Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

স্যার বললেন, তোমরা কী খ্যাপ খেলতে এসেছ

স্যার বললেন, তোমরা কী খ্যাপ খেলতে এসেছ
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৪, ১২: ০৪

নেপাল, ভারত, ভুটান—অনূর্ধ্ব-১৬ নারী সাফে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে ৫ গোল করে বাংলাদেশকে ফাইনালে তুলেছিলেন সৌরভী আকন্দ প্রীতি। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে গোল না পেলেও শিরোপাজয়ী বাংলাদেশের সৌরভী হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। গোল করার মতো বাংলাদেশ স্ট্রাইকার বলেনও দারুণ। অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের সেরা খেলোয়াড় কাল দেশে ফিরে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। বিমানবন্দরে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাজিম আল শমষের। 

প্রশ্ন: গত বছর অনূর্ধ্ব-১৭ সাফের তুলনায় এবার একেবারে অন্য রূপে দেখা গেল। নিজেকে বদলে ফেলে বাংলাদেশকে কিছু দিতে পারার অনুভূতিটা কেমন?
সৌরভী আকন্দ প্রীতি: ক্যাম্পে আসার পর থেকেই কঠোর পরিশ্রম করছি। অনেক কষ্ট করছি। এই কষ্টের ফল অনূর্ধ্ব-১৬ সাফে পেয়েছি। আমি অনূর্ধ্ব-১৭ সাফে খেলেছি, বড় আপুদের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-২০ দলে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। জীবনে এটা আমার দ্বিতীয় শিরোপা। 

প্রশ্ন: ক্যাম্পে তিন বছর হয়ে গেল। এ তিন বছরে নিজের পরিবর্তন কেমন দেখছেন?
সৌরভী: ২০২১ সালে যখন ক্যাম্পে ডাক পাই, তখন আমার বয়স ১২ বছর। এই এতটুকু ছিলাম (হাত দিয়ে বোঝালেন অনেক ছোট ছিলেন)। এখন শারীরিকভাবে বড় হয়েছি, পারফরম্যান্স ভালো হয়েছে, অনেক লম্বাও হয়ে গেছি (হাসি)।

প্রশ্ন: নিজের খেলাটা কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন? সবচেয়ে বেশি কী বদলেছেন এ সময়ে?
সৌরভী: সবচেয়ে বেশি পাল্টেছে যেটা, ফার্স্ট টাচ। যেকোনো খেলোয়াড়ের এটা বেশি দরকার। এ নিয়ে আমি অনেক কাজ করেছি। টিটু স্যারও (সাইফুল বারী টিটু, বাংলাদেশ কোচ) বলতেন, প্রীতি ফার্স্ট টাচ একজন ফুটবলারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তোমার এটা ভালো হয় না। ভালো করো। কাজ করার পর ফার্স্ট টাচ ভালো হয়েছে। ফিনিশিংও ভালো হয়েছে।

প্রশ্ন: ৫ গোল করে অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। আরেকটা করলে সর্বোচ্চ গোলদাতাও হতে পারতেন। এ নিয়ে কোনো আফসোস আছে? 
সৌরভী: এতটা নাই। চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই আসল কথা। আমার দল জিতেছে। আমার সতীর্থরা জিতেছে। আল্লাহ হয়তো চেয়েছিলেন শিরোপা জিতব কিন্তু সেরা গোলদাতার পুরস্কার পাব না। 

প্রশ্ন: আপনার গোল উদ্‌যাপন দেখলে মনে হয় কারও দিকে তাকিয়ে প্রতিবাদ করছেন! এটার পেছনে কোনো গল্প আছে?
সৌরভী: এই উদ্‌যাপনটা (দুই হাত ভাঁজ করে চুপ করে থাকা) টিটু স্যার দেখিয়েছেন। এ সাফেই টিম মিটিংয়ে স্যার বলেছিলেন, তুমি কি গোল করে চুপ করে থাকবে? উদ্‌যাপন করবে না? মনে মনে ভাবছিলাম, যদি ম্যাচে গোল করতে পারি স্যারকে দেখাব আমার উদ্‌যাপন। (উদ্‌যাপনটা হচ্ছে) চুপ করে থাকব। কিছু বলব না। স্যার এই উদ্‌যাপন দেখে বললেন, প্রীতি, মাঠে তুমি এটা কী করলে? আমি বললাম, স্যার আপনিই তো বলেছিলেন মিটিংয়ে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে। আমি সেটিই করেছি (হাসি)।

প্রশ্ন: গ্রুপ পর্বে আপনারা তিন ম্যাচেই আগে গোল করেছিলেন। যে কারণে চাপটা টের পাওয়া যায়নি। কিন্তু ফাইনালে শুরুতেই গোল হজম করে বসলেন। মনে হচ্ছিল, আপনারা চাপে পড়ে এলোমেলো খেলছেন। বিরতির সময় কোচ ড্রেসিংরুমে কী বলেছিলেন যে দ্বিতীয়ার্ধে আপনাদের খেলার ধরন বদলে গেল?
সৌরভী: কোচ বলেছিলেন, তোমরা এ কেমন ফুটবল খেলছো! এটা তো জাম্বুরা খেলা, গ্রামে খেলে। তোমরা এখানে খ্যাপ খেলতে এসেছো যে যেমন ইচ্ছে তেমন করে বল মারছো! তোমরা পাস দিয়ে খেলো, মাঠ বড় করে খেলো, বল দেওয়া-নেওয়া করো, ধরে খেলো। তোমরা তো খেলা জানো। এলোমেলো মারছো কেন? আমি যেন এমন খেলা না দেখি। পাসিং ফুটবল খেলো। গোল এমনি চলে আসবে। প্রথমার্ধে আমাদের মিডফিল্ড-ডিফেন্স এলোমেলো খেলছিল। দ্বিতীয়ার্ধে সেটা পরিবর্তন করে আমরা ছোট ছোট পাসে খেলে আক্রমণে ওঠা শুরু করলাম। 

প্রশ্ন: সাফের এই দলে আপনি একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, আগেও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। দলে অনেক নতুন ফুটবলার। তাদের কীভাবে উজ্জীবিত করেছেন?
সৌরভী: জুনিয়রদের সব সময় সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বলেছি, যে যখন সুযোগ পাবে নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করবা। বলেছি, কোচদের কথা বুঝতে না পারলে আমাদের সিনিয়রদের কাছে জিজ্ঞেস করবে। ওরাও কিছু বুঝতে না পারলে আমাদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করত।

প্রশ্ন: এখন পরের লক্ষ্য কী হবে?
সৌরভী: দেশকে আরও দিতে চাই। পরিবারের জন্য কিছু করতে চাই। নিজের সেরাটা দিতে চাই। নিজের আরও উন্নতি করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করে জাতীয় দলে ঢুকতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত