Ajker Patrika

কেমন অভিভাবক চায় দেশের ফুটবল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১: ৩৭
কেমন অভিভাবক চায় দেশের ফুটবল

দুই দিন আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান দেশের ফুটবলে ১৬ বছর রাজত্ব করা কাজী সালাহউদ্দিন। তাঁর সরে যাওয়ার ঘোষণায় যে প্রশ্নটা উচ্চকিত, সামনে কে বসতে যাচ্ছেন বাফুফে সভাপতির চেয়ারে। যিনি বসবেন, তিনি অধঃপতনে যাওয়া দেশের ফুটবল টেনে তুলতে কতটা কাজ করবেন—সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন ফুটবল-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

১৯৭৫ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলেছেন হাসানুজ্জামান খান বাবলু। ঘরোয়া ফুটবলে আবাহনী, মোহামেডান ও ব্রাদার্সের হয়েও মাঠ মাতিয়েছেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করে নাম লেখান কোচিংয়ে। ১৯৯৯ সালে মোহামেডানকে লিগ চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। জাতীয় দলের সাবেক কোচ হাসানুজ্জামান এমন একজনকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চান, যিনি নিষ্ঠার সঙ্গে একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে ফুটবলকে এগিয়ে নেবেন, ‘এটা এমন কিছু না যে আপনি রাতারাতি এসে সবকিছু বদলে ফেলবেন। ১৫-২০ বছরের একটা পরিকল্পনা করুন। এরপর সেটা ধরে এগিয়ে যান। আমার কাছে নেতৃত্বটা গুরুত্বপূর্ণ। সালাহউদ্দিন খেলোয়াড় হিসেবে প্রশ্নবিদ্ধ নয়, কিন্তু সভাপতি হিসেবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ সে। আমরা চাই, যে ফুটবলের জন্য নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে পারবে, নেতৃত্ব দিতে পারবে, এমন অভিভাবক চায় দেশের ফুটবল।’

ক্রীড়াঙ্গনে অন্যতম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক কামরুন নাহার ডানাও বলছেন এমন একজন সভাপতির কথা, যিনি খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা দেখবেন, সব সময় এই অঙ্গনের উন্নতির কথা ভাববেন, ‘সব সময় মাঠে খেলা থাকবে। সবাই যেন সব লিগে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায় এবং সারা দেশের ফুটবলকে সচল করতে হবে। আমরা যেমন দেখলাম, সালাহউদ্দিন সভাপতি হিসেবে পুরোপুরি ব্যর্থ। তাঁর মতো কাউকে আমরা আর চাই না। এমন একজনকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই, যে ফুটবলের জন্য, দেশের জন্য কাজ করবে। এখান থেকে নিজের অর্থ উপার্জনের চিন্তা করবে না।’

সাবেক কোচ গোলাম সারোয়ার টিপু মনে করেন, সংগঠক হতে হলে সবার সঙ্গে সবার কথা শুনে কাজ করতে হবে। তিনি বললেন, ‘যখন সালাহউদ্দিন সভাপতি হয়, আমি বলেছিলাম, ও খেলোয়াড় হিসেবে ভালো করেছে, কিন্তু সংগঠক হিসেবে পারবে না। এই দায়িত্ব সামলানো সহজ না। এ জন্য সবার কথা শুনতে হয়, সবার সঙ্গে বসতে হয়। যাহোক, এখন এই সভাপতি বাছাই করাটা কঠিন। তবু বলব, এমন একজন আসুক, যে কিনা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করবে ৷ এটা তো একক কাজ না। যারা কমিটিতে থাকবে, সবাই যদি সবার কথা শোনে, মিলেমিশে কাজ করে, তাহলে আমার মনে হয় কঠিন কিছু হবে না।’

মুখেই শুধু ফুটবল-ফুটবল, কাজে লবডঙ্কা—এমন কাউকে বাফুফের সভাপতির পদে দেখতে চান না গোলাম সারোয়ার টিপু, ‘লেখাপড়া জানা এমন কেউ যদি আসে, যে ফুটবলকে মুখে নয়, মন থেকে ভালোবাসে। অবশ্যই সে কাজ করতে পারবে এবং সফলও হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত