গ্রিজম্যানের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডের রাতটা রিয়ালের

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০: ৩৫
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০: ৪৮

রেকর্ডটা যে আঁতোয়ান গ্রিজম্যান নিজের করে নেবেন তা জানাই ছিল। আতলেতিকো মাদ্রিদের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটা নিজের করে নিতে ফরাসি ফরোয়ার্ডের একটি মাত্র গোলই প্রয়োজন ছিল। আর সেটা দুর্দান্ত এক মঞ্চেই করলেন তিনি। 

মাদ্রিদ ডার্বির রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে রেকর্ডটা গড়লেন গ্রিজম্যান। ৩৭ মিনিটে করা গোলেই ইতিহাস গড়লেন তিনি। লুইস আরাগোনাসকে টপকে আতলেতিকোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়লেন ৩২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। তাঁর পূর্বসূরি স্পেন মিডফিল্ডারের গোল ১৭৩টি। 

রেকর্ড গড়লেও রাতটা স্মরণীয় করে রাখা হয়নি গ্রিজম্যানের। স্প্যানিশ সুপার কাপে দল যে জিততে পারেনি। সেমিফাইনালে তাদের ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। অথচ সৌদি আরবে আতলেতিকোর শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। 

আল আওয়াল স্টেডিয়ামে দুইবার ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল আতলেতিকো। কিন্তু জয় ভাগ্য ছিল না তাদের কপালে। ৮ ম্যাচের গোল উৎসবের শুরুটা হয় হেডে হেডে। মারিও হেরমোসের হেডে ৬ মিনিটের সময় আতলেতিকো এগিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই গোল শোধ করে রিয়াল। রিয়ালের ২০ মিনিটে শোধ দেওয়া গোলটিও ছিল হেডে। গোলটি আসে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগারের কপাল থেকে। 

জয়ের পর রিয়ালের ফুটবলারদের উদ্‌যাপন। ছবি: এএফপিম্যাচের ২৯ মিনিটে এবার এগিয়ে যায় রিয়াল। ফেরলাঁ মেন্দির গোলে। তবে গোল শোধ দিতে সময় নেয়নি আতলেতিকো। ৩৭ মিনিটে দলকে সমতাসূচক গোলটি এনে দেন সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়া গ্রিজম্যান। বিরতির পর লস ব্ল্যাঙ্কোসদের ডিফেন্ডার রুডিগার ভুল করে বসলে আবারও এগিয়ে যায় আতলেতিকো। ৭৮ মিনিটে তাঁর আত্মঘাতী গোলে ম্যাচ হারার শঙ্কায় পড়ে যায় রিয়াল।

তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে রিয়ালকে বাঁচিয়ে দেন দানি কারভাহাল। ডিফেন্ডারের গোলে রিয়াল শুধু ম্যাচেই সমতা আনেনি ফাইনালে ওঠার রসদও পায়। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ৩-৩ গোলে শেষ হলে অতিরিক্ত সময়ে যায় সেমিফাইনাল। পরের ৩০ মিনিটের গল্পটি শুধুই রিয়ালের। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোল করে ম্যাচ জিতে যায় রিয়াল। চতুর্থ গোলটিতে অবশ্য প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার স্টেফান সাভিচের ভুলে। কারভাহালের ক্রস বাঁচাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন তিনি। 

আর ম্যাচের শেষ গোলটি আসে নাটকীয়তার মধ্যে দিয়ে। শেষ মুহূর্তে আতলেতিকো কর্নার পেলে দলকে সমতায় ফেরাতে গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাকও ছুটে যান রিয়ালে ডি বক্সে। সেই কর্নার থেকেই ফিরতি আক্রমণে ফাঁকা গোলবারে গোল করেন রিয়াল ফরোয়ার্ড ব্রাহিম দিয়াজ। তাঁর গোলের মধ্যে দিয়ে ম্যাচের শেষ বাঁশিও বাজিয়ে দেন রেফারি। 

সেমির অপর ম্যাচে বার্সেলোনা-ওসাসুনা মুখোমুখি হবে। যে দল জিতবে তাদের সঙ্গে ফাইনালে লড়বে রিয়াল। ম্যাচটি হবে আগামী রোববার।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত