Ajker Patrika

বাংলাদেশের মেয়েদের খেলায় এখন সৌন্দর্য আছে

নাজিম আল শমষের, ঢাকা
বাংলাদেশের মেয়েদের খেলায় এখন সৌন্দর্য আছে

আড়াই বছর পর আজ নেপালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। নেপালের পর উজবেকিস্তানে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল। নেপালে যাওয়ার আগে আজকের পত্রিকার সঙ্গে নিজেদের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে গেছেন বাংলাদেশ মেয়েদের ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ও দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।

প্রশ্ন: আড়াই বছর পর নারী জাতীয় দল আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরছে। আপনাদের প্রত্যাশা-প্রস্তুতি নিয়ে যদি বলতেন। 
সাবিনা খাতুন: আমি ছাড়া দলের অধিকাংশ খেলোয়াড় বয়সভিত্তিক দল থেকে আসা। অনূর্ধ্ব-১৮,১৯ দলের মেয়েরা জাতীয় দলে ঢুকেছে। অনেক বড় চ্যালেঞ্জ অবশ্যই, প্রতিপক্ষ ইরান-জর্ডান অনেক শক্তিশালী দল। আমরা র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে। যেহেতু অনেক দিন খেলার মধ্যে নেই, আমাদের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ এটা। আমাদের মূল লক্ষ্য প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলা। পারফরম্যান্সের কথা যদি বলেন, শারীরিক দিক দিয়ে ইরান-জর্ডান অনেক শক্তিশালী। ক্যাম্পে মেয়েরা অনেক পরিশ্রম করছে। কোচরা বেশ আশাবাদী মেয়েদের নিয়ে। চার-পাঁচ বছর আগেও মেয়েদের যে ফিটনেস ছিল, অনেক উন্নতি হয়েছে। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারব। এবারের ক্যাম্পে আসার পর প্রথম পাঁচ সপ্তাহ মাঠের অনুশীলন ছিল, জিম করেছি। তবে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছি ফিটনেস নিয়ে। 

প্রশ্ন: একটা পুরোনো সমস্যা আছে, ফিনিশিংয়ে ঘাটতি। এটা নিয়ে কতটা কাজ করেছেন আপনারা? 
সাবিনা: এই কাজগুলো ব্যক্তিগতভাবে করা হয়। অনুশীলনের পর আমরা আলাদাভাবে ১৫-২০ মিনিট কাজ করি। নেপাল ম্যাচের পর আমরা সমস্যাগুলো বুঝতে পারব আশা করি। 

প্রশ্ন: ২০১৪ সালের এশিয়ান গেমসের বাছাইপর্বে ১৫ গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ। ওই দলে আপনিও ছিলেন। সেই দলের সঙ্গে বর্তমান দলটার পার্থক্য কতটা? 
সাবিনা: তখন দেশে মেয়েদের ফুটবল সবে শুরু। তখন মাঠে গিয়ে আমাদের একটাই লক্ষ্য থাকত প্রতিপক্ষকে খেলতে দেব না, বল পেলেই এখানে-ওখানে মারব। এখন আমরা প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি। আমরা প্রতিযোগিতামূলক খেলা খেলতে পারি। এখন যে কেউ বুঝতে পারবে যে বাংলাদেশের মেয়েরা এখন ফুটবল খেলতে পারে। খেলায় একটা সৌন্দর্য আছে। বয়সভিত্তিক ফুটবল দেখলেই বোঝা যায় যে মেয়েদের খেলার মান কতটুকু উন্নতি হয়েছে। এককথায় বলতে গেলে মেয়েরা এখন গোছানো ফুটবল খেলতে পারে। 

প্রশ্ন: ইরান-জর্ডানের বিপক্ষে আপনাদের প্রত্যাশা কী থাকবে? 
সাবিনা: আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা। আমরা এবার রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে চাই না। 

প্রশ্ন: শুরুতে বলছিলেন দলের বেশির ভাগ ফুটবলারই বয়সভিত্তিক দলের ফুটবলার। আপনার চোখে এই ফুটবলাররা কোথায় সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে? 
সাবিনা: ভারতে লিগ খেলতে গিয়ে দেখেছি তাদের নারী ফুটবলারের অভাব নেই। আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে পাইপলাইন সেভাবে সমৃদ্ধ নয়। অনূর্ধ্ব-১৪ জেএফএ কাপ থেকে কিছু খেলোয়াড় উঠে আসছে, জেলা পর্যায় থেকে কেউ কেউ আসছে। ৫০-৬০ খেলোয়াড় ক্যাম্পে রেখে অনুশীলন করানো হচ্ছে। অনূর্ধ্ব-১৬ দলটা যখন পরের ধাপে চলে যাচ্ছে তখন তাদের বিকল্প তৈরি করা হচ্ছে না। পাইপলাইন যখন গুছিয়ে আনা যাবে, তখন দল এমনিতেই শক্তিশালী হয়ে যাবে। 

প্রশ্ন: নারী লিগ নিয়ে একটা সময় বেশ হাহাকার ছিল। আপনারা টানা দুই বছরে দুটি লিগ খেলে ফেললেন। কিন্তু এই লিগ নিয়ে অনেক সমালোচনা। কারণটা কী? 
সাবিনা: বড় দলগুলোকে আসতে হবে। নেপাল-ভারতের লিগগুলোয় বিদেশি ফুটবলারদের খেলার সুযোগ আছে। বাংলাদেশের লিগ শক্তিশালী করতে হলে বিদেশিদের খেলার সুযোগ দিতে হবে। বড় দলগুলো লিগে এলে আর বিদেশিরা খেলার সুযোগ পেলে লিগ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে আশা করি। 

প্রশ্ন: লিগে ১০০ গোলের কীর্তি, বসুন্ধরার হয়ে ৫০ গোলের রেকর্ড। সামনে সাবিনার লক্ষ্য কী হবে? 
সাবিনা: রেকর্ডগুলো এমন এক অবস্থায় রেখে যেতে চাই যেন কেউ ভাঙতে চাইলে তাঁকে বেশ পরিশ্রম করতে হয়। আমাদের নারী ফুটবলাররা আসলে দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করে না। অনেকেই অর্ধেক পর্যন্ত এসে হাল ছেড়ে দেয়। যদি কেউ পরিকল্পনা করে যে আমার রেকর্ড ভাঙবে তাহলে হয়তো সম্ভব। কিন্তু কে করবে জানি না। 

প্রশ্ন: এবারের নারী লিগে শুরুতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন। নিজেকে ফিরে পেলেন কোন মন্ত্রে? 
সাবিনা: লিগের শুরুতে বেশ হতাশার মধ্যে ছিলাম। পারিবারিক সমস্যা ছিল, আমার বাবা সৈয়দ আলী মারা যান। আমার মধ্যে একটা বিষয় সব সময় কাজ করে যে পারফরম্যান্স খারাপ হলেও হাল ছেড়ে দেব না। এভাবে ফেরার চেষ্টা করেছি। আগের ছন্দ ফিরে পেয়েছি। 
 
প্রশ্ন: বর্তমানে নারী ফুটবলাররা আদর্শ বলতে সাবিনাকে বোঝেন। এই মানদণ্ডটা কীভাবে তৈরি হলো? 
সাবিনা: দলের সবার সঙ্গেই সমানভাবে মেশার চেষ্টা করি। একটা সময় ছিল যখন এদের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছিলাম না। সবাই তখন খুব ছোট ছিল। আমার চিন্তার সঙ্গে বাকিদের চিন্তা তেমন মিলত না। দেখা গেল একটা ভালো পাস দিলে অন্যরা সেটা বুঝত না। একসঙ্গে অনুশীলন করতে করতে এখন বোঝাপড়াটা তৈরি হয়ে গেছে। সবার সঙ্গেই এখন আমার ভালো সম্পর্ক আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত