ভুল করে লাইন্সম্যান ক্ষমা চাওয়ায় বায়ার্নের ডিফেন্ডার বলছেন, এটা লজ্জার

ক্রীড়া ডেস্ক
Thumbnail image

দীর্ঘ ১১ বছর পর ওয়েম্বলিতে আরেকটা ‘জার্মান ক্ল্যাসিকো’ দেখার সুযোগ প্রায় পেয়েই গিয়েছিল ফুটবল বিশ্ব। কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের শিশুতোষ ভুলে দুই জার্মান পরাশক্তির আরেকটি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল হওয়ার সুযোগ শেষ হয়ে গেছে।

২০১৩ সালে লন্ডনের ওয়েম্বলিতেই বরুসিয়া ডর্টমুন্ড আর বায়ার্ন ফাইনাল খেলেছিল। সেবার ২-১ গোলে জিতে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপার মুকুট বায়ার্নের মাথায় শোভা পেয়েছিল। কিন্তু এবার সেমিফাইনালেই দৌড় শেষ হয়েছে। তবে বরুসিয়া সুযোগ পাচ্ছে সেরার মুকুটটা নিজেদের করে নিতে। আগামী ১ জুনের ফাইনালে প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদকে হারালেই সেই সুযোগটা পাবে বরুসিয়া।

গতকাল রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ২-১ ব্যবধানে হারায় ম্যাচে অবশ্য গোল বাতিল করায় ক্ষোভ ঝেড়েছে বায়ার্ন। ম্যাচের যোগ করা সময়ের ১৩ মিনিটে ম্যাথিয়াস ডি লিটের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন রেফারি সাইমন মারচিনিয়াক। লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তোলায় বাঁশি বাজাতে বাধ্য হন পোল্যান্ডের রেফারি। রেফারির বাঁশি বাজানোর কারণেই ভিএআরের ক্ষমতা ছিল না অফসাইড পরীক্ষা-নিরীক্ষার।

অফসাইডের পতাকা তোলা ভুল ছিল বলে ম্যাচ শেষে ক্ষমা চেয়েছেন লাইন্সম্যান। এমনটি তাঁকে জানিয়েছেন বলে ম্যাচ শেষে বলেছেন বায়ার্ন ডিফেন্ডার ডি লিট, ‘লাইন্সম্যান আমাকে বলেছেন, দুঃখিত, আমার ভুল হয়েছে।’

রেফারির ভিএআর চেক করার সুযোগ না দেওয়ার বিষয়টা লজ্জার বলে জানিয়েছেন ডি লিট। তিনি বলেছেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী পরিষ্কারভাবে অফসাইড নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু শেষ মিনিটে এভাবে বাঁশি বাজানোটা আমার কাছে মনে হয়েছে বড় ভুল। অফসাইড হয়েছে কিনা সেটা আমি জানি না। সেটা ভিএআর পরীক্ষা করতে পারে। কিন্তু পরীক্ষা না করে আপনি কীভাবে দেখলেন? এটা লজ্জার।’

রেফারি এবং লাইন্সম্যানের ওপর ক্ষেভেছেন কোচ টমাস টুখেলও। তিনি বলেছেন, ‘রেফারি এবং লাইন্সম্যান সর্বনাশা এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শেষে মনে হচ্ছে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি। লাইন্সম্যান ক্ষমা চেয়েছেন কিন্তু তাতে আমাদের কী লাভ। সিদ্ধান্তটা মেনে নেওয়া কঠিন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত