়েছিল। শুধু আইপিএলে নয়, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেও সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটি ছিল আফগান প্রিমিয়ার লিগে বাল্ক-কাবুলের দখলে। ২০১৮ সালের ম্যাচটিতে ৩৭ ছক্কা হয়েছিল।
যৌথভাবে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ বাউন্ডারি ৬৯
ম্যাচে ৩৮ ছক্কার বিপরীতে হায়দরবাদ-মুম্বাইয়ের ব্যাটাররা ৩১টি চারও মেরেছেন, মোট ৬৯ বাউন্ডারিতে যা আইপিএলের সর্বোচ্চ। অবশ্য ২০১০ সালে সমানসংখ্যক বাউন্ডারি মেরেছেন চেন্নাই-রাজস্থানের ব্যাটাররাও।
হায়দরাবাদের হয়ে দ্রুততম ফিফটি ১৬
হায়দরাবাদের হয়ে প্রথমবার খেলার সুযোগ পেয়েই রেকর্ড গড়েছিলেন ট্রাভিস হেড। ১৮ বলে ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। কিছুক্ষণ পরেই তাঁর রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন অভিষেক শর্মা। ১৬ বলে ফিফটি স্পর্শ করেছেন ভারতীয় ব্যাটার।
দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ২৪৬
হায়দরাবাদের ২৭৭ রানের লক্ষ্যে ২৪৬ রান করে মুম্বাই। এতে ৩১ রানে হারলেও রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার দল। দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখন এটি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০২০ সালে পাঞ্জাবের বিপক্ষে রাজস্থানের। সেদিন প্রতিপক্ষের করা ২২৪ রানের বিপরীতে ৬ উইকেটে ২৬৬ রান করে ম্যাচও জিতেছিল রাজস্থান।
ঝামেলা, জটিলতা, বিতর্ক থেকে যেন বেরই হতে পারছে না ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএলের নানা বিতর্কের মধ্যে আরেক জটিলতা। প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের ট্রফি উন্মোচন হওয়ার কথা ছিল আজ। সেটি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। পরশু থেকে শুর
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে ক্রিকেটের আরেক নাম যেন আবেগ। আর তা এমনই যে, আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে পরের ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ায় লিটন দাসকে শুনতে হয় দুয়ো। চট্টগ্রামে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে ফিল্ডিং করতে সীমানা দড়ির কাছাকাছি দাঁড়ালে গ্যালারি থেকে দুয়োধ্বনি দিতে থাকে দর্শকদের একাংশ।
১১ ঘণ্টা আগেসব সময় যে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়েরা ম্যাচ জেতালেন তেমনটা নয়। দলের প্রয়োজনে ডিফেন্ডাররাও হতে পারেন ‘কান্ডারি’। আজ প্রিমিয়ার লিগে যেমন রহমতগঞ্জের বিপক্ষে সেই ভূমিকায় আবাহনীর শাকিল হোসেন। মুন্সিগঞ্জে তাঁর গোলেই গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠে ছেড়েছে মারুফুল হকের শিষ্যরা।
১৩ ঘণ্টা আগেএর চেয়ে ভালো একটা দিন আর কী হতে পারত মনফিলস-সভিতোলিনা দম্পতির জন্য! অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আজ দুজনেই জিতেছেন। আর তাঁদের জেতাটা চলতি টুর্নামেন্টের বড় দুটি অঘটনও!
১৫ ঘণ্টা আগে