ভানু গোপাল রায়, ঢাকা
মৌসুমের শেষে পিএসজি ছাড়বেন লিওনেল মেসি। এটা সবারই জানা ছিল। তবে জল্পনা-কল্পনা চলছিল কোথায় হবে আর্জেন্টাইন তারকার পরবর্তী ঠিকানা। সব সময় নিজের ‘ঘর’ মনে করা বার্সেলোনার সঙ্গে আল-হিলালের নামই শোনা গিয়েছিল বেশি। এই দুই ক্লাবের পাশে মিটিমিটি জ্বলছিল ইন্টার মিয়ামিরও আশার বাতি।
শেষ পর্যন্ত সেই মিটিমিটি জ্বলা বাতিই সবচেয়ে উজ্জ্বল হলো—সেখানেই যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মেসি। অথচ ধারণা করা হয়েছিল, সাতবারের ব্যালন ডি অরজয়ী বার্সায় না গেলে যোগ দেবেন সৌদি প্রো লিগে। ইউরোপের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তো জানিয়েও দিয়েছিল, তাঁর চুক্তি নাকি হয়ে গেছে আল-হিলালের সঙ্গে। ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে নাকি ৪ হাজার ৬১৭ কোটি টাকার লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন তিনি।
এমন সংবাদে মেসিকে তখন ‘অর্থলোভী’ও বলেছেন অনেকে। ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সেটা মিথ্যা প্রমাণ করলেন মেসি। আর্জেন্টিনা অধিনায়ক বলেছেন, ‘যদি অর্থের বিষয় হতো তাহলে সৌদি আরব বা অন্য কোথাও যেতাম। আমার কাছে অনেক অর্থ মনে হয়েছিল। কিন্তু সত্য হচ্ছে আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিল অন্য কোথাও যাওয়া এবং তা অবশ্যই অর্থের জন্য নয়।’
টাকাই যখন সব নয়, এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে মিয়ামিতেই কেন? বার্সেলোনায় যেতে পারতেন মেসি। হ্যাঁ, এটা পারতেন এবং কাতালান ক্লাবে যাওয়ার যে ইচ্ছা ছিল সেটা স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্ত ও মুন্দো দেপোর্তিভোকে জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। কিন্তু বাদ সাধে অতীতের কিছু অভিজ্ঞতা।
মেসি বলেছেন, ‘বার্সায় ফিরতে পারার বিষয়ে সত্যি বেশ রোমাঞ্চিত ছিলাম। কিন্তু বার্সা ছাড়ার সময় যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা ভেবে একই পরিস্থিতিতে পড়তে চাইনি। ভয় পেয়েছিলাম যে আবারও একই ঘটনা ঘটতে পারে।’
মেসির এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সঙ্গে বেতন কাঠামোর বিষয়টিও ছিল। ৩৫ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তারকা বলেছেন, ‘গণমাধ্যমে শুনেছি বেতন সীমা নিয়ে বার্সার দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করেছে লা লিগা, আমাকে ফেরানোর বিষয়ে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু সত্যটা হচ্ছে, অনেক কিছুই ঠিকঠাক ছিল না। শুনেছিলাম আমাকে ফেরাতে ক্লাবকে খেলোয়াড় বিক্রি করতে বা পারিশ্রমিক কমাতে হবে। সত্যি বলতে এসবের মধ্য দিয়ে যেতে চাইনি, কিংবা এসব কিছুর দায় নিতে চাইনি।’
বার্সেলোনা ছাড়া ইউরোপের অন্য ক্লাবে খেলবেন না বলেও জানিয়েছেন মেসি। ইউরোপ ছাড়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বলেছেন, ‘ইউরোপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা সত্য যে ইউরোপিয়ান অনেক ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেয়েছি, কিন্তু তাতে আমি সাড়া দিইনি। কারণ, আমার পরিকল্পনায় ছিল ইউরোপে বার্সেলোনা ছাড়া অন্য ক্লাবে খেলব না।’
সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করেই হয়তো ইন্টার মিয়ামিকে বেছে নিয়েছেন মেসি। এখানেও যে মোটা অঙ্কের অর্থ পাবেন না, তা কিন্তু নয়। তবে অর্থের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অন্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়ও রয়েছে। যা তাঁকে ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় স্বস্তি বাড়াবে। পরিবারের সন্তুষ্টির বিষয়টিও থাকছে। গত বিশ্বকাপে নিজের আজন্ম স্বপ্ন বিশ্বকাপ জয়ের পর হয়তো চিন্তা করেছেন ক্যারিয়ারের শেষটা সুন্দর জায়গায় শান্তিতে কাটিয়ে দিতে। যেখানে পরিবারের ভালো লাগাটা প্রাধান্য পাবে। মেসির পরিবারের কাছে মিয়ামি ঠিক তেমনি এক জায়গা। যেখানে সুযোগ পেলেই ঘুরতে যান তাঁরা।
মিয়ামির সঙ্গে চুক্তি করার কিছু কারণ—
মৌসুমের শেষে পিএসজি ছাড়বেন লিওনেল মেসি। এটা সবারই জানা ছিল। তবে জল্পনা-কল্পনা চলছিল কোথায় হবে আর্জেন্টাইন তারকার পরবর্তী ঠিকানা। সব সময় নিজের ‘ঘর’ মনে করা বার্সেলোনার সঙ্গে আল-হিলালের নামই শোনা গিয়েছিল বেশি। এই দুই ক্লাবের পাশে মিটিমিটি জ্বলছিল ইন্টার মিয়ামিরও আশার বাতি।
শেষ পর্যন্ত সেই মিটিমিটি জ্বলা বাতিই সবচেয়ে উজ্জ্বল হলো—সেখানেই যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মেসি। অথচ ধারণা করা হয়েছিল, সাতবারের ব্যালন ডি অরজয়ী বার্সায় না গেলে যোগ দেবেন সৌদি প্রো লিগে। ইউরোপের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তো জানিয়েও দিয়েছিল, তাঁর চুক্তি নাকি হয়ে গেছে আল-হিলালের সঙ্গে। ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে নাকি ৪ হাজার ৬১৭ কোটি টাকার লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন তিনি।
এমন সংবাদে মেসিকে তখন ‘অর্থলোভী’ও বলেছেন অনেকে। ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সেটা মিথ্যা প্রমাণ করলেন মেসি। আর্জেন্টিনা অধিনায়ক বলেছেন, ‘যদি অর্থের বিষয় হতো তাহলে সৌদি আরব বা অন্য কোথাও যেতাম। আমার কাছে অনেক অর্থ মনে হয়েছিল। কিন্তু সত্য হচ্ছে আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিল অন্য কোথাও যাওয়া এবং তা অবশ্যই অর্থের জন্য নয়।’
টাকাই যখন সব নয়, এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে মিয়ামিতেই কেন? বার্সেলোনায় যেতে পারতেন মেসি। হ্যাঁ, এটা পারতেন এবং কাতালান ক্লাবে যাওয়ার যে ইচ্ছা ছিল সেটা স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্ত ও মুন্দো দেপোর্তিভোকে জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। কিন্তু বাদ সাধে অতীতের কিছু অভিজ্ঞতা।
মেসি বলেছেন, ‘বার্সায় ফিরতে পারার বিষয়ে সত্যি বেশ রোমাঞ্চিত ছিলাম। কিন্তু বার্সা ছাড়ার সময় যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা ভেবে একই পরিস্থিতিতে পড়তে চাইনি। ভয় পেয়েছিলাম যে আবারও একই ঘটনা ঘটতে পারে।’
মেসির এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সঙ্গে বেতন কাঠামোর বিষয়টিও ছিল। ৩৫ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তারকা বলেছেন, ‘গণমাধ্যমে শুনেছি বেতন সীমা নিয়ে বার্সার দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করেছে লা লিগা, আমাকে ফেরানোর বিষয়ে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু সত্যটা হচ্ছে, অনেক কিছুই ঠিকঠাক ছিল না। শুনেছিলাম আমাকে ফেরাতে ক্লাবকে খেলোয়াড় বিক্রি করতে বা পারিশ্রমিক কমাতে হবে। সত্যি বলতে এসবের মধ্য দিয়ে যেতে চাইনি, কিংবা এসব কিছুর দায় নিতে চাইনি।’
বার্সেলোনা ছাড়া ইউরোপের অন্য ক্লাবে খেলবেন না বলেও জানিয়েছেন মেসি। ইউরোপ ছাড়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বলেছেন, ‘ইউরোপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা সত্য যে ইউরোপিয়ান অনেক ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেয়েছি, কিন্তু তাতে আমি সাড়া দিইনি। কারণ, আমার পরিকল্পনায় ছিল ইউরোপে বার্সেলোনা ছাড়া অন্য ক্লাবে খেলব না।’
সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করেই হয়তো ইন্টার মিয়ামিকে বেছে নিয়েছেন মেসি। এখানেও যে মোটা অঙ্কের অর্থ পাবেন না, তা কিন্তু নয়। তবে অর্থের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অন্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়ও রয়েছে। যা তাঁকে ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় স্বস্তি বাড়াবে। পরিবারের সন্তুষ্টির বিষয়টিও থাকছে। গত বিশ্বকাপে নিজের আজন্ম স্বপ্ন বিশ্বকাপ জয়ের পর হয়তো চিন্তা করেছেন ক্যারিয়ারের শেষটা সুন্দর জায়গায় শান্তিতে কাটিয়ে দিতে। যেখানে পরিবারের ভালো লাগাটা প্রাধান্য পাবে। মেসির পরিবারের কাছে মিয়ামি ঠিক তেমনি এক জায়গা। যেখানে সুযোগ পেলেই ঘুরতে যান তাঁরা।
মিয়ামির সঙ্গে চুক্তি করার কিছু কারণ—
ফিফার সবচেয়ে বড় আয়োজন ছেলেদের ফুটবল বিশ্বকাপ। তাদের অন্য সব ইভেন্টের চেয়ে পুরুষদের বিশ্বকাপের গুরুত্ব ও আলোচনাও বেশি। পুরো বিশ্ব এক হয়ে তাকিয়ে থাকে বিশ্বকাপ দেখতে। ফিফার অন্যান্য ইভেন্টের চেয়ে ছেলেদের বিশ্বকাপের প্রাইজমানিও সবচেয়ে বেশি ছিল। তবে এবার সে রেকর্ড ভাঙতে চলেছে। কাতার বিশ্বকাপের দ্বিগুণেরও
৩১ মিনিট আগেগত পরশু ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন মুশফিকুর রহিম। ১৮ বছরের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে এমন কিছু অর্জন বা কীর্তি রয়েছে তাঁর, যেগুলো আর কারও নেই। সেগুলোই দেখে নেওয়া যাক।
১ ঘণ্টা আগেকাল দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে খেলবে নিউজিল্যান্ডের পুরুষ ক্রিকেট দল। এ দিকে নেলসনে আজ নিউজিল্যান্ডের মেয়েরা খেলছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। নেপিয়ারে বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল প্রথম ওয়ানডে।
২ ঘণ্টা আগেফাইনালের উইকেট নিয়ে ধোঁয়াশায় নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে দুবাইয়ে যে উইকেটে খেলেছিল কিউইরা, সেটি তাদের কাছে মনে হয়েছিল বেশ ধীরগতির ও বেশি স্পিন সহায়ক। কিন্তু দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের যে পিচে আবার সেমিফাইনাল খেলেছে, সেটিকে বেশি ধীরগতির ও স্পিন সহায়ক মনে হয়নি নিউজিল্যান্ডের
২ ঘণ্টা আগে