জার্মানি নাকি স্পেন—কে যাচ্ছে সেমিফাইনালে

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৪, ১৩: ১৬
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৪, ১৪: ৩৫

ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দুই দল তারা। সেই দুই দলের একটিকে আজ নিতে হবে কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায়। স্বাগতিক জার্মানি নাকি স্পেন—কার হৃদয় রাতে রক্তাক্ত হবে স্টুটগার্টে? 

দুই দলের জয়ের পাল্লাটা জার্মানদের দিকে ঝুঁকে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচনায় স্প্যানিশরাই ফেবারিট। জর্জিয়াকে উড়িয়ে শেষ আটে এসেছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল। স্বাগতিকদের বিপক্ষেও নিজেদের সেরাটা দিতে চায় লা রোহারা। স্প্যানিশদের আবারও সোনালি সময়ে ফেরাতে চাওয়া কোচ লুইস ফুয়েন্তে বলেছেন, ‘আমরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী। আমাদের দলে দল এবং সেরা খেলোয়াড় আছে। আমরা এটার জন্য লড়াই করতে যাচ্ছি। আমরা জানি, আমাদের সামনে কে আছে, এটা জার্মানি।’ 

ইউরোতে পরপর দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি স্পেনের। ২০০৮ সালে জার্মানিকে হারানোর পর ২০১২ সালে ইতালিকে হারিয়ে এই কীর্তি গড়েছিল জাভি হার্নান্দেজ-আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাদের সোনালি প্রজন্ম। সেই প্রজন্মের বিদায়ের পর নিজেদের সেরা ছন্দে ছিল না স্পেন। তবে ফুয়েন্তের অধীনে নতুন করে আবার তারা স্বপ্ন দেখছে। এবারের ইউরোতে উঠেছে টানা তিন জয়ে গ্রুপ-সেরা হয়ে। ২০২২-২৩ মৌসুমে ক্রোয়েশিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে জিতেছে নেশনস লিগ। ১১ বছর পর এটিই একমাত্র আন্তর্জাতিক শিরোপা তাদের। 

জার্মানিও শিরোপা জেতে না বহুদিন। ২০১৭ সালে সবশেষ জিতেছিল ফিফা কনফেডারেশন কাপ। সেই শিরোপাখরা কাটাতে হ্যান্সি ফ্লিকের পরিবর্তে বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক কোচ হুলিয়ান নাগেলসমানকে নিয়োগ দিয়েছে জার্মানি। দায়িত্ব নেওয়ার পর জার্মান কোচের এটাই প্রথম স্প্যানিশ পরীক্ষা। শেষ ষোলোয় ডেনমার্কের বিপক্ষে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল তাঁর শিষ্যদের। সাম্প্রতিক সময়ে স্পেনকে হারানো কত কঠিন, সেটি একটি পরিসংখ্যান দিলেই বোঝা যাবে—গত চার ম্যাচে একবারও স্পেনের বিপক্ষে জেতেনি জার্মানি। তার মধ্যে ২০২০ সালে নেশনস লিগে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল তারা। 

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, জার্মানির ‘এক্স ফ্যাক্টর’ হতে পারেন নাগেলসমান। তবে দুই দলের শেষ আটের লড়াইয়ে স্পটলাইট কেড়ে নিতে পারেন রদ্রি। ২৮ বছর বয়সী এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারই বেঁধে দিতে পারেন দলের ঐকতান। নিকো উইলিয়ামস ও ‘ওয়ান্ডারকিড’ লামিনে ইয়ামালের মতন তরুণেরা গড় দিতে পারেন পার্থক্য। নাগেলসমানকেও আশা দেখাচ্ছেন তিন তরুণ জামাল মুসিয়ালা, দানি ওলমো ও ফ্লোরিয়ান উইর্টজ। তাঁদের পাশাপাশি চোখ থাকবে অবসর ভেঙে ফেরা টনি ক্রুসের দিকেও। এটিই যে তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। তিনি নিজে এখানেই থামবেন নাকি রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক সতীর্থ দানি কারভাহালদের থামাবেন—এখন সেটিই দেখার অপেক্ষা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত