ক্রীড়া ডেস্ক
২০২৪ আইপিএলে রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলাতেই মেতেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যেভাবে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে, অনেকে মজা করে বলছেন ‘রানরাইজার্স হায়দরাবাদ।’ ১৯ দিনের মধ্যে নিজেদের রেকর্ড ভাঙল নিজেরাই।
মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ২৭ মার্চ হায়দরাবাদ করে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান। ম্যাচের ভেন্যু ছিল হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) ১১ বছরের রেকর্ড ভেঙে যায়। পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিপক্ষে করেছিল ৫ উইকেটে ২৬৩ রান। বিরাট কোহলি লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে এবার নিজেদের রেকর্ড ভাঙতে হায়দরাবাদ সময় নিল ১৯ দিন। বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে আজ আরসিবির বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৮৭ রান করেছে হায়দরাবাদ। আইপিএল ইতিহাসে এটাই দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
টস জিতে আজ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা ঝড় তোলা শুরু করেন। তাঁদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল যেন ভিডিও গেমস চলছে। ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে হায়দরাবাদ করে ১০৮ রান। হেডের তান্ডব দর্শকের মতো উপভোগ করতে থাকেন অভিষেক। নবম ওভারের প্রথম বলে অভিষেককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রিস টপলি। ২২ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৪ রান করেন অভিষেক।
অভিষেককে থামানো গেলেও হেডকে থামানো যাচ্ছিল না কিছুতেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও মারমুখী হয়েছেন হেড। ৩৯ বলে তুলে নেন আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে বিজয়কুমার ভিষাককে ওয়াইড লং অন এলাকা দিয়ে ফ্লিক করে চার মেরে তিন অঙ্ক ছুয়েছেন হেড। হেডের ৩৯ বলে সেঞ্চুরি আইপিএল ইতিহাসেরই চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে লকি ফারগুসনকে তুলে মারতে যান হেড। আকাশে দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকা বল মিড অফে তালুবন্দী করেন ডু প্লেসি। ৪১ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ১০৮ রান করেন হেড। দ্বিতীয় উইকেটে ক্লাসেন-হেডের জুটি ছিল ২৬ বলে ৫৭ রানের।
দুই ওপেনারের বিদায়ে হায়দরাবাদের স্কোর হয়ে যায় ১২.৩ ওভারে ২ উইকেটে ১৬৫ রান। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন এইডেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার মার্করাম ও ক্লাসেন ঝড় তোলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৭ বলে ৬৬ রান যোগ করেন মার্করাম ও হেড। ক্লাসেনকে ফিরিয়ে এই জুটিও ভাঙেন ফার্গুসন। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারের বিদায়ে হায়দরাবাদের স্কোর হয়ে যায় ১৭ ওভারে ৩ উইকেটে ২৩১ রান। নিজেদের রেকর্ড ভাঙতে তখনো ৩ ওভারে দরকার ৪৭ রান। হায়দরাবাদ যেন সেটা করতেই মরিয়া হয়ে ওঠে। বিশেষ করে আব্দুল সামাদ। ১০ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন সামাদ। চতুর্থ উইকেটে মার্করাম-সামাদ ১৯ বলে ৫৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন। আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোর গড়েই তাঁরা মাঠ ছাড়েন। বেঙ্গালুরুর সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন ফার্গুসন।
আইপিএল ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ পাঁচ স্কোর
দল স্কোর প্রতিপক্ষ মাঠ মৌসুম
হায়দরাবাদ ২৮৭/৩ বেঙ্গালুরু বেঙ্গালুরু ২০২৪
হায়দরাবাদ ২৭৭/৩ মুম্বাই হায়দরাবাদ ২০২৪
কলকাতা ২৭২/৭ দিল্লি বিশাখাপত্তনম ২০২৪
বেঙ্গালুরু ২৬৩/৫ পুনে বেঙ্গালুরু ২০১৩
লক্ষ্ণৌ ২৫৭/৩ পাঞ্জাব মোহালি ২০২৩
২০২৪ আইপিএলে রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলাতেই মেতেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যেভাবে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে, অনেকে মজা করে বলছেন ‘রানরাইজার্স হায়দরাবাদ।’ ১৯ দিনের মধ্যে নিজেদের রেকর্ড ভাঙল নিজেরাই।
মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ২৭ মার্চ হায়দরাবাদ করে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান। ম্যাচের ভেন্যু ছিল হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) ১১ বছরের রেকর্ড ভেঙে যায়। পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিপক্ষে করেছিল ৫ উইকেটে ২৬৩ রান। বিরাট কোহলি লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে এবার নিজেদের রেকর্ড ভাঙতে হায়দরাবাদ সময় নিল ১৯ দিন। বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে আজ আরসিবির বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৮৭ রান করেছে হায়দরাবাদ। আইপিএল ইতিহাসে এটাই দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
টস জিতে আজ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা ঝড় তোলা শুরু করেন। তাঁদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল যেন ভিডিও গেমস চলছে। ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে হায়দরাবাদ করে ১০৮ রান। হেডের তান্ডব দর্শকের মতো উপভোগ করতে থাকেন অভিষেক। নবম ওভারের প্রথম বলে অভিষেককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রিস টপলি। ২২ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৪ রান করেন অভিষেক।
অভিষেককে থামানো গেলেও হেডকে থামানো যাচ্ছিল না কিছুতেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও মারমুখী হয়েছেন হেড। ৩৯ বলে তুলে নেন আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে বিজয়কুমার ভিষাককে ওয়াইড লং অন এলাকা দিয়ে ফ্লিক করে চার মেরে তিন অঙ্ক ছুয়েছেন হেড। হেডের ৩৯ বলে সেঞ্চুরি আইপিএল ইতিহাসেরই চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে লকি ফারগুসনকে তুলে মারতে যান হেড। আকাশে দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকা বল মিড অফে তালুবন্দী করেন ডু প্লেসি। ৪১ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ১০৮ রান করেন হেড। দ্বিতীয় উইকেটে ক্লাসেন-হেডের জুটি ছিল ২৬ বলে ৫৭ রানের।
দুই ওপেনারের বিদায়ে হায়দরাবাদের স্কোর হয়ে যায় ১২.৩ ওভারে ২ উইকেটে ১৬৫ রান। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন এইডেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার মার্করাম ও ক্লাসেন ঝড় তোলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৭ বলে ৬৬ রান যোগ করেন মার্করাম ও হেড। ক্লাসেনকে ফিরিয়ে এই জুটিও ভাঙেন ফার্গুসন। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারের বিদায়ে হায়দরাবাদের স্কোর হয়ে যায় ১৭ ওভারে ৩ উইকেটে ২৩১ রান। নিজেদের রেকর্ড ভাঙতে তখনো ৩ ওভারে দরকার ৪৭ রান। হায়দরাবাদ যেন সেটা করতেই মরিয়া হয়ে ওঠে। বিশেষ করে আব্দুল সামাদ। ১০ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন সামাদ। চতুর্থ উইকেটে মার্করাম-সামাদ ১৯ বলে ৫৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন। আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোর গড়েই তাঁরা মাঠ ছাড়েন। বেঙ্গালুরুর সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন ফার্গুসন।
আইপিএল ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ পাঁচ স্কোর
দল স্কোর প্রতিপক্ষ মাঠ মৌসুম
হায়দরাবাদ ২৮৭/৩ বেঙ্গালুরু বেঙ্গালুরু ২০২৪
হায়দরাবাদ ২৭৭/৩ মুম্বাই হায়দরাবাদ ২০২৪
কলকাতা ২৭২/৭ দিল্লি বিশাখাপত্তনম ২০২৪
বেঙ্গালুরু ২৬৩/৫ পুনে বেঙ্গালুরু ২০১৩
লক্ষ্ণৌ ২৫৭/৩ পাঞ্জাব মোহালি ২০২৩
২০০২ সালে নিজেদের সবশেষ ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। এরপর কেটে গেল ২২ বছর। আর কোনো বিশ্বকাপে সেভাবে সুবিধা করতে পারেনি তারা। সম্প্রতি বিশ্বকাপ বাছাই কিংবা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচেও ভালো ছন্দে নেই তারা।
৩৭ মিনিট আগেএশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে কাল সংযুক্ত আরব আমিরাতে পা রাখবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তার আগে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হয়ে গেল যুবাদের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন। উৎসাহ দিতে ক্রিকেটার-কোচদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও।
২ ঘণ্টা আগেঅ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশ দলের প্রথম দিন কাটল অম্ল-মধুর। আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা হয়েছে ৮৪ ওভার। দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে ৫ উইকেটে ২৫০ রান।
৫ ঘণ্টা আগে