ইংল্যান্ডকে স্তব্ধ করে দিয়েছেন একজন দোন্নারুম্মা 

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২১, ১৩: ১৩
Thumbnail image

টাইব্রেকে বুকায়ো শাকার শেষ শট ঠেকিয়ে জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা একেবারেই ভাবলেশহীন। ভাবটা এমন, এটিই হওয়ার কথা ছিল! কঠিন আত্মবিশ্বাস যাকে বলে। এর আগের শটটিও ঠেকিয়েছেন। তবে শেষ শট ঠেকিয়েই ৫৩ বছর পর ইতালি ইউরোর শিরোপা পুনরুদ্ধার নিশ্চিত হলো, দোন্নারুম্মাকে দেখে সেটি বোঝার উপায় নেই!

মাঝমাঠ থেকে শিরোপ–উল্লাস করতে ছুটে আসছেন সতীর্থরা। ইংলিশদের ৫৫ বছরের শিরোপা–খরা কাটানোর স্বপ্নকে মুহূর্তেই ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে দোন্নারুম্মা তখন এক পা, দুই পা করে সামনে এগোচ্ছেন। ওদিকে গ্যালারিতে স্তব্ধ হয়ে গেছেন ইংলিশ সমর্থকেরা। হৃদয় ভাঙার কষ্টে কারও চোখ বেয়ে নামছে অশ্রু।

ওয়েম্বলির ফাইনালে শেষ চিত্রনাট্যের দৃশ্য ছিল এমনই, যেটির নায়ক একজন দোন্নারুম্মা। ইউরোর ইতিহাসে দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ১৯৯২ সালে প্রথমবার এই কীর্তি গড়েছিলেন ডেনিশ গোলরক্ষক পিটার স্মাইকেল। ১৯৯২-এর স্মাইকেলের মতো দোন্নারুম্মাও টুর্নামেন্টজুড়েই দুর্দান্ত খেলেছেন, যেটি ইতালিকে শিরোপা জেতাতে রেখেছে বড় অবদান। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই নিজেদের জাল অক্ষত রেখেছিলেন এসি মিলানের ২২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।

এবারের ইউরোয় সবচেয়ে বেশি সময় (৭১৯ মিনিট) মাঠে থেকেছেন দোন্নারুম্মা। ইতালিকে শিরোপা জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এই গোলরক্ষক মনে করেন, ‘এই শিরোপা তাঁদের প্রত্যাশিতই ছিল।’ ম্যাচশেষে তিনি বলেছেন, ‘আমরা দল হিসেবে দুর্দান্ত। মাঠে আমরা এক ইঞ্চিও প্রতিপক্ষকে ছাড় দিইনি। এই সাফল্যের যোগ্য দল আমরাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত