আফগানদের উচ্চতা, শক্তি নিয়েই চিন্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২১, ১৪: ২৯

ঢাকা: ‘সবাই নিজের শতভাগ দিলে যে কোনো দলকেই হারানো সম্ভব’— ফোনে বগুড়া থেকে বলছিলেন নাবীব নেওয়াজ জীবন। ভারত থেকে পায়ে অস্ত্রোপচারের পর এখন নিজ শহরেই আছেন জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড। যেতে পারেননি কাতারে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে। নিজের ভাঙা পা নিয়ে জীবনের যেমন আছে হতাশা, আবার দলকে নিয়েও আছে আশা।

তবে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা বেশ কঠিনই হতে চলেছে; কাল বারবার এ কথাই বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও কোচ জেমি ডে। আফগানরা দীর্ঘদেহী ও লম্বা। তবে কৌশলগত দিক থেকে অবশ্য নিজেদের এগিয়ে রেখেছেন জামাল, ‘আফগানরা আমাদের চেয়েও অনেক লম্বা। তবে কৌশলগতভাবে আমরাই এগিয়ে। আমাদের দ্রুতগতির কয়েকজন ফুটবলার আছে। দেশকে আমরা শতভাগটাই দেব।’

আফগানিস্তান ম্যাচের পর ৭ জুন ভারত ও ১৫ জুন ওমানের বিপক্ষে খেলা বাংলাদেশ। তিন ম্যাচেই দলের বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন চেয়েছেন জেমি ডে, ‘আমাদের তিন ম্যাচেই পুরো বাংলাদেশের সমর্থন লাগবে। প্রতিটি ম্যাচই কঠিন। যদি দেশের মানুষের সমর্থন থাকে তাহলে খেলোয়াড়েরা অনুপ্রাণিত হবে, ভালো খেলতে সাহায্য করবে।’
যে আফগানিস্তানকে প্রায় ৪২ বছর ধরে হারাতে পারছে না বাংলাদেশ, জীবনের আশা, দলের সবাই ভালো করলে সেই আক্ষেপ এবার দূর হবে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ জয়টা ১৯৭৯ সালে, ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচটা খেলেছিল বাংলাদেশ ২০১৯ সালে। উজবেকিস্তানের দুশানবেতে, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম লেগে।

 ১-০ গোলে হারা ম্যাচটায় দলে খেলেছিলেন জীবনও। কাছ থেকে দেখেছেন আফগানদের খেলা। কোথায় এগিয়ে দলটি? জীবন বললেন, ‘ওদের অধিনায়ক (ফারশাদ নূর) খুবই বিপজ্জনক খেলোয়াড়। ইউরোপের বড় ক্লাবে খেলেছে। প্রথম লেগে তাঁর গোলেই আমরা হেরেছিলাম। জাবের শারজার গতিও ভালো। সেট পিসে ওদের আটকাতে পারলে গোল আটকানো সম্ভব।’

আফগানদের শক্তির জায়গা ভয়-ডরহীন ফুটবল। বড় দলের বিপক্ষে গোল হজম করলেও দ্রুত আক্রমণে উঠে খেলার চেষ্টা করে দলটি। রক্ষণে থেকে যায় বড় এক শূন্যস্থান। পাল্টা আক্রমণে ভালো খেলতে পারলে আফগানদের বিপক্ষে অন্তত এক পয়েন্ট আনা খুব বেশি কঠিন কাজ নয় মনে করেন জীবন, ‘আফগানরা সবাই আক্রমণে উঠে আসে। আমরা যদি সুযোগটা কাজে লাগাতে পারি, তাহলে অবশ্যই পাওয়া সম্ভব।’

জীবনের কথা মিলে যায় বাংলাদেশ কোচ জেমি ডের কৌশলের সঙ্গেও। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিষ্যদের ইংলিশ ঘরানার পাল্টা আক্রমণে খেলা শিখিয়েছেন জেমি। প্রতিপক্ষের আক্রমণের সময় রক্ষণাত্মক থাকলেও লম্বা পাসে দ্রুত পাল্টা আক্রমণে উঠে যাওয়াই বাংলাদেশের শক্তি।

দেশে থাকতেই অনুশীলনে আক্রমণভাগের অভিজ্ঞ তিন খেলোয়াড়কে হারিয়েছে বাংলাদেশ। পছন্দের ৪-৩-২-১ ছক হয়তো পাল্টাতে পারে এ কারণেই। তুলনামূলক সমশক্তির দলগুলোর বিপক্ষে জেমির পছন্দের ফরমেশন এটি। দেশে থাকতে খেলোয়াড়েরাও জানিয়েছেন নতুন কৌশল রপ্ত করছেন তাঁরা। খেলার ধরন পাল্টা আক্রমণই থাকছে, তবে দুই উইং ধরে। খেলার নতুন সম্ভাব্য ফরমেশন ৩-৫-২ অথবা ৪-৫-১।

২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ‘ই’ গ্রুপে পাঁচ ম্যাচ খেলে এক পয়েন্টে টেবিলের তলানিতে আছে বাংলাদেশ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত