জয় ও সেঞ্চুরির জন্য দরকার ছিল ১২—দুটিই করলেন ডিভাইন

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫: ৫৫

একদিন আগে পরে জস বাটলারের সঙ্গে এক একই বিন্দুতে মিলে গেলেন সোফি ডিভাইন। দলকে জয় এনে দেওয়ার সঙ্গে নিজের সেঞ্চুরি—অসাধ্য এ দুই কাজই করলেন দুজনে। 

আইপিএলে গতরাতে জয়পুরে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ১৮৩ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু বৃথায় গেছে ভারতীয় ব্যাটারের ৭২ বলে অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংসটি। লক্ষ্য তাড়ায় জস বাটলার রাজস্থানকে এনে দেন ৬ উইকেটের জয়। 

শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থানের দরকার ছিল ১ রান আর সেঞ্চুরির জন্য ৬ রান। ক্যামেরুন গ্রিনের করা সেই ওভারের প্রথম বলে ৬ মেরে ৫৮ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন বাটলার। ইংলিশ ওপেনারের গত রাতের এই দৃশ্যটিই যেন আজ হ্যামিল্টনের ফেরালেন ডিভাইন। সেটিও বাটলারের দেশের মেয়েদের বিপক্ষে। 

আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ আগেই নিজেদের করে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। সুযোগ ছিল হোয়াইটওয়াশের। কিন্তু দুর্দান্ত এক ইনিংসে সেটি হতে দেননি ডিভাইন। সিডন পার্কে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৬.৩ ওভারে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশ মেয়েরা। 

লক্ষ্য তাড়ায় নিউজিল্যান্ড জয় পায় ৭ উইকেট ও ৬৬ বল হাতে রেখে। যার মধ্যে ১০০ রান ডিভাইনে। কিন্তু একটু হলেই সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারত কিউই অধিনায়কের। ৩৮ তম ইনিংস শেষে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ড মেয়েদের দরকার ছিল ১৩ রান। চার্লি ডিনের করা পরের ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে ডিভাইনকে স্ট্রাইক দেন ম্যাড্ডি গ্রিন। 

সে সময় জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ১২ রান আর সেঞ্চুরির জন্যও ডিভাইনের দরকার ছিল সমান রান। অসাধ্যসাধনই করেন ৩৪ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে কোনো রান নেননি। চতুর্থ বলে মারেন ছয়। সমীকরণটা তখন বেশ সহজ। সবকিছুর জন্য দরকার ১ ছয়। ষষ্ঠ বলে সেটিই করলেন ডিভাইন। ৯৩ বলে ১১ চার ও ৪ ছয়ে পা রাখলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরিতে। 

১৪ রানে ২ ওপেনারকে হারিয়ে বসা নিউজিল্যান্ডকে ডিভাইন এনে দিলেন হোয়াইটওয়াশ এড়ানো জয়। হলেন ম্যাচসেরাও। লক্ষ্য তাড়া করার পথে লরেন ফাইলারের কথা ইনিংসের ৩৮ তম ওভারে ১৬ রান নেয় নিউজিল্যান্ড। যার মধ্যে ৩ চার মেরে সেঞ্চুরির কাছে চলে আসেন ডিভাইন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত