নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আলিস আল ইসলাম চোটে পড়লে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পান জাকের আলী অনিক। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়ে ছড়িয়েছেন আলো। কিন্তু জাকের ও তাঁর পরিবারের আছে আক্ষেপও। ছেলে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলবেন, গ্যালারিতে বসে সেটি দেখবেন—এ স্বপ্নই দেখতেন তাঁর বাবা। কিন্তু কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ায় তা দেখে যেতে পারেননি জাকেরের বাবা।
সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩৪ বলে ৬৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে সামর্থ্যের জানান দেন অভিষিক্ত জাকের। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে জাকেরকে করা তাঁর বোন স্থানীয় সাংবাদিক শাকিলা ববির প্রশ্ন এবং এর পরবর্তী সময়ে তাঁদের কিছু আবেগী মুহূর্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটের দারুণ জয়ে সিরিজে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ দল। আগামীকাল দুই দলের অলিখিত ফাইনাল। তার আগে ফুরফুরে মেজাজে আজ অনুশীলন করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত-জাকেররা। অনুশীলনের ফাঁকে নেওয়া জাকের ও তাঁর বোন শাকিলার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে বিসিবি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, বোনের কাছে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন ভাই। শেষ দিকে বোনের হাত থেকে বুম নিয়ে শাকিলাকেও প্রশ্ন করেছেন ভাই জাকের।
সাংবাদিক শাকিলা প্রথমে জাকেরের কাছে জানতে চান, জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার অনুভূতি। জাকের বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। অনুভূতি অনেক ভালো। সবারই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলের হয়ে খেলার। ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল জাতীয় দলে খেলব, ম্যাচ জেতাব। সবকিছু মিলিয়ে ভালোই লাগছে।’
শাকিলার পরের প্রশ্ন—জাতীয় দলের কন্ডিশন আপনার কাছে প্রথম, যেহেতু মাত্র কয়েকটা ম্যাচ খেলেছেন। দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কেমন লাগছে? জাকের বললেন, ‘দলের পরিবেশটা আমার খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে প্রথম দিনে সবাই আমাকে যেভাবে স্বাগত জানিয়েছে, এটা আমার কাছে খুব বিশেষ ছিল। মনে হচ্ছিল, আমি স্পেশাল কেউ এসেছি, সবাই আমাকে যেভাবে ড্রেসিংরুমে বরণ করে নিয়েছে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।’
বাবার স্বপ্ন প্রসঙ্গে শাকিলা জানতে চান—আপনার বেড়ে ওঠার পেছনে পরিবারের অনেক ভূমিকা আছে। আপনার বাবা নেই (মারা গেছে)। ওনার স্বপ্ন ছিল আপনি জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন। এখন উনি নেই। এ বিষয়টা কীভাবে দেখছেন? পরিবারকে কৃতিত্ব দিয়ে জাকের বলেছেন, ‘আসলে সবার ভূমিকা ছিল। বাবার ছিল, ভাইয়ের ছিল এবং আপনারও ছিল (হাসি)। আপনি অনেক কষ্ট করেছেন, আমাকে অনুশীলনে নিয়ে গেছেন। কারও ভূমিকা বাদ দেওয়ার মতো উপায় নেই। সবারই স্বপ্ন ছিল আমাকে এই জায়গায় দেখা। আমার দায়িত্ব এখন কিভাবে সামনের দিকে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমার মনে হয় কাজটা আরও বেড়েছে।’
শাকিলার প্রশ্নে উঠে আসে হবিগঞ্জের মানুষের দোয়ার কথা, যাঁরা জাকেরকে পছন্দ করেন এবং আশীর্বাদ করেন। সেটি স্বীকার করে জাকেরও বললেন, ‘হবিগঞ্জের সবাই আমার জন্য দোয়া করত। সবাই চাইতো আমি যেন জাতীয় দলে খেলি। যখনই বাড়ি যেতাম, সবাই বলত তুই কবে খেলবি। আমি সব সময়ই বলতাম, যখন সময় হবে খেলব ইনশা আল্লাহ।’
বিসিবির বুমটা হাতে নিয়ে সাক্ষাৎকারের শেষ প্রশ্ন জাকের করলেন বোনের উদ্দেশ্যে। আমাকে ভাই হিসেবে খেলতে দেখে আপনার কেমন লাগছে? কিছুটা আবেগী সুরে শাকিলার উত্তর, ‘এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের মতো না। অনেক দিন ধরে চেয়েছি, সেই ছোটবেলা থেকেই। এটা অনেক ভালো লাগার মুহূর্ত। আপনি ভালো বুঝবেন, আপনি জানেন আমাদের ইচ্ছা কতটা ছিল। যখন মাঠে খেলছিলেন, প্রেসবক্সে বসে চোখে পানি আসছিল, বারবার মুছছিলাম। বাসায় সবাই টিভিতে খেলতে দেখে কান্না করছিল। আমি মাঠে অমনই বসে ছিলাম।’
আলিস আল ইসলাম চোটে পড়লে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পান জাকের আলী অনিক। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়ে ছড়িয়েছেন আলো। কিন্তু জাকের ও তাঁর পরিবারের আছে আক্ষেপও। ছেলে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলবেন, গ্যালারিতে বসে সেটি দেখবেন—এ স্বপ্নই দেখতেন তাঁর বাবা। কিন্তু কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ায় তা দেখে যেতে পারেননি জাকেরের বাবা।
সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩৪ বলে ৬৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে সামর্থ্যের জানান দেন অভিষিক্ত জাকের। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে জাকেরকে করা তাঁর বোন স্থানীয় সাংবাদিক শাকিলা ববির প্রশ্ন এবং এর পরবর্তী সময়ে তাঁদের কিছু আবেগী মুহূর্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটের দারুণ জয়ে সিরিজে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ দল। আগামীকাল দুই দলের অলিখিত ফাইনাল। তার আগে ফুরফুরে মেজাজে আজ অনুশীলন করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত-জাকেররা। অনুশীলনের ফাঁকে নেওয়া জাকের ও তাঁর বোন শাকিলার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে বিসিবি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, বোনের কাছে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন ভাই। শেষ দিকে বোনের হাত থেকে বুম নিয়ে শাকিলাকেও প্রশ্ন করেছেন ভাই জাকের।
সাংবাদিক শাকিলা প্রথমে জাকেরের কাছে জানতে চান, জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার অনুভূতি। জাকের বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। অনুভূতি অনেক ভালো। সবারই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলের হয়ে খেলার। ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল জাতীয় দলে খেলব, ম্যাচ জেতাব। সবকিছু মিলিয়ে ভালোই লাগছে।’
শাকিলার পরের প্রশ্ন—জাতীয় দলের কন্ডিশন আপনার কাছে প্রথম, যেহেতু মাত্র কয়েকটা ম্যাচ খেলেছেন। দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কেমন লাগছে? জাকের বললেন, ‘দলের পরিবেশটা আমার খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে প্রথম দিনে সবাই আমাকে যেভাবে স্বাগত জানিয়েছে, এটা আমার কাছে খুব বিশেষ ছিল। মনে হচ্ছিল, আমি স্পেশাল কেউ এসেছি, সবাই আমাকে যেভাবে ড্রেসিংরুমে বরণ করে নিয়েছে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।’
বাবার স্বপ্ন প্রসঙ্গে শাকিলা জানতে চান—আপনার বেড়ে ওঠার পেছনে পরিবারের অনেক ভূমিকা আছে। আপনার বাবা নেই (মারা গেছে)। ওনার স্বপ্ন ছিল আপনি জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন। এখন উনি নেই। এ বিষয়টা কীভাবে দেখছেন? পরিবারকে কৃতিত্ব দিয়ে জাকের বলেছেন, ‘আসলে সবার ভূমিকা ছিল। বাবার ছিল, ভাইয়ের ছিল এবং আপনারও ছিল (হাসি)। আপনি অনেক কষ্ট করেছেন, আমাকে অনুশীলনে নিয়ে গেছেন। কারও ভূমিকা বাদ দেওয়ার মতো উপায় নেই। সবারই স্বপ্ন ছিল আমাকে এই জায়গায় দেখা। আমার দায়িত্ব এখন কিভাবে সামনের দিকে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমার মনে হয় কাজটা আরও বেড়েছে।’
শাকিলার প্রশ্নে উঠে আসে হবিগঞ্জের মানুষের দোয়ার কথা, যাঁরা জাকেরকে পছন্দ করেন এবং আশীর্বাদ করেন। সেটি স্বীকার করে জাকেরও বললেন, ‘হবিগঞ্জের সবাই আমার জন্য দোয়া করত। সবাই চাইতো আমি যেন জাতীয় দলে খেলি। যখনই বাড়ি যেতাম, সবাই বলত তুই কবে খেলবি। আমি সব সময়ই বলতাম, যখন সময় হবে খেলব ইনশা আল্লাহ।’
বিসিবির বুমটা হাতে নিয়ে সাক্ষাৎকারের শেষ প্রশ্ন জাকের করলেন বোনের উদ্দেশ্যে। আমাকে ভাই হিসেবে খেলতে দেখে আপনার কেমন লাগছে? কিছুটা আবেগী সুরে শাকিলার উত্তর, ‘এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের মতো না। অনেক দিন ধরে চেয়েছি, সেই ছোটবেলা থেকেই। এটা অনেক ভালো লাগার মুহূর্ত। আপনি ভালো বুঝবেন, আপনি জানেন আমাদের ইচ্ছা কতটা ছিল। যখন মাঠে খেলছিলেন, প্রেসবক্সে বসে চোখে পানি আসছিল, বারবার মুছছিলাম। বাসায় সবাই টিভিতে খেলতে দেখে কান্না করছিল। আমি মাঠে অমনই বসে ছিলাম।’
বাংলাদেশের পঞ্চপাণ্ডবদের মধ্যে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই। তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই এক বছর ধরে। মাশরাফি বিন মর্তুজা তো নেই ২০২০ সাল থেকে। সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমরা কোনো না কোনো সংস্করণ থেকে অবসর নিয়েছেন।
১৭ মিনিট আগেবসুন্ধরা কিংসের মাঠ কিংস অ্যারেনায় খেলতে চায় না মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আজ বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের বরাবর লেখা এক চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছে দর্শকনন্দিত ক্লাবটি।
১ ঘণ্টা আগে২০২৩ সাল থেকে দেখা যাচ্ছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সূচির সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে ধাক্কা লাগছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টির (আইএল টি-টোয়েন্টি)। ২০২৫ সালেও সমান্তরালে চলবে বিপিএল ও আইএল টি-টোয়েন্টি।
২ ঘণ্টা আগেবাংলা টাইগার্সের দরকার ১৮ বলে ৭৩ রান। সেই মুহূর্তে স্কোরবোর্ডে দেখা গেল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের রান ৯ বলে ৩ রান। পরবর্তী সময় টেস্টের খোলস ছেড়ে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করেছেন ঠিকই। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে