স্পেনের চতুর্থ নাকি ইংল্যান্ডের প্রথম, কী হবে আজ বার্লিনে

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৪, ১৩: ৪৯
Thumbnail image

ব্যক্তিগতভাবে কত কিছুই তো জিতেছেন। কিন্তু একটি শিরোপার আক্ষেপ এখনো ঘুচল না হ্যারি কেইনের। টটেনহাম থেকে বায়ার্ন মিউনিখে যাওয়ার প্রথম মৌসুমে বুন্দেসলিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। তবু পাওয়া হয়নি শিরোপার স্বাদ। উল্টো ১১ বছর বাভারিয়ানরা হাতছাড়া করেছেন লিগ শিরোপা। এবার ইংল্যান্ডের জার্সিতে সেই অপেক্ষার অবসান হবে তো তাঁর? ঘুচবে কি ‘কেইন কার্স (অভিশাপ)’ অপবাদ? সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আজ। 

রাতে বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইউরোর ফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। লড়াইয়ের আগে একটি প্রশ্নই আসছে ঘুরেফিরে—স্প্যানিশদের চতুর্থ, নাকি ইংলিশদের প্রথম? নিজেদের ইতিহাসে কখনো ইউরো জেতা হয়নি ইংল্যান্ডের। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর তাদের ট্রফি ক্যাবিনেটে নেই প্রধান (বিশ্বকাপ/ইউরো) কোনো শিরোপাও। সেই তুলনায় একুশ শতকের অন্যতম সফল দল স্পেন। ২০০৮ ও ২০১২ ইউরো জেতার মাঝখানে ২০১০ সালে জিতেছে বিশ্বকাপ—এমন কীর্তি নেই আর কারও। 

এক যুগ পর ফাইনালের টিকিট পাওয়া স্প্যানিশরা এবার ইংলিশ পরীক্ষায় পাস করতে পারলে জার্মানিকে (৩) ছাড়িয়ে মালিক হবে সর্বোচ্চ ৪ ইউরোর। সেটি হতে দেবে তো টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ওঠা ইংল্যান্ড? গতবার ওয়েম্বলিতে কেইনদের হৃদয় ভেঙেছিল ইতালি। তবে এবার নিশ্চয় আরেকবার হৃদয় রক্তাক্ত করতে চাইবেন না গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রিন্স উইলিয়ামসও গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইংল্যান্ডকে উৎসাহ জুগিয়েছেন এভাবে, ‘তোমাদের নিয়ে আমরা পুরো ইংল্যান্ড গর্বিত। শেষ কাজটি সেরে আসো। বিশ্বকে দেখিয়ে আসো তোমরা কিসে তৈরি। আমাদের বিশ্বাস আছে।’ 

টুর্নামেন্টের শুরু থেকে কৌশলের কারণে সমালোচিত হলেও দলকে আবারও ফাইনালে তুলেছেন সাউথগেট। তবে ফাইনালের আগে ইংল্যান্ড কোচকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন স্টিভ ম্যাকমানামান। ইংল্যান্ডের সাবেক উইঙ্গার সাবেক সতীর্থকে নিয়ে টিএনটি স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘সাউথগেট পুরো দেশকে এক করেছে। সে অসাধারণ কাজ করেছে। এ নিয়ে কারও সন্দেহের অবকাশ নেই।’ 

ইংল্যান্ড-স্পেনের পাশাপাশি লড়াইটা হবে লা লিগার দুই তারকার মধ্যেও। রিয়াল মাদ্রিদের জুড বেলিংহাম ও বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামাল—এবারের ইউরোতে আলো ছড়িয়েছেন দুজনেই। এ দুই তারকাকে নিয়ে মুগ্ধ স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তেও। খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় তিনি কাটিয়েছেন স্পেনে। তবে সফরে যাওয়ার সুবাদে ইংলিশ ফুটবলের প্রতি টানটা এখনো রয়ে গেছে ৬৩ বছর বয়সী কোচের। ফাইনালের আগে সেই ভালোবাসা প্রকাশের পাশাপাশি বেলিংহাম ও লামিনেকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি, জুড খুবই ভালো। সে এমন এক ফুটবলার, যাকে আমি খুব পছন্দ করি। তার খেলার মান আমাকে সত্যিই আনন্দিত করে। কৌশলগতভাবে সে খুবই শক্তিশালী খেলোয়াড়।’ আর ১৬ বছর বয়সী লামিনেকে নিয়ে ফুয়েন্তের কথা, ‘লামিনের ফুটবলপ্রতিভা প্রাকৃতিক ও ব্যতিক্রমী। তার মতো খুব কমই আছে।’ তবে ফুয়েন্তের মূল অস্ত্র রদ্রিগো। ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডারকে তিনি মনে করেন দলের ‘কম্পিউটার’। 

রিয়াল মাদ্রিদে এসে প্রথম মৌসুমেই লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন বেলিংহাম। ইউরো জিতলে ব্যালন ডি’অর পাওয়ার সম্ভাবনাটা আরও উজ্জ্বল হবে ইংলিশ মিডফিল্ডারের। ২১ বছর বয়সী তারকাও চাইবেন ২৮ জুলাই ৩১ বছরে পা দিতে যাওয়া সতীর্থ কেইনকে জন্মদিনের উপহারটা আগেভাগে দিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত