Ajker Patrika

বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেলে সেরাটা দেবেন সোহান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সেঞ্চুরি করেও সোহানের মুখে হাসি নেই। কারণ, তাঁর দল ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব হেরেছে ২৩ রানে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সেঞ্চুরি করেও সোহানের মুখে হাসি নেই। কারণ, তাঁর দল ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব হেরেছে ২৩ রানে। ছবি: আজকের পত্রিকা

২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি নুরুল হাসান সোহানের। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন তিনি। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) দারুণ ছন্দে আছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবকে এবারের ডিপিএলে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি উইকেটরক্ষক হিসেবে খেলছেন সোহান। ৭ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ১ ফিফটিতে করেছেন ৩৮৬ রান। গড় ৭৭.২ ও স্ট্রাইকরেট ৯৭.৪২। ছন্দে থাকা এই তারকা ক্রিকেটার মিরপুর শেরেবাংলায় আজ ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন তাঁর জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নের কথা। ৩১ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, ‘জাতীয় দলে খেলা গর্বের ব্যাপার। সব সময় সেরাটা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করি। যদি সুযোগ আসে, তবে নিজের সেরাটা দেব। যেখানে শেষ করেছি, সেখান থেকেই যাতে শুরু করতে পারি, সেই উদ্দেশ্যে কাজ করব।’

মোহামেডানের দেওয়া ২১৭ রানের লক্ষ্যে নেমে আজ ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের ব্যাটাররা আসা-যাওয়ার মধ্যে ব্যস্ত থাকেন। দলের বিপর্যয়ের মধ্যে তাঁর ব্যাটিংই হয়ে ওঠে একমাত্র আশার আলো। ৯২ বলে সেঞ্চুরি করার পর মোহামেডানের বাড়িয়ে দেন ঠিকই। তবে শেষ রক্ষা হয়নি ধানমন্ডির। তাঁর দল হেরে গেছে ২৩ রানে। সেঞ্চুরি করেও তাই ম্যাচ শেষে হাসি দেখা যায়নি এই ব্যাটারের। সোহানের কথাতেও সেটা বোঝা গেছে। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে ধানমন্ডির অধিনায়ক বলেন, ‘দল হারলে আমার সেঞ্চুরির কোনো মূল্য নেই। যদি দলকে জেতাতে পারতাম, তখন এই মুহূর্তটি গুরুত্বপূর্ণ হতো।’

৪৪তম ওভারে মোহামেডান পেসার সাইফউদ্দিনের প্রথম দুই বলে দুটি ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সোহান। হাতে ১ উইকেট নিয়ে ধানমন্ডির তখন দরকার ছিল ২৪ রান। কিন্তু পরের বলেই সব কিছু গড়বড় করে ফেলেন সোহান। মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিং ঠিকঠাক না হওয়ায় সোহানের শট তাওহিদ হৃদয়ের ক্যাচে পরিণত হয়। তাতেই ধানমন্ডি হেরে যায় ২৩ রানে। সোহান নিজের আউট নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি। যখন মিড উইকেটের বলটি মারলাম, তখন জানতাম যে ভালো টাইমিং হলে ছক্কা হতে পারত। কিন্তু গ্যাপে না গিয়ে আউট হয়ে যাই।’

৪৫৯ রান করে এবারের ডিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক প্রাইম ব্যাংকের নাঈম শেখ। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে যৌথভাবে দুইয়ে সোহান। বিজয়, সোহান দুজনেই করেছেন ৩৮৬ রান। ধানমন্ডির তিন জয়ের দুটিতেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সোহান। এমনকি মোহামেডানের কাছে ধানমন্ডি আজ হারলেও তিনিই পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত