
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই কাতারে শুরু হচ্ছে ২২ তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৩২ দল,৮টি গ্রুপে রয়েছে ৪টি করে দল। যেখানে সবশেষ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স এবং রানার্সআপ হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া।
১৯৩০ সালে ১৩ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। প্রথম বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উরুগুয়ে এবং রানারআপ হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৩০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ফুটবল হয়েছে ২১ বার। এই ২১ বিশ্বকাপের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার করে শিরোপা জিতেছে জার্মানি, ইতালি। দুইবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও ফ্রান্স। আর একবার করে জিতেছে ইংল্যান্ড ও স্পেন।
১। ‘ঈশ্বরের হাত’ (১৯৮৬)
ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত ঘটনা এটি। ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৬ এর বিশ্বকাপে। মেক্সিকোর অ্যাজটেক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য ড্র। ম্যাচের ৫১ তম মিনিটে ইংলিশ গোলরক্ষক পিটার শিলটনকে বোকা বানিয়ে হাত দিয়ে গোলটি করেছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। এক সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডের সাবেক উইঙ্গার জন বার্নস বলেছিলেন, ‘আমরা সবাই এটা দেখেছি। খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজার সবাই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার দেখলাম সে (ম্যারাডোনা) হাত দিয়ে গোল করেছে। কিন্ত কীভাবে এটা রেফারির চোখ এড়িয়েছে, সেটাই আমাদের অবাক করেছে।’ ম্যারাডোনা তাঁর আত্মজীবনী ‘এল দিয়েগো’ গোলটিকে ‘ঈশ্বরের হাত’ বলে উল্লেখ করেছেন। কয়েকদিন আগে এই ‘হ্যান্ড অব গড’ বলটি বিক্রি হয়েছে ২৫ কোটি টাকায়।
২। মারাকানাজো (১৯৫০)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ হয় ১৯৫০ সালে। আর এই বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ব্রাজিল। মারাকানার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-উরুগুয়ে। ৭৮ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচটি ১-১ গোলে সমতায় ছিল। তবে স্বাগতিকদের কাঁদিয়ে জয়সূচক গোলটি করেন উরুগুয়ের উইঙ্গার আলসিদেস ঘিঘিয়া। ২ লাখ ২০ হাজার দর্শককে কাদিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে। ব্রাজিলিয়ানদের কাছে যা পরিচিত ‘মারাকানাজো’ নামে।
৩। হার্স্টের বিতর্কিত গোল (১৯৬৬)
ইংল্যান্ডের ইতিহাসে একমাত্র ফুটবল বিশ্বকাপ জয় ১৯৬৬ সালে। ওয়েম্বলিতে পশ্চিম জার্মানিকে (বর্তমান জার্মানি) ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। ফাইনালে স্যার জিওফ হার্স্টের একটা গোল নিয়ে এখনো রয়েছে বিতর্ক। যেখানে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ ছিল ২-২ সমতায়। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের ১০১ তম মিনিটে অ্যালান বলের পাস থেকে গোল করেছিলেন হার্স্ট। তবে হার্স্টের এই গোল দাগ পেরিয়েছিল কি না, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছেই। কয়েক দশক পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এক গবেষণায় দাবি করেছিল, বলের ৯৭ শতাংশ দাগ পেরিয়েছিল। এখনকার মতো ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি তখন থাকলে হয়তোবা ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন কিছু হতে পারত।
৪। জিদানের গুঁতো (২০০৬)
২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে গুঁতোগুঁতির কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। বার্লিনের অলিম্পিয়া স্টেডিয়ামের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইতালি-ফ্রান্স। ম্যাচের ১১০ মিনিটে মার্কো মাতেরাজ্জিকে গুঁতো মেরে লাল কার্ড পেয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। এই লাল কার্ডের ব্যাপারে জিদানের অভিযোগ করেছিলেন, ‘মাতারাজ্জি আমার অসুস্থ মা কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছিল।’ মাতেরাজ্জি পরে এই দাবিকে অস্বীকার করেছিলেন। ইতালিয়ান এই ডিফেন্ডার দাবি করেছিলেন, হালকা বাজে কথা বলেছিলেন তিনি।
৫। ইনিয়েস্তার ‘ফিনিশিং টাচ’ (২০১০)
‘ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে’-২০১০ বিশ্বকাপে এই প্রবাদেরই যেন বাস্তব প্রমাণ দেখালেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। জোহানেসবার্গের সকার সিটিতে স্পেন-নেদারল্যান্ডস ফাইনাল ম্যাচের মূল ম্যাচটি ছিল গোলশূন্য ড্র। অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষের দিকে এসে বাজিমাত করে স্প্যানিশরা। ১১৬ মিনিটে সেস্ক ফ্যাব্রেগাসের অ্যাসিস্টে জয়সূচক গোলটি করেন ইনিয়েস্তা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তোলে স্প্যানিশরা।
৬। সান্তিয়াগো কেলেঙ্কারি (১৯৬২)
বিশ্বকাপ ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে ১৯৬২ বিশ্বকাপে। বিখ্যাত ইংলিশ ধারাভাষ্যকার ডেভিড কোলম্যান এই বিশ্বকাপের চিলি-ইতালি ম্যাচটিকে ফুটবলের সবচেয়ে জঘন্য, ন্যাক্কারজনক ঘটনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এই ম্যাচে মাত্র দুটি লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি। লাল কার্ড ছাপিয়ে এই ম্যাচের আলোচ্য বিষয়বস্তু পুলিশের হস্তক্ষেপ। ম্যাচের আগেই দুই ইতালিয়ান সাংবাদিকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায়। চিলিকে অপুষ্টি, অশিক্ষিত, অ্যালকোহল এবং দরিদ্র দেশ বলে আখ্যা দেন দুই ইতালিয়ান। চিলির সমর্থকরা এরপর দাবি করেছিলেন, ইতালিয়ানরা সন্ত্রাসী, মাদকাসক্ত।
৭। বিধ্বস্ত ব্রাজিল (২০১৪)
৬৪ বছর পর ব্রাজিলে আবারও বিশ্বকাপ। ১৯৫০ এর বিশ্বকাপে মারাকানায় ফাইনাল হারের ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর সুযোগ ছিল এই বিশ্বকাপে। তবে ব্রাজিল এবার ফাইনাল তো দূরের কথা, সেমিফাইনালেই পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বেলো হরিজন্তের মিনেইরো স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে হারিয়েছে জার্মানি। এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের সাবেক মিডফিল্ডার মাউরো সিলভা বলেছিলেন, ‘যেকোনো জায়গাতেই বিশ্বকাপ খেলা কঠিন, কিন্তু ব্রাজিলে ভক্তদের প্রত্যাশার চাপে খেলা আরও কঠিন। সেলেসাওদের জন্য অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন ছিল এটি।’
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই কাতারে শুরু হচ্ছে ২২ তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৩২ দল,৮টি গ্রুপে রয়েছে ৪টি করে দল। যেখানে সবশেষ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স এবং রানার্সআপ হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া।
১৯৩০ সালে ১৩ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। প্রথম বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উরুগুয়ে এবং রানারআপ হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৩০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ফুটবল হয়েছে ২১ বার। এই ২১ বিশ্বকাপের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার করে শিরোপা জিতেছে জার্মানি, ইতালি। দুইবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও ফ্রান্স। আর একবার করে জিতেছে ইংল্যান্ড ও স্পেন।
১। ‘ঈশ্বরের হাত’ (১৯৮৬)
ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত ঘটনা এটি। ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৬ এর বিশ্বকাপে। মেক্সিকোর অ্যাজটেক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য ড্র। ম্যাচের ৫১ তম মিনিটে ইংলিশ গোলরক্ষক পিটার শিলটনকে বোকা বানিয়ে হাত দিয়ে গোলটি করেছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। এক সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডের সাবেক উইঙ্গার জন বার্নস বলেছিলেন, ‘আমরা সবাই এটা দেখেছি। খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজার সবাই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার দেখলাম সে (ম্যারাডোনা) হাত দিয়ে গোল করেছে। কিন্ত কীভাবে এটা রেফারির চোখ এড়িয়েছে, সেটাই আমাদের অবাক করেছে।’ ম্যারাডোনা তাঁর আত্মজীবনী ‘এল দিয়েগো’ গোলটিকে ‘ঈশ্বরের হাত’ বলে উল্লেখ করেছেন। কয়েকদিন আগে এই ‘হ্যান্ড অব গড’ বলটি বিক্রি হয়েছে ২৫ কোটি টাকায়।
২। মারাকানাজো (১৯৫০)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ হয় ১৯৫০ সালে। আর এই বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ব্রাজিল। মারাকানার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-উরুগুয়ে। ৭৮ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচটি ১-১ গোলে সমতায় ছিল। তবে স্বাগতিকদের কাঁদিয়ে জয়সূচক গোলটি করেন উরুগুয়ের উইঙ্গার আলসিদেস ঘিঘিয়া। ২ লাখ ২০ হাজার দর্শককে কাদিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে। ব্রাজিলিয়ানদের কাছে যা পরিচিত ‘মারাকানাজো’ নামে।
৩। হার্স্টের বিতর্কিত গোল (১৯৬৬)
ইংল্যান্ডের ইতিহাসে একমাত্র ফুটবল বিশ্বকাপ জয় ১৯৬৬ সালে। ওয়েম্বলিতে পশ্চিম জার্মানিকে (বর্তমান জার্মানি) ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। ফাইনালে স্যার জিওফ হার্স্টের একটা গোল নিয়ে এখনো রয়েছে বিতর্ক। যেখানে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ ছিল ২-২ সমতায়। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের ১০১ তম মিনিটে অ্যালান বলের পাস থেকে গোল করেছিলেন হার্স্ট। তবে হার্স্টের এই গোল দাগ পেরিয়েছিল কি না, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছেই। কয়েক দশক পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এক গবেষণায় দাবি করেছিল, বলের ৯৭ শতাংশ দাগ পেরিয়েছিল। এখনকার মতো ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি তখন থাকলে হয়তোবা ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন কিছু হতে পারত।
৪। জিদানের গুঁতো (২০০৬)
২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে গুঁতোগুঁতির কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। বার্লিনের অলিম্পিয়া স্টেডিয়ামের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইতালি-ফ্রান্স। ম্যাচের ১১০ মিনিটে মার্কো মাতেরাজ্জিকে গুঁতো মেরে লাল কার্ড পেয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। এই লাল কার্ডের ব্যাপারে জিদানের অভিযোগ করেছিলেন, ‘মাতারাজ্জি আমার অসুস্থ মা কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছিল।’ মাতেরাজ্জি পরে এই দাবিকে অস্বীকার করেছিলেন। ইতালিয়ান এই ডিফেন্ডার দাবি করেছিলেন, হালকা বাজে কথা বলেছিলেন তিনি।
৫। ইনিয়েস্তার ‘ফিনিশিং টাচ’ (২০১০)
‘ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে’-২০১০ বিশ্বকাপে এই প্রবাদেরই যেন বাস্তব প্রমাণ দেখালেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। জোহানেসবার্গের সকার সিটিতে স্পেন-নেদারল্যান্ডস ফাইনাল ম্যাচের মূল ম্যাচটি ছিল গোলশূন্য ড্র। অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষের দিকে এসে বাজিমাত করে স্প্যানিশরা। ১১৬ মিনিটে সেস্ক ফ্যাব্রেগাসের অ্যাসিস্টে জয়সূচক গোলটি করেন ইনিয়েস্তা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তোলে স্প্যানিশরা।
৬। সান্তিয়াগো কেলেঙ্কারি (১৯৬২)
বিশ্বকাপ ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে ১৯৬২ বিশ্বকাপে। বিখ্যাত ইংলিশ ধারাভাষ্যকার ডেভিড কোলম্যান এই বিশ্বকাপের চিলি-ইতালি ম্যাচটিকে ফুটবলের সবচেয়ে জঘন্য, ন্যাক্কারজনক ঘটনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এই ম্যাচে মাত্র দুটি লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি। লাল কার্ড ছাপিয়ে এই ম্যাচের আলোচ্য বিষয়বস্তু পুলিশের হস্তক্ষেপ। ম্যাচের আগেই দুই ইতালিয়ান সাংবাদিকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায়। চিলিকে অপুষ্টি, অশিক্ষিত, অ্যালকোহল এবং দরিদ্র দেশ বলে আখ্যা দেন দুই ইতালিয়ান। চিলির সমর্থকরা এরপর দাবি করেছিলেন, ইতালিয়ানরা সন্ত্রাসী, মাদকাসক্ত।
৭। বিধ্বস্ত ব্রাজিল (২০১৪)
৬৪ বছর পর ব্রাজিলে আবারও বিশ্বকাপ। ১৯৫০ এর বিশ্বকাপে মারাকানায় ফাইনাল হারের ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর সুযোগ ছিল এই বিশ্বকাপে। তবে ব্রাজিল এবার ফাইনাল তো দূরের কথা, সেমিফাইনালেই পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বেলো হরিজন্তের মিনেইরো স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে হারিয়েছে জার্মানি। এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের সাবেক মিডফিল্ডার মাউরো সিলভা বলেছিলেন, ‘যেকোনো জায়গাতেই বিশ্বকাপ খেলা কঠিন, কিন্তু ব্রাজিলে ভক্তদের প্রত্যাশার চাপে খেলা আরও কঠিন। সেলেসাওদের জন্য অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন ছিল এটি।’
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই কাতারে শুরু হচ্ছে ২২ তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৩২ দল,৮টি গ্রুপে রয়েছে ৪টি করে দল। যেখানে সবশেষ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স এবং রানার্সআপ হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া।
১৯৩০ সালে ১৩ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। প্রথম বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উরুগুয়ে এবং রানারআপ হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৩০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ফুটবল হয়েছে ২১ বার। এই ২১ বিশ্বকাপের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার করে শিরোপা জিতেছে জার্মানি, ইতালি। দুইবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও ফ্রান্স। আর একবার করে জিতেছে ইংল্যান্ড ও স্পেন।
১। ‘ঈশ্বরের হাত’ (১৯৮৬)
ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত ঘটনা এটি। ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৬ এর বিশ্বকাপে। মেক্সিকোর অ্যাজটেক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য ড্র। ম্যাচের ৫১ তম মিনিটে ইংলিশ গোলরক্ষক পিটার শিলটনকে বোকা বানিয়ে হাত দিয়ে গোলটি করেছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। এক সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডের সাবেক উইঙ্গার জন বার্নস বলেছিলেন, ‘আমরা সবাই এটা দেখেছি। খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজার সবাই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার দেখলাম সে (ম্যারাডোনা) হাত দিয়ে গোল করেছে। কিন্ত কীভাবে এটা রেফারির চোখ এড়িয়েছে, সেটাই আমাদের অবাক করেছে।’ ম্যারাডোনা তাঁর আত্মজীবনী ‘এল দিয়েগো’ গোলটিকে ‘ঈশ্বরের হাত’ বলে উল্লেখ করেছেন। কয়েকদিন আগে এই ‘হ্যান্ড অব গড’ বলটি বিক্রি হয়েছে ২৫ কোটি টাকায়।
২। মারাকানাজো (১৯৫০)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ হয় ১৯৫০ সালে। আর এই বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ব্রাজিল। মারাকানার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-উরুগুয়ে। ৭৮ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচটি ১-১ গোলে সমতায় ছিল। তবে স্বাগতিকদের কাঁদিয়ে জয়সূচক গোলটি করেন উরুগুয়ের উইঙ্গার আলসিদেস ঘিঘিয়া। ২ লাখ ২০ হাজার দর্শককে কাদিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে। ব্রাজিলিয়ানদের কাছে যা পরিচিত ‘মারাকানাজো’ নামে।
৩। হার্স্টের বিতর্কিত গোল (১৯৬৬)
ইংল্যান্ডের ইতিহাসে একমাত্র ফুটবল বিশ্বকাপ জয় ১৯৬৬ সালে। ওয়েম্বলিতে পশ্চিম জার্মানিকে (বর্তমান জার্মানি) ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। ফাইনালে স্যার জিওফ হার্স্টের একটা গোল নিয়ে এখনো রয়েছে বিতর্ক। যেখানে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ ছিল ২-২ সমতায়। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের ১০১ তম মিনিটে অ্যালান বলের পাস থেকে গোল করেছিলেন হার্স্ট। তবে হার্স্টের এই গোল দাগ পেরিয়েছিল কি না, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছেই। কয়েক দশক পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এক গবেষণায় দাবি করেছিল, বলের ৯৭ শতাংশ দাগ পেরিয়েছিল। এখনকার মতো ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি তখন থাকলে হয়তোবা ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন কিছু হতে পারত।
৪। জিদানের গুঁতো (২০০৬)
২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে গুঁতোগুঁতির কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। বার্লিনের অলিম্পিয়া স্টেডিয়ামের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইতালি-ফ্রান্স। ম্যাচের ১১০ মিনিটে মার্কো মাতেরাজ্জিকে গুঁতো মেরে লাল কার্ড পেয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। এই লাল কার্ডের ব্যাপারে জিদানের অভিযোগ করেছিলেন, ‘মাতারাজ্জি আমার অসুস্থ মা কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছিল।’ মাতেরাজ্জি পরে এই দাবিকে অস্বীকার করেছিলেন। ইতালিয়ান এই ডিফেন্ডার দাবি করেছিলেন, হালকা বাজে কথা বলেছিলেন তিনি।
৫। ইনিয়েস্তার ‘ফিনিশিং টাচ’ (২০১০)
‘ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে’-২০১০ বিশ্বকাপে এই প্রবাদেরই যেন বাস্তব প্রমাণ দেখালেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। জোহানেসবার্গের সকার সিটিতে স্পেন-নেদারল্যান্ডস ফাইনাল ম্যাচের মূল ম্যাচটি ছিল গোলশূন্য ড্র। অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষের দিকে এসে বাজিমাত করে স্প্যানিশরা। ১১৬ মিনিটে সেস্ক ফ্যাব্রেগাসের অ্যাসিস্টে জয়সূচক গোলটি করেন ইনিয়েস্তা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তোলে স্প্যানিশরা।
৬। সান্তিয়াগো কেলেঙ্কারি (১৯৬২)
বিশ্বকাপ ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে ১৯৬২ বিশ্বকাপে। বিখ্যাত ইংলিশ ধারাভাষ্যকার ডেভিড কোলম্যান এই বিশ্বকাপের চিলি-ইতালি ম্যাচটিকে ফুটবলের সবচেয়ে জঘন্য, ন্যাক্কারজনক ঘটনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এই ম্যাচে মাত্র দুটি লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি। লাল কার্ড ছাপিয়ে এই ম্যাচের আলোচ্য বিষয়বস্তু পুলিশের হস্তক্ষেপ। ম্যাচের আগেই দুই ইতালিয়ান সাংবাদিকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায়। চিলিকে অপুষ্টি, অশিক্ষিত, অ্যালকোহল এবং দরিদ্র দেশ বলে আখ্যা দেন দুই ইতালিয়ান। চিলির সমর্থকরা এরপর দাবি করেছিলেন, ইতালিয়ানরা সন্ত্রাসী, মাদকাসক্ত।
৭। বিধ্বস্ত ব্রাজিল (২০১৪)
৬৪ বছর পর ব্রাজিলে আবারও বিশ্বকাপ। ১৯৫০ এর বিশ্বকাপে মারাকানায় ফাইনাল হারের ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর সুযোগ ছিল এই বিশ্বকাপে। তবে ব্রাজিল এবার ফাইনাল তো দূরের কথা, সেমিফাইনালেই পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বেলো হরিজন্তের মিনেইরো স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে হারিয়েছে জার্মানি। এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের সাবেক মিডফিল্ডার মাউরো সিলভা বলেছিলেন, ‘যেকোনো জায়গাতেই বিশ্বকাপ খেলা কঠিন, কিন্তু ব্রাজিলে ভক্তদের প্রত্যাশার চাপে খেলা আরও কঠিন। সেলেসাওদের জন্য অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন ছিল এটি।’
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই কাতারে শুরু হচ্ছে ২২ তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৩২ দল,৮টি গ্রুপে রয়েছে ৪টি করে দল। যেখানে সবশেষ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স এবং রানার্সআপ হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া।
১৯৩০ সালে ১৩ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। প্রথম বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উরুগুয়ে এবং রানারআপ হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৩০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ফুটবল হয়েছে ২১ বার। এই ২১ বিশ্বকাপের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার করে শিরোপা জিতেছে জার্মানি, ইতালি। দুইবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও ফ্রান্স। আর একবার করে জিতেছে ইংল্যান্ড ও স্পেন।
১। ‘ঈশ্বরের হাত’ (১৯৮৬)
ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত ঘটনা এটি। ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৬ এর বিশ্বকাপে। মেক্সিকোর অ্যাজটেক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য ড্র। ম্যাচের ৫১ তম মিনিটে ইংলিশ গোলরক্ষক পিটার শিলটনকে বোকা বানিয়ে হাত দিয়ে গোলটি করেছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। এক সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডের সাবেক উইঙ্গার জন বার্নস বলেছিলেন, ‘আমরা সবাই এটা দেখেছি। খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজার সবাই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার দেখলাম সে (ম্যারাডোনা) হাত দিয়ে গোল করেছে। কিন্ত কীভাবে এটা রেফারির চোখ এড়িয়েছে, সেটাই আমাদের অবাক করেছে।’ ম্যারাডোনা তাঁর আত্মজীবনী ‘এল দিয়েগো’ গোলটিকে ‘ঈশ্বরের হাত’ বলে উল্লেখ করেছেন। কয়েকদিন আগে এই ‘হ্যান্ড অব গড’ বলটি বিক্রি হয়েছে ২৫ কোটি টাকায়।
২। মারাকানাজো (১৯৫০)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ হয় ১৯৫০ সালে। আর এই বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ব্রাজিল। মারাকানার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-উরুগুয়ে। ৭৮ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচটি ১-১ গোলে সমতায় ছিল। তবে স্বাগতিকদের কাঁদিয়ে জয়সূচক গোলটি করেন উরুগুয়ের উইঙ্গার আলসিদেস ঘিঘিয়া। ২ লাখ ২০ হাজার দর্শককে কাদিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে। ব্রাজিলিয়ানদের কাছে যা পরিচিত ‘মারাকানাজো’ নামে।
৩। হার্স্টের বিতর্কিত গোল (১৯৬৬)
ইংল্যান্ডের ইতিহাসে একমাত্র ফুটবল বিশ্বকাপ জয় ১৯৬৬ সালে। ওয়েম্বলিতে পশ্চিম জার্মানিকে (বর্তমান জার্মানি) ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। ফাইনালে স্যার জিওফ হার্স্টের একটা গোল নিয়ে এখনো রয়েছে বিতর্ক। যেখানে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ ছিল ২-২ সমতায়। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের ১০১ তম মিনিটে অ্যালান বলের পাস থেকে গোল করেছিলেন হার্স্ট। তবে হার্স্টের এই গোল দাগ পেরিয়েছিল কি না, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছেই। কয়েক দশক পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এক গবেষণায় দাবি করেছিল, বলের ৯৭ শতাংশ দাগ পেরিয়েছিল। এখনকার মতো ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি তখন থাকলে হয়তোবা ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন কিছু হতে পারত।
৪। জিদানের গুঁতো (২০০৬)
২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে গুঁতোগুঁতির কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। বার্লিনের অলিম্পিয়া স্টেডিয়ামের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইতালি-ফ্রান্স। ম্যাচের ১১০ মিনিটে মার্কো মাতেরাজ্জিকে গুঁতো মেরে লাল কার্ড পেয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। এই লাল কার্ডের ব্যাপারে জিদানের অভিযোগ করেছিলেন, ‘মাতারাজ্জি আমার অসুস্থ মা কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছিল।’ মাতেরাজ্জি পরে এই দাবিকে অস্বীকার করেছিলেন। ইতালিয়ান এই ডিফেন্ডার দাবি করেছিলেন, হালকা বাজে কথা বলেছিলেন তিনি।
৫। ইনিয়েস্তার ‘ফিনিশিং টাচ’ (২০১০)
‘ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে’-২০১০ বিশ্বকাপে এই প্রবাদেরই যেন বাস্তব প্রমাণ দেখালেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। জোহানেসবার্গের সকার সিটিতে স্পেন-নেদারল্যান্ডস ফাইনাল ম্যাচের মূল ম্যাচটি ছিল গোলশূন্য ড্র। অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষের দিকে এসে বাজিমাত করে স্প্যানিশরা। ১১৬ মিনিটে সেস্ক ফ্যাব্রেগাসের অ্যাসিস্টে জয়সূচক গোলটি করেন ইনিয়েস্তা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তোলে স্প্যানিশরা।
৬। সান্তিয়াগো কেলেঙ্কারি (১৯৬২)
বিশ্বকাপ ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে ১৯৬২ বিশ্বকাপে। বিখ্যাত ইংলিশ ধারাভাষ্যকার ডেভিড কোলম্যান এই বিশ্বকাপের চিলি-ইতালি ম্যাচটিকে ফুটবলের সবচেয়ে জঘন্য, ন্যাক্কারজনক ঘটনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এই ম্যাচে মাত্র দুটি লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি। লাল কার্ড ছাপিয়ে এই ম্যাচের আলোচ্য বিষয়বস্তু পুলিশের হস্তক্ষেপ। ম্যাচের আগেই দুই ইতালিয়ান সাংবাদিকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায়। চিলিকে অপুষ্টি, অশিক্ষিত, অ্যালকোহল এবং দরিদ্র দেশ বলে আখ্যা দেন দুই ইতালিয়ান। চিলির সমর্থকরা এরপর দাবি করেছিলেন, ইতালিয়ানরা সন্ত্রাসী, মাদকাসক্ত।
৭। বিধ্বস্ত ব্রাজিল (২০১৪)
৬৪ বছর পর ব্রাজিলে আবারও বিশ্বকাপ। ১৯৫০ এর বিশ্বকাপে মারাকানায় ফাইনাল হারের ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর সুযোগ ছিল এই বিশ্বকাপে। তবে ব্রাজিল এবার ফাইনাল তো দূরের কথা, সেমিফাইনালেই পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বেলো হরিজন্তের মিনেইরো স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে হারিয়েছে জার্মানি। এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের সাবেক মিডফিল্ডার মাউরো সিলভা বলেছিলেন, ‘যেকোনো জায়গাতেই বিশ্বকাপ খেলা কঠিন, কিন্তু ব্রাজিলে ভক্তদের প্রত্যাশার চাপে খেলা আরও কঠিন। সেলেসাওদের জন্য অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন ছিল এটি।’
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে।
৭ মিনিট আগে
গায়ের জোরে জেতা যাকে বলে, ঠিক তেমনই এক ম্যাচ দেখা গেল আজ বিগ ব্যাশে। গ্যাবায় পার্থ স্কর্চার্সের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য এক বল হাতে রেখে তাড়া করে নতুন ইতিহাস গড়েছে ব্রিসবেন হিট। বিগ ব্যাশে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড নেই আর কারও।
২৭ মিনিট আগে
খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেই দুবাইয়ের আরেক স্টেডিয়ামে আরেক ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।
১ ঘণ্টা আগে
নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে। পদক তো নিশ্চিত হয়েছে আগে, জুমার-ঊর্মি এবার দেখাচ্ছেন সোনা জয়ের ঝিলিকও। ফাইনালে কাল মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সানের মুখোমুখি হবেন তারা।
পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে সকালটাও অন্যরকম ছিল জুমার-ঊর্মির। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে তিন সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ গেমে। প্রথম সেট খানিকটা সহজে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হারতে হয়। তৃতীয় সেটে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে নিশ্চিত করেন ব্রোঞ্জ পদক।
রাতে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের জুটিকে পাত্তাই দিলেন না জুমার-ঊর্মি। প্রথম সেটে একটা সময় অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন ৫-৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে অনবরত পয়েন্ট তুলতে থাকেন জুমার। শেষ দিকে ঊর্মিও দেখান তাঁর দাপট। দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশের জুটি। নিয়ে নেন বড় ব্যবধানের লিড। যা পরে আর ছোট করতে পারেননি থাইল্যান্ডের শাটলাররা।
ফাইনালে উঠে জুমার বলেন, ‘ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, জানিনা কি হবে। দেখা যাক। আগে যে রেজাল্টগুলো আমরা আশাও করতে পারতাম না, এখন বাংলাদেশ অন্যান্য বারের মতো হচ্ছে না যে মানে বাংলাদেশ আসছে আর হেরে যাচ্ছে—এরকম হচ্ছে না। প্রত্যেকটা টিমই আমাদের লড়াই করে হেরেছে।’
জুমারের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে ঊর্মি বলেন, ‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার সোনা জিততে চাই। জুমারের সঙ্গে ছয়-সাত বছর ধরে জুটি বেঁধে খেলছি। যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, সেহেতু আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা এর আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি।’
এর আগে একক ইভেন্টে কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের শাটলাররা। দ্বৈতে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে কেউই জয়ের হাসি হাসতে পারেননি। মিশ্র দ্বৈতে জুমার-ঊর্মি ফুটলেন আশার আলো হয়ে। রুপা নিশ্চিত করে লক্ষ্য এবার সোনার পদক গলায় ঝুলানো।

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে। পদক তো নিশ্চিত হয়েছে আগে, জুমার-ঊর্মি এবার দেখাচ্ছেন সোনা জয়ের ঝিলিকও। ফাইনালে কাল মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সানের মুখোমুখি হবেন তারা।
পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে সকালটাও অন্যরকম ছিল জুমার-ঊর্মির। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে তিন সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ গেমে। প্রথম সেট খানিকটা সহজে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হারতে হয়। তৃতীয় সেটে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে নিশ্চিত করেন ব্রোঞ্জ পদক।
রাতে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের জুটিকে পাত্তাই দিলেন না জুমার-ঊর্মি। প্রথম সেটে একটা সময় অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন ৫-৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে অনবরত পয়েন্ট তুলতে থাকেন জুমার। শেষ দিকে ঊর্মিও দেখান তাঁর দাপট। দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশের জুটি। নিয়ে নেন বড় ব্যবধানের লিড। যা পরে আর ছোট করতে পারেননি থাইল্যান্ডের শাটলাররা।
ফাইনালে উঠে জুমার বলেন, ‘ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, জানিনা কি হবে। দেখা যাক। আগে যে রেজাল্টগুলো আমরা আশাও করতে পারতাম না, এখন বাংলাদেশ অন্যান্য বারের মতো হচ্ছে না যে মানে বাংলাদেশ আসছে আর হেরে যাচ্ছে—এরকম হচ্ছে না। প্রত্যেকটা টিমই আমাদের লড়াই করে হেরেছে।’
জুমারের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে ঊর্মি বলেন, ‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার সোনা জিততে চাই। জুমারের সঙ্গে ছয়-সাত বছর ধরে জুটি বেঁধে খেলছি। যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, সেহেতু আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা এর আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি।’
এর আগে একক ইভেন্টে কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের শাটলাররা। দ্বৈতে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে কেউই জয়ের হাসি হাসতে পারেননি। মিশ্র দ্বৈতে জুমার-ঊর্মি ফুটলেন আশার আলো হয়ে। রুপা নিশ্চিত করে লক্ষ্য এবার সোনার পদক গলায় ঝুলানো।

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই কাতারে শুরু হচ্ছে ২২ তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৩২ দল,৮টি গ্রুপে রয়েছে ৪টি করে দল। যেখানে সবশেষ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স এবং রানার্সআপ হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া।
২০ নভেম্বর ২০২২
গায়ের জোরে জেতা যাকে বলে, ঠিক তেমনই এক ম্যাচ দেখা গেল আজ বিগ ব্যাশে। গ্যাবায় পার্থ স্কর্চার্সের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য এক বল হাতে রেখে তাড়া করে নতুন ইতিহাস গড়েছে ব্রিসবেন হিট। বিগ ব্যাশে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড নেই আর কারও।
২৭ মিনিট আগে
খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেই দুবাইয়ের আরেক স্টেডিয়ামে আরেক ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।
১ ঘণ্টা আগে
নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

গায়ের জোরে জেতা যাকে বলে, ঠিক তেমনই এক ম্যাচ দেখা গেল আজ বিগ ব্যাশে। গ্যাবায় পার্থ স্কর্চার্সের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য এক বল হাতে রেখে তাড়া করে নতুন ইতিহাস গড়েছে ব্রিসবেন হিট। বিগ ব্যাশে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড নেই আর কারও।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রান তাড়ায় দুজন ব্যাটার সেঞ্চুরি করলেন। ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইল্ডারমুথ ২১২ রানের জুটি গড়ে হিটকে আট উইকেটের জয় এনে দেন। বিগব্যাশে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। টস হেরে আগে ব্যাটিং করা পার্থ স্করচার্স ৬ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে। ফিন অ্যালেন (৩৮ বলে ৭৯) ও কুপার কনোলি (৩৭ বলে ৭৭) দুজনে মিলে ১৪টি ছক্কায় সাজানো ঝোড়ো ১৪২ রানের জুটি গড়েন।
শেষদিকে নিক হবসন অপরাজিত ৪৮ রান করে ইনিংসের ফলে হিটের সামনে দাঁড়ায় প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য। রান তাড়ার প্রথম বলেই অধিনায়ক জাই রিচার্ডসনের বলে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফিরলেও কলিন মনরোর দলটি বিচলিত হয়নি। রেনশ ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৯টি বিশাল ছক্কা; ১০১ রানে তিনি রানআউট হন। উইল্ডারমুথ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। মাত্র ৫৪ বলে অপরাজিত ১১০ রানের এই ইনিংসে তিনি ছিলেন বিধ্বংসী। সব মিলিয়ে ৩৬ ছক্কার দেখা মিলেছে এই ম্যাচে; বিগ ব্যাশে আগে কখনো ঘটেনি তা।

গায়ের জোরে জেতা যাকে বলে, ঠিক তেমনই এক ম্যাচ দেখা গেল আজ বিগ ব্যাশে। গ্যাবায় পার্থ স্কর্চার্সের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য এক বল হাতে রেখে তাড়া করে নতুন ইতিহাস গড়েছে ব্রিসবেন হিট। বিগ ব্যাশে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড নেই আর কারও।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রান তাড়ায় দুজন ব্যাটার সেঞ্চুরি করলেন। ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইল্ডারমুথ ২১২ রানের জুটি গড়ে হিটকে আট উইকেটের জয় এনে দেন। বিগব্যাশে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। টস হেরে আগে ব্যাটিং করা পার্থ স্করচার্স ৬ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে। ফিন অ্যালেন (৩৮ বলে ৭৯) ও কুপার কনোলি (৩৭ বলে ৭৭) দুজনে মিলে ১৪টি ছক্কায় সাজানো ঝোড়ো ১৪২ রানের জুটি গড়েন।
শেষদিকে নিক হবসন অপরাজিত ৪৮ রান করে ইনিংসের ফলে হিটের সামনে দাঁড়ায় প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য। রান তাড়ার প্রথম বলেই অধিনায়ক জাই রিচার্ডসনের বলে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফিরলেও কলিন মনরোর দলটি বিচলিত হয়নি। রেনশ ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৯টি বিশাল ছক্কা; ১০১ রানে তিনি রানআউট হন। উইল্ডারমুথ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। মাত্র ৫৪ বলে অপরাজিত ১১০ রানের এই ইনিংসে তিনি ছিলেন বিধ্বংসী। সব মিলিয়ে ৩৬ ছক্কার দেখা মিলেছে এই ম্যাচে; বিগ ব্যাশে আগে কখনো ঘটেনি তা।

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই কাতারে শুরু হচ্ছে ২২ তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৩২ দল,৮টি গ্রুপে রয়েছে ৪টি করে দল। যেখানে সবশেষ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স এবং রানার্সআপ হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া।
২০ নভেম্বর ২০২২
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে।
৭ মিনিট আগে
খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেই দুবাইয়ের আরেক স্টেডিয়ামে আরেক ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।
১ ঘণ্টা আগে
নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেই দুবাইয়ের আরেক স্টেডিয়ামে আরেক ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।
ভারত-পাকিস্তান এবারও মুখোমুখি হচ্ছে এশিয়া কাপ ফাইনালে। তবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টটা মূলত বয়সভিত্তিক। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পরশু হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। আজ দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে এক সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। একই শহরের আরেক মাঠ আইসিসি একাডেমিতে আরেক সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেসেখেলে জিতেছে ভারত।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে কোনোটাই সময়মতো শুরু হয়নি। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছে ২৭ ওভারে। অন্যদিকে ভারত-শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনালটা হয়েছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে আজ ২০ ওভারে ১৩৮ রানের লক্ষ্যে নেমে একটু চাপে পড়ে ভারত। ৩.৩ ওভারে ২ উইকেটে ২৫ রানে পরিণত হয় আয়ুশ মাত্রের নেতৃত্বাধীন ভারত। অধিনায়ক মাত্রে (৭), বৈভব সূর্যবংশী (৯) দুই ওপেনারই এক অঙ্কের ঘরে রান করে আউট হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বোলারদের সামনে এরপর ঢাল হয়ে দাঁড়ান অ্যারন জর্জ, বিহান মালহোত্রা। তৃতীয় উইকেটে ৮৭ বলে ১১৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন তাঁরা (জর্জ-মালহোত্রা)। ২ ওভার হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ভারত।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়ে দুই ভারতীয় জর্জ ও মালহোত্রা ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন। ৪৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মালহোত্রা। জর্জ ৪৯ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার দুটি উইকেটই নিয়েছেন রাসিত নিমসারা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন চামিকা হিনাতিগালা। ভারতের হেনিল প্যাটেল, কনিষ্ক চৌহান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন কিশান সিংহ, দিপেশ দেবেন্দ্রন ও খিলান প্যাটেল।
ভারত এর আগে আটবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে। পাকিস্তান জিতেছে একবার। সেটাও ভারতের বিপক্ষে। ২০১২ সালে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল টাই হলে যৌথভাবে তাদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সময় পরশু সকাল ১১টায় ২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল শুরু হবে।

খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেই দুবাইয়ের আরেক স্টেডিয়ামে আরেক ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।
ভারত-পাকিস্তান এবারও মুখোমুখি হচ্ছে এশিয়া কাপ ফাইনালে। তবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টটা মূলত বয়সভিত্তিক। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পরশু হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। আজ দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে এক সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। একই শহরের আরেক মাঠ আইসিসি একাডেমিতে আরেক সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেসেখেলে জিতেছে ভারত।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে কোনোটাই সময়মতো শুরু হয়নি। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছে ২৭ ওভারে। অন্যদিকে ভারত-শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনালটা হয়েছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে আজ ২০ ওভারে ১৩৮ রানের লক্ষ্যে নেমে একটু চাপে পড়ে ভারত। ৩.৩ ওভারে ২ উইকেটে ২৫ রানে পরিণত হয় আয়ুশ মাত্রের নেতৃত্বাধীন ভারত। অধিনায়ক মাত্রে (৭), বৈভব সূর্যবংশী (৯) দুই ওপেনারই এক অঙ্কের ঘরে রান করে আউট হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বোলারদের সামনে এরপর ঢাল হয়ে দাঁড়ান অ্যারন জর্জ, বিহান মালহোত্রা। তৃতীয় উইকেটে ৮৭ বলে ১১৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন তাঁরা (জর্জ-মালহোত্রা)। ২ ওভার হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ভারত।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়ে দুই ভারতীয় জর্জ ও মালহোত্রা ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন। ৪৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মালহোত্রা। জর্জ ৪৯ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার দুটি উইকেটই নিয়েছেন রাসিত নিমসারা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন চামিকা হিনাতিগালা। ভারতের হেনিল প্যাটেল, কনিষ্ক চৌহান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন কিশান সিংহ, দিপেশ দেবেন্দ্রন ও খিলান প্যাটেল।
ভারত এর আগে আটবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে। পাকিস্তান জিতেছে একবার। সেটাও ভারতের বিপক্ষে। ২০১২ সালে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল টাই হলে যৌথভাবে তাদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সময় পরশু সকাল ১১টায় ২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল শুরু হবে।

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই কাতারে শুরু হচ্ছে ২২ তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৩২ দল,৮টি গ্রুপে রয়েছে ৪টি করে দল। যেখানে সবশেষ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স এবং রানার্সআপ হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া।
২০ নভেম্বর ২০২২
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে।
৭ মিনিট আগে
গায়ের জোরে জেতা যাকে বলে, ঠিক তেমনই এক ম্যাচ দেখা গেল আজ বিগ ব্যাশে। গ্যাবায় পার্থ স্কর্চার্সের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য এক বল হাতে রেখে তাড়া করে নতুন ইতিহাস গড়েছে ব্রিসবেন হিট। বিগ ব্যাশে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড নেই আর কারও।
২৭ মিনিট আগে
নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।
২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।
দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।
১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের বোলারদের বেধড়ক পেটাতে থাকেন সামির মিনহাস-উসমান খান। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (মিনহাস-উসমান)। ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে উসমানকে (২৭) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে বিস্ফোরক জুটি ভাঙেন সামিউন বশির রাতুল। পাকিস্তানের এই ম্যাচ জিততে এরপর আর কোনো অসুবিধা হয়নি। ৬৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৬ বলে ৩৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন আহমেদ হুসেইন-সামির। ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে বাংলাদেশের পেসার ইকবাল হোসেন ইমনের বাউন্সার আম্পায়ার ওয়াইড ঘোষণা করলে পাকিস্তান উঠে যায় ফাইনালে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।
পাকিস্তানের আব্দুল সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তিনিই পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।
ভারত এর আগে আটবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে। পাকিস্তান জিতেছে একবার। সেটাও ভারতের বিপক্ষে। ২০১২ সালে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল টাই হলে যৌথভাবে তাদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সময় পরশু সকাল ১১টায় ২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল শুরু হবে।

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।
২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।
দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।
১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের বোলারদের বেধড়ক পেটাতে থাকেন সামির মিনহাস-উসমান খান। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (মিনহাস-উসমান)। ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে উসমানকে (২৭) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে বিস্ফোরক জুটি ভাঙেন সামিউন বশির রাতুল। পাকিস্তানের এই ম্যাচ জিততে এরপর আর কোনো অসুবিধা হয়নি। ৬৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৬ বলে ৩৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন আহমেদ হুসেইন-সামির। ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে বাংলাদেশের পেসার ইকবাল হোসেন ইমনের বাউন্সার আম্পায়ার ওয়াইড ঘোষণা করলে পাকিস্তান উঠে যায় ফাইনালে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।
পাকিস্তানের আব্দুল সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তিনিই পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।
ভারত এর আগে আটবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে। পাকিস্তান জিতেছে একবার। সেটাও ভারতের বিপক্ষে। ২০১২ সালে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল টাই হলে যৌথভাবে তাদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সময় পরশু সকাল ১১টায় ২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল শুরু হবে।

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই কাতারে শুরু হচ্ছে ২২ তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ৩২ দল,৮টি গ্রুপে রয়েছে ৪টি করে দল। যেখানে সবশেষ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স এবং রানার্সআপ হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া।
২০ নভেম্বর ২০২২
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে।
৭ মিনিট আগে
গায়ের জোরে জেতা যাকে বলে, ঠিক তেমনই এক ম্যাচ দেখা গেল আজ বিগ ব্যাশে। গ্যাবায় পার্থ স্কর্চার্সের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য এক বল হাতে রেখে তাড়া করে নতুন ইতিহাস গড়েছে ব্রিসবেন হিট। বিগ ব্যাশে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড নেই আর কারও।
২৭ মিনিট আগে
খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেই দুবাইয়ের আরেক স্টেডিয়ামে আরেক ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।
১ ঘণ্টা আগে