পাপনদের মহা গুরুত্বপূর্ণ সভাটি ১৫ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২১, ১৯: ৫১
আপডেট : ১০ জুন ২০২১, ২০: ২৭

ঢাকা: বছরে একাধিকবার হয়ে থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের সভা। কিন্তু করোনা মহামারি বাদ সেধেছে এখানেও। গত দেড় বছর হচ্ছে না বিসিবির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এই সভা। বেশির ভাগ সিদ্ধান্তই বিসিবির নীতিনির্ধারকেরা নিয়েছেন অনলাইন মিটিংয়ে। অবশেষে বোর্ড সভা হচ্ছে। সেটি হতে পারে ১৫ জুন। বিসিবি কার্যালয়ে হতে যাওয়া এই সভায় হতে পারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

বছরের প্রায় অর্ধেকটা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ক্রিকেটারদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি করতে পারেনি বিসিবি। আগামী বোর্ড সভার প্রধান আলোচ্যসূচি হতে পারে ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি। এবারে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। করোনায় গত বছর বাংলাদেশের একের পর এক সিরিজ স্থগিত হওয়ায় পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন করার সুযোগ ছিল না। জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে ক্রিকেটারদের পাফরম্যান্স মূল্যায়ন।

কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফেরার কথা সাকিব আল হাসানের, যিনি আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়ে ২০১৯ সালের অক্টোবরে চুক্তি থেকে বাদ পড়েছিলেন। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফিরতে পারেন তাসকিন আহমেদ। গত তিন মাসে তাঁর পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকেরা। কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন কদিন আগে বলেছেন, ‘শুধু পারফরম্যান্স নয়, আমাদের ভবিষ্যতের কথাও চিন্তা করতে হয়। কে বেশি খেলতে পারবে, কে এই বছরেও বেশি সেবা দিতে পারবে, সব মিলে তালিকাটা করা হয়েছে।’

চুক্তির বাইরেও এই বোর্ড সভায় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে বিশেষ আলোচনা হতে পারে। বিসিবির এই বোর্ড সভার আলোচনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন–তারিখ ঠিক করা। এবারের বার্ষিক সাধারণ সভার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। এই বছর হবে বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন।

 পরের মেয়াদে বিসিবির সভাপতিপ্রার্থী কি নাজমুল হাসান পাপনই হবেন না কি নতুন কেউ দায়িত্ব নেবেন, সেটি নির্ধারণ হবে এই এজিএমেই। নির্বাচন নিয়ে বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, সভাপতি কে হবেন বা সভাপতি পদে কে লড়বেন সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে তিনি মনে করেন, নির্বাচনের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে এই বোর্ড সভা থেকে।

১৫ জুনের সভায় পূর্বাচলে নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম নিয়ে আলোচনা হবে। বিসিবি বর্তমান কমিটির প্রতিশ্রুতি ছিল, ২০২৩ সালের মধ্যে এই স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শেষ করা হবে। এই স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা হতে পারে বোর্ড সভায়। পরিচালনা পর্ষদ সভায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হতে পারে দেশের মাঠে আইসিসির বড় ইভেন্ট আয়োজন নিয়ে। সম্প্রতি আইসিসি তাদের সভায় ২০৩১ সাল পর্যন্ত বড় বড় আয়োজনের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এই সব টুর্নামেন্টের কোন কোনটি বাংলাদেশ আয়োজন করবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। বিডিং প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ কীভাবে অংশ নেবে, সেটি নিয়েও আলোচনা হবে।

আলোচনা হতে পারে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রস্তুতি, করোনায় আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার উপায় বের করা, শূন্য হয়ে যাওয়া বিসিবির বিভিন্ন দলের কোচ নিয়োগ, করোনাকালীন বাস্তবতায় খেলোয়াড়দের বিশ্রাম ও সামনের বিপিএল নিয়েও। বছরের প্রথম পরিচালনা পর্ষদের সভা বলেই ১৫ জুন বেলা তিনটার সভাটার দিকে তাকিয়ে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত