আফতাব আহমেদ
আমরা যখন প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০০৭) খেলতে গিয়েছিলাম, তখনো খেলাটা আমাদের কাছে বলতে গেলে সেভাবে পরিচিত ছিল না। সেই বিশ্বকাপের এক-দেড় বছর আগে সম্ভবত খেলাটার প্রচলন হয়েছিল। সেদিক দিয়ে তখনো আমরা টি-টোয়েন্টিতে পুরোপুরি একটা দল হয়ে উঠিনি।
তবে আমার আর মোহাম্মদ আশরাফুলের একটা প্লাস পয়েন্ট ছিল। শুরু থেকেই দুজন ওয়ানডেতেও সব সময় চেষ্টা করতাম ইতিবাচক ব্যাটিং করতে। ওই হিসেবে টি-টোয়েন্টিটা আমাদের দুজনের জন্য ‘প্রিয়’ সংস্করণ হয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে এই সংস্করণটা তাই আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন কোনো কিছু মনে হয়নি। আমরা আগে থেকেই যে ব্যাটিংটা সব সময় করতাম, সেই ব্যাটিংটাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে করেছি। আমি ও আশরাফুল–দুজনই সেদিন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলাম। আমরা দুজনের ফিফটিতে ভর করে দল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই দারুণ একটা জয়ও পেয়েছিল।
সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আসলে খেলার ধার বাড়ার কথা ছিল। সেদিক দিয়ে পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপগুলোতে আমাদের তেমন সাফল্য আসেনি। এটার অনেক কারণ আছে। অনেকে মনে করেন, টি-টোয়েন্টি খুব সহজ একটা খেলা, উইকেটে গিয়েই মেরে খেলব। খেলাটা আসলে এমন না। এই খেলাটা কঠিন। যেমন আমার কথাই ধরুন।
ওয়ানডেতে আমি যদি ইতিবাচক ব্যাটিংও করতাম, তবু মনে করুন প্রথম ১০ ওভার পর আমি উইকেটে গেলাম। আমার সামনে তখন আরও ৪০ ওভার খেলা পড়ে আছে। উইকেটে গিয়ে তাই কমপক্ষে ১০টা বল দেখার সময় তো পেতাম। কিন্তু এই সময়টা টি-টোয়েন্টি আপনাকে দেবে না। খেলাটা তাই বড় কঠিন।
ভারতের কথা ধরুন, ১৩০ কোটি মানুষের মধ্যে থেকে ১৫-১৬ জন ক্রিকেটার দলে আছে। এর মধ্যে ৫-৬ জন বোলার। অর্থাৎ এত কোটি মানুষের দেশের সবচেয়ে সেরা যারা ওরাই কিন্তু ওখানে খেলছে। আর এই সেরা বোলারদের উইকেটে গিয়েই মেরে খেলা সহজ কাজ নয়। টি-টোয়েন্টিকে অনেকে সহজ খেলা বললেও আমি বলব সংস্করণটা বোলারদের জন্যও যেমন কঠিন, ব্যাটারদের জন্যও তেমন।
সেদিক দিয়ে এই সংস্করণটা আমাদের জন্য আরও বড় কঠিন। উইকেটে গিয়েই চালিয়ে খেলতে পারে, আসলে এমন পাওয়ার হিটার আমাদের একটু কমই আছে। শেষ ৩০ বলে ৫০-৬০ স্কোর তোলার মতো ব্যাটার ওই পজিশনে আমাদের নেই। এতে যে স্কোর ১৫০-১৬০ হওয়ার কথা, সেখানে ওটা হয়ে যায় ১৩০-১৪০। যেটা পরে প্রতিপক্ষের জন্য সহজ লক্ষ্য হয়ে যায়। ১৫-২০ রানের এই জায়গাতেই আমরা একটু পিছিয়ে আছি। ওই ঘাটতিতেই আমরা হেরে যাই।
তবে আমাদের এই দলটা সব মিলিয়ে ভালো। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আমরা প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও হেরেছি। এটা আসলে আমাদের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। তবে দলটা দেশ থেকে ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়েই বিশ্বকাপে গেছে। টানা তিনটি সিরিজ আমরা জিতে গেছি। এরপরও বলব, সামনে অনেক বড় পরীক্ষা। এই পরীক্ষাতেই পাস করতে হবে।
এশিয়ার পরিবেশে যেহেতু বিশ্বকাপ হচ্ছে, বলা যায় আমাদের মতোই পরিবেশ। তবে আমাদের ভালো খেলাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জন্য মাইনাস পয়েন্ট হলো, আমরা শেষ দুটি সিরিজ খেলেছি যেখানে আমাদের ১২০-১৩০ লক্ষ্যে তাড়া করতে হয়েছে। কিন্তু এখানে নিয়মিত ১৮০-১৯০, এমনকি ২০০ রানও তাড়া করতে হতে পারে।
ব্যাটসম্যানরা এই কন্ডিশনে কতটুকু আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটিং করতে পারে, সেটিই এখন দেখার বিষয়। স্কোরবোর্ডে ২০০ রান দেখলে ঘাবড়ে যায় কি না, সেটিও তো আছে।
যেটা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দেখলাম। ১৭৮ রান করতে গিয়েই কিন্তু আমরা সমস্যায় পড়েছি। তবে মাইনাস আর প্লাস পয়েন্ট মিলেই তো দল হয়।
আমাদের খেলোয়াড়দের যতটুকু সামর্থ্য আছে, তা যদি দিতে পারে তাহলে অবশ্যই আমাদের ভালো ফল করা সম্ভব। আমার মনে হয়, বড় পরীক্ষা প্রথম দিকেই বেশি। সেই পরীক্ষায় পাস করতে পারলেই ওপরে উঠবে। আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখলে কোয়ার্টার কিংবা সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি আমি।
আফতাব আহমেদ,জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার
আমরা যখন প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০০৭) খেলতে গিয়েছিলাম, তখনো খেলাটা আমাদের কাছে বলতে গেলে সেভাবে পরিচিত ছিল না। সেই বিশ্বকাপের এক-দেড় বছর আগে সম্ভবত খেলাটার প্রচলন হয়েছিল। সেদিক দিয়ে তখনো আমরা টি-টোয়েন্টিতে পুরোপুরি একটা দল হয়ে উঠিনি।
তবে আমার আর মোহাম্মদ আশরাফুলের একটা প্লাস পয়েন্ট ছিল। শুরু থেকেই দুজন ওয়ানডেতেও সব সময় চেষ্টা করতাম ইতিবাচক ব্যাটিং করতে। ওই হিসেবে টি-টোয়েন্টিটা আমাদের দুজনের জন্য ‘প্রিয়’ সংস্করণ হয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে এই সংস্করণটা তাই আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন কোনো কিছু মনে হয়নি। আমরা আগে থেকেই যে ব্যাটিংটা সব সময় করতাম, সেই ব্যাটিংটাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে করেছি। আমি ও আশরাফুল–দুজনই সেদিন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলাম। আমরা দুজনের ফিফটিতে ভর করে দল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই দারুণ একটা জয়ও পেয়েছিল।
সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আসলে খেলার ধার বাড়ার কথা ছিল। সেদিক দিয়ে পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপগুলোতে আমাদের তেমন সাফল্য আসেনি। এটার অনেক কারণ আছে। অনেকে মনে করেন, টি-টোয়েন্টি খুব সহজ একটা খেলা, উইকেটে গিয়েই মেরে খেলব। খেলাটা আসলে এমন না। এই খেলাটা কঠিন। যেমন আমার কথাই ধরুন।
ওয়ানডেতে আমি যদি ইতিবাচক ব্যাটিংও করতাম, তবু মনে করুন প্রথম ১০ ওভার পর আমি উইকেটে গেলাম। আমার সামনে তখন আরও ৪০ ওভার খেলা পড়ে আছে। উইকেটে গিয়ে তাই কমপক্ষে ১০টা বল দেখার সময় তো পেতাম। কিন্তু এই সময়টা টি-টোয়েন্টি আপনাকে দেবে না। খেলাটা তাই বড় কঠিন।
ভারতের কথা ধরুন, ১৩০ কোটি মানুষের মধ্যে থেকে ১৫-১৬ জন ক্রিকেটার দলে আছে। এর মধ্যে ৫-৬ জন বোলার। অর্থাৎ এত কোটি মানুষের দেশের সবচেয়ে সেরা যারা ওরাই কিন্তু ওখানে খেলছে। আর এই সেরা বোলারদের উইকেটে গিয়েই মেরে খেলা সহজ কাজ নয়। টি-টোয়েন্টিকে অনেকে সহজ খেলা বললেও আমি বলব সংস্করণটা বোলারদের জন্যও যেমন কঠিন, ব্যাটারদের জন্যও তেমন।
সেদিক দিয়ে এই সংস্করণটা আমাদের জন্য আরও বড় কঠিন। উইকেটে গিয়েই চালিয়ে খেলতে পারে, আসলে এমন পাওয়ার হিটার আমাদের একটু কমই আছে। শেষ ৩০ বলে ৫০-৬০ স্কোর তোলার মতো ব্যাটার ওই পজিশনে আমাদের নেই। এতে যে স্কোর ১৫০-১৬০ হওয়ার কথা, সেখানে ওটা হয়ে যায় ১৩০-১৪০। যেটা পরে প্রতিপক্ষের জন্য সহজ লক্ষ্য হয়ে যায়। ১৫-২০ রানের এই জায়গাতেই আমরা একটু পিছিয়ে আছি। ওই ঘাটতিতেই আমরা হেরে যাই।
তবে আমাদের এই দলটা সব মিলিয়ে ভালো। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আমরা প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও হেরেছি। এটা আসলে আমাদের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। তবে দলটা দেশ থেকে ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়েই বিশ্বকাপে গেছে। টানা তিনটি সিরিজ আমরা জিতে গেছি। এরপরও বলব, সামনে অনেক বড় পরীক্ষা। এই পরীক্ষাতেই পাস করতে হবে।
এশিয়ার পরিবেশে যেহেতু বিশ্বকাপ হচ্ছে, বলা যায় আমাদের মতোই পরিবেশ। তবে আমাদের ভালো খেলাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জন্য মাইনাস পয়েন্ট হলো, আমরা শেষ দুটি সিরিজ খেলেছি যেখানে আমাদের ১২০-১৩০ লক্ষ্যে তাড়া করতে হয়েছে। কিন্তু এখানে নিয়মিত ১৮০-১৯০, এমনকি ২০০ রানও তাড়া করতে হতে পারে।
ব্যাটসম্যানরা এই কন্ডিশনে কতটুকু আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটিং করতে পারে, সেটিই এখন দেখার বিষয়। স্কোরবোর্ডে ২০০ রান দেখলে ঘাবড়ে যায় কি না, সেটিও তো আছে।
যেটা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দেখলাম। ১৭৮ রান করতে গিয়েই কিন্তু আমরা সমস্যায় পড়েছি। তবে মাইনাস আর প্লাস পয়েন্ট মিলেই তো দল হয়।
আমাদের খেলোয়াড়দের যতটুকু সামর্থ্য আছে, তা যদি দিতে পারে তাহলে অবশ্যই আমাদের ভালো ফল করা সম্ভব। আমার মনে হয়, বড় পরীক্ষা প্রথম দিকেই বেশি। সেই পরীক্ষায় পাস করতে পারলেই ওপরে উঠবে। আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখলে কোয়ার্টার কিংবা সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি আমি।
আফতাব আহমেদ,জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার
আইপিএলের মতো ‘হটকেক’ টুর্নামেন্ট নিয়ে আগ্রহ থাকে বিশ্বের অনেক ক্রিকেটারেরই। এবারেরটা যেহেতু মেগা নিলাম ছিল, তাতে অন্যান্যদের মতো বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের আশা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেনদের কেউই কোনো দল পাননি ২০২৫ আইপিএলে।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের পঞ্চপাণ্ডবদের মধ্যে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই। তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই এক বছর ধরে। মাশরাফি বিন মর্তুজা তো নেই ২০২০ সাল থেকে। সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমরা কোনো না কোনো সংস্করণ থেকে অবসর নিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেবসুন্ধরা কিংসের মাঠ কিংস অ্যারেনায় খেলতে চায় না মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আজ বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের বরাবর লেখা এক চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছে দর্শকনন্দিত ক্লাবটি।
৫ ঘণ্টা আগে২০২৩ সাল থেকে দেখা যাচ্ছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সূচির সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে ধাক্কা লাগছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টির (আইএল টি-টোয়েন্টি)। ২০২৫ সালেও সমান্তরালে চলবে বিপিএল ও আইএল টি-টোয়েন্টি।
৬ ঘণ্টা আগে