রানা আব্বাস, ঢাকা
সাকিব আল হাসানের নির্বাচনী কার্যক্রম কাছ থেকে দেখতে গত ডিসেম্বরে গিয়েছিলাম মাগুরায়। শহরের কেশব মোড় এলাকায় তাঁর বাড়িতে রাত ২টা পর্যন্তও মানুষ গিজগিজ করত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাংবাদিকেরা অপেক্ষায় থাকতেন তাঁর সাক্ষাৎকার পাওয়ার জন্য। এমনই এক দীর্ঘ অপেক্ষার মাঝে সাকিবের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু আলাপে আলাপে বললেন, ‘অনেকে যে ক্রিকেটে তার শেষ দেখছে, ওর তো প্ল্যান ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।’
সেই সাকিব কাল কানপুরে জানিয়ে দিলেন টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির অধ্যায় তাঁর শেষ। আগামী মাসে মিরপুরে যদি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলার সুযোগ হয়, তাহলে মিরপুরেই আনুষ্ঠানিক বিদায়, না হলে কানপুরেই শেষ টেস্ট হয়ে থাকবে। আর ওয়ানডের জন্য আরেকটু সময় নিচ্ছেন, ফেব্রুয়ারিতে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই তাঁর শেষ। গত বছর বিশ্বকাপের আগে থেকেই সাকিব নিজের শেষের পরিকল্পনা খোলামেলাই জানিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু এভাবে বিদেশবিভুঁইয়ে তিনি আকস্মিক অবসর ঘোষণা করবেন, এটা একটু অনুমান করা কঠিনই ছিল। কী কারণে এভাবে থেমে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন, সাকিব তার ব্যাখ্যা গতকাল সংবাদ সম্মেলনেই দিয়েছেন। তবু ওই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছে কাল একই প্রশ্নের উত্তরে যেটা মিলল, সাকিব আসলে হতাশ, ক্লান্ত। মানসিকভাবে যতই শক্ত হন, আর পেরে উঠছিলেন না সাকিব। গত মাসের পাকিস্তান সফর থেকেই চিন্তাভাবনা শুরু করে দেন শেষ বলে দেওয়ার। বিসিবির নীতিনির্ধারক, নির্বাচক প্যানেল, অধিনায়কের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনা শেষে যেটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে কাল।
বছর দুয়েক আগে সাকিব নিজেই বলেছিলেন, যেদিন নিজেকে আর ‘চালক’ মনে হবে না, মনে হবে শুধুই একজন যাত্রী; তাঁর ওপর ভরসা করে গাড়িতে কেউ বসে না থাকলে তিনি আর খেলবেন না। এখন সাকিবের উপলব্ধি, তিনি আর ড্রাইভিং সিটে নেই। সময় হয়েছে আসনটা ছেড়ে দেওয়ার। তবে তিনি যেমন ‘চ্যাম্পিয়ন’ খেলোয়াড়, বিদায়ের ঘোষণাটা হতে পারত আরও উঁচু শিরে। মাঠের বাইরে তিনি এত বিষয়ে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারছেন না ঘরের মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গুড বাই’ জানাব সবাইকে। দেশের মাঠে বিদায় জানাতে হলে তাঁর নিরাপত্তার প্রসঙ্গও যে আসছে।
সাকিব-ঘনিষ্ঠরা মনে করেন, রাজনীতিতে জড়ানো ছিল তাঁর জীবনের বিরাট এক ভুল। শুধু ক্রিকেট দিয়েই যাঁর সুযোগ ছিল সবার হৃদয়ে ঠাঁই নেওয়া, তাঁকে কেন রাজনীতিতে জড়াতে হলো, সেটি নিয়ে খোদ তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলেই প্রশ্ন আছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের সঙ্গে আরও নানা বিতর্ক আর কেলেঙ্কারিতে বারবার নাম আসছে তাঁর। কদিন আগে শেয়ারবাজারে কারসাজির দায়ে তাঁর জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। তিনি এখন হত্যা মামলার আসামি। চোখে সমস্যা, আঙুলে ব্যথা, হেড পজিশন ঠিক করতে দাঁতে রাবার স্ট্র্যাপ গুঁজে ব্যাটিং করতে হচ্ছে, ঠিকঠাক বোলিং করতে পারছেন না। সাকিব কেন দলে—এ প্রশ্নও তাঁকে শুনতে হচ্ছে। তিনি রক্ত-মাংসের মানুষ। একজন গড়পড়তা বাংলাদেশির চেয়ে তাঁর চিন্তাভাবনা যতই ভিন্ন হোক, আর পেরে উঠছিলেন না। একেবারে শেষের ঘোষণাই দিয়ে দিলেন। বিসিবিও তাঁর সিদ্ধান্তকে হাসিমুখেই স্বাগত জানিয়েছে।
মজার ব্যাপারটা কী জানেন, ২০২৩ সালের ঠিক এই দিনে সব যেন ‘শেষ’ হয়ে গিয়েছিল তামিম ইকবালেরও। ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২০২৩ বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করলেন বিসিবির নির্বাচকেরা। বাংলাদেশ দল ঘোষণা নিয়ে তখন কদিন ধরেই মেঘ গুড়গুড় করছিল দেশের ক্রিকেট-আকাশে। বিশ্বকাপের দলে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সংশয় থাকলেও সেই সমস্যার সমাধান হতেই আকস্মিকভাবে ইস্যু টার্ন করল অন্যদিকে। তখনকার প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর ঘোষিত দলে নেই তামিম ইকবাল!
অথচ তামিম তখন ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলে ফেরার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। ঠিক এক বছর আগে ২৬ সেপ্টেম্বরেই বিশ্বকাপ দলে তামিমের না থাকা নিয়ে টালমাটাল দেশের ক্রিকেট। এর পরের ঘটনাও নিশ্চয়ই জানেন। তামিম একটি ভিডিও বার্তায় বললেন, ‘আমাকে মনে রাইখেন। ভুলে যাইয়েন না।’ ঠিক এক বছর পর কাল সাকিবও চাইলে বলতে পারতেন, ‘আমাকে মনে রাইখেন। ভুলে যাইয়েন না।’ বাংলাদেশ টেস্ট দলের সদস্য না হয়েও তামিম কিন্তু এই মুহূর্তে কানপুরেই আছেন। দুই ‘বন্ধু’র কাছে ‘২৬ সেপ্টেম্বর’ তারিখটা এভাবে মিলে যাবে, কে ভেবেছিল!
সাকিব আল হাসানের নির্বাচনী কার্যক্রম কাছ থেকে দেখতে গত ডিসেম্বরে গিয়েছিলাম মাগুরায়। শহরের কেশব মোড় এলাকায় তাঁর বাড়িতে রাত ২টা পর্যন্তও মানুষ গিজগিজ করত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাংবাদিকেরা অপেক্ষায় থাকতেন তাঁর সাক্ষাৎকার পাওয়ার জন্য। এমনই এক দীর্ঘ অপেক্ষার মাঝে সাকিবের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু আলাপে আলাপে বললেন, ‘অনেকে যে ক্রিকেটে তার শেষ দেখছে, ওর তো প্ল্যান ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।’
সেই সাকিব কাল কানপুরে জানিয়ে দিলেন টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির অধ্যায় তাঁর শেষ। আগামী মাসে মিরপুরে যদি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলার সুযোগ হয়, তাহলে মিরপুরেই আনুষ্ঠানিক বিদায়, না হলে কানপুরেই শেষ টেস্ট হয়ে থাকবে। আর ওয়ানডের জন্য আরেকটু সময় নিচ্ছেন, ফেব্রুয়ারিতে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই তাঁর শেষ। গত বছর বিশ্বকাপের আগে থেকেই সাকিব নিজের শেষের পরিকল্পনা খোলামেলাই জানিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু এভাবে বিদেশবিভুঁইয়ে তিনি আকস্মিক অবসর ঘোষণা করবেন, এটা একটু অনুমান করা কঠিনই ছিল। কী কারণে এভাবে থেমে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন, সাকিব তার ব্যাখ্যা গতকাল সংবাদ সম্মেলনেই দিয়েছেন। তবু ওই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছে কাল একই প্রশ্নের উত্তরে যেটা মিলল, সাকিব আসলে হতাশ, ক্লান্ত। মানসিকভাবে যতই শক্ত হন, আর পেরে উঠছিলেন না সাকিব। গত মাসের পাকিস্তান সফর থেকেই চিন্তাভাবনা শুরু করে দেন শেষ বলে দেওয়ার। বিসিবির নীতিনির্ধারক, নির্বাচক প্যানেল, অধিনায়কের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনা শেষে যেটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে কাল।
বছর দুয়েক আগে সাকিব নিজেই বলেছিলেন, যেদিন নিজেকে আর ‘চালক’ মনে হবে না, মনে হবে শুধুই একজন যাত্রী; তাঁর ওপর ভরসা করে গাড়িতে কেউ বসে না থাকলে তিনি আর খেলবেন না। এখন সাকিবের উপলব্ধি, তিনি আর ড্রাইভিং সিটে নেই। সময় হয়েছে আসনটা ছেড়ে দেওয়ার। তবে তিনি যেমন ‘চ্যাম্পিয়ন’ খেলোয়াড়, বিদায়ের ঘোষণাটা হতে পারত আরও উঁচু শিরে। মাঠের বাইরে তিনি এত বিষয়ে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারছেন না ঘরের মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গুড বাই’ জানাব সবাইকে। দেশের মাঠে বিদায় জানাতে হলে তাঁর নিরাপত্তার প্রসঙ্গও যে আসছে।
সাকিব-ঘনিষ্ঠরা মনে করেন, রাজনীতিতে জড়ানো ছিল তাঁর জীবনের বিরাট এক ভুল। শুধু ক্রিকেট দিয়েই যাঁর সুযোগ ছিল সবার হৃদয়ে ঠাঁই নেওয়া, তাঁকে কেন রাজনীতিতে জড়াতে হলো, সেটি নিয়ে খোদ তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলেই প্রশ্ন আছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের সঙ্গে আরও নানা বিতর্ক আর কেলেঙ্কারিতে বারবার নাম আসছে তাঁর। কদিন আগে শেয়ারবাজারে কারসাজির দায়ে তাঁর জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। তিনি এখন হত্যা মামলার আসামি। চোখে সমস্যা, আঙুলে ব্যথা, হেড পজিশন ঠিক করতে দাঁতে রাবার স্ট্র্যাপ গুঁজে ব্যাটিং করতে হচ্ছে, ঠিকঠাক বোলিং করতে পারছেন না। সাকিব কেন দলে—এ প্রশ্নও তাঁকে শুনতে হচ্ছে। তিনি রক্ত-মাংসের মানুষ। একজন গড়পড়তা বাংলাদেশির চেয়ে তাঁর চিন্তাভাবনা যতই ভিন্ন হোক, আর পেরে উঠছিলেন না। একেবারে শেষের ঘোষণাই দিয়ে দিলেন। বিসিবিও তাঁর সিদ্ধান্তকে হাসিমুখেই স্বাগত জানিয়েছে।
মজার ব্যাপারটা কী জানেন, ২০২৩ সালের ঠিক এই দিনে সব যেন ‘শেষ’ হয়ে গিয়েছিল তামিম ইকবালেরও। ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২০২৩ বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করলেন বিসিবির নির্বাচকেরা। বাংলাদেশ দল ঘোষণা নিয়ে তখন কদিন ধরেই মেঘ গুড়গুড় করছিল দেশের ক্রিকেট-আকাশে। বিশ্বকাপের দলে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সংশয় থাকলেও সেই সমস্যার সমাধান হতেই আকস্মিকভাবে ইস্যু টার্ন করল অন্যদিকে। তখনকার প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর ঘোষিত দলে নেই তামিম ইকবাল!
অথচ তামিম তখন ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলে ফেরার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। ঠিক এক বছর আগে ২৬ সেপ্টেম্বরেই বিশ্বকাপ দলে তামিমের না থাকা নিয়ে টালমাটাল দেশের ক্রিকেট। এর পরের ঘটনাও নিশ্চয়ই জানেন। তামিম একটি ভিডিও বার্তায় বললেন, ‘আমাকে মনে রাইখেন। ভুলে যাইয়েন না।’ ঠিক এক বছর পর কাল সাকিবও চাইলে বলতে পারতেন, ‘আমাকে মনে রাইখেন। ভুলে যাইয়েন না।’ বাংলাদেশ টেস্ট দলের সদস্য না হয়েও তামিম কিন্তু এই মুহূর্তে কানপুরেই আছেন। দুই ‘বন্ধু’র কাছে ‘২৬ সেপ্টেম্বর’ তারিখটা এভাবে মিলে যাবে, কে ভেবেছিল!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাসান মাহমুদের পথচলা শুরু ২০২০ সালের মার্চে। তবে টেস্টে তাঁর অভিষেক ২০২৪ সালেই। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে মাত্র ৮ মাসেই গড়েছেন একের পর এক রেকর্ড। নিয়মিত উইকেট নেওয়া হাসান এবার তাড়া করছেন সাকিব আল হাসানকে।
২ মিনিট আগেটেস্টে রেকর্ড গড়তে যেন প্রতিপক্ষ দলগুলো বাংলাদেশকেই বেছে নেয়। দেশের মাঠে হোক বা বাইরে-ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ফুটে ওঠে বাংলাদেশের হতশ্রী চিত্র। অ্যান্টিগায় চলমান প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভাঙল ১৫ বছরের পুরোনো রেকর্ড।
১ ঘণ্টা আগেপ্রথম দিন সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়েছেন দুই ক্যারিবীয় ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক আথানেজ। আশা জাগিয়েও দুজনে আউট হয়েছেন নড়বড়ে নব্বইয়ে। তবে লুইস ও আথানেজের পথে হাঁটেননি জাস্টিন গ্রিভস। বাংলাদেশ বোলারদের হতাশ করে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০২ রানে ব্যাট
১০ ঘণ্টা আগে