আহমেদ রিয়াদ, কানপুর থেকে
সকাল থেকেই কানপুরের আকাশ ভারী, মেঘে ঢাকা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোথাও কোথাও মেঘ ভেঙে ঝরল ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের ভেতর ঢুকেই দেখা গেলে মোটা ত্রিপলে ঢাকা উইকেটের আশপাশ। পরিস্থিতি কেমন যেন ঘোলাটে। এই পরিবেশে নতুন মাত্রা যোগ করল কানপুর টেস্ট ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর পরিবর্তে সাকিব আল হাসানের আগমনের খবরে। প্রেসবক্সে বাংলাদেশি সাংবাদমাধ্যমের তৎক্ষণাৎ তোড়জোড় শুরু হলো সংবাদ সম্মেলনকক্ষে যাওয়া নিয়ে।
বাংলাদেশ দলের মিডিয়া ম্যানেজারের রাবিদ ইমাম এলেন বার্তা পাঠানোর মিনিট দশকের মধ্যে শুরু হলো সাকিবের সংবাদ সম্মেলন। মিনিট বিশেকের এই সংবাদ সম্মেলনে সাকিব তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ঘোষণা করবেন, সেটি কেউ আঁচ করতে পারেননি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সংবাদ সম্মেলনে রুমে পিনপন নীরবতা। অবশেষে সংবাদ সম্মেলনের শেষের দিকে এক প্রশ্নে সাকিব বললেন, ‘কানপুর টেস্টের পর দেশের মাটিতে লাল বলে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি দেখছেন। এ নিয়ে ফারুক ভাইয়ের (বিসিবি সভাপতি) সঙ্গে কথা হয়েছে। যদি দেশে আসার পরিস্থিতি আমার জন্য অনুকূলে থাকে আমি দেশে এসে সিরিজ খেলে বিদায় নিতে চাই। না হয় হয়তো এই কানপুরেই শেষ।’
ঘোষণা দিয়ে সাকিবের মুখে মলিন হাসি। কথাগুলো বাংলায় ঘোষণার পরই বাংলাদেশি সাংবাদিকদের বিস্ময় আর প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন শুনে ভারতীয় সাংবাদিকদেরও তৈরি হলো কৌতূহল। সাকিব তাঁদের উদ্দেশে ইংরেজিতেও বললেন। আর তাতে যেন বাংলাদেশি সাংবাদিককুলের সঙ্গে অবাক, হতভম্ব ভারতীয় সাংবাদিকেরাও—কানপুরেই এত বড় এক ঘোষণা আসবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের কাছ থেকে! সংবাদ সম্মেলন শেষ হতেই তাঁর সঙ্গে ছবি, সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে গেল স্বয়ং সংবাদমাধ্যমকর্মীদের মধ্যেই।
সাকিব নিজেই বলছেন, তিনি অভিমান কিংবা কষ্ট থেকে নয়, সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটে-বলে সাকিবের ছন্দ হারিয়ে ফেলার সঙ্গে যোগ হয়েছে ফিটনেস ইস্যু। তাঁকে কেন দলে রাখা হচ্ছে—এ ধরনের প্রশ্নও উঠে গেছে চারদিকে। সাকিব একবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, যেদিন মনে হবে তিনি আর ড্রাইভিং সিটে নেই সেদিন শেষের ঘোষণা দেবেন। হয়তো এখন তাঁর সেই অনুভূতিই হচ্ছে। খেলার মাঠের বাইরে নানা বিষয়েও সাকিব যেন আর পেরে উঠছেন না।
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে নামের পাশে লেপ্টে গেছে হত্যা মামলা। নতুন যোগ সাকিব যেভাবে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গুণতে হলো ৫০ লাখ টাকার জরিমানা। দেশে হত্যা মামলার আসামি, রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বিরাট ধাক্কা—দেশে নিজের নিরাপত্তাহীনতা, সব মিলিয়ে সাকিবের মনে হয়েছে এখানেই বিদায় বলে দেওয়া ভালো।
তবে সাকিবের বড় ঘোষণার একটা ইঙ্গিত কিন্তু নির্বাচক হান্নান সরকার ফেসবুকে দিয়ে রেখেছিলেন। কাল রাতে কানপুরের টিম হোটেলের নির্বাচক হান্নান সরকার একটি ছবি দিয়ে লেখেন, ‘সামথিং হট ইজ কুকিং...।’ আজ সেটিরই উত্তর জানা গেল। সাকিবের অবসর ঘোষণায় যেন একটা রঙিন অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে...। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে তাঁর চেয়ে সেরা খেলোয়াড় যে আর দ্বিতীয়টি আসেনি। মাঠে, মাঠের বাইরে সাকিব মানেই ভিন্ন কিছু। সেই অধ্যায়টা এভাবে, এই পরিস্থিতিতে হুট করে শেষ হবে, কে ভেবেছিল!
সকাল থেকেই কানপুরের আকাশ ভারী, মেঘে ঢাকা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোথাও কোথাও মেঘ ভেঙে ঝরল ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের ভেতর ঢুকেই দেখা গেলে মোটা ত্রিপলে ঢাকা উইকেটের আশপাশ। পরিস্থিতি কেমন যেন ঘোলাটে। এই পরিবেশে নতুন মাত্রা যোগ করল কানপুর টেস্ট ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর পরিবর্তে সাকিব আল হাসানের আগমনের খবরে। প্রেসবক্সে বাংলাদেশি সাংবাদমাধ্যমের তৎক্ষণাৎ তোড়জোড় শুরু হলো সংবাদ সম্মেলনকক্ষে যাওয়া নিয়ে।
বাংলাদেশ দলের মিডিয়া ম্যানেজারের রাবিদ ইমাম এলেন বার্তা পাঠানোর মিনিট দশকের মধ্যে শুরু হলো সাকিবের সংবাদ সম্মেলন। মিনিট বিশেকের এই সংবাদ সম্মেলনে সাকিব তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ঘোষণা করবেন, সেটি কেউ আঁচ করতে পারেননি। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সংবাদ সম্মেলনে রুমে পিনপন নীরবতা। অবশেষে সংবাদ সম্মেলনের শেষের দিকে এক প্রশ্নে সাকিব বললেন, ‘কানপুর টেস্টের পর দেশের মাটিতে লাল বলে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি দেখছেন। এ নিয়ে ফারুক ভাইয়ের (বিসিবি সভাপতি) সঙ্গে কথা হয়েছে। যদি দেশে আসার পরিস্থিতি আমার জন্য অনুকূলে থাকে আমি দেশে এসে সিরিজ খেলে বিদায় নিতে চাই। না হয় হয়তো এই কানপুরেই শেষ।’
ঘোষণা দিয়ে সাকিবের মুখে মলিন হাসি। কথাগুলো বাংলায় ঘোষণার পরই বাংলাদেশি সাংবাদিকদের বিস্ময় আর প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন শুনে ভারতীয় সাংবাদিকদেরও তৈরি হলো কৌতূহল। সাকিব তাঁদের উদ্দেশে ইংরেজিতেও বললেন। আর তাতে যেন বাংলাদেশি সাংবাদিককুলের সঙ্গে অবাক, হতভম্ব ভারতীয় সাংবাদিকেরাও—কানপুরেই এত বড় এক ঘোষণা আসবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের কাছ থেকে! সংবাদ সম্মেলন শেষ হতেই তাঁর সঙ্গে ছবি, সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে গেল স্বয়ং সংবাদমাধ্যমকর্মীদের মধ্যেই।
সাকিব নিজেই বলছেন, তিনি অভিমান কিংবা কষ্ট থেকে নয়, সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটে-বলে সাকিবের ছন্দ হারিয়ে ফেলার সঙ্গে যোগ হয়েছে ফিটনেস ইস্যু। তাঁকে কেন দলে রাখা হচ্ছে—এ ধরনের প্রশ্নও উঠে গেছে চারদিকে। সাকিব একবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, যেদিন মনে হবে তিনি আর ড্রাইভিং সিটে নেই সেদিন শেষের ঘোষণা দেবেন। হয়তো এখন তাঁর সেই অনুভূতিই হচ্ছে। খেলার মাঠের বাইরে নানা বিষয়েও সাকিব যেন আর পেরে উঠছেন না।
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে নামের পাশে লেপ্টে গেছে হত্যা মামলা। নতুন যোগ সাকিব যেভাবে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গুণতে হলো ৫০ লাখ টাকার জরিমানা। দেশে হত্যা মামলার আসামি, রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বিরাট ধাক্কা—দেশে নিজের নিরাপত্তাহীনতা, সব মিলিয়ে সাকিবের মনে হয়েছে এখানেই বিদায় বলে দেওয়া ভালো।
তবে সাকিবের বড় ঘোষণার একটা ইঙ্গিত কিন্তু নির্বাচক হান্নান সরকার ফেসবুকে দিয়ে রেখেছিলেন। কাল রাতে কানপুরের টিম হোটেলের নির্বাচক হান্নান সরকার একটি ছবি দিয়ে লেখেন, ‘সামথিং হট ইজ কুকিং...।’ আজ সেটিরই উত্তর জানা গেল। সাকিবের অবসর ঘোষণায় যেন একটা রঙিন অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে...। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে তাঁর চেয়ে সেরা খেলোয়াড় যে আর দ্বিতীয়টি আসেনি। মাঠে, মাঠের বাইরে সাকিব মানেই ভিন্ন কিছু। সেই অধ্যায়টা এভাবে, এই পরিস্থিতিতে হুট করে শেষ হবে, কে ভেবেছিল!
ভারতের ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনার কথা সবারই জানা। আইসিসি ইভেন্ট হলে সেটা বেড়ে যায় বহুগুণে। তার ওপর যদি দলটি ওঠে ফাইনালে, তাহলে তো কথাই নেই। সেকারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে প্রতিপক্ষ ঠিক হওয়ার আগেই শেষ সব টিকিট।
৩৫ মিনিট আগেক্রিকেটে ঘন ঘন নিয়ম পরিবর্তন করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। বলে থুতু লাগানো তো আইসিসি অনেক আগে থেকেই নিষিদ্ধ করেছে। ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার কাছে এই নিয়মটি বদলানোর অনুরোধ করেছেন মোহাম্মদ শামি।
১ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রাচীন রবীন্দ্রর পথচলা কেবল ৪ বছরের। এরই মধ্যে তিনি গড়ে চলেছেন একের পর এক রেকর্ড। আইসিসি ইভেন্টে নিউজিল্যান্ডের এই ক্রিকেটার জ্বলে ওঠেন বারুদের মতো।
২ ঘণ্টা আগেলাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচটার কথা হয়তো অনেকেরই মনে আছে। রানবন্যান ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া যে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে, সেটা কি কেউ সহজে ভুলতে পারেন? তবে অস্ট্রেলিয়ার সেই রেকর্ড মাত্র ১১ দিনে ভেঙে দিল নিউজিল্যান্ড। কিউইরা বিশ্বরেকর্ডটা নিজেদের নামে লিখিয়ে নিল
৪ ঘণ্টা আগে