রানা আব্বাস, ঢাকা
জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরেই ব্যস্ত সাদমান ইসলাম। নাহ, ক্রিকেট নয়; তাঁর ব্যস্ততা এখন গরু নিয়ে। দুদিন পর কোরবানির ঈদ। কোরবানির গরু কিনতেই কি ব্যস্ত বাংলাদেশ টেস্ট দলের তরুণ বাঁহাতি ওপেনার? চমকটা এখানেই।
সাদমানের ব্যস্ততা গরু কিনতে নয়, বিক্রি করতে! ক্রিকেটার পরিচয়ের আড়ালে তাঁর আরও একটা পরিচয় আছে—একজন সফল গরুর খামারি। যেহেতু কোরবানির ঈদ চলে এসেছে। সাদমানের ব্যস্ত সময় কাটছে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টারের কাছে প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে গড়ে তোলা খামারটায়। পরশু বিকেলে ফোনে যখন তাঁর সঙ্গে কথা হলো, তখন তিনি খামারেই ছিলেন। বললেন, ‘ঈদের এই সময়টায় বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ৩টা বেজে যায়! ক্রেতারা আসেনই রাতে।’
সাদমান যেন মনে করিয়ে দিলেন স্যার অ্যালিস্টার কুককে। দুজনই বাঁহাতি ওপেনার—ঠিক এ কারণেই নয়। সাবেক ইংলিশ ওপেনার কুকও একজন সফল খামারি। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অনেকেরই ব্যক্তিগত ব্যবসা আছে। ব্যক্তিগত নানা উদ্যোগ আছে। কিন্তু গরুর খামার গড়ে তোলার উদাহরণ বিরলই বটে। সাদমান খুলে বললেন তাঁদের খামারের গল্প, ‘গরুর খামারটা আমাদের অনেক বছর ধরেই। আমার নানা–দাদারা শুরু করেছিলেন। পরে আব্বু (বিসিবিতে কর্মরত শহিদুল ইসলাম) দেখাশোনা করেন। ক্রিকেটের ফাঁকে আমিও থাকি।’
ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা না থাকলে সাদমানের সময় কাটে খামারেই। ‘সাদমান এগ্রো’ নামে ফেসবুকে তাঁর খামারের একটি পেজ আছে। সেখানে নিয়মিত গরুর ছবি, ভিডিও আপলোড হচ্ছে। মহামারিতে অবশ্য অনলাইন ব্যবসা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে সাদমান অনলাইনে গরু বিক্রি করেন না। ‘অনলাইনে বিক্রি করি না। তবে অনলাইনে ছবি দেওয়া থাকে। ক্রেতা ছবি দেখার পর এখানে এসে নিয়ে যায়’—বলছিলেন সাদমান।
করোনা, লকডাউনে এবার সাদমানের খামারে গরুর সংখ্যা কমেছে। গতবার যেখানে ৫০টি গরু ছিল, এবার সেখানে ৩৫টি। প্রায় সব গরুই বিক্রি হয়ে গেছে। দাম ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। ক্রিকেটের মতো গরু পালনের ‘টেকনিক’গুলোও বেশ জানা হয়েছে সাদমানের। বলছিলেন, ‘একটা গরু আট দাঁত পর্যন্ত হয়। আট দাঁতের পর ওই গরুর মাংস ভালো হয় না। সেই হিসাব করে দুই দাঁতের গরু কিনি। সাত–আট মাস রাখি। এরপর বিক্রি করে দিই।’
খামার দেখাশোনা করতে তিনজন রাখাল থাকেন সব সময়ই। সাদমান জানালেন, নিজেদের জায়গায় ঘাস উৎপাদন করেন। গরুর অন্য খাবার আনা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। একটা গরুর খাবারের পেছনে গড়ে প্রতিদিন খরচ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। খামারে থাকা গরুর নামও দেওয়া হয়। হলিউড সিনেমার জনপ্রিয় চরিত্র যেমন—আয়রনম্যান, সুপারম্যান, থর; কখনো বলিউড তারকা শাহরুখ খান, আমির খানের নামও দেওয়া হয় গরুর। লম্বা সময় খামারে থাকা গরুগুলো যখন বিক্রি হয়, তখন হৃদয়বিদারক এক দৃশ্যেরও অবতারণা হয়। ‘প্রিয়’ গরু হাতবদল হতেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন, চোখে চিকচিক করে অশ্রু! ‘অনেক মায়া লাগে। আমার ছোট ভাই কান্নাকাটিও করে। একটা করে গরু বিক্রি হয় আর ও কাঁদে। আমারও কষ্ট লাগে। গরু ডেলিভারির সময় আমি সাধারণত থাকি না!’—সাদমানের কণ্ঠ হঠাৎ কোমল হয়ে যায়।
শুধু গরু দেখাশোনা–বিক্রিই নয়; এখানে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা–গল্পে সময়টা দারুণ কাটে সাদমানের। এখানে আছে তাঁর কবুতর আর পোষা কুকুর। খামারের সঙ্গেই অনুশীলনের ব্যবস্থা করে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে তাঁর। খামার নিয়ে বড় স্বপ্নই দেখেন সাদমান, ‘ক্রিকেটের বাইরে গরু নিয়েই থাকব। এখানে আড্ডার জায়গা আছে। অনুশীলনের ব্যবস্থাও করব।’
বোঝা গেল, খামারটা সাদমানের কাছে শুধুই ব্যবসা নয়; ভালো লাগার, ভালোবাসার এক টুকরো ভিটেমাটিও।
জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরেই ব্যস্ত সাদমান ইসলাম। নাহ, ক্রিকেট নয়; তাঁর ব্যস্ততা এখন গরু নিয়ে। দুদিন পর কোরবানির ঈদ। কোরবানির গরু কিনতেই কি ব্যস্ত বাংলাদেশ টেস্ট দলের তরুণ বাঁহাতি ওপেনার? চমকটা এখানেই।
সাদমানের ব্যস্ততা গরু কিনতে নয়, বিক্রি করতে! ক্রিকেটার পরিচয়ের আড়ালে তাঁর আরও একটা পরিচয় আছে—একজন সফল গরুর খামারি। যেহেতু কোরবানির ঈদ চলে এসেছে। সাদমানের ব্যস্ত সময় কাটছে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টারের কাছে প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে গড়ে তোলা খামারটায়। পরশু বিকেলে ফোনে যখন তাঁর সঙ্গে কথা হলো, তখন তিনি খামারেই ছিলেন। বললেন, ‘ঈদের এই সময়টায় বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ৩টা বেজে যায়! ক্রেতারা আসেনই রাতে।’
সাদমান যেন মনে করিয়ে দিলেন স্যার অ্যালিস্টার কুককে। দুজনই বাঁহাতি ওপেনার—ঠিক এ কারণেই নয়। সাবেক ইংলিশ ওপেনার কুকও একজন সফল খামারি। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অনেকেরই ব্যক্তিগত ব্যবসা আছে। ব্যক্তিগত নানা উদ্যোগ আছে। কিন্তু গরুর খামার গড়ে তোলার উদাহরণ বিরলই বটে। সাদমান খুলে বললেন তাঁদের খামারের গল্প, ‘গরুর খামারটা আমাদের অনেক বছর ধরেই। আমার নানা–দাদারা শুরু করেছিলেন। পরে আব্বু (বিসিবিতে কর্মরত শহিদুল ইসলাম) দেখাশোনা করেন। ক্রিকেটের ফাঁকে আমিও থাকি।’
ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা না থাকলে সাদমানের সময় কাটে খামারেই। ‘সাদমান এগ্রো’ নামে ফেসবুকে তাঁর খামারের একটি পেজ আছে। সেখানে নিয়মিত গরুর ছবি, ভিডিও আপলোড হচ্ছে। মহামারিতে অবশ্য অনলাইন ব্যবসা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে সাদমান অনলাইনে গরু বিক্রি করেন না। ‘অনলাইনে বিক্রি করি না। তবে অনলাইনে ছবি দেওয়া থাকে। ক্রেতা ছবি দেখার পর এখানে এসে নিয়ে যায়’—বলছিলেন সাদমান।
করোনা, লকডাউনে এবার সাদমানের খামারে গরুর সংখ্যা কমেছে। গতবার যেখানে ৫০টি গরু ছিল, এবার সেখানে ৩৫টি। প্রায় সব গরুই বিক্রি হয়ে গেছে। দাম ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। ক্রিকেটের মতো গরু পালনের ‘টেকনিক’গুলোও বেশ জানা হয়েছে সাদমানের। বলছিলেন, ‘একটা গরু আট দাঁত পর্যন্ত হয়। আট দাঁতের পর ওই গরুর মাংস ভালো হয় না। সেই হিসাব করে দুই দাঁতের গরু কিনি। সাত–আট মাস রাখি। এরপর বিক্রি করে দিই।’
খামার দেখাশোনা করতে তিনজন রাখাল থাকেন সব সময়ই। সাদমান জানালেন, নিজেদের জায়গায় ঘাস উৎপাদন করেন। গরুর অন্য খাবার আনা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। একটা গরুর খাবারের পেছনে গড়ে প্রতিদিন খরচ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। খামারে থাকা গরুর নামও দেওয়া হয়। হলিউড সিনেমার জনপ্রিয় চরিত্র যেমন—আয়রনম্যান, সুপারম্যান, থর; কখনো বলিউড তারকা শাহরুখ খান, আমির খানের নামও দেওয়া হয় গরুর। লম্বা সময় খামারে থাকা গরুগুলো যখন বিক্রি হয়, তখন হৃদয়বিদারক এক দৃশ্যেরও অবতারণা হয়। ‘প্রিয়’ গরু হাতবদল হতেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন, চোখে চিকচিক করে অশ্রু! ‘অনেক মায়া লাগে। আমার ছোট ভাই কান্নাকাটিও করে। একটা করে গরু বিক্রি হয় আর ও কাঁদে। আমারও কষ্ট লাগে। গরু ডেলিভারির সময় আমি সাধারণত থাকি না!’—সাদমানের কণ্ঠ হঠাৎ কোমল হয়ে যায়।
শুধু গরু দেখাশোনা–বিক্রিই নয়; এখানে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা–গল্পে সময়টা দারুণ কাটে সাদমানের। এখানে আছে তাঁর কবুতর আর পোষা কুকুর। খামারের সঙ্গেই অনুশীলনের ব্যবস্থা করে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে তাঁর। খামার নিয়ে বড় স্বপ্নই দেখেন সাদমান, ‘ক্রিকেটের বাইরে গরু নিয়েই থাকব। এখানে আড্ডার জায়গা আছে। অনুশীলনের ব্যবস্থাও করব।’
বোঝা গেল, খামারটা সাদমানের কাছে শুধুই ব্যবসা নয়; ভালো লাগার, ভালোবাসার এক টুকরো ভিটেমাটিও।
ব্যাটিংয়ে পাঁচে নেমে ১২ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ১৯ রান। বোলিংয়ে ১ ওভারে ১ রান দিয়ে ২ উইকেট। এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। আজ আবুধাবি টি-টেনে নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে তাঁর দল বাংলা টাইগার্স।
১ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ফিল্ডিংয়ের সময় বাঁ হাতের আঙুলে চোট পেয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে যান বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। বর্তমানে পুনর্বাসনে আছেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে চলছে নিয়মিত ট্রেনিং। তবে তাঁর মাঠে ফেরার জন্য আরও সময় লাগবে—এমনটা জানিয়েছে বিসিবি।
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফেরার প্রথম ম্যাচেই জয় পেয়েছে চেলসি। আজ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লেস্টার সিটিকে তাদের মাঠ কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে হারিয়েছে ব্লুজরা।
৩ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই জাস্টিন গ্রিভসের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদন করেছিলেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশি পেসার সেই আবেদনে হতাশ হলেও উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। দিনের পঞ্চম বলেই উইকেটরক্ষক জশুয়া ডি সিলভাকে (১৪) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে