Ajker Patrika

২০১৪ ও ২০২২: দুই আর্জেন্টিনার পার্থক্য কোথায়

নাজিম আল শমষের, ঢাকা
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ২৩: ২৭
২০১৪ ও ২০২২: দুই আর্জেন্টিনার পার্থক্য কোথায়

হাত ছোঁয়ার দূরত্বে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটার কাছ থেকে ফিরে আসা; আট বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির সেই ছবিটা ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম আইকনিক ছবিগুলোর একটি। দৃশ্যটা পাল্টাবে, নাকি নতুন এক ইতিহাসের সাক্ষী হবে ফুটবল বিশ্ব, সেটা জানতে আর তিন দিনের অপেক্ষা। 

২০১৪ বিশ্বকাপে কেন স্বপ্নের ট্রফিটা ছুঁতে পারেননি মেসি, তা নিয়ে অসংখ্য বিশ্লেষণ আছে। বহুল প্রচলিত মতবাদের একটি হলো ফাইনালে দারুণ ছন্দে থাকা আনহেল দি মারিয়ার না থাকা আর গঞ্জালো হিগুয়েনের ‘বুরুচাগা’ হতে না পারা। ১৯৮৬ বিশ্বকাপকে বলা হয় ডিয়েগো ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ। কিন্তু সেবার ম্যারাডোনা পাশে পেয়েছিলেন হোর্হে ভালদানো, হোর্হে বুরুচাগার মতো পরীক্ষিত ফুটবলারদের। গ্রুপ পর্ব থেকে আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় পর্ব পর্যন্ত টেনেছিলেন ভালদানো। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত ম্যারাডোনার ক্যারিশমা।

২০১৪ ও ২০২২-এর দুই আর্জেন্টিনার মধ্যে পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।

ফাইনালে আবার ভালদানো-বুরুচাগায় চড়ে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার। জার্মানির বিপক্ষে ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে যদি ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ না হতেন হিগুয়েন, মেসির বুরুচাগা হতে পারতেন তিনি। মেসি হতে পারতেন ম্যারাডোনা। প্রায় একাই দলকে ফাইনালে তুলে স্বপ্নসাধ পূরণ করতে না পারায় রটে গেল, ‘মেসি একা কী করবেন!’

আট বছরের মধ্যে আর্জেন্টিনা যদি কোথাও পাল্টে যায়, কিছু যদি পরিবর্তন হয়, সেটা হলো এই কথায়। স্প্যানিশ ভাষায় ‘মেসি কে আসের সোলো!’ বাক্যটা হয়তো লিওনেল স্কালোনির কোথাও না কোথাও অবশ্যই শুনেছেন। সহকারী কোচ থেকে তাই যখন পাকাপাকিভাবে আর্জেন্টিনা দলে দায়িত্ব পেলেন, সবার আগে পরিবর্তন আনলেন দলের মানসিকতায়। সহকারী কোচ থেকে ভারপ্রাপ্ত কোচ থাকাকালীন শুরুতে কিছুদিন মেসিকে পাননি স্কালোনি। সেই সময়টা কাজে লাগালেন, তৈরি করলেন মেসিকে ছাড়াই চালিয়ে নেওয়ার মতো মোটামুটি একটা দল। ২০১৯ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে হারার পরও তাই তরুণ সেই দলকে নিয়ে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখেছিলেন মেসি। সেই স্বপ্নপূরণের পথে এক ধাপ দূরে পুরো আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনা ফুটবল সম্পর্কিত খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন

আট বছর আগে আলেহান্দ্রো সাবেয়ার সেই দলটার সঙ্গে কী পার্থক্য স্কালোনির এই দলটার, তা নিয়ে আলোচনা হবেই। তবে এই দলটা নিঃসন্দেহে ভয়ংকর, সেটা না লিখলেও চলছে। সাবেয়া বলতে গেলে একটা তৈরি দলই পেয়েছিলেন, যেখানে তাঁকে কাজ করতে হয়েছে শুধু রক্ষণ নিয়ে। স্কালোনির হাত ধরে হুলিয়ান আলভারেজ, এনজো ফার্নান্দেজের উত্থান, যাঁরা ভবিষ্যতে আর্জেন্টিনার কান্ডারি। তবে আর্জেন্টিনা কোচ সবচেয়ে সফল তাঁর কৌশলে। কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে তরুণ কোচ হওয়ায় আধুনিক ফুটবলের দর্শনটা তাঁর ভালোই জানা। আর্জেন্টিনার লাতিন দর্শনের সঙ্গে স্কালোনি যোগ করেছেন ‘হাই কাউন্টার প্রেসিং’ ফুটবল। ছোট ছোট পাসে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জায়গা বের করা—এত দিন যে আর্জেন্টিনাকে দেখেছে ফুটবল বিশ্ব, সেই বিশ্বই দেখল স্কালোনির দল কাউন্টার অ্যাটাকেও ভয়ংকর। পেপ গার্দিওলা, ইয়ুর্গেন ক্লপরা এত দিন যে প্রেসিং ফুটবলকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, স্কালোনি সেই প্রেসিংকে দিলেন পূর্ণতা। বলের জন্য তাই এখন মেসিকে খুব বেশি নিচে আসতে হয় না। ২০ সেকেন্ডের মধ্যে প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে মাঝমাঠ থেকে ফরোয়ার্ড লাইনে আক্রমণের সেতু গড়ে দেওয়ার কাজটা ফার্নান্দেজ, রদ্রিগো, দি পলরা এখন ভালোই পারেন।

আরেকটা কাজে এখনো পর্যন্ত বেশ সফল স্কালোনি—প্রতি ম্যাচে ফরমেশন নিয়ে প্রতিপক্ষকে ধাঁধায় রাখা। রিয়াল মাদ্রিদে কোচ থাকার সময় একেক ম্যাচে একেক একাদশে দলকে খেলাতেন তিন চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী কোচ জিনেদিন জিদান। শুধু এক ম্যাচ বাদে সেমিফাইনাল পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে ভিন্ন পাঁচ একাদশকে খেলিয়েছেন স্কালোনি। প্রতি ম্যাচেই পাল্টেছেন ফরমেশন। নেদারল্যান্ডসের উইং নির্ভর আক্রমণকে ঠেকালেন পাঁচ ডিফেন্ডারকে খেলিয়ে। ক্রোয়েশিয়ার শক্তিশালী মাঝমাঠ তাল হারাল স্কালোনির ৪-৪-২ ফরমেশনে। ফাইনালে খেলে স্কালোনি ছুঁয়েছেন সাবেয়াকে। বিশ্বকাপজয়ী কোচ সেজারে লুইস মেনোত্তি ও কার্লোস বিলার্দো হতে স্কালোনির অপেক্ষা মাত্র এক ম্যাচের।

বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কলম্বিয়ায় ফুটবল ম্যাচে সহিংসতায় আহত ৫৯

ক্রীড়া ডেস্ক    
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি

লাতিন আমেরিকার ফুটবলে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকাতেই ঘটে মারামারির ঘটনা। স্থানীয় টুর্নামেন্টে সহিংসতার কারণে তো প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। কলম্বিয়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে পরশু রাতে কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল। ১-০ গোলে আতলেতিকো ন্যাশনাল জয়ের পরই ভক্ত-সমর্থকেরা মাঠে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেন। আতশবাজি-আগুন নিয়ে এমনভাবে হামলা চালিয়েছিলেন ভক্তরা, যেটা সামাল দিতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কলম্বিয়ার স্থানীয় পত্রিকা ‘এল কলোম্বিয়ানো’র এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাঠের কিছু অংশে আগুন ধরানো হয়েছে। উপড়ে ফেলা হয়েছে অনেক আসন। গ্যালারিতে আতশবাজির ধোঁয়ার কারণে ম্যাচ শুরু হতেও দেরি হয় ১৪ মিনিট।

মেডেলিনের মেয়র ফেদেরিকো গুতিয়েরেস কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালে সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গুতিয়েরেস বলেন, ‘যারা স্টেডিয়ামে হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ বা ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। সবাই মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য পরিবেশ নষ্ট হবে, এমনটা তো হতে দেওয়া যাবে না। বছরের পর বছর ধরে আমরা পুরো লাতিন আমেরিকায় শান্তিপূর্ণ ফুটবলের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি।’ পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম কাস্তানো বলেন, ‘স্টেডিয়ামে দর্শকদের কাছ থেকে অস্ত্র, আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে। ১২০ কেজিরও বেশি পাইরোটেকনিক (বিস্ফোরণের প্রভাব তৈরির মতো রাসায়নিক বস্তু) ছিল সেখানে।’

দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল কলম্বিয়া কাপ ফাইনালের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। পরশু রাতে দ্বিতীয় লেগটা হয়ে যায় শিরোপা নির্ধারণী। দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলে জিতে শিরোপা জিতেছে আতলেতিকো ন্যাশনাল। কিন্তু মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় আতলেতিকো ন্যাশনালের ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, শিরোপা নিয়ে উদযাপন-কিছুই করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে সোনার লড়াইয়ে বাংলাদেশের জুমার-ঊর্মি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে। পদক তো নিশ্চিত হয়েছে আগে, জুমার-ঊর্মি এবার দেখাচ্ছেন সোনা জয়ের ঝিলিকও। ফাইনালে কাল মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সানের মুখোমুখি হবেন তারা।

পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে সকালটাও অন্যরকম ছিল জুমার-ঊর্মির। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে তিন সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ গেমে। প্রথম সেট খানিকটা সহজে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হারতে হয়। তৃতীয় সেটে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে নিশ্চিত করেন ব্রোঞ্জ পদক।

রাতে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের জুটিকে পাত্তাই দিলেন না জুমার-ঊর্মি। প্রথম সেটে একটা সময় অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন ৫-৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে অনবরত পয়েন্ট তুলতে থাকেন জুমার। শেষ দিকে ঊর্মিও দেখান তাঁর দাপট। দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশের জুটি। নিয়ে নেন বড় ব্যবধানের লিড। যা পরে আর ছোট করতে পারেননি থাইল্যান্ডের শাটলাররা।

ফাইনালে উঠে জুমার বলেন, ‘ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, জানিনা কি হবে। দেখা যাক। আগে যে রেজাল্টগুলো আমরা আশাও করতে পারতাম না, এখন বাংলাদেশ অন্যান্য বারের মতো হচ্ছে না যে মানে বাংলাদেশ আসছে আর হেরে যাচ্ছে—এরকম হচ্ছে না। প্রত্যেকটা টিমই আমাদের লড়াই করে হেরেছে।’

জুমারের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে ঊর্মি বলেন, ‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার সোনা জিততে চাই। জুমারের সঙ্গে ছয়-সাত বছর ধরে জুটি বেঁধে খেলছি। যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, সেহেতু আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা এর আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি।’

এর আগে একক ইভেন্টে কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের শাটলাররা। দ্বৈতে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে কেউই জয়ের হাসি হাসতে পারেননি। মিশ্র দ্বৈতে জুমার-ঊর্মি ফুটলেন আশার আলো হয়ে। রুপা নিশ্চিত করে লক্ষ্য এবার সোনার পদক গলায় ঝুলানো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৫৮ রান তাড়া করে জিতে ব্রিসবেনের ইতিহাস

ক্রীড়া ডেস্ক    
ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইলডারমুথের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৮ রান তাড়া করে জিতেছে ব্রিসবেন হিট। ছবি: ক্রিকইনফো
ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইলডারমুথের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৮ রান তাড়া করে জিতেছে ব্রিসবেন হিট। ছবি: ক্রিকইনফো

গায়ের জোরে জেতা যাকে বলে, ঠিক তেমনই এক ম্যাচ দেখা গেল আজ বিগ ব্যাশে। গ্যাবায় পার্থ স্কর্চার্সের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য এক বল হাতে রেখে তাড়া করে নতুন ইতিহাস গড়েছে ব্রিসবেন হিট। বিগ ব্যাশে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড নেই আর কারও।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রান তাড়ায় দুজন ব্যাটার সেঞ্চুরি করলেন। ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইল্ডারমুথ ২১২ রানের জুটি গড়ে হিটকে আট উইকেটের জয় এনে দেন। বিগব্যাশে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। টস হেরে আগে ব্যাটিং করা পার্থ স্করচার্স ৬ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে। ফিন অ্যালেন (৩৮ বলে ৭৯) ও কুপার কনোলি (৩৭ বলে ৭৭) দুজনে মিলে ১৪টি ছক্কায় সাজানো ঝোড়ো ১৪২ রানের জুটি গড়েন।

শেষদিকে নিক হবসন অপরাজিত ৪৮ রান করে ইনিংসের ফলে হিটের সামনে দাঁড়ায় প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য। রান তাড়ার প্রথম বলেই অধিনায়ক জাই রিচার্ডসনের বলে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফিরলেও কলিন মনরোর দলটি বিচলিত হয়নি। রেনশ ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৯টি বিশাল ছক্কা; ১০১ রানে তিনি রানআউট হন। উইল্ডারমুথ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। মাত্র ৫৪ বলে অপরাজিত ১১০ রানের এই ইনিংসে তিনি ছিলেন বিধ্বংসী। সব মিলিয়ে ৩৬ ছক্কার দেখা মিলেছে এই ম্যাচে; বিগ ব্যাশে আগে কখনো ঘটেনি তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সেই দুবাইয়ে ফের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে পরশু মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। ছবি: এসিসি
২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে পরশু মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। ছবি: এসিসি

খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেই দুবাইয়ের আরেক স্টেডিয়ামে আরেক ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।

ভারত-পাকিস্তান এবারও মুখোমুখি হচ্ছে এশিয়া কাপ ফাইনালে। তবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টটা মূলত বয়সভিত্তিক। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পরশু হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। আজ দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে এক সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। একই শহরের আরেক মাঠ আইসিসি একাডেমিতে আরেক সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেসেখেলে জিতেছে ভারত।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে কোনোটাই সময়মতো শুরু হয়নি। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছে ২৭ ওভারে। অন্যদিকে ভারত-শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনালটা হয়েছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।

দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে আজ ২০ ওভারে ১৩৮ রানের লক্ষ্যে নেমে একটু চাপে পড়ে ভারত। ৩.৩ ওভারে ২ উইকেটে ২৫ রানে পরিণত হয় আয়ুশ মাত্রের নেতৃত্বাধীন ভারত। অধিনায়ক মাত্রে (৭), বৈভব সূর্যবংশী (৯) দুই ওপেনারই এক অঙ্কের ঘরে রান করে আউট হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বোলারদের সামনে এরপর ঢাল হয়ে দাঁড়ান অ্যারন জর্জ, বিহান মালহোত্রা। তৃতীয় উইকেটে ৮৭ বলে ১১৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন তাঁরা (জর্জ-মালহোত্রা)। ২ ওভার হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ভারত।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়ে দুই ভারতীয় জর্জ ও মালহোত্রা ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন। ৪৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মালহোত্রা। জর্জ ৪৯ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার দুটি উইকেটই নিয়েছেন রাসিত নিমসারা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন চামিকা হিনাতিগালা। ভারতের হেনিল প্যাটেল, কনিষ্ক চৌহান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন কিশান সিংহ, দিপেশ দেবেন্দ্রন ও খিলান প্যাটেল।

ভারত এর আগে আটবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে। পাকিস্তান জিতেছে একবার। সেটাও ভারতের বিপক্ষে। ২০১২ সালে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল টাই হলে যৌথভাবে তাদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সময় পরশু সকাল ১১টায় ২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত