যতই গালি দেন তবু ফিরে আসি, বাফুফেতে ফিরে সালাউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭: ৪৯
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৪, ১৯: ১১

চেহারায় খুব বেশি ভাঁজ পড়েনি। পরিবর্তনটা টের পাওয়া যায় কেবল কণ্ঠস্বর শোনার পর। চলাফেরায় ধীর‍তা এসে। পরিবর্তনটা এসেছে আরেকটা জায়গায়।

‘আমার কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমি সকাল-বিকেল গরুর মাংস খেয়েছি। দুপুরে স্টেক খেয়েছি, বিকেলে ল্যাম্ব চপ খেয়েছি। ছাড়ার মধ্যে শুধু ইয়েটা...(আঙুলে দেখালেন  সিগারেট) ছেড়ে দিতে হয়েছে।’ তিন মাস পর নিজের প্রিয় জায়গায় ফেরার পর এমনটাই বলছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বাফুফে ভবনেই এক অনুষ্ঠানে বুকে ব্যথা অনুভব করেন সালাউদ্দিন। পরীক্ষার পর ধরা পড়ে একাধিক ব্লক বাইপাস সার্জারি ছাড়া তখন কিছু করণীয় ছিল না। উচ্চ রক্ত চাপের কারণে বিলম্বিত হয়ে শেষ পর্যন্ত ২৮ ডিসেম্বর করা হয় সালাউদ্দিনের অস্ত্রোপচার।

অস্ত্রোপচারের পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মেয়ের সঙ্গে জার্মানি গিয়েছিলেন, ফিরেছেন গতকাল। ফিরেই আজ বেলা ২টায়  বাফুফে ভবনে এসেছেন। কর্মী আর সাংবাদিকদের সঙ্গে করেছেন কুশলাদি বিনিময়।

বাইপাস সার্জারির আগে খেলোয়াড়ি জীবনে কেবল হাঁটুর অস্ত্রোপচারই হয়েছে সালাউদ্দিনের। দুই অস্ত্রোপচারের মধ্যে পার্থক্য কী সেটা বোঝাতে গিয়ে বললেন, ‘সেটা ছিল নি (হাঁটুর) অস্ত্রোপচার। সেই অপারেশনের সঙ্গে হার্টের অপারেশনের কোনো সম্পর্ক নেই। সেই অপারেশনের আগে একটাই দুশ্চিন্তা ছিল যে আমি খেলতে পারব কি না। জীবন নিয়ে কোনো চিন্তা ছিল না। আর এই অপারেশনের পর মনে হচ্ছিল, আমি বাঁচতে পারব কি না।’

২০০৮ সালে বাফুফে সভাপতি হওয়ার পর কখনোই এত লম্বা সময় ফেডারেশনের বাইরে থাকতে হয়নি সালাউদ্দিনকে। নতুন এক জীবন নিয়ে ফেরার পর অনুভূতিটা জানাতে গিয়ে বাফুফে সভাপতি বললেন, ‘যখন ফুটবলে ফিরে আসি, তখন মনে হয় এটা আমার পৃথিবী। ফুটবল ভীষণভাবে আমার রক্তে মিশে।আপনারা যতই গালি আমাকে দেন, তারপরও যখন আমি এখানে ফিরে আসি, তার মানে এখানে কোনো টাকাপয়সা নেই। এটা আমার রক্তে।’

আগামী অক্টোবরে বাফুফের সভাপতি নির্বাচন। জীবন নিয়ে কঠিন এক লড়াইয়ের পরও প্রশ্ন থেকে যায়, আগামী নির্বাচনে কি আবারও লড়তে দেখা যাবে সালাউদ্দিনকে? তিনি নিজে কী ভাবছেন?

জবাবে বাফুফে সভাপতির জবাব, ‘আমি যদি ফুটবল করি, আগের মতোই করব। যদি সিদ্ধান্ত নেই করব না, তাহলে করব না। কোনো জিনিস আমি আধাআধি করব না। এমন না যে আমি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে থাকব, কিন্তু আসব না, কাজ করব না; আমি এমনটা করব না। যা করব, করব। না করলে করব না। যে কারণে আমি ফুটবলার হয়েছি, ক্রিকেটে যাইনি। ক্রিকেটে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে শুধু রিপোর্ট করেছি, কিন্তু যোগ দিইনি। কারণ, আমি যেটা করব—শুধু সেটাই করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত