Ajker Patrika

হারের হ্যাটট্রিক হয়ে গেল তামিমদের বরিশালেরও

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট থেকে
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮: ২৪
হারের হ্যাটট্রিক হয়ে গেল তামিমদের বরিশালেরও

কাগজে-কলমে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সবচেয়ে শক্তিশালী কয়েকটি দলের মধ্যে আছে ফরচুন বরিশালও। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে দলের সেই অবস্থান এখনো স্পষ্ট করতে পারেনি তারা। এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হেরেছে তামিম ইকবালের দল। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে তাঁরা হেরেছে ১০ রানে। ৪ ম্যাচে তৃতীয় জয় পেয়েছে শুভাগত হোমের চট্টগ্রাম। 

রানপ্রসবা ম্যাচে চট্টগ্রামের দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৮৩ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। তবে শুরুটা দারুণই ছিল তাদের। তামিম ও আহমেদ শেহজাদ ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৫৫ রান। তাণ্ডব চালানো শেহজাদকে ষষ্ঠ ওভারে ফিরিয়ে চট্টগ্রামকে ব্রেকথ্রু এনে দেন পেসার বিলাল খান। 

এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম মাচে দুটি ছক্কা ও ৫ চারে ১৭ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ে ইনিংস খেলেছেন শেহজাদ। দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ও সৌম্য সরকার গড়েছেন ৩৯ রানের আরেকটি জুটি। এরপর কার্টিস ক্যাম্ফারের ধসিয়ে দেওয়া এক স্পেল। ১১তম ওভারে তামিম-সৌম্যকে ফিরিয়ে বরিশালের ব্যাটিং অর্ডারে বড়সড় ধক্কা দেন ক্যাম্ফার। ৩০ বলে তামিম ফেরেন ৩৩ রানে আর সৌম্য করেছেন ১৬ বলে ১৭। 

নিজের পরের ওভারে ক্যাম্ফার ফেরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩) ও ইয়ানিক কারিয়াহকে (৪)। ষষ্ঠ উইকেটে জয়ের একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৯ বলে ৫১ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েছেন দুজনে। ১৮ ও ১৯তম ওভারে পরপর ফেরেন মিরাজ ও মুশফিক। তখনই হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বরিশালের। মিরাজ দুটি ছক্কা ও ৩টি চারে ১৬ বলে ৩৫ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস খেলেছেন। ২৩ রান করে ফিরেছেন মুশফিক। চট্টগ্রামের হয়ে ক্যাম্ফার ২০ রানের বিপরীতে ৪টি উইকেট নিয়েছেন। 

শক্তিশালী দল নিয়েও বরিশাল এখনো সন্তোষজনক ফল পায়নি। ব্যাটিংটা ভালো করলেও এখনো তাদের বোলিং আক্রমণ নির্জীবই থেকে গেল। এই ম্যাচেও দেখা গেল বরিশালের বোলারদের হতশ্রী বোলিং। চট্টগ্রামের ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্দোর তাণ্ডবে বোলিংয়ের লাইন-লেংথই যেন হারিয়ে ফেলেন বরিশালের তারা। আগের তিন ম্যাচে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি এই লঙ্কান ব্যাটার। আজ খেলেছেন ৫০ বলে ৯১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। যার কল্যাণে ৪ উইকেটে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে চট্টগ্রাম। চলতি বিপিএলে এ পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। 

জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করে টানা হারের হ্যাটট্রিক বরিশালেরবিপিএলের দশম ম্যাচেও টসে জিতে বিপক্ষ দলকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর প্রক্রিয়াটা পরিবর্তন হয়নি। টস জিতেই বরিশালের অধিনায়ক তামিম ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চট্টগ্রামকে। আগের দিন ম্যাচ সুযোগ না পেলেও আজ বরিশালের একাদশে ছিলেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের প্রথম ওভারে করতে এসেই এই বাঁহাতি স্পিনার পেয়েছেন মিশ্র অভিজ্ঞতা। 

চট্টগ্রামের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে টানা তিনটি চারের বাউন্ডারি হজম করেছেন তাইজুল। কিন্তু হ্যাটট্রিকের পরের বলেই দুনিত ভেল্লালাগের ক্যাচে তানজিদ তামিমকে ফেরান তিনি। ৫ বলে ১২ রান এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। নিজের পরের ওভারে ইমরানুজ্জামানকেও (২) ফেরান তাইজুল। ২১ রানে দ্রুত দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম। যদিও সেই চাপ দলকে অনুভব করতে দেননি ওপেনার আভিষ্কা-ক্যাম্ফাররা। 

তৃতীয় উইকেটে শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে ৫৫ বলে ৭০ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন আভিষ্কা। ১২তম ওভারে দিপুকে ফিরিয়ে বরিশালকে ব্রেকথ্রু এনে দেন ইয়ানিক কারিয়াহ। ২৯ বলে ৩১ রান আসে দিপুর ব্যাট থেকে। চতুর্থ উইকেটে নাজিজউল্লাহ জাদরানের সঙ্গে ৩৮ বলে ৬৮ রানের আরেকটি বিধ্বংসী জুট গড়েন আভিষ্কা। যেখানে ৪৭ রানই ছিল লঙ্কান ব্যাটারের। ১৮ রানে নাজিবউল্লাহ ফেরেন কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে। 

পঞ্চম উইকেটে ক্যাম্ফারের সঙ্গে ১১ বলে ৩৪ রানের আরেকটি জুটি হয় আভিষ্কার। ৪০ বলে ফিফটি করা আভিষ্কা শেষ ১০ বল থেকে তোলেন ৪১ রান। ৭টি ছক্কা ও ৫টি চারে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ দিকে ৯ বলে ২৯ রানে আরেকটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন ক্যাম্ফার। বরিশালের হয়ে ২৬ রানের বিপরীতে দুটি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত