ক্রীড়া ডেস্ক
বিশ্বকাপে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাটিতে নামাল নেদারল্যান্ডস। আগের দুই ম্যাচে দোর্দণ্ড প্রতাপে জয় পাওয়া প্রোটিয়াদের ৩৮ রানে হারিয়েছে ডাচরা। এতে ওয়ানডে ক্রিকেটে ইতিহাস গড়েছে নেদারল্যান্ডস।
প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো স্বাদ পেয়েছে ডাচরা। সর্বশেষ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রোটিয়াদের হারিয়ে ডাচ রূপকথা লিখেছিল তারা। সেদিন সব সংস্করণ মিলিয়ে প্রথম জয় পেয়েছিল প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে।
গত রোববার বিশ্বকাপের প্রথম অঘটন ঘটায় আফগানিস্তান। সেদিন ইংল্যান্ডকে ৬৯ রানে হারান রশিদ খান–মোহাম্মদ নবীরা। তাঁদের কাছেই হয়তো প্রোটিয়াদের হারানোর আজ অনুপ্রেরণা পেয়েছেন স্কট এডওয়ার্ডস–কলিন অ্যাকারমানরা।
২৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলার চেষ্টা করেন দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। ওপেনিং জুটিতে ৩৬ রান যোগ করেন দুজনে। কিন্তু এরপর ৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় প্রোটিয়ারা।
সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন হেনরিখ ক্লাসেন–ডেভিড মিলার জুটি। দলীয় ৮৯ রানে ক্লাসেন পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হলে আবারও ধাক্কা খায় প্রোটিয়ারা। এরপর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকেন তারা। অন্যদিকে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন কিলার মিলার। কিন্তু নিজেও বেশি কিছু করতে পারেননি মিলার। সপ্তম ব্যাটার হিসেবে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করে আউট হন তিনি। তাঁকে বোল্ড করে ডাচদের জয়ের পথ সহজ করে দেন লোগান ফন বিক। শেষ দিকে জেরাল্ড কোয়েৎজি ও কেশব মহারেজ শুধু ব্যবধান কমানোর লড়াই চালিয়ে গেলেন। বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনার মহারাজের ৪০ রানের ইনিংসটি। তাঁর ইনিংসটির সৌজন্যেই ৩৮ রানের পরাজয় দেখে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যথা ৫০ রানের ঊর্ধ্বে হারতে হতো তাদের। ডাচদের হয়ে সেরা বোলার ৬০ রানে ৩ উইকেট নেওয়া ফন বিক। আর অনবদ্য ৭৮ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস
এর আগে ধর্মশালায় বৃষ্টির কারণে দুই ঘণ্টা পর শুরু হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ। ৪৩ ওভারের ম্যাচে শুরুতে কাগিসো রাবাদা-মার্কো ইয়ানসেনরা উইকেটে গতির ঝড় তুলে এলোমেলো করে দেন ডাচদের টপ অর্ডার। ৫০ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় প্রোটিয়া বোলাররা।
এমন পরিস্থিতে ডাচ ব্যাটাররা হয়তো ঘুণাক্ষরেও দুই শ রানের কল্পনা করেনি। সেই তারাই শেষ ৯.১ ওভারে ১০৫ রান তোলে পরে আড়াই শ ছুঁই ছুঁই সংগ্রহ পায়। ৮ উইকেটে ২৪৬ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় নেদারল্যান্ডস।
পঞ্চম উইকেটে ৩২ রান খুব বড় না হলেও সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট ও তেজা নিদামানুরুর জুটি থেকেই ঘুঁরে দাঁড়ায় নেদারল্যান্ডস। ব্যক্তিগত ১৯ রানে এঙ্গেলব্রেখট আউট হওয়ার পর সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এডওয়ার্ডস। লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে রান বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যান তিনি। তাতে সফলও হয়েছেন ডাচ অধিনায়ক। রোয়েলফ ফন ডান মারউইকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ইনিংসের সবচেয়ে বড় ৬৪ রানের জুটি গড়েন তিনি। সেটিও আবার মাত্র ৩৭ বলে। ২৯ রানে মারউই ফিরলে আরেকটি অসাধারণ জুটি গড়েন এডওয়ার্ডস।
নবম উইকেটে আরিয়ান দত্তের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন এডওয়ার্ডস। ৯ বলে ৩ ছক্কায় ২৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস অপরাজিত থাকেন আরিয়ান। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের ১৪ তম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন ডাচ অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন, কাগিসো রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিদি।
বিশ্বকাপে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাটিতে নামাল নেদারল্যান্ডস। আগের দুই ম্যাচে দোর্দণ্ড প্রতাপে জয় পাওয়া প্রোটিয়াদের ৩৮ রানে হারিয়েছে ডাচরা। এতে ওয়ানডে ক্রিকেটে ইতিহাস গড়েছে নেদারল্যান্ডস।
প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো স্বাদ পেয়েছে ডাচরা। সর্বশেষ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রোটিয়াদের হারিয়ে ডাচ রূপকথা লিখেছিল তারা। সেদিন সব সংস্করণ মিলিয়ে প্রথম জয় পেয়েছিল প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে।
গত রোববার বিশ্বকাপের প্রথম অঘটন ঘটায় আফগানিস্তান। সেদিন ইংল্যান্ডকে ৬৯ রানে হারান রশিদ খান–মোহাম্মদ নবীরা। তাঁদের কাছেই হয়তো প্রোটিয়াদের হারানোর আজ অনুপ্রেরণা পেয়েছেন স্কট এডওয়ার্ডস–কলিন অ্যাকারমানরা।
২৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলার চেষ্টা করেন দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। ওপেনিং জুটিতে ৩৬ রান যোগ করেন দুজনে। কিন্তু এরপর ৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় প্রোটিয়ারা।
সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন হেনরিখ ক্লাসেন–ডেভিড মিলার জুটি। দলীয় ৮৯ রানে ক্লাসেন পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হলে আবারও ধাক্কা খায় প্রোটিয়ারা। এরপর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকেন তারা। অন্যদিকে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন কিলার মিলার। কিন্তু নিজেও বেশি কিছু করতে পারেননি মিলার। সপ্তম ব্যাটার হিসেবে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করে আউট হন তিনি। তাঁকে বোল্ড করে ডাচদের জয়ের পথ সহজ করে দেন লোগান ফন বিক। শেষ দিকে জেরাল্ড কোয়েৎজি ও কেশব মহারেজ শুধু ব্যবধান কমানোর লড়াই চালিয়ে গেলেন। বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনার মহারাজের ৪০ রানের ইনিংসটি। তাঁর ইনিংসটির সৌজন্যেই ৩৮ রানের পরাজয় দেখে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যথা ৫০ রানের ঊর্ধ্বে হারতে হতো তাদের। ডাচদের হয়ে সেরা বোলার ৬০ রানে ৩ উইকেট নেওয়া ফন বিক। আর অনবদ্য ৭৮ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস
এর আগে ধর্মশালায় বৃষ্টির কারণে দুই ঘণ্টা পর শুরু হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ। ৪৩ ওভারের ম্যাচে শুরুতে কাগিসো রাবাদা-মার্কো ইয়ানসেনরা উইকেটে গতির ঝড় তুলে এলোমেলো করে দেন ডাচদের টপ অর্ডার। ৫০ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় প্রোটিয়া বোলাররা।
এমন পরিস্থিতে ডাচ ব্যাটাররা হয়তো ঘুণাক্ষরেও দুই শ রানের কল্পনা করেনি। সেই তারাই শেষ ৯.১ ওভারে ১০৫ রান তোলে পরে আড়াই শ ছুঁই ছুঁই সংগ্রহ পায়। ৮ উইকেটে ২৪৬ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় নেদারল্যান্ডস।
পঞ্চম উইকেটে ৩২ রান খুব বড় না হলেও সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট ও তেজা নিদামানুরুর জুটি থেকেই ঘুঁরে দাঁড়ায় নেদারল্যান্ডস। ব্যক্তিগত ১৯ রানে এঙ্গেলব্রেখট আউট হওয়ার পর সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এডওয়ার্ডস। লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে রান বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যান তিনি। তাতে সফলও হয়েছেন ডাচ অধিনায়ক। রোয়েলফ ফন ডান মারউইকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ইনিংসের সবচেয়ে বড় ৬৪ রানের জুটি গড়েন তিনি। সেটিও আবার মাত্র ৩৭ বলে। ২৯ রানে মারউই ফিরলে আরেকটি অসাধারণ জুটি গড়েন এডওয়ার্ডস।
নবম উইকেটে আরিয়ান দত্তের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েন এডওয়ার্ডস। ৯ বলে ৩ ছক্কায় ২৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস অপরাজিত থাকেন আরিয়ান। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের ১৪ তম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন ডাচ অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন, কাগিসো রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিদি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠতে না পারলেও টুর্নামেন্টে আফগানিস্তানের পারফরম্যান্স বিশ্ব ক্রিকেটের নজর কেড়েছে। প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে এসেই আফগানরা চমক দেখিয়েছে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রমাণ মিলেছে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়েও।
১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তান ক্রিকেট দল এক বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ায় দলটিকে নিয়ে লাগাতার সমালোচনা চলছে। আর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের দুসময়ে মজা করার অভ্যাস তো হরভজন সিংয়ের এখনো যায়নি। ভারতের তারকা স্পিনার এবার পাকিস্তানের কাটা ঘায়ে দিয়েছেন নুনের ছিটা।
২ ঘণ্টা আগেচ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগে থেকেই ভারতের এক মাঠে সব ম্যাচ খেলা নিয়ে কথা হচ্ছে। সাবেকেরা একেক সময় একেক মন্তব্য করেই চলেছেন। শুধু সাবেকেরা বললে ভুল হবে, টুর্নামেন্টে খেলা ক্রিকেটাররাও কথা বলেছেন বিভিন্ন সময়ে। ভারত দুবাইয়ের কন্ডিশনে গ্রুপপর্ব ও সেমিফাইনালসহ এরই মধ্যে চারটা ম্যাচ খেলে ফেলেছে।
৩ ঘণ্টা আগেএকেকটা আইসিসি ইভেন্ট শুরুর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের যতটা আগ্রহ থাকে, টুর্নামেন্ট শুরু হলে চলতে থাকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। কারণ, আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের ভরাডুবি এখন নিয়মিত চিত্র। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আকরাম খানের মতে বাংলাদেশে মানসম্পন্ন ক্রিকেটারের অভাব রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে